“Detective চোর” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটক রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকটি এই মাসের এগারো তারিখ রিলিজ হয়েছে। নাটকটি মূলত একটি মুভির কাহিনীর মত হয়ে গেছে। নাটকটি দেখে ভালই লেগেছে। আশা করি আপনাদের কাছেও ভাল লাগবে। চলুন শুরু করি।
নাম | Detective চোর |
---|---|
পরিচালনা | রাহাত মাহমুদ |
চিত্রনাট্য | রাশিদুর রহমান |
অভিনয়ে | নিলয় আলমগীর, তানিয়া বৃষ্টি, জাবেদ গাজী, ইমতিয়াউস আহমেদ, মোঃ লিটন হাওলাদার, নাজমু হোসেন, রাহাত আল আয়ান, মাহিদুল হাসান বাপ্পি, নাঈমুল হাসান, লাবণ্য লাবনী প্রমুখ। |
দৈর্ঘ্য | ৪৪ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ১১মে ২০২৩ ইং |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- নিলয় আলমগীর-আইজ
- তানিয়া বৃষ্টি-অরিন
নাটকের প্রথমে দেখা যায় একজন ছিনতাইকারী একটি ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আর সেই ব্যাগে ছিল এক জোড়া জুতা। এই জুতা জোড়া নিয়ে নাটকের কাহিনী সাজানো হয়েছে। ব্যাগে শুধু যে জুতা ছিল তা নয় জুতার মধ্যে রয়েছে তিন কোটি টাকার হীরা। কিন্তুু ছিনতাইকারী জানেনা জুতার মধ্যে হীরা রয়েছে। হীরার মালিক হীরা গুলোকে অবৈধ পথে নিয়ে এসেছে। মানুষ বা বিমানবন্দরের লোক যেন সেটা বুঝতে না পারে সে জন্য জুতার ভিতরে করে আনা হয়েছে। যে চুরি করেছে সে তো বুঝে নাই যে এগুলোর ভিতরে হীরা রয়েছে। যায়হোক এখন হীরার মালিক হীরা গুলোকে খুজেঁ বের করার জন্য বড় একটি প্লান করেছে। তিন কোটি টাকার হীরা এমনি এমনি তো ছেড়ে দেওয়া যায় না।
হীরা গুলোকে খুজেঁ বের করার জন্য হীরার মালিক বিদেশে থেকে অরিন চৌধরী তথা তানিয়া বৃষ্টি কে ভাড়া করি নিয়ে আসে। অরিন একজন Detective চোর (গোয়েন্দা চোর)। অরিন বিদেশ থেকে এসে হীরার মালিকের বাসায় যাওয়ার সময় তার পার্টস চুরি করতে গিয়ে নিলয় আলমগীর তথা আইজ উদ্দিন ওরুফে আইজা চোর অরিনের হাতে ধরা পরে যায়। অরিন আইজা চোরের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে নিয়ে জানতে পারে যে আইজা চোর ঢাকা শহরের চোর-ছিনতািই কমিটির তিন বারের সভাপতি। ঢাকা শহরে কে কোথায় চুরি ছিনতাই করে সব কিছু তার জানা আছে। অরিন মনে মনে চিন্তা করলো যেহেতো তার সব কিছু জানা শোনা আছে সেহেতো তার মাধ্যমে অনেক তথ্য জানতে পারবে। তাই অরিন আইজা চোর বা আইজকে সাথে নিয়ে হীরার মালিকের বাসায় গেল। সেখানে আইজা চোরা আপেল নেওয়ার সময় লাইটার ভেবে হীরার মালিকের পিস্তল নিয়ে চলে যায়। সে ভাবে এটা লাইটার সিগারেট জ্বালাতে গিয়ে গুলি বের হয়ে যায়। আর গুলির আওয়াজে আইজা চোরা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
অরিন আইজা চোর বা আইজের সাথে জুতা চুরি হওয়ার বিষয়টা খুলে বলে। কিভাবে জুতা গুলো খুজে পাওয়া যাবে সে বিষয়ে তার সাথে পরামর্শ করে। এগুলো খুজে না পাওয়া পর্যন্ত আইজকে তার সাথে থাকতে বলে। আইজ প্রথম দিকে মানা করলেও অরিনের পিস্তলের ভয়ে রাজি হয় যায়। তারপর থেকে শুরু হয় তাদের জুতা খুজে বের করার মিশন। সে জন্য তারা অনেক বস্তি,পাড়া,মহল্লায় জুতা চোরকে খুজে বেড়ায়। আপনারা যদি নাকটি দেখেন তখন বুঝতে পারবেন কত জায়গার বস্তির দৃশ্য ধারন করা হয়েছে। অনেকে হয়তো বস্তি গুলো দেখলে চিনতে পারবেন। অবশেষে আইজা চোর এক ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারে বট তলায় এক চোর জুতা বিক্রয় করতেছে। তারপর পরের দিন সকাল বেলা সেই জুতা চোরের তথ্য নিয়ে ষ্টেশনের আশে পাশে এক জনকে পায়। সে আবার অন্য এক চোরের নাম বলে। এভাবেই তারা জুতার খুজে ঘুরতে থাকে। দারুন একটি নাটক।
অবশেষে অনেক খুজাঁখুজির পরে মূল চুরের সন্ধান পায়। তবে আইজা চোর আর অরিনকে দেখে সেই জুতা চোর দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাকে ধরতে গিয়ে আবার অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। এখানেও এমন অনেক বস্তির দৃশ্য দেখা যায়। অবশেষে তাকে ধরে জুতার গুলোর খুজ জানতে চাই। সে জানায় জুতা গুলো চুরি করার পরে জুতা জোড়া তার পছন্দ হয়ে যায়। তাই এই জুতা গুলো রেখে দেয়। একদিন তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে সেই সে জুতা জোড়া পরে প্রেম করতে যায়। সেখানে সে জুতা জোড়া গুলো খুলে রেখে লেকের পানিতে নামে। আর তখন অন্য এক চোর এই জুতা গুলো নিয়ে যায়। এখন কে নিয়েছে সে জানে না।
নাটকের শেষ দিকে দেখা যায় আইজ চোরা অরিনের সাথে এক জাগায় দাড়িয়ে কথা বলছে। অরিন বলছে আইজ আমি মনে হয় এবার হেরে গেছি। জুতা গুলো মনে হয় আর পাওয়া যাবে না। তখন আইজ তার নিজের পায়ের জুতা গুলো খুলে অরিনের হাতে দিয়ে বললো দেখেন তো এগুলো সেই জুতা কিনা। তখন অরিন ভাল ভাবে চেক করে বলে হ্যা এগুলো তো সেই জুতা। তখন অরিন জুতার ভিতর থেকে হীরা গুলো বের করে হীরার মালিককে ফোন দেয় জানায় যে হীরা গুলো পাওয়া গেছে। পিছন দিকে ফিরে দেখে আইজ নেই,সে চলে গেছে। তারপর থেকে অরিন আইজ কে অনেক খুজাখুজি করেও আর পায়নি। তারপর অরিন যেদিন বিদেশ চলে যাবে সেদিন আইজের সাথে দেখা হয়। তখন অরিন আইজকে এমন কিছু গিফট দেয় যার ফলে সে আইজ এমপি নির্বাচন করবে। অরিন আইজকে কি গিফট দিলো সেটা আপনারা নাটকটি দেখলেই বুঝতে পারবেন।
নাটকটি দেখে আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। মুভি দেখলে যেমন আনন্দ লাগে নাটকটি দেখে আমার কাছে তেমন মনে হয়েছে। এখানে আইজ কিন্তুু হীরা গুলো না দিয়ে নিজে নিয়ে যেতে পারতো। এই হীরা গুলো পেলে আইজের আর কোন দিন চুরি বা ছিনতাই করার প্রয়োজন হতো না। কিন্তুু আইজ চোর হয়েও সেটা করেনি। আইজ অরিনের একটি কথা শুনে মন গলে গেছে। আর সেটি হলো আইজ আমি মনে হয় এবার হেরে গেছি। যেহেতো অরিন আর আইজ এক সাথে এই মিশনে নেমেছিল তাই অরিন হারলে আইজও হেরে যেতো। তাই আইজ অরিনকে হারতে দেয়নি। আইজ অরিনের বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছে। আইজ চোর হলেও সে লোভী না।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
বাহ খুব সুন্দর নাটক রিভিউ করেছেন আপনি। যদিও সময়ের কারণে নাটক তেমন একটা দেখা হয় না। নাটকটি দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। আপনার নাটক রিভিউ উপস্থাপন খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। বিশেষ করে নাটকের সংলাপ আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এই ধরনের নাটক গুলো দেখে খুবই আনন্দ উপভোগ করা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে এত দুর্দান্ত নাটক রিভিউ করার জন্য।
জী ভাইয়া আমি প্রতি সাপ্তাহে একটি নাটক রিভিউ পোষ্ট করে থাকি। ভালই লাগে নাটক দেখতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
নাটকের কাহিনীটা আসলেই মুভির মত আমার কাছেও লাগলো। জুতার ভিতরে হীরা লুকিয়ে রয়েছে এটা তো আসলেই একটা মুভি মনে হচ্ছে। আপনি অনেক সুন্দর করে নাটকের রিভিউটি দিয়েছেন আমারতো দেখতে ইচ্ছা করছে। নাটকের রিভিউ গুলো দেখলে ভালো লাগে একটি নাটক সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায় এবং দেখার আগ্রহ জাগে।
জী আপু নাটকটি ফুল মুভির মত করে সাজিয়েছে। ভালই লাগে দেখতে। ধন্যবাদ আপু।
অসাধারণ একটি নাটক আজ আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করে দেখিয়েছেন। আপনার এত সুন্দর নাটোক রিভিউ করা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর নাটকটা রিভিউ করা দেখে। যেহেতু নাটক আমিও দেখতে ভালোবাসি, তাই চেষ্টা করব দেখার জন্য।
জী ভাইয়া মাঝে মাঝে নাটক দেখি ভালই লাগে। বর্তমনে নাটক গুলো নতুন ধারায় করার চেষ্টা করছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ডিটেকটিভ চোর নাটকটার রিভিউ আপনি খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন। নাটক দেখতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। সেই সাথে নাটকের রিভিউ পড়তেও অনেক বেশি ভালো লাগে। যদিও এই নাটক আমার এখনো পর্যন্ত দেখা হয়নি কিন্তু আপনার রিভিউ পোষ্টের মাধ্যমে দেখে খুবই ভালো লেগেছে। রিভিউ টা পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে সময় পেলে নাটকটা দেখতে হবে। এত সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে।
জী আপু নাটকটিতে শিক্ষনীয় বিষয় হলো আইজ চোর হলেও সে লোভী নয়। ধন্যবাদ আপু।
নিলয়ের নাটক দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি মাঝে মধ্যে নিলয়ের নাটক দেখি। তবে এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। নাটকের সম্পূর্ণ রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো। সময় করে নাটকটি দেখে নিব। যাইহোক এতো সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।