হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি কবিতা শেয়ার করবো। অতীত, বর্তমান এবং ভবিষৎ সময়কে কেন্দ্র করেই কবিতাটি লিখেছি। আশা করি কবিতাটি পড়লে সব কিছু বুঝতে পারবেন।

অহংকারী মানুষ আগেও পৃথিবীতে এসেছে, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও আসবে। একসময় বিভিন্ন দেশের রাজা বাদশাহরা নিজেদের শক্তির অহংকারে অন্যান্য রাষ্ট্রে হামলা চালাতো। অন্যায় ভাবে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করতো। দেশ দখন করতো, রাজ্য বিজয় করতো। নিজেদের বাহিনীর উপর ছিল তাদের অগাদ বিশ্বাস। ইতিহাসে এমনও ঘটনা ঘটেছে যে, সেনাবাহিনী দিয়ে সৃষ্টিকর্তার দিকে তীর ছুড়েছে। তারা নিজেদেরকে খোদা দাবী করেছে। তারা ভেবেছে তাদের কোন মৃত্যু নেই, তাদের কোন ধ্বংস হবে না। কিন্তুু প্রকৃতি কাউকে ছাড়ে না। মৃত্যুর হাত থেকে কেউ বাচঁতে পারে না। কোন ভাবেই ধ্বংস কেউ ঠেকাতে পারে না। কারো ক্ষমতা স্থায়ী হয় না। সময় মত প্রকৃতি ঠিকই তাদের শিক্ষা দিয়ে দেয়।

মানুষ যখন অহংকারে অন্ধ হয়ে যায়। জমিনের উপর যখন অহংকার নিয়ে হাঁটে তখন জমিনও তাকে অভিশাপ দেয়। মানুষ ক্ষমতা পেয়ে অহংকারী হয়ে উঠে। সেই ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সাধারন মানুষের ‍উপর নির্যাতন নিপীড়ন শুরু করে। মানুষ তখন মজলুম হয়ে সৃষ্টিকর্তার দরবারে ফরিয়াদ জানাতে থাকে। যখন মজলুমের ফরিয়াদের লিষ্টের মাত্রা অতিক্রম হয়ে যায় তখনই মানুষের ধ্বংস শুরু হয়। এর হাজার হাজার প্রমান পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা আছে। দুঃখের বিষয় হলো মানুষ ইতিহাস পড়ে, কিন্তুু ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। বরং অত্যাচার নির্যাতনের ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। তারা নিজেদেরকে অনেক চালাক আর জ্ঞানী মনে করে। আর তখনই তাদের ধ্বংস আসতে থাকে। যায়হোক কোন ভাবেই অহংকার করা যাবে না। অহংকার আগুনের চেয়েও ভয়ংকর। সব কিছু পুড়ে ছারখার করে দেয়। সব কিছু ধ্বংস করে দেয়।