কিছু ফুড ফটোগ্রাফি।।
হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি কিছু ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে এবং সাপোর্ট পাবো।
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে ভাগ্য বা রিজিক বলে একটি বিষয় আছে। সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কার ভাগ্যে কখন কি আছে সেটা কেউ জানে না। আপনি আমি কখন কোথায় কি খাবো না খাবো সেটাও আমরা জানি না। আমরা এটা বিশ্বাস করি যে, যার রিজিকে যে খাবার আছে, সেটা যে কোন মূল্যে তার ভাগ্যে আসবে। পৃথিবীতে নির্ধারিত এক লোকমা খাবার বাকি থাকা অবস্থায় আমাদের মৃত্যু আসবে না। আবার আমরা এটাও জানি না যে কবে কখন কোন খাবারটা আমাদের জন্য পৃথিবীর শেষ খাবার। সব কিছু সৃষ্টিকর্তা নিয়ন্ত্রন করেন। সুতরাং আমাদের রিজিকে যে খাবার আছে, যে কোন মূল্যে সেটা আমাদের মুখে আসবেই।
কয়েক মাস আগে হঠাৎ করে আমি আমার এক আত্নীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছিলাম। সেখানে যাওয়ার কোন প্লান প্রোগ্রাম ছিল না। বাড়িতে যাওয়ার পথে রাত হয়ে গেছিলো। ফোন করে বললো চলে যেতে। তাই রাত দেড়টার দিকে তাদের বাড়িতে উঠেছিলাম। রাতের বেলা খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়েছি। সকাল নয়টার সময় নাস্তা করার জন্য ঘুম থেকে ডেকে তুললো। ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে গিয়ে আমি অবাক। যে নাস্তা গুলো দিয়েছে গুলোর মধ্যে কিছু নাস্তার ফটোগ্রাফি করেছি। আর সেই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা
আমