আমানীপুর পার্ক পরিদর্শনের দ্বিতীয় পর্ব।
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে আবার চলে এলাম নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আমার আজকের পোষ্টের বিষয় হলো আমানীপুর পার্ক পরিদর্শনের দ্বিতীয় পর্ব। আজকে অনেক গুলো ফটো শেয়ার করবো। ফটো গুলো দেখে সবাই টেনশনে পরে যাবেন এই জিনিষ গুলো বানালো কিভাবে। চলুন শুরু করি।
পার্কটিতে সব থেকে আকর্ষনীয় জায়গা হলো রেল বাগানটি। বাংলাদেশের রেলওয়ের আদলে জায়গাটি সাজানো হয়ছে। এত সুন্দর করে জায়গাটি সাজানো হয়েছে যে শুধু দেখতেই মন চাই। আমি ঘুরে ঘুরে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম। অধের্ক ফটো আমি প্রথম পর্বে শেয়ার করেছিলাম আর আজকে বাকি অর্ধেক ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। ফটোগুলোতে প্রত্যেকটা জায়গার দৃশ্য এত সুন্দর লাগে যে মনে হয় বাস্তব চিত্র দেখতেছি।
আমরা দিনের বেলা বারোটার সময় সেখানে গিয়েছিলাম। যদি বিকাল বেলা বা সন্ধার সময় যেতাম তাহলে আরো অনেক সুন্দর হতো। প্রত্যেকটা ফটো বিভিন্ন লাইটের আলোতে জ্বল জ্বল করতো। আমরা প্রথম গিয়েছিতো বুঝতে পারি নাই। আর আমাদেরকে যে নিয়ে গেছি সেও বুঝতে পারে নাই এত রোদ লাগবে। যায়হোক তারপরও আমরা অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি। পার্কটির ভিতরে অনেক বড় একটি রেস্টুরেন্টও রয়েছে। তবে আমরা সাথে করে যে খাবার নিয়েছিলাম সে গুলোই খেয়ে শেষ করতে পারি নাই। তাই সেখান থেকে কোন কিছু কিনার প্রয়োজন পড়ে নাই।
দেখুন কত সুন্দর লাগতেছে ঘর গুলো। ঘর গুলোর দিকে তাকালে মনে হয় সুইজারল্যান্ডে আছি। ঘর গুলো বানিয়ে বানিয়ে জাষ্ট বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে গুলো সিমেন্ট দিয়ে বানানো হয়েছে সে গুলো নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা খুব কম। আর যে গুলো কাঠ বা ককসিট দিয়ে বানানো হয়েছে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে।
এখানে দেখা যায় দুইটি রেল সেতু বা রেল ব্রিজ। বাস্তবে খাল বা নদীর উপরে যেভাবে রেল ব্রিজ গুলো নির্মান করে থাকে ঠিক সেভাবেই নির্মান করা হয়েছে। ব্রিজের মধ্যে যে কালার দেওয়া থাকে এখানেও সেইম কালারটি ব্যবহার করা হয়েছে।
এখানে দেখা যাচ্ছে প্রথম ছবিতে একটি ওভার ব্রিজের নিচ দিয়ে ট্রেন চলে যাচ্ছে। ট্রেনটি মালবাহি না কি যাত্রিবাহি ঠিক বুঝা যাচ্ছে না। দ্বিতীয় ছবিতে দেখতে পাচ্ছি একটি ট্রেন স্টেশন। এদিক সেদিক অনেক গুলো ট্র্রেনের রাস্তা। আবার মাঝখান দিয়ে গাড়ির রাস্তাও রয়েছে।
এখানে ঘর বাড়ি গুলো এমন ভাবে সাজানো হয়েছে মনে হচ্ছে বিদেশের শহরের কোন এলাকা। সব কিছু সাজানো গুছানো আশে পাশে পাহাড়,গাছ পালা রয়েছে। এমন পরিবেশে বাড়ি করতে পারলে জীবন ধন্য। এসব স্বপ্ন,স্বপ্নই থাকবে। কোনদিন পুরন হবার নয়।
এই ফটোগ্রাফি গুলোর মাঝেও এমনই কিছু বুঝানো হয়েছে। বাংলাদেশে এমন পরিবেশ আছে কিনা আমার জানা নেই। হয়তো চট্রগ্রামে বা সিলেটে এমন পরিবেশ দেখা যেতে পারে। কারন সিলেট বা চট্রগ্রামেই পাহাড় আর গাছ পালা বেশি।
বন্ধুরা আজকের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার মাধ্যমে আমার আমানীপুর পার্কের রেল বাগানের ফটো শেয়ার করা শেষ। এখন পার্কের ভিতরে আরো যে যে জিনিষ গুলো দেখেছি সে গুলো শেয়ার করবো। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
বিষয় | আমানীপুর পার্ক পরিদর্শনের দ্বিতীয় পর্ব। |
স্থান | কুলাউড়া, সিলেট |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ০৭-০৫-২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
সিলেটের আমানিপুর পার্কের পরিদর্শনের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম অনেক ভালো লেগেছিল। কারণ পার্ক টি এত সুন্দর করে তৈরি করা হচ্ছে যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আসবে তখন বেশ ভালোই লাগবে। ঠিক বলছেন পার্কে গেলে একটু বিকেল বেলায় গেলে অনেক ভালো লাগে আপনি যেহেতু বারোটায় গেছেন তখন অনেক রোদ হবে। সুন্দর ঘোরাফেরা করছেন আর ফটোগ্রাফিও নিয়েছেন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ধন্যবাদ।
জী আপু সন্ধার পরে পার্কের দৃশ্যটা দারুন ভাবে ফুটে উঠে। তখন ফটোগ্রাফি করতে পারলে ভাল লাগতো। ধন্যবাদ আপু।