বিকাল বেলা নদীর পাড়ে কিছু সময়। নদী নিয়ে কিছু কথা।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি-
হ্যালো প্রাণপ্রিয় আমার বাংলা ব্লগ বাসি,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে নদ-নদী ও প্রাকৃতিক বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলবো। আশা ব্লগের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই পাবেন।
নদী একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। নদীর ভাঙ্গনে কিছুটা ক্ষতি হলেও নদী মানুষের অনেক উপকারে আসে। স্থল পথ থেকে জল পথে পন্য আনা নেওয়া করলে, যাতায়ত খরচ অনেক কম হয়। তাছাড়া নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়, নদীর পলিমাটি ফসল ফলাতে গুরুত্বপূণ ভূমিকা রাখে। নদীর পানি সেচ সহ মানব জীবনের অনেক কাজে আসে। গ্রাম শহরের বৃষ্টির পানি নদীতে জমা হয়। নদী থাকলে বৃষ্টির পানিতে বন্য হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এছাড়াও নদীর অনেক উপকারিতা রয়েছে। নদী ভরাট করলে জন-জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে। নদীর কোন বিকল্প নেই।
বর্তমানে বাংলাদের অনেক অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা দেখা দিয়েছে। নোয়াখালি, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বান্দরবান, রাঙামাটি সহ ১৫টি জেলার মানুষ বন্যার পানিতে ভাঁসতেছে। উজান থেকে নেমে আসা পানি ও অতি বৃষ্টির কারনে হঠাৎ এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দেশের ক্ষমতাশালী কিছু লোভী মানুষ নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন জাগায় নদী ভরাট করেছে, নদীতে অস্থায়ী বাঁধা নির্মান করেছে, নদী দখল করেছে। স্থায়ী বাঁধের নিচ থেকে মাটি কেটে বাঁধ দুর্বল করেছে। নদীর বিষয়ে বিস্তর কোন পরিকল্পনা করে নাই। যার ফলে হঠাৎ পানির লোড নদী নিতে পারতেছে না। যার ফলে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এর দায়ভার কিন্তু আমাদের ঘাড়েই নিতে হবে।
গত কয়েক বছর যাবৎ আমরা দেখে আসতেছি, বাংলাদেশে অতি বৃষ্টির কারনে, পাহাড়ি পানি সমতলে নেমে বন্যার সৃষ্টি করছে। অথচ ক্ষমতাশালী দাদারা এই বিষয়ে কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি। প্রতিবছর শুনি, রংপুর,সিলেটের বিভিন্ন জেলাতে বন্যা হয়। যখন বন্যা হয় তখন কিছু সুশীল সমাজের মানুষ, কিছু ক্ষমতাশালী ব্যাক্তি নাম মাত্র কিছু ত্রান দিয়ে দায়িত্ব মুছে ফেলে। অনলাইন, অফলাইনে তাদের স্বাগতম জানানো হয়, তাদের বাহবা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। অথচ কেউ প্রশ্ন করে না, বন্যা কি কারনে হলো, শহরের ভিতরে কিভাবে পানি প্রবেশ করলো। এখানে মানুষের কোন ভুল আছে না কি....। এই বিষয় গুলো নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। নদী যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ বন্যার পানিতে না ভাঁসা পর্যন্ত মানুষ উপলব্ধি করতে পারে না। এখন বন্যা হয়েছে, এখন এই করবে, সেই করবে, কত পরিকল্পনা করবে, কিন্তুু লোকালয়ের পানি নেমে গেলে কিছুই বাস্তাবায়ন হবে না। এটাই সত্য কথা।
গত মাসে বাড়িতে থাকা অবস্থায় নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন নদীতে তুলনামূলক পানি কম ছিল। আর নদীর পানি বেড়ে কমে যাচ্ছিলো। তখন সিলেট সুনামগঞ্জের বন্যার পানি তিতাস নদীতে পড়ে আবার সাগরে চলে গেছিলো। গতকাল ফোন করে আবার জানতে পারলাম নদীর পানি বেড়ে প্রায় বাঁধের উপর দিয়ে যাচ্ছে। গত তিন চার দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসার পানিতে নদী ভরে গেছে। যারা অবৈধ ভাবে নদী ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরী করেছে, যারা নদীর গতি পথ পরিবর্তন করেছ, নদীকে ধ্বংস করার যড়যন্ত্র করেছে,তাদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত। যেন ভবিষ্যতে নদীর বিষয়ে সবাই সজাগ থাকে।
বিকালে যখন নদীর পাড়ে হাটতে গেছিলাম, তখন হঠাৎ করে দেখলাম দক্ষিণ আকাশে কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। তখন বুঝতে পেরেছিলাম নদীর পাড়ি হয়তো বেশিক্ষণ থাকতে পারবো না। নদীর পাড়ে অনেক মানুষ ছিল। অনেক জেলে ভাইকে দেখলাম মাছ ধরার জন্য তাদের নৌকা রেডি করছে। যেহেতো নদীতে নতুন পানি এসেছিল, নদীতে প্রচুর মাছও পাওয়া যাচ্ছিলো। বর্তমানে বর্ষাকাল প্রায় শেষের দিকে। তবে হঠাৎ সারা দেশে অতি বৃষ্টির কারনে নদ-নদীর পানি বেড়ে গেছে।
নদী আমার কাছে সবসময় ভালো লাগে। নদীতে যখন নৌকা চলে তখন আরো বেশি ভালো লাগে। নৌকাতে পাল তুলে বিকাল বেলা সারি গান গাইতে গাইতে মাঝি ভাই যখন নৌকা নিয়ে বাড়ি ফিরে, সেই দৃশ্য গুলো চমৎকার লাগে। নদীর পাড়ে গাছের নিচে গ্রাম্য বাজার বসে। বট গাছর নিচের চায়ের টং থেকে এক কাপ চা নিয়ে নদীর দিকে তাকিয়ে চা পান করার অনূভূতি সবাই বুঝবে না। যারা অন্তর থেকে বিষয়টা ফিল করে তারাই সেই বিষয়টা বুঝতে পারে। যদিও বর্ষার মৌসুম ছাড়া বাংলাদেশের অধিকাংশ নদীতে পানি থাকে না। সেটাও আমাদের কর্মের ফল। আগে নদীতে কত রকমের মাছ পাওয়া যেতো। আর এখন নদীতে পোকাও পাওয়া যায় না।
আসলে নদ-নদীর বিষয়ে অমাদের জ্ঞান খুবই কম। যার ফলে আমাদের দেশের নদী গুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আর নদী গুলো হারিয়ে যাওয়ার কারনে আমরাদের দেশের মানুষ হঠাৎ বৃষ্টিতে বন্যার মুখোমুখি হয়। নদী বাঁচাতে সবাই যদি ঐক্যব্ধ ভাবে আওয়াজ তুলতো, তাহলে হারানো নদী গুলো ফিরে পাওয়া যেতো। আমাদের বাংলাদেশ হলো নদী মাতৃক দেশ। তাই আমাদের ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করা খুবই জরুরী।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | বিকাল বেলা নদীর পাড়ে কিছু সময়। নদী নিয়ে কিছু কথা।। |
স্থান | ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২১/০৭/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
নদীর পাড়ে হাটতে গিয়ে দক্ষিণ আকাশের যে কালো মেঘের ছবিটা শেয়ার করেছেন সেটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আসলে এই সময়ে নদীর পাড়ের সৌন্দর্য টা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যখন আকাশে মেঘ থাকে।
ভাইয়া কিছুক্ষন হেটেই দেখি আকাশ কালো হয়ে গেছে। তাই কয়েকটি ফটো নিয়ে চলে এসেছিলাম। ধন্যবাদ।
নদীর পাড়ে কাটানো মুহূর্ত ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। খুবই সুন্দর সময় পার করেছেন, অসাধারণ কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
চেষ্টা করেছি, মনের অনুভূতিটা প্রকাশ করার জন্য। ধন্যবাদ।