গল্প: নিশি- দ্বিতীয় পর্ব।।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। কয়েকদিন আগে আমি আপনাদের সাথে ভালোবাসার গল্প “নিশি”র প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে তার দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি গল্পটি আপনাদের নিকট অনেক ভালো লাগবে।
কিছুক্ষন পরে নিরা নিশির নাম্বারে একটি টেক্স পাঠায়। সেখানে নিরা তাদের একটি বাংলোর ঠিকানা দেয়। নিরার বাবা কক্সবাজারে থাকে। তবে বছরের বেশি অংশ তিনি বিদেশেই থাকেন। দেশে খুব কম আসেন। বর্তমানে নিরার বাবা থাইলেন্ডে আছে। কক্সবাজারে তাদের বেশ কয়েকটি পর্যটন হোটেল সহ একটি বাংলো আছে। নিরা ঢাকাতে পড়াশোনা করলেও ভার্সিটি বন্ধের সময় সে কক্সবাজার যায়। আর সেখানে গেলে সে ঐ বাংলোতেই থাকে। নিরা তার বাবার সাথে কথা বলে সেই বাংলোতে নিশির থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।
নিশি পরেরদিন রাত সাড়ে দশটায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার চলে যায়। সেখানে সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া বয়ছে। বাতাসের সাথে বৃষ্টিও হচ্ছে। সে একটি টেক্সি নিয়ে সোজা লোকেশন অনুযায়ী সেই বাংলোতে চলে যায়। গেইট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে দেখে বাংলোর প্রধান দরজা ভিতর থেকে আটকানো। নিশি বাহির থেকে দরজায় আওয়াজ করে বলে ভিতরে কে..? ভিতরে কে আছেন দরজা খুলুন। কিছুক্ষন পড়ে ২৫/২৬ বছরের একটি ছেলে দরজা খুলে বলে কে আপনি....? দরজায় আওয়াজ করছেন কেন..? নিশি বলে আপনি কে..এই বাংলোতে তে আজকে আমার থাকার কথা। আপনি এখানে আসলেন কিভাবে..।
ছেলেটি বলে আমি এই বাংলোটি তিন দিনের জন্য ভাড়া নিয়েছি। নিশি সাথে সাথে নিরাকে ফোন করে বাংলোর অবস্থা জানায়। নিরা কিছুক্ষন পরে নিশিকে ফোন দিয়ে জানায় যে,তার বাবা হোটেল ম্যানাজারের সাথে কথা বলে নি। যার কারনে হোটেল ম্যানাজার বাংলোটি তিন দিনের জন্য ভাড়া দিয়ে দিয়েছে। তবে সে ইচ্ছা করলে যে কোন একটি রুমে থাকতে পারবে। তিন দিন পরে ছেলেটি চলে গেলে আর কোন টেনশন নেই। নিশি পিছনে ফিরে দেখে তার টেক্সিও চলে গেছে। বাহিরে বাতাসের সাথে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে নিশি ভিতরে গিয়ে ছেলেটিকে সব কিছু খুলে বলে। তারপর ছেলেটি তাকে জানায়,এক বাংলোতে একটি ছাদের নিচে দুইজন থাকতে তার কোন সমস্যা নেই। কারন সে বিশেষ একটি কাজে কক্সবাজার এসেছে। তিনদিনের মধ্যে কিছু ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে সে আবার ঢকায় চলে যাবে।
নিশি দেখলো ছেলেটির কথা বার্তা শুলে ভালোই বুঝা যায়। তাছাড়া তার আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। অনিচ্ছা সত্তেও সে একটি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ে। কিছুক্ষন পরে তার দরজায় আওয়জ হলো। সেই ছেলেটি তার দরজায় নক করছে। বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা করে কিছুটা টেনশন আর প্রস্তুুতি নিয়ে নিশি দরজা খুললো। দরজা খুলে দেখে সেই ছেলেটি এক কাপ কফি আর দুইপিছ স্যান্ডউইচ নিয়ে হাজির। সে খুব ভদ্রতার সাথে বলে আমার কাছে এর থেকে বেশি আর কিছু নেই। আমি এগুলো দিয়ে নাস্তা করেছি। আপনি ঢাকা থেকে জার্নি করে এসেছেন। আর এখন আবহাওয়া খুবই খারাপ,বাহিরেও যেতে পারবেন না। এগুলো খেয়ে বিশ্রাম নিন। দুপুরের দিকে আবহাওয়া ভালো হলে বাহিরে যেতে পারবেন। এক কথা বলে ছেলেটি চলে গেলো। নিশি কোন কথা বললো না,শুধু তাকিয়ে থাকলো।
নিশির পেটেও খিদা পেয়েছে। সে খাটের উপর বসে চিন্তা করতেছে ছেলেটিকে কমপক্ষে একটি ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার ছিল। সে স্যান্ডউইচ আর কফি খেয়ে ঘুম দিয়েছে। এক ঘুমেই সেই দুপুর ২টা বেজে গেছে। নিশি ঘুম থেকে উঠেই মোবাইলটি হাতে নিয়ে দেখে রাহুল কোন কল অথবা টেক্স করেছি কি না। দেখে না,নিশির জন্য রাহুলের ভিতরে কোন অনুভূতি, ভালবাসা, মায়া কিছুই নেই। যদি থাকতো তাহলে এতক্ষনে অবশ্যই কল অথবা টেক্স করতো। নিশি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাহির হয়ে দেখে সেই ছেলেটির দরজা বাহির থেকে লক করা। তার মানে ছেলেটি অবশ্যই বাহিরে বের হয়ে গেছে। নিশি একটি রিকশা নিয়ে প্রথমে একটি রেস্টুরেন্ট গেলো। সেখানে লাঞ্চ করে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে বিচের দিকে গেলো। বিচে হাজার হাজার পর্যটক। কত মানুষ তাদের আপন জনদের হাত ধরে হাটতেছে। বাচ্ছারা বিচে দৌড়াদৌড়ি করছে,খেলছে। নিশি একা এক পাশ দিয়ে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে রইল। সমুদ্রের পানি খেলা করছে,মাঝে মাঝে নিশির পায়ে আলতো ভাবে স্পর্শ করছে...চলবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার গল্পের আগের পর্বটা আমার পড়া হয়নি তবে এই পর্ব পড়ে যা বুঝতে পারলাম। আসলে নিরা হয়তো নিশিকে ভালোবাসে না।সত্যি ভালোবাসার মানুষকে কে এভাবে খোঁজ খবর না নিয়ে পারে।আর সত্যি এতো পর্যটক এর মাধ্যমে নিশি একা ঘুরতে খারাপ লাগারি কথা। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
ধন্যবাদ আপু পর্ব গুলো না পড়লেও খুব সুন্দর কমেন্ট করেছেন।
নিশির এই গল্পের প্রথম পর্বটা আমার পড়া হয়েছিল, তাই দ্বিতীয় পর্ব পড়তে আমার কাছে ভালো লেগেছে। রাহুল তো দেখছি তাকে কোন কল দেয় নি, সে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার পর থেকে। এর দ্বারা বোঝাই গিয়েছে যে রাহুলের নিশির প্রতি কোন রকম চিন্তাভাবনা, ভালোবাসা বলতে কিছুই নেই। ওই ছেলেটার মন-মানসিকতা অনেক ভালো যা ওর সম্পর্কে এগুলো দেখে বুঝতে পারলাম। এই গল্পের পরবর্তী পর্বে কি হয় এটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম এখন।
জী ভাইয়া রাহুলের আচার আচারনে সেটা প্রমান হয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ।