স্বরচিত কবিতা-“গাঁয়ের টান’’।। By joniprins
হ্যালো বন্ধু,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি অনেক দিন যাবৎ সময়ের অভাবে কবিতা শেয়ার করতে পারছি। আজকে শুক্রবার হাতে প্রচুর সময় আছে। তাই বিকাল বেলা খাওয়া দাওয়া করে একটি কবিতা লিখে ফেললাম।
কবিতাটি মূলত আমদের গ্রামকে,প্রকৃতিকে লক্ষ করে রচনা করেছি। গত কাল বাড়িতে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম এখন গ্রামে ধান কাটার উৎসব চলছে। কৃষক ভাইয়েরা সকাল সকাল কাস্তে হাতে মাঠে চলে যায় ফসল কাটতে। প্রায় চার মাস যত্ন করার পরে এখন ফসল ঘরে তুলার সময় হয়েছে। এখন ধান কেটে জমিতেই ফেলে রাখে। জমিতে ধানের মেশিন নিয়ে সেখানেই ধান গাছ থেকে ধান গুলো আলাদা করে নিয়ে আসে। জমির মধ্যেই খর গুলো শুকিয়ে নিয়ে আসে। সেটা এক দারুন অনুভূতি।
অন্যদিকে বর্ষা শেষে হয়ে এসেছে। নদী নালা,খাল বিলের পানি চলে যাচ্ছে। খালে বিলে প্রচুর মাছ পাওয়া যাবে। পুটি,শিং,কৈ,টাকি,টেংরা,মাগুর, বাইম সহ নানা জাতের মাছ। আমি যখন গ্রামে থাকতাম তখন উল্লেখিত সব গুলো কাজই করেছি। জমি থেকে ধান কেটে এনেছি,খালে বিলে কত রকমের মাছ ধরেছি। সকাল সন্ধা কোন টাইম নির্ধারিত ছিল না। যখন তখন মাছ ধরার জন্য বিলে চলে যেতাম। এই বিষয় গুলো আমি খুবই মিস করি। যদি এখন গ্রামে থাকতাম তাহলে হয়তো কৃষক ভাইয়ের সাথে,জেলে ভাইয়ের সাথে কাধেঁ কাধ মিলিয়ে কাজ করতাম।
আমি যে কোন কাজ করতে পারি। কাজ করতে কোন লজ্জা নেই। ধান চাষ করতে যা কিছু করা লাগে সবই আমি করেছি। মাঠে গরু নিয়ে গেছি। সন্ধার সময় গরু নিয়ে বাসায় ফিরেছি। এগুলো আলাদা একটি অনুভূতি,যা সবাই অনুভব করতে পারে না। কৃষকরা হলো বাংলার গর্ব। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বিদায় ধনীরা,নেতারা এসি রুমে বসে খাবার খেতে পারে। তাদের সবসময় সম্মান করতে হবে। কাউকে সম্মান করলে মানুষ ছোট হয়ে যায় না। যায়হোক যদি বাড়িতে যায় তাহলে এই সব কিছু ফটোগ্রাফি করে দেখাবো। চলুন কবিতাট আবৃতি করা যাক।
গাঁয়ের টান
আবার ফিরে যাবো আমি
ঐ গাঁয়ের মাঠে
যেথায় আমার শৈশব কাটে
খাল বিলের জলে।
ফসলের পর ফসলের মাঠ
এটাই আমার গাঁ
যেদিকে তাকায় সবুজ শ্যামল
নদী মাঝি মাল্লা।
ভোরের রোদে সোনালী ফসল
মুক্তার মত জ্বলে
তাই দেখিয়া বাংলার কৃষক
মনের আনন্দে হাঁসে।
সকাল বেলা রাখাল ভাই
গরু নিয়ে চলে
ছোট ছোট বাছুর গুলো
এদিন ওদিক ছুটে।
এক টুকরো গামছা বাঁধা
রাখাল ভাইয়ের মাথায়
মাঝে মাঝে মনের সুখে
বাঁশিতে গান গায়।
মাথার উপর সাদা বক
ঘাসে ঘাসে ফড়িং
জেলে ভাই মাছ ধরে
কৈ পুটি শিং।
বর্ষা কালে নৌকা চলে
রঙিন পাল তুলে
মাঝি ভাই খালি কণ্ঠে
সারি গান তুলে।
কবে যাবো ঐ গাঁয়ে
যেথায় আমার শিকড়
যতই দুরে থাকি আমি
মন করে উত্তাল।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
গ্রামের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। সবুজ শ্যামল এ ভরা আমাদের এই গ্রাম অঞ্চল। গ্রাম নিয়ে অসম্ভব সুন্দর একটা কবিতা লিখেছেন। কবিতাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
জী ভাইয়া মাঝে মাঝে মন চাই গ্রামে চলে যায়। সেই স্মৃতি ভুলা যায় না। ধন্যবাদ।
গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য্য মানুষকে সব সময় মুগ্ধ করে। আসলে ভাইয়া গ্রামের ছেলে মেয়ে আমরা যেখানেই যাই না কেন ধান চাষ করে সোনার ফসল ফলানো এগুলো সবারই জানা। যাইহোক আপনি গ্রাম বাংলা নিয়ে সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। আসলে ভাইয়া গায়ের ছেলে গায়ের টান থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার কবিতাটির প্রতিটি লাইনে গ্রামের সৌন্দর্য সুন্দর ফটো উঠেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জী আপু আপু যত দুরে যায় না কেন,গ্রামের কথা সবসময় মনে পড়ে। ধন্যবাদ।
ভাই সত্যিই মনটা ভরে গেলো আপনার এই কবিতাটি পড়ে। কবিতাটি পড়তে পড়তে নিজের গ্রামের কল্পনায় চলে গেছিলাম। গ্রামের এই টান সব সময়ই থেকে যায়। গ্রামীণ জীবনের এক ঝলক পাওয়া গেলে আপনার এই কবিতার লাইন গুলোর মধ্যে। গ্রামে ধান কাটার উৎসব এখন থেকেই শুরু হয় ভাই। কিছু দিন পর আমি গ্রামে ঘুরতে যাবো। আমিও গিয়ে এই সব কিছু সামনে থেকে দেখতে পারবো।
ভাইয়া আপনি গ্রামে ঘুরতে গেলে অবশ্যই ফটোগ্রাফি দেখতে পারবো। ধন্যবাদ।
এই শীতের সময় গ্রামে গিয়ে, গ্রামে শীতের পরিবেশ কেমন হয় সেই রিলেটেড অনেক ফটোগ্রাফি করবো এবং সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এইগুলো কয়েকদিনের মধ্যেই আপনারা দেখতে পারবেন।
সত্যিই গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য আমাদেরকে মুগ্ধ করে। আপনি গ্রামকে নিয়ে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কে নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতাটি অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। কবিতার নামটাও খুব সুন্দর হয়েছে। ঠিকই বলেছেন আপনি কৃষকরা হচ্ছে আমাদের গর্ব। তাদের পরিশ্রমের কারণেই অনেক কিছু হচ্ছে। ভালো লাগলো আপনার কবিতাটি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কৃষকরা চাষ না করলে বাংলাদেশের মানুষ এক সাপ্তাহও বাঁচতে পারবে না। তাই তাদের সম্মান করা উচিত। ধন্যবাদ।
নিজেদের গ্রামটা সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগে। গ্রামীণ প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে আমি খুব পছন্দ করি। আপনি আজকে গাঁয়ের টান কবিতাটা অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। পুরো কবিতাটার মাধ্যমে অনেক সুন্দর একটা টপিক তুলে ধরেছেন আপনি, যে টপিকটা খুব সুন্দর ছিল। প্রত্যেকটা লাইন একেবারে মন ছোঁয়া ছিল এটা বলা লাগে।
জী আপু নিজের গ্রাম টা কল্পনায় এনে কবিতাটি রচনা করেছি। ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া কোন কাজেই লজ্জা করা উচিত না। সব কাজ শিখে রাখা ভালো। জীবনে কখন কাজে লেগে যায় তার কোন ঠিক নেই। ধান কাঁটা মৌসুমে গ্রামে গেলে বেশ ভালো লাগে দেখতে। তাছাড়া শীতের সময় নদী নালা শুকিয়ে যাওয়ার কারণে অনেক ধরনের মাছ পাওয়া যায়। যাই হোক এ বিষয়টিকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতাটি পড়ে ভালো লাগলো আমার কাছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জী আপু গ্রামে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রুপ দেখা যায়। ভালোই লাগে। ধন্যবাদ।