শীতের দাপটে জনজীবন বিপর্যস্ত।।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আবার আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে প্রচন্ড শীতের মাঝে জনজীবনের কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরবো। আশা করি এই সমস্যার গুলোর মধ্যে আাপনারাও থাকবেন। চলুন তাহলে শুরু করছি।
প্রচন্ড শীতের কারনে আমাদের জীবনে প্রথম যে সমস্যাটি দাড়ায়, সেটা হলো সকালে ঘুম থেকে উঠতে অলসতা। যারা টাইম মেইনটিন করে সকালে বেলা ঘুম থেকে উঠেন,শীতের কারনে তাদের টাইমটা ঠিক থাকে না। যদি রাতে ঘুমানোর সময় এলার্ম দেওয়া থাকে সকাল সাতটা,সেটা হয়ে যায় সকাল নয়টা। কারন সাতটায় এলার্ম বাজলে সেটা বন্ধ করে একটু ঘুমালেই সেটা নয়টা হয়ে যায়। এটা শুধু আমার ক্ষেত্রে না,সাধারনত সবার ক্ষেত্রেই সেটা ঘটে। তাছাড়া সকাল সাতটায় ঘুম থেকে উঠে যদি দেখি কুয়াশার কারনে বাহিরে কিছু দেখা যাচ্ছে না,বা শীতের কারনে ফ্লোরে পা রাখা যাচ্ছে না, তখন অটোমেটিক শরীরটা আবার বিছানায় চলে যায়।
তারপরে যে সমস্যাটা হয় সেটা হলো শীতের সময় পানি খুবই ঠান্ডা থাকে। তার কারন হলো রাতের বেলা পানির টাংকিতে যে পানিটা জমা থাকে সেটাই সকাল বেলা বরফের রুপ দারুন করে নিচে আসে। আর সেই পানিতে হাত দিলেই হাত আগুনে পুরে যাওয়ার মত অবস্থা হয়। অনেক কষ্ট করে ব্রাশ করলেও মুখ ধুতে মন চাই না। কোন রকম বেসিনে মুখটা ধুয়েই চলে আসি,হাত পা ধোয়ার সাহস পায় না,হে হে হে।
আর এই প্রচন্ড শীতে গোসল,সেটা তো কল্পনাতেও চিন্তা করা যায় না। যদি পানি গরম থাকে তাহলে গোসল করার কথা ভাবা যায়। আমি প্রতিদিন গরম পানি করে গোসল করতাম। গোসলের দিক দিয়ে আমি আবার অলসতা করতাম না। তবে গত এক সাপ্তাহ ধরে বাসায় গ্যাস নেই। তাই আমিও চারদিন যাবৎ গোসল করতে পারি না। আমি যে এতদিন ধরে গোসল করি না সেই রহস্য আজকে ফাঁস করে দিলাম। আমি জানি যতই শীত আসুক,আমাদের কমিউনিটির সকল ছেলে ভাইয়েরা, আপুরা সবাই প্রতিদিন গোসল করে। যদিও মানুষ বলে শীতের সময় আপুরা দুই সাপ্তাহ পর পর একবার গোসল করে। তবে আমি সেই কথা বিশ্বাস করতে চাই না। পরিস্থিতি বিশ্বাস করতে বাধ্য করে,হা হা হা। আজকে আমি সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে ঠান্ডা পানি দিয়েই গোসল দিয়ে ফেলেছি। সত্যি কথা হলো গোসল করার পরে শীররটা খুবই হালকা লাগে,এত শীত অনুভব হয় না।
এই শীতে সব থেকে বড় যে সমস্যাটা সেইস করছি সেটা হলো বাসায় গ্যাসের সমস্যা। শীতের কারনে গ্যাসের সাপ্লাই কম থাকে। যার ফলে বাসা বাড়িতে গ্যাসের লাইন বন্ধ করে,শিল্পকারখানাতে গ্যাস সাপ্লাই দিচ্ছে। বাসায় গ্যাস না থাকার কারনে গত এক সাপ্তাহ যাবৎ হোটেলে খাবার খাচ্ছি। যার ফলে এক তো শরীরে গ্যাসটিকের ব্যাথা অনুভব করছি আর সেই সাথে পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তিন বেলা হোটেলে খাবার খেলে সব কিছু বিক্রয় করে রাস্তায় নামতে আমার বেশিদিন সময় লাগবে না। যার ফলে আজকে রাতের মধ্যে একটা ব্যবস্থা করতে হবে। কি ব্যবস্থা হবে সেটা আগামীকাল জানাবো।
শীতের সময় আরেকটি সমস্যা হলো,সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। ঘুম থেকে উঠতে উঠতেই নয়টা বেজে যায়। অনেক কষ্টে দৌড়ে এসে অফিসে হাজির হতে হয়। আর দুপুরে লাঞ্চ করে ডেস্কে বসে কাজে হাত দিতে না দিতেই আসরের আজান দিয়ে দেয়। আসর নামাজ পড়ে ডেস্কে বসলেই মাগরিবের আজান হয়ে যায়। সময় যেন পাগলা ঘোড়ার মত দৌড়ায়। তারপর রাতে বেলা সব কিছু ঠান্ডা হয়ে থাকে। সকাল সকাল সব দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। ফার্মেসি থেকে এগারোটার সময় বাসায় যাওয়ার সময় দেখি রাস্তায় কুকুর ছাড়া আর কিছু নেই। এভাবেই দিন গুলো অতিক্রম হচ্ছে।
আমার সমস্যা গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। এখন আপনাদের কি সমস্যা হয় সেটা কমেন্ট করে জানাবেন। আর শীতের কথা বলে তো লাভ নেই। সবারই শীত লাগে। যারা গরীব মানুষ তাদের একটু বেশি কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই শীতে অসুস্থতাও বেড়ে গেছে। আমাদের অফিসের দুইজন কলিগ অসুস্থ হয়ে মেডিকেল ছুটি কাটাচ্ছে। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আমি এখনো অনেক ভালো ও সুস্থ আছি। সবাই সতর্ক থাকবেন। যথা সম্ভব গরম কাপড় ও গরম পানি ব্যবহার করবেন। ঠান্ডা পানি খাওয়া ও ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঠিকই বলেছেন শীতের সময় জন জীবন বিপন্ন। আমাদেরও বাসায়ও আজ অনেকদিন থেকে গ্যাসের অনেক সমস্যা হচ্ছে রান্নাবান্না করতে খুবই কষ্ট হয়। এটা ঠিক যে শীতের সময় দিন কোন দিক দিয়ে শেষ হয়ে যায় তা বোঝা যায় না। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি যা পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জী আপু যদিও শীতটা একটু বেশি লাগছে তবে শীতে কিন্তুু আরাম করে ঘুমানো যায়। ধন্যবাদ।
শীতের সময় ঢাকা শহরে গ্যাসের যে পরিমাণ সমস্যা হয় তাতে মানুষের খুবই কষ্ট হয়। যদিও আমার বাসায় সিলিন্ডার তাই এই বিপাকে আমাকে পরতে হয় না। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন শীতের সময় দিন খুবই ছোট মনে হয়। বিশেষ করে দুপুরে খাওয়ার পর তো সময় পাওয়া যায় না। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার শীতের সমস্যাগুলো পড়ে।
সিলিন্ডার টা আমার কাছে একটু ভয় লাগে। তাই সেটা থেকে একটু দুরে থাকার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ।
শীতের সময় আসলে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠা বেশ কষ্টসাধ্য। শীতের সময়ের দিনটার ছোট হওয়াতে দুপুরের খাবারের পর মনে হয় সময় দৌড়াচ্ছে। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
জী ভাইয়া শীতের সময় দিনের আলোর মত সময়ও লুকিয়ে থাকে। ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া শীতের সময় সবাইকে একটু বিপাকে পড়তে হয়। তবে আর যাইহোক ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করা একেবারে ঝামেলা। আপনি হয়তো ভুল জানেন আপুরাই বেশি গোসল করে থাকে। আমার মনে হয় যাদের সকালে অফিস থাকে তারা তেমন গোসল করে না হা হা হা।যাই হোক গোসল করলে
শরীরটা ফ্রেশ লাগে ধন্যবাদ ভাইয়া। শীতে সবাই সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
আমি সব সময় গোসল করেই অফিসে যায়,হি হি হি। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই, শীতের সময় সকালবেলায় বিছানা থেকে উঠতেই মন চায় না একেবারে। শুধু কম্বলের ভেতর ঢুকে ঘুমাতেই ইচ্ছে করে। আর পানির অবস্থা এরকম হয়েছে যে পানিতে তো হাতই দেওয়া যায় না। পানিতে হাত দিলে মনে হয় এখনই পানির মধ্যে জমে থেকে যাবে হাতটা। আর আপনি চার দিন ধরে গোসল করছেন না। আসলে শীতের সময় প্রত্যেক দিন গোসল করতে না পারলেও, আমি চেষ্টা করি একদিন পরপর হলেও গোসল করার।
ভাইয়া কয়দিন শীতে জমে গেছিলাম,হে হে হে। ধন্যবাদ।
চলমান তীব্র শীতের প্রভাব নিয়ে দারুন একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এই শীতে দরিদ্র অসহায় মানুষেরা অত্যন্ত কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। একই সাথে পরিবারের বয়স্ক মানুষেরা এবং বাচ্চারা খুব সহজেই ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সব মিলিয়ে তীব্র শীত আমাদের সকলকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন বয়স্ক মানুষেরা এবং বাচ্চারা খুব কষ্টে আছে। ধন্যবাদ।
যেভাবে এখন শীতের তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে জীবন অনেকটাই অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতেই ইচ্ছা করে না। একইসাথে পানির যে অবস্থা তা থেকে দুরে থাকতে পারলেই যেন বাচিঁ৷ এই তীব্র শীতে সকলের অনেক ধরনের অসুস্থতার মুখোমুখিও হচ্ছে। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া হয়তো আর কয়েক দিন পরেই শীত শেষ হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।