হঠাৎ একদিন বাড়ির পাশের মেলায়।।
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে একটি অনুভূতিমূলক পোষ্ট শেয়ার করবো। শুধু যে অনুভূতি শেয়ার করবো তা কিন্তুু না। সেই সাথে অনেক গুলো লোভনীয় ফটোগ্রাফিও শেয়ার করবো। আশা করি সেই ফটোগ্রাফি দিয়ে আপনাদের মনে একটু হলেও দোলা দিতে পারবো।
গত শুক্রবারে আমাদের অফিসে পবিত্র ইদুল আজহা উপলক্ষে সমন্বয় ডিউটি হয়েছে। প্রত্যেক ঈদে সরকারি ভাবে তিন দিন ছুটি থাকে। তবে আমাদের অফিসের ম্যানেজমেন্ট ঈদের আগে ও পরে আমাদেরকে তিন দিন সমন্বয় ডিউটি করিয়ে মোট সাত দিন ছুটি দিয়ে থাকে। গত কাল ডিউটি শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম। এখানে সেখানে দাড়িয়ে বাসায় পৌছতে পৌছতে সাতটা আটা বেজে যায়। তো বাসার সামনে গিয়ে দেখি একটি খোলা মাঠে মেলা বসেছে। সব সময় দেখেছি খোলা জায়গাটায় ছেলে পেলেরা ফুটবল বা ক্রিকেট খেলে। গতকাল হঠাৎ করে মেলা দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। অনিচ্ছা সত্বেও মেলার মাঠের দিকে এগিয়ে গেলাম। মেলা থেকে বাচ্ছারা এটা সেটা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে বের হচ্ছে আবার প্রবেশ করছে।
ছোট একটি জাগায় অনেক প্রকারের দোকান বসেছে। তাছাড়া বাচ্ছাদের জন্য অনেক প্রকারের খেলা সহ নাগরদোলার ব্যবস্থা রয়েছে। শহরের যে কোন জাগায় মেলা বসলে লোকে লোকারন্য থাকে। মানুষ কিভাবে যেন এসব মেলার খরব পায় বুঝি না। আমর বাসার পাশে মেলা অথচ আমি না দেখলে বিশ্বাসই করতাম না। মেলা তো নয় যেন মানুষের ফ্যাক্টরি। মেলার প্রবেশ পথে তেমন কোন গেইট দেখতে পেলাম না। সোজা চলে গেলাম মেলার মাঠে।
মেলার গেইটের পাশেই বসেছে কয়েক প্রকারের পিঠা নিয়ে। এখানে রেডিমেট পিঠা সহ তৎক্ষণাৎ বানিয়েও পিঠা বিক্রয় করছে। এই পিঠা গুলো দেখলে না খেয়ে মেলা থেকে ফেরত আসতে মন চাইবে না। চিনির পরিবর্তে গুড়ের দিকে মানুষ ঝুকছে বেশি। এই পিঠাটিকে আমাদের দিকে হান্দেশ পিঠা বলে থাকে।
এই পিঠাটির নাম হলো পাকন পিঠা। এই পিঠাটি খুবই মিষ্টি জাতীয় একটি পিঠা। ডুবো তেলে ভিজিয়ে ভাজা ভাজা করে তারপর গুড়ের সিরার মধ্যে দিয়ে খাওয়ার জন্য তৈরী করা হয়। গ্রামে শীতের সময় ঘরে ঘরে এই পিঠার ধুম পড়ে।
এগুলো হলো মিষ্টি দই। প্রতি পিচ দইয়ের কাপ বিশ টাকা করে বিক্রয় করছে। খোলা জাগায় এগুলো কোন ঢাকনা ছাড়াই রেখে দিয়েছে। সে জন্য আর খেতে মন চাইলো না। তাছাড়া আমি এমনিতে বাহিরের খোলা জায়গার খাবার একটু কম খায়। চায়না পেটতো সব কিছু সয় না।
এই হলো সেই পিঠাওলা মামা। তিনি সোনারগাঁও থেকে নিয়ে এখানে এসেছেন বিক্রয় করতে। উনার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তিনি পাচঁ বছর যাবৎ পিঠা বিক্রয় করছেন। দেশের ঐতিহ্য ধরে রেখে তিনি গ্রাম গঞ্জের পিঠা বিক্রয় করে থাকেন। অনেক মানুষ নিজে বানাতে না পারলেও তার কাছ থেকে সেই পিঠার স্বাদ গ্রহন করে থাকে।
এছাড়াও মেলাতে বিভিন্ন প্রকারের কসমেটিক্সের দোকান বসেছে। মেলার মধ্যে মেয়েদের পন্য না আসলে সেই মেলাতে মানুষ ফিরেও তাকায় না। যে কোন মেলায় পুরুষ থেকে মহিলা বা মেয়েদের সংখ্যা বেশি থাকে। তার কারন হলো মেলাতে যদি একশো দোকান বসে তার মধ্যে ৮০টিই হলো মেয়েদের বিভিন্ন জিনিষ পত্র। অল্প একটু জায়গাতে খুবই সুন্দর মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
আমি মেলাতে প্রবেশ করে বিভিন্ন দোকানে ঘুরে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। তারপর কি খাবো সেটা চিন্তা করতে লাগলাম। তখন প্রায় আটটা বেজে গেছে। এমন সময় মোবাইলে ক্রিং ক্রিং শব্দ বেজে উঠলো। কে ফোন দিবে সেটা তো বুঝতেই পারছেন। আমার নিজের খাওয়ার কথা ভুলে গিয়ে পঞ্চাশ টাকার ফুচকা নিয়ে বাসার দিকে রওয়ানা দিলাম। বাসায় গিয়ে মেলার কথা বলি নাই, বলেছি পাড়ার দোকান থেকে ফুচকা নিয়ে এসেছি। যদি মেলার কথা বলি তাহলে আবার মেলায় আসতে হবে। তারপর এই দোকান থেকে ঐ দোকানে পই পই করে ঘুরতে হবে। সে জামেলায় আর যেতে চাইলাম না। বুদ্ধি ছাড়া দুনিয়ায় বেচেঁ থাকা মুশকিল,হা হা হা।😝😝😝
সবাইকে ধন্যবাদ,আল্লহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
বিষয় | হঠাৎ একদিন বাড়ির পাশের মেলায়। |
স্থান | নারায়ণগঞ্জ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ১৬-০৬-২০২৩ |
সময় | বিকাল ৭.৩০ মিনিট। |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে ভাইয়া যেখানেই মেলা হোক না কেন লোকজনের ভিড় ঠিকই হয় । সবাই কিভাবে যেন খবর পেয়ে যায় । আপনার মেলার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমারও তো এই মেলায় যেতে ইচ্ছে করছে । বেশ কয়েক রকমের পিঠা আচার দেখতে পেলাম । দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে । মেলায় ঘুরতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে । ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মেলায় যাওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না ।ধন্যবাদ আপনাকে।
জী আপু আচার গুলো লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ আপু।
কোথাও মেলা হবে আর মানুষজন হবে না এটা কি হয় নাকি । মেলায় মানুষজন না থাকলে সেই মেলা জমেই না এজন্য মানুষ এমনিতেই খবর পেয়ে যায় আর চলে আসে। আর প্রত্যেকটা মেলায় নাগরদোলার ব্যবস্থা থাকে এটা কিন্তু ভালো লাগে আমার কাছে। আর পাকন পিঠাগুলো আমি তো মনে করেছি মাটির তৈরি কোন জিনিস পরে দেখলাম যে এগুলো পিঠা। ভালোই সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি আপনি দিয়েছেন।
জি আপু যেখানেই মেলা হোক,মানুষ ঠিকই খবর পেয়ে যায়। এত মানুষ হয় হাটার জায়গা পায় না। তবে মানুষ না থাকলে মজা নেই। ধন্যবাদ আপু।
আপনার বাড়ির পাশে হঠাৎ করেই মেলা বসেছে তবে কি উপলক্ষে তা বুঝতে পারলাম না।আমি তো ভাবছিলাম পবিত্র ইদুল আজহা উপলক্ষে।কিন্তু পড়ে বুঝলাম না, যাইহোক খাবারের ছবিগুলো বেশ লোভনীয় ছিল।আর চুড়িগুলো খুবই সুন্দর।আপনি শেষমেশ ফুচকা কিনে বাড়ি এনে মজা করে খেয়েছেন নিশ্চয়ই, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু এখন মেলা হতে কোন উপলক্ষ লাগে না। এমনি মেলা জমে যায়। ধন্যবাদ আপু।
এ ধরনের মেলাগুলো ভ্রমন করার মধ্যে রয়েছে এক অনাবিল আনন্দ। এ ধরনের মেলায় সন্দেশ পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারগুলো খুবই চমৎকারভাবে তৈরি করে প্রদর্শন করা হয়। একই সাথে বাচ্চাদের জন্য খুবই সুন্দর সুন্দর খেলনা বিক্রয় করা হয়। যাহোক, অনেক সুন্দর একটি মেলা ভ্রমন করে চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া মেলাতে ঘুরতে ভালই লাগে। কোন কিছু না কিনলেও ভাল লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।