“শ্বশুর বাড়িতে ঈদ” নাটক রিভিউ ❤️।।
বাংলা ভাষাভাষীর মিলন মেলা-
হ্যালো বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। আজকে আপনাদের সাথে ঈদের খুবই হাঁসির একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করবো। গত সাপ্তাহে আমাদের দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করা হয়েছে। ,আর এই নাটকটি ঈদুল ফিতরকে লক্ষ করেই নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন একটি নাটক, আশা করি নাটকের রিভিউ সবার কাছেই ভালো লাগবে।
নাটকের কিছু প্রয়োজনী তথ্য-
নাটকের নাম | শ্বশুর বাড়িতে ঈদ |
---|---|
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা | মহিন খান |
অভিনয়ে | নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমে, তারিক আনাম খান, সাবেরি আলম, সিদ্দিক মাস্টার, তানিয়া বিনতে মাহেক, শুভজিৎ রায়, আফতাব আহমেদ, শোশোব আমিরি, করিম ভুঁইয়া ও আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৫৭ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ০৯ই এপ্রিল-২০২৪ |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | ড্রামা |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত রিভিউ -
মহিন খান কর্তৃক পরিচালিত খুবই হাঁসির একটি নাটক হলো “শ্বশুর বাড়িতে ঈদ”। ঈদের পরের দিন আমি নাটকটি দেখেছিলাম। ঈদ উপলক্ষে তারা নাটকটি তৈরী করেছে। আমাদের সমাজে কিছু মানুষ আছে,যারা কৃপণের ঘরের কৃপণ। যারা অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েও নিজের ফেমিলিরে জন্য,নিজের ছেলে-মেয়ে স্ত্রীর জন্য অর্থ খরচ করে না। অর্থ জমিয়ে সুদে টাকা ধার দেয়। আর যাকাত ফেতরা কি বিষয় সেটা বুঝতেই চাই না। তারা গোপনে টাকা পয়সা অর্থ সম্পদ জমিয়ে রাখে। এমনি কি নিজের মেয়ের জামাইকে পর্যন্ত আপ্যায়ন করে না। সমাজের এমনই একটি বিষয় ফুটিয়ে তুলে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।
নাটকটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমে। নিলয়ের নাটক আবার কয়েক বছর যাবৎ প্রচুর পরিমানে দর্শক চাইছে। নাটকটি রিলিজ হয়েছে মাত্র দশ দিন হয়েছে। নাটকটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় পনের মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পড়ছে। আর হিমে নিলয়ের সাথে ভালোই জুটি ধরেছে। প্রায় দুই থেকে তিনশোর মত নাটক দুই জন মিলে করেছে। আজকের নাটকটি তে তাদের অভিনয় চোখের পড়ার মত। আশা করি আপনারা নাটকটি দেখলে বিষয়টা স্পষ্ট বুঝতে পারবেন।
নাটকটির শুরুতেই দেখা যায় নিলয় আর তার বউ হিমে দুইজন একটি ভ্যান গাড়িতে চড়ে শ্বশুর বাড়িতে আসতেছিলো। তারা দুই জন প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করলেও ঈদ উপলক্ষে শ্বাশুড়ির সাথে যোগাযোগ করে ঈদ করতে শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছে। ভ্যানের চালক তাদেরকে জিঙ্গেস করে তারা কোথায় যাবে। নিলয় বলে তারা মন্ডল পাড়ায় কাশেম মন্ডলের বাসায় যাবে। কাশেম মন্ডল তার শ্বশুর হয়। একথা বলার সাথে সাথে ভ্যান চালক তাদেরকে ভ্যান থেকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়। কারন কাশেম মন্ডল অনেক কৃপণ লোক,সে ভ্যানে চড়ে কখনো ভাড়া দেয় না। তাই তার জামাইও কৃপণ হবে,সেই চিন্তা করে ভ্যান চালক তাদের বাসায় না নিয়ে রাস্তা নামিয়ে চলে যায়। অবশেষে হিমের বাধাঁ সত্বেও নিলয় তার শ্বশুর বাড়িতে যায়। তবে মেয়ে ও জামাইকে দেখে কৃপন শ্বশুর খুবেই বিরক্ত হয়। আবার এখানে ঈদ করবে,তাহলে অনেক অর্থ খরচ হয়ে যাবে। সেই টেনশনে তার ঘুম হারাম হয়ে যায়।
