স্বরচিত কবিতা-“আমাদের গ্রাম’’।। By joniprins
আজ মঙ্গলবার - ২৩শে মে, ২০২৩ / ০৩ই জিলক্বদ,১৪৪৪ হিজরী
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রমাতুল্লাহ
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের পোষ্টের বিষয় হলো স্বরচিত কবিতা। কবিতাটি আজকে বিকাল বেলা লিখে ছিলাম। আমার গ্রামকে নিয়ে,গ্রামে কাটানো মুহূর্ত গুলো নিয়েই কবিতাটি সাজিয়েছি। অনেক কবি সাহিত্যিক তাদের গ্রামকে নিয়ে নিজেরদের অনূভুতি প্রকাশ করেছে। আমিও কিছুটা চেষ্টা করলাম।
বন্ধুরা অনেক দিন যাবৎ আমার গ্রামে যাওয়া হয় না। গত রমজান শেষে পবিত্র ইদুল ফিতরও আমি ঢাকতেই করেছিলাম। ২০২৩ সালের জানুয়ারীতে গিয়ে মাত্র একদিন থেকেছিলাম। কোথাও যেতে পারি নি। গ্রামটা ঘুরে দেখার জন্য খুব মন চাইছে। সামনে মাসে যাবো ইনশাআল্লাহ। গ্রামের রাস্তাঘাট,চেনা অচেনা মানুষ গুলোকে দেখার খুব ইচ্ছা জেগেছে। হঠাৎ গ্রামের কথা মনে পড়ছে।
প্রত্যেক মানুষেরই তাদের গ্রাম নিয়ে অনেক স্মৃতি থাকে। যারা গ্রামে বড় হয়েছে তারা গ্রামকে খুব গভীর ভাবে উপলব্ধি করেছে। ছোট সময় সকাল বেলা গ্রামের মসজিদ মাদ্রাসায় মক্তব পড়া। নয়টার সময় পাঠশায় যাওয়া,আসার সময় এখানে সেখানে দাড়ানো,বরই গাছে,আম গাছে ঢিল ছুড়ে মারা ইত্যাদি অনেক স্মৃতি রয়েছে। তাছাড়া স্কুল কলেজে পড়ার সময় আমাদের জীবনে হাজারো স্মৃতি রয়েছে। নিজের গ্রামে কি কি আছে,কি কি হয় সব কিছুই আমাদের জানা আছে। সবাই নিজ নিজ গ্রামকে,জন্মস্থানকে অনেক ভালবাসে। যেখানেই থাকুক,যত দুরেই থাকুক নিজের গ্রামের জন্য আলাদা একটি অনূভুতি কাজ করে। আমাদের গ্রামের পরিচয় তুলে ধরে আজকের কবিতাটি লিখেছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। কবিতার সুরে সুরে আমার গ্রামের পরিচয়।
আমাদের গ্রাম
বাংলাদেশের আলোচিত জেলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাম
বিজনা নদীর পশ্চিম তীরে
ছোট একটি গ্রাম।
চার পাশে সবুজ শ্যামল
নানা ফসল ফলে
রাখালরা গরু নিয়ে যায়
কৃষক ধান কাটে।
প্রতি সাপ্তাহে দুই বার
গ্রাম্য হাট বসে
শুক্রবারে হাটের দিন
মঙ্গল বারেও বসে।
দুই পাশে প্রাইমারি স্কুল
মাঝ খানে কলেজ
পশ্চিম পাশে মাদ্রাসা আছে
হাইস্কুল ও পাশে।
মানুষ গুলো অনেক ভাল
ব্যবহারে পরিচয় মিলে
চার পাশে অনেক মসজিদ
আজান শুনি ভোরে।
বিকাল বেলা কলেজ মাঠে
নানা খেলা হয়
জোয়ান বৃদ্ধ সবাই মিলে
খেলা দেখতে যায়।
ঈদের সময় নামাজ হয়
মাদ্রাসার ই মাঠে
নতুন কাপড় পড়ে সবাই
এক সাথে হাটে।
আমার জন্ম সেই গ্রামে
সেখানেই বড় হয়েছি,
কত জাগায় ঘুরে বেড়িয়েছি
আজও স্বরণ করি।
ঢাকায় বসে ছোট গ্রামটি
খুবই মিস করি
আবার যাবো সেই গ্রামে
খুবই তারাতারি।
ইট পাথরের দালানকোঠা
দূষিত বায়ু ছেড়ে
যাবো একদিন ছোট গায়েঁ
জন্মভূমির টানে।
কবিতার সুরে দিয়ে গেলাম
ছোট্ট গ্রামের পরিচয়
এমন একটি সুন্দর গ্রাম কোথাও
খুঁজে নাহি পায়।
বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই, এখান থেকেই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। আশাকরি কবিতাটি পড়ে আপনাদের কাছে বিন্দুমাত্র হলেও ভাল লাগবে। যদি কোথাও কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে,তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমাদের কমিউনিটিতে অনেক ভাল ভাল কবি,লেখক আছে। তাদের সবার থেকে ভাল কিছু উপদেশ আশা করি ।সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP













বাহ বেশ চমৎকার কবিতা লিখেছেন আপনি । নিজ গ্ৰাম কে কেন্দ্র করে মনের অনুভূতি গুলো চমৎকার ভাবে কবিতার ছন্দে প্রকাশ করেছেন। আসলে নিজ গ্ৰামের প্রতি এক ধরনের মায়ার অনুভূতি কাজ করে। কবিতার ছন্দে আপনার গ্রামের পরিচয় শুনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত দুর্দান্ত কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন,নিজের গ্রামের প্রতি সবাই একটি আলাদা টান থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
গ্রামেই আমাদের শিকড়।সেই প্রিয় গ্রামকে নিয়ে অনুভূতি কবিতার মাধ্যমে প্রকাশের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই। অনেকদিন গ্রামে জাননা শুনে খারাপ লাগলো। আশাকরি শীঘ্রই গ্রামে যাবেন। আমাদের গ্রাম কবিতায় আপনি আপনার গ্রামের দারুণ ছবি একেছেন। কি সুন্দর অনুভূতি।
ইট পাথরের দালানকোঠা
দূষিত বায়ু ছেড়ে
যাবো একদিন ছোট গায়েঁ
জন্মভূমির টানে।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
জী আপু সামনে মাসে যাবো ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ আপু।
ওয়াও অসাধারন আপনি আমাদের গ্রাম নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। তবে সব মানুষের ছোট কাল থেকে নিজের গ্রামের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সত্যি বলতে আপনার কবিতাটি পড়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কবিতার প্রত্যেকটি লাইন সত্যিই অসাধারণ। আসলে কবিতা লিখতে হলে অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। আপনি গ্রামের অনেক স্মৃতি নিয়ে খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে কবিতাটি লেখার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার কমেন্ট পড়েও মগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ আপু।
আপনি খুব চমৎকার গ্রাম নিয়ে কবিতা লিখেছেন। আসলে আমাদের সবারই নিজের গ্রাম নিয়ে অনেক স্মৃতি আছে। আপনি সেই স্মৃতি নিয়ে অনেক সুন্দর করে একটি কবিতা লিখলেন। কবিতা পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। সত্যি বলতে আমার গ্রাম কবিতাটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে কবিতাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া সবার নিজ নিজ জন্মস্থানের প্রতি আলাদা একটি টান থাকে। সেই অনুভূতি থেকেই কবিতা লেখা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ওয়াও আপনার স্বরচিত কবিতা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম জাস্ট।দিনদিন আপনি কবিতা লেখায় পারদর্শী হয়ে উঠছেন।এভাবে করে চর্চা করতে থাকলে আপনি সামনে আরও ভালো করবেন।কবিতায় নিজের মনের ভাব খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর কবিতা পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু মাঝে মাঝে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আশা করি পাশে থেকে উৎসাহ দিবেন। ধন্যবাদ আপু।
আমরা যতই আধুনিকতার ছোঁয়ায় থাকি না কেন কিন্তু গ্রাম হচ্ছে আমাদের জীবনের প্রথম প্রহর। গ্রামকে কিভাবে ভোলা যায় বলেন আপনি তো দেখছি অনেকদিন হলো গ্রামে যান না। আমি এতদিন না দেখে পারব না আমার দম বন্ধ হয়ে যাবে। গ্রাম নিয়ে কবিতাটি অসাধারণ লিখেছেন। আশা করি আপনি গ্রামে যাবেন গ্রামে গিয়ে একটু আপনজনদের সাথে দেখা করে আসবেন ভালই লাগবে।
জী আপু কিছুদিন পরেই গ্রামে যাবো। শিখরকে তো আর ভুলা যায় না। ধন্যবাদ আপু।
গ্রাম নিয়ে খুবই সুন্দর কবিতা লিখেছেন। আপনার কবিতাটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলে গ্রামের চিত্র এই কবিতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন।
জী ভাইয়া কবিতার মাধ্যমে গ্রামটাকে ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আরে বাহ্ আপনি তো দেখছি খুবই সুন্দর কবিতা লিখে ফেলেছেন নিজের জন্মভূমির গ্রামটাকে নিয়ে। আমাদের গ্রাম কবিতাটা পড়ে সত্যি অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার কাছে। এরকম কবিতা গুলো পড়তে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। খুব সুন্দর ভাবে নিজের গ্রামের পরিচয় কবিতার মাধ্যমে দিলেন আপনি। আসলে নিজের গ্ৰামকে নিয়ে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে সবার জীবনে। আসলে এরকম স্মৃতিগুলো কখনোই ভোলার নয়। ভালোই সাজিয়ে গুছিয়ে সম্পূর্ণ কবিতাটির মাধ্যমে গ্রাম সম্পর্কে বললেন। সব মিলিয়ে আপনার আজকের কবিতা খুবই ভালো লাগলো পড়ে।
জী আপু কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে গ্রামের আনাচে কানাচে। ধন্যবাদ আপু।
বাহ ভাই আপনি চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন। প্রত্যেক মানুষই গ্রামে নিয়ে অনেক স্মৃতি থাকে আর এ স্মৃতি নিয়ে আপনি যে সুন্দর কবিতা লিখেছেন কবিতাটি পড়ে আমি মুগ্ধ হলাম। আপনি প্রত্যেকটা লাইন চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর করে কমেন্ট করার জন্য।
আসলেই যারা গ্রামে বড় হয়েছে তাদের গ্রামের প্রতি একটা আলাদা টান থাকে ৷ আপনি যে আপনার গ্রাম কে খুব মিচ করছেন , তা আপনার এই কবিতা পড়ে বেশ ভালো ভাবেই বোঝা যাচ্ছে ৷ যাই হোক দারুণ লিখেছেন ভাইয়া ৷ অনেক ভালো লাগলো কবিতাটা পড়ে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে কবিতাটি শেয়ার করার জন্য ৷
জী ভাইয়া গ্র্র্রামকে খুব মিস করছি। আর সেই মিস থেকেই কবিতা লেখার চেষ্টা। ধন্যবাদ ভাইয়া।