কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি।।

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই,
আমি আজকে আবার আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে কিছু এলেমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা। এলোমেলো ফটোগ্রাফি করতে যেমন ভাল লাগে ঠিক তেমনি দেখতেও ভাল লাগে।

এখন বাসা থেকে বাহিরে গেলেই ফটোগ্রাফি করার জন্য সুযোগ খুঁজি। অনেক সময় দেখা গেছে ফটোগ্রাফি করার উদ্যেশ্য করেই বাসা থেকে বের হয়। আগে থেকেই কোথায় যাবো সেই জায়গা গুলো নির্ধারন করে ফেলি। তারপর সেই প্লান অনুযায়ী যাত্রা শুরু করি। কিছুদিন আগে কোন প্লান প্রোগ্রাম ছাড়াই ঐতিহাসিক একটি উদ্যানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তো যেহেতো সেখানে গিয়েছি কিছু জিনিষ দেখে পছন্দ হয়ে গেছে। আর সাথে সাথে ক্যামেরা দিয়ে দুইটি ছবি ক্যাপচার করে ফেললাম। বাসায় এসে দেখি ছবি গুলো এত সুন্দর হয়েছে যে শেয়ার না করে আর থাকতে পারলাম না।

আর কিছু ছবি রয়েছে আমাদের গ্রামের প্রাকৃতিক ছবি। এই ছবি গুলো আমার স্টোরে জমানো ছবি। একদিন বলেছিলাম যে আমার স্টোরে বেশ কিছু ছবি সংরক্ষন করা আছে। সেখান থেকে কয়েকটা ছবিও শেয়ার করতে যাচ্ছি। যত ভ্রমন তত আনন্দ তত নলেজ বৃদ্ধি পায়। সর্বপরি আশা করা যায় সব মিলিয়ে দারুন একটি ব্লগ উপহার দিতে পারবো।

প্রথমেই একটি সাধারন প্রাকৃতিক ছবি দিয়ে শুরু করি। ছবিটি সাধারন হলেও এটা গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্থ বহন করছে। এই গাছ গুলোকে আমাদের গ্রামের ভাষায় কয়ালতা বলা হয়। এগুলো অন্য একটি গাছের সাহায্যে উপরের দিকে উঠ। কিন্তুু এখানে এই কয়ালতার গুলোর আশে পাশে সাহায্য কারী কোন গাছ নেই। যার ফলে সব গুলো গাছ একসাথে হয়ে শক্তি উপার্জন করে উপরের দিকে উঠতেছে। আমাদের কমিউনিটির ডেলিগেশন প্রক্রিয়ার মত। একা তেমন কোন শক্তি নেই কিন্তুু একশত জন এক সাথে হলে শক্তি দ্বিগুন বেড়ে যায়।

তারিখ : ৩ই জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৫ টা ২০ মিনিট
স্থান : সৈয়দাবাদ,কসবা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া।

এখানে কত গুলো খাবারের জিনিষ দেখতে পাচ্ছেন। এগুলো খুবই লোভনীয় খাবার তাই না..। আমাদের আপামনিদের প্রিয় খাবার। বরই আচাঁর,তেতুঁল আচাঁর,আমড়া,আমসি,কাচাঁ আম,আমড়ার আচাঁর আরো কি কি যেন রয়েছে। দেখেই জিহ্বায় জল চলে আসলো। আর ছবিট গুলো খুব ক্লিয়ার হয়েছে।

তারিখ : ২১শে জুলাই ২০২৩
সময় : দুপুর ১১ টা ৪১ মিনিট
স্থান : ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান,ঢাকা।

বাইতুল মুকাররাম মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে আসার সময় দেখলাম এক ভাই মসজিদের আঙ্গিনায় বসে মধু বিক্রয় করতেছে। এখানে অনেক প্রকার মধু রয়েছে। হাসনার মধু,সরিষা ফুলের মধু রয়েছে। মধু অনেক দামি ও খুবই উপকারি একটি জিনিষ। তবে সমস্যা হলো এখন আসল মধু খুজেঁ পাওয়াই মশকিল।

তারিখ : ২১শে জুলাই ২০২৩
সময় : দুপুর ২ টা ২২ মিনিট
স্থান : বাইতুল মুকাররাম,ঢাকা।

এই ফটোগ্রাফিটা আমাদের গ্রামের কলেজের রাস্তার পাশ থেকে নিয়েছিলাম। তবে এটা কি ফল সেটা আমি জানি না। কত সুন্দর আপেলের মত দেখা যায় ফলটিকে। তবে ‍দুঃখের বিষয় হলো এটার উপকারিত সম্পর্কে আমাদের কারো কোন ধারনা নেই। আগাছা হিসাবেই সবাই এগুলোকে ধরে থাকে।

তারিখ : ৩ই জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিট
স্থান : সৈয়দাবাদ,কসবা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া।

এই ফটোগ্রাফিটা নিয়েছিলাম শাহবাগ চত্বর থেকে। বাংলাদেশে সাধারনত শুক্রবারে বিয়েশাদি বেশি হয়। আর বিয়েতে বরের গাড়ি বিভিন্ন রকম ফুল দিয়ে সাজানো হয়ে থাকে। এখানে দৃশ্যটি দেখে ভাল লেগে যায়। নবদম্পতির জন্য শুভকামনা রইল।

তারিখ : ২১শে জুলাই ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ২৬ মিনিট
স্থান : শাহবাগ চত্বর,ঢাকা।

এগুলো কি দেখতেছি চিন্তা করা যায়। কত রকমের ওয়াইফাই তার,ডিস লাইন তার,কত রকমের বক্স। আমাদের দেশে প্রকৃতি থাকবে কিভাবে। এই জন্যই আমাদের উপর করোনা,বন্যা,মহামারি আসে। ঢাকা শহরে পাখি তো দুরে থাক মানুষ যে বেচেঁ আছে সেটাই অনেক বেশি। মোবাইলের টাওয়ার,বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস,রাউডারের রেডিয়েশন এগুলো যে কতটা ক্ষতিকর বলে বুঝানো যাবে না।

তারিখ : ২২শে জুলাই ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৬ মিনিট
স্থান : মতিঝিল,ঢাকা।

সবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসির মোড়ে দারুন একটি জিনিষ দেখলাম। বিভিন্ন ধরনের খালি বোতল ফেলানোর জন্য বোতল আকারে একটি ডাসবিন তৈরী করা হয়েছে। আমাদের দেশের ময়লার তুলনায় ডাসবিন খুব কম। আরেকটি সমস্যা হলো ঠিক ভাবে ডাসবিনের ময়লাও পরিষ্কার করা হয় না। যার ফলে আমাদের দেশে বায়ূ দূষন বেশি হচ্ছে।

তারিখ : ২১শে জুলাই ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৩৮ মিনিট
স্থান : টিএসসি মোড়,ঢাকা।

বন্ধুরা আজকে আর না,এখানেই আমার ব্লগের ইতি টানতে চাই। দেখতে দেখতে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করে ফেলেছি। আশা করি বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভাল লাগবে। আগামীকাল আবার হাজির হবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহায়তা করুন,সতর্ক থাকুন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।