রাতের বেলা সেহরির সময় সবাই সেহরি খেতে আসলেও নিলয়ের কৃপন শ্বশুর সেহরি খেতে আসে না। কারন তিনি বুকের ব্যাথার কারনে রোজা রাখেন না। কিন্তুু নিলয় সেটা মানতে নারাজ। সে তার শ্বশুরকে সেহরী খেতে রিকুয়েষ্ট করে। কিন্তুু কৃপণ শ্বশুর বিভিন্ন বায়না ধরে। ফলে নিলয় বলে ঠিক আছে আমি মসজিদের মাইক দিয়ে এলাকাবাসি সবাইকে জানিয়ে দিলাম যে আপনি মসজিদ মাদ্রারসার সভাপতি হয়েও রোজা রাখেন না। এই কথা শুনার পরে শ্বশুর বলে ঠিক আছে,ঠিক আছে আমি সেহরি খেতে যাচ্ছি। আর আমি রোজাও রাখবো। খুবই হাঁসির একটি দৃশ্য ছিল।
দিনের বেলা নিলয়ের শ্বশুর অনেকবার চেষ্টা করে রোজা ভাঙ্গার জন্য। তবে জামাইয়ের কারনে রোজা ভাঙ্গতে পারে না। অনেক কষ্ট করে কৃপণ শ্বশুর রোজা রাখে। ঈফতারির সময় জামাই শ্বাশুড়ি মিলে অনেক প্রকারের ইফতারের আয়োজন করে। সেই ইফতারি দেখে শ্বশুর বেচারা প্রথমে রাগ করে। তবে শেষে শর্তের বিনিময়ে অধিক পরিমানে ইফতার খায়। পরের দিন নিলয় তার শ্বশুরের একটি গরু বিক্রয় করে মাইক দিয়ে গ্রামবাসি সবাইকে ইফতার খাওয়ার দাওয়াত দেয়। সেটা দেখে তার শ্বশুরের কান্না থামায় কে। আবার ইনকাম টেক্সের লোকের ভয় দেখিয়ে মানুষকে যাকাত দেওয়ার ব্যবস্থা করে। এমন অনেক দৃশ্য রয়েছে এই নাটকটিতে। কেউ যদি নাটকটি দেখতে চান তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করে,দেখতে পারেন।
নিজস্ব মতমত বা শিক্ষা-
আজকের নাটকের মাধ্যমে কয়েকটি বিষয়ের দিকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। সমাজের কয়েকটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সমাজে অনেক মানুষ আছে,যাদের অর্থ সম্পদের অভাব নেই। শুধু একটি বড় মনের অভাব। তারা ইচ্ছা করলে এলাকার গরীব মানুষদের ইফতার করাতে পারে,তারা যাকাত,ফিতরা দিতে পারে। তাদের উপর যাকাত ফরজ। তারপরও কৃপণরা কৃপনতা করে নিজের অর্থ সম্পদ লুকিয়ে রাখে। গরীবের হক আদায় করে না। এমনকি নিজের পরিবারের জন্যও ঠিক ভাবে অর্থ খরচ করে না। পরে দেখা যায় তাদের শেষ জীবনে জমিয়ে রাখা অর্থ সম্পদ ধ্বংস হয়ে যায়। চোরে ডাকাতে নিয়ে যায়। অর্থ সম্পদ রেখে মারা যায়। নিজের অর্থ নিজেও ভোগ করতে পারে না। আবার অন্যকেও ভোগ করতে দেয় না। আশা করি সবার এমন মন-মানুষিকতা থেকে বের হয়ে আসবে।
নাটকের লিংক
ব্যক্তিগত পয়েন্ট
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাই আপনি আজ আমাদের মাঝে চমৎকার একটি নাটক রিভিউ পোস্ট করেছেন শ্বশুর বাড়িতে ঈদ” নাটক রিভিউ, নাটকটি দেখে বেশ ভালই মনে হচ্ছে।কিন্তু নাটকটি এখনো আমার দেখা হয়নি। অনেক ইনজয় মুলক একটি নাটক আপনি আর আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ইনশাল্লাহ সময় করে নাটকটি দেখে নেব ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া নাটকটি দেখলে অনেক হাঁসি পাবে। ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে শেয়ার করেছেন। আমি কয়েকদিন আগেই নাটকটি দেখেছিলাম এবং বেশ মজা পেয়েছিলাম। সত্যি এই নাটকটি থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত সমাজে গরিব দুঃখী মানুষের উপকারে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে। ইচ্ছে করলে অনেকজন মিলে গ্রামের গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে ইফতারের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সবকিছু করা যায় কিন্তু শুধুমাত্র বড় একটি মনের প্রয়োজন হয় এসব কাজের জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া ঈদ উপলক্ষে খুবই শিক্ষনীয় একটি নাটক। ধন্যবাদ।
সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। নাটক দেখতে আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে। যদিও এই নাটকটি দেখা হয়নি। তবে রিভিউ পড়ে আমার কাছে নাটকটি খুব ভালোই লেগেছে। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জী আপু খুবই সুন্দর একটি নাটক। দেখলে অনেক বেশি হাঁসতে হবে। ধন্যবাদ।
নিলয় আলমগীরের নাটকগুলো দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। কারণ তার নাটক গুলো দেখলে বিনোদন পাওয়া যায়। আর তার নাটকগুলো অনেক বেশি হাস্যকর হয়ে থাকে। শ্বশুরবাড়িতে ঈদ এই নাটকটা আমি এখনো পর্যন্ত দেখিনি। কিন্তু ইউটিউবে যখন দেখেছিলাম তখন ভেবেছিলাম নাটকটা দেখব। কিন্তু সময়ের কারণে এখনো পর্যন্ত নাটকটা দেখতে পারিনি। মানুষের বেশি অর্থ সম্পদ থাকলেও মানুষের মন বড় থাকতে হবে। সমাজের গরিব দুঃখী মানুষদের পাশে দাঁড়ালেই তো সে একজন মানবিক মানুষ হয়ে উঠতে পারবে। প্রত্যেকটা মানুষের মন মানবিক হওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
জী ভাইয়া নিলয় কয়েক বছর ধরে দারুন সব নাটক করছে। ভালোই বিনোদন পাওয়া যাচ্ছে। ধন্যবাদ।
শ্বশুরবাড়িতে ঈদ নাটকটা আমি দেখেছিলাম গতকালকে রাতে। আসলে যখন সময় পাই তখন নাটক দেখার চেষ্টা করি। কারণ নাটক দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। গতকাল রাতে যখন একটু সময় পেয়েছিলাম, তখন নাটকটা দেখেছিলাম। আজকে দেখছি আপনি অনেক সুন্দর করে নাটকের রিভিউটা শেয়ার করলেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। এই নাটকের থেকে আমরা একটা শিক্ষা নিতে পারব। প্রত্যেকটা মানুষের উচিত মানবিক হওয়া, মানবিকভাবে কাজ করা। মানবিক মানুষের এখন অনেক অভাব। মানুষের ধন-সম্পদ অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও, গরিবদের সাহায্য করে না। খুব সুন্দর ছিল পুরো নাটকটাই।
জী আপু ঈদের পরেরদিন রাতে নাটকটি দেখেছি। যদিও আমি শ্বশুর বাড়িতে ঈদ করার পক্ষে না,হা হা হা। ধন্যবাদ।
একটা সময় নাটক অনেক বেশি দেখতাম, এখন সময় স্বল্পতার কারণে নাটক দেখা হয় না।তবে নাটকের রিভিউ গুলো দেখে খুব ভালো লাগে। আপনি নাটকটি খুব সুন্দর ভাবে রিভিউ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন সর্বদায়।
জী ভাইয়া সময় পেলে নাটকটি দেখবেন। মজার একটি নাটক। ধন্যবাদ।
বেশ অসাধারণ একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ যেভাবে আপনি এই সুন্দর নাটক এর রিভিউ এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন তা দেখে এই নাটক সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম৷ এই নাটকটি আমার এখনো দেখা হয়নি৷ তবে অবশ্যই সময় করে এই নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো।