হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কেমন ভাল আছেন সেটা আমি হারে হারে বুঝতে পারছি। পাচঁ তারিখ সেলারি পেলে দশ তারিখ পকেট ফাঁকা হয়ে যায়। বাজারে কোন কিছু কিনতে গেলে চোখ দিয়ে পানির পরিবর্তে আগুন বের হতে চাই। জানিনা সবার অবস্থা কেমন, তবে আমার অবস্থা খুবই খারাপ।

যে আলুর উপর দেশের ৮০% মানুষ নির্ভরশীল সেই পনের থেকে বিশ টাকা কেজির আলু এখন চল্লিশ টাকা কেজি। আমি ভাই গরীব মানুষ মোটা চাউল খায়, সেটা এখন পয়ষট্টি টাকা কেজি। সরিষার তেলের দাম জিঙ্গেস করার মত সাহস হয় না। তাই সব সময় সয়বিন তেল খায়। কিছুদিন আগে ১৮৭ টাকা লিটার কিনেছিলাম সেটা এখন বেড়ে ২০৬ টাকা লিটার হয়েছে। পাঙ্গাস আর তেলাপিয়া মাছ ছাড়া অন্য যে কোন মাছ ৩০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। গত পরশু দিন হাফ লিটার একটি মেরিন্ডা কিনেছিলাম ৪০ টাকা দিয়ে সেটা আজকে বেড়ে ৪৫ টাকা হয়েছে। গত কয়েক মাস আগে একটি প্যানটেন শ্যাম্পু কিনেছিলাম ৪৫০ টাকা দিয়ে সেটা এখন বেড়ে ৫০০ টাকা হয়েছে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়েছে। তবে কিসের জন্য বেড়েছে সেটা কেউ জানে না।

আগে জানতাম জ্বালানী তেলের দাম বাড়লে জিনিষ পত্রের দাম বাড়ে অথবা সরকারি কোন নীতিমালা তৈরী করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ানো হয়। আর এখন দেখছি ব্যবসায়ীরা মন চাইলেই দামি বাড়িয়ে দিচ্ছে। কোন নীতিমালা প্রয়োজন হয় না বা কোন নীতিমালার তোয়াক্কা করছে না। যদি দোকানদার কে জিঙ্গেস করি দাম বাড়লো কেন...সে বলে আমি বাড়ায় নি। বেশি দামে কিনে এনেছি বেশি দামে বিক্রয় করতেছি। মনে হচ্ছে দেশটা মগের মুল্লক হয়ে গেছে। একটি প্রবাদ আছে “সরষের মধ্যে ভুত তাকলে সেই সরষে দিয়ে ভুত তাড়াবে কিভাবে”। আমাদের দেশে যারা বাজার নিয়ন্ত্রন করবে তারা যদি ব্যবসায়ী হয় তাহলে বাজারের অবস্থা এর চেয়ে ভাল আর কি আশা করা যায়। যে যেভাবে পারছে দেশের মগজটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষ সত্যি ভীরু কাপুরুষের মত হয়ে যাচ্ছি। আমরা যে বীরের জাতি সেটা আমাদের আচরন দেখে বুঝা যায় না। আন্দোলন ছাড়া কোন কিছু আদায় হয় না সেটা আমরা ভুলে গেছি। আমাদের রক্তা শীতল হয়ে গেছে। আমরা অত্যাচার নিপীড়ন কিভাবে সহ্য করতে হয়ে সেটার ট্রেনিং দিচ্ছি। যায়হোক আশা করি একদিন সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। চলুন আজকে বর্তমান বাজারের উপর ভিত্তি করে একটি কবিতা শেয়ার করি।