লাইফ স্টাইল-ইসলামী ব্যাংকে কিছু সময়।।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি লাইফ স্টাইল বা দৈনন্দিন জীবনের কিছু অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি পড়লে বিষয়টা বুঝতে পারবেন।
কিছুদিন আগে একটি কাজের জন্য আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ এনেছিলাম। কিন্তুু তার টাকাটা কাজে লাগে নাই। হঠাৎ করে গতকাল বন্ধু ফোন করে বলতেছে, সে যে টাকা গুলো আমাকে দিয়েছিলো, সে গুলো আমি কাজে লাগিয়েছি কি না। আমি বললাম না,টাকা গুলো এখনো আমার একাউন্টেই আছে,কাজে লাগে নাই। সে তখন বললো যদি টাকা গুলো কাজে না লাগে তাহলে রিটার্ন করে দিলে তার উপকার হয়। আমি বললাম হঠাৎ করে কি প্রয়োজন পড়লো। সে বললো তাদের বাড়ির পাশে তাদের কাকা জায়গা বিক্রয় করে দিতেছে। তাদেরকে বলতেছে জায়গটা রাখতে। তাই টাকা গুলো এখন দিতে পারলে উপকার হবে। আমি বললাম ঠিক আছে,কোন সমস্যা নেই। যেহেতো এখন দরকার তাই এখন দিতে পারলে আমার কাছেও ভালো লাগবে। তাছাড়া টাকা এখনো কাজে লাগে নাই,পরে দরকার পড়লে আবার নিতে পারবো। সে বলে আচ্ছা,ঠিক আছে। পরে দরকার পড়লে অবশ্যই সে হেল্প করবে।
আমার বন্ধু ইসলামী ব্যাংকের একটি একাউন্ট নাম্বার দিয়ে বললো আজকে যেন টাকাটা পাঠিয়ে দেয়। আমাদের অফিস থেকে এক দেড় কিলো দুরেই ইসলামী ব্যাংকের নতুন একটি শাখা হয়েছে। তাই আমি সেই ব্রাঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। দুপুর একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত আমাদের অফিস লাঞ্চ বিরতি দেয়। আমি এই বিরতিতে ব্যাংকে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হলাম। অফিস থেকে বের হয়েই বিশাল বড় এক জ্যামের মধ্যে আটকে গেলাম। মনে মনে চিন্তা করেছিলাম, অটো নিয়ে যেতে পাঁচ সাত মিনিট সময় লাগবে অথচ অফিসের সামনেই জ্যামের পাঁচ সাত মিনিট সময় চলে গেলো। যখন আমার হাতে প্রচুর সময় থাকে তখন জ্যাম লাগে না। আর আজকে একটু তারাতারি যেতে চাইছিলাম,তাই জ্যামে আটকে গেলাম।
কিছুক্ষন বসে থেকে অটো থেকে নেমে পা চালালাম। পা থাকতে এত চিন্তা কিসের। কিছুদুর গিয়ে অন্য রাস্তা ধরে অটোতে উঠলাম। চাষাড়া মোড়ে যাওয়ার আগে আবার জ্যামে পড়লাম। অথচ আমাদের অপজিট সাইটে দিব্বি গাড়ি চলছে। মানে সব জামেলা আমার উপর দিয়ে যায়। মনে মনে চিন্তা করলাম ব্যাংকে গিয়ে আমার একাউন্ট থেকে টাকা তুলে আবার জমা দিতে অনেক সময় লাগবে। কারন বাংলাদেশে সব জাগায় সিরিয়াল ধরতে হয়। ব্যাংকে তো সিরিয়াল ছাড়া কোন কাজ হয় না। তাই এটিএম বুথ থেকে টাকা গুলো তুলে নিলে তারাতারি হবে। তাই অটো থেকে নেমে চাষাড়া মোড়ের রেল লাইনের পাশে এটিএমে গেলাম টাকা তুলতে। গিয়ে দেখি সেখানে (আমার কপালে) একটি সাইনবোর্ড ঝুলতেছে। সেখানে লেখা আছে “অনিবার্য কারণ বশতঃ এই এটিএম বুথের সার্ভিস সাময়িক বন্ধ আছে”। চিন্তা করেন আমার ভাগ্যটা কেমন।
এক ঘন্টা সময়ের মধ্যে অলরেডি ৪৫ মিনিট সময় অতিক্রম হয়ে গেছে। আবার সেই ব্যাংকেই সিরিয়াল ধরে টাকা তুলতে হলো। অন্য বুথ থেকে যদি তুলতে যায় তাহলে তো অনেক টাকা খরচ নিবে। অন্যজনের টাকা তো কাজে লাগাতে পারলাম না,সেখানে যদি আবার লস হয় তাহলে কেমন হবে। তাই লাইন ধরে টাকা তুললাম। যখন বন্ধুর একাউন্টে টাকা পাঠাতে যাবো,তার একাউন্ট নাম্বার বুঝতেছি না। মানে সে তার একাউন্টের যে স্কিন শর্ট দিয়েছে তার নাম্বার গুলো জাপসা বুঝা যায় না। তাকে কয়েকবার ফোন করলাম,রিং হয় কিন্তুু রিসিপ করে না। আর সেখানেই আমার লাঞ্চের এক ঘন্টা সময় শেষ হয়ে গেছে।
তারপর ব্যাংকের একজন কর্মকতার মাধ্যমে সঠিক নাম্বারটা সংগ্রহ করলাম। এখন আবার লাইনে দাড়িয়ে থেকে জমা দিতে হবে। যখন জমা দিতে যাবো তখন বন্ধু ফোন ব্যাক করেছে। তখন বিষয়টা তাকে বললাম। তারপর সে একাউন্ট নাম্বারটি বলার পরে আবার মিলিয়ে নিলাম। তারপর টাকা জামা দিয়ে বাসায় আসতে আসতে ২:৩০ মিনিট বেজে গেছে। হাত মুখ ধুয়ে কোনরকম কিছু খাবার খেয়ে তারাতারি অফিসের দিকে রওয়ানা দিলাম। ২:৪৫ বাজে অফিসে প্রবেশ করলাম। নির্ধারিত সময় থেকে ৪৫ মিনিট লেইট হয়ে গেছে। ডেস্কে বসে দেখি ম্যানাজার স্যার তার সিটে বসে আছে। ভেবেছিলাম এতক্ষন কোথায় ছিলাম সেটা জিঙ্গেস করবে তবে আমাকে তেমন কিছু বলে নাই। এই হলো আমাদের চিন্তা ভাবনার ফলাফল।
আজকে আর লম্বা করবো না। এখান থেকেই বিদায় নিবো। আশা করি ব্লগটি মনযোগ সহকারে পড়বেন। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। ততক্ষন পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি-53 |
শিরোনাম | ইসলামী ব্যাংকে কিছু সময়।। |
স্থান | ,চাষাড়া,নারায়নগঞ্জ ,ঢাকা। |
তারিখ | ২৬ / ১২ /২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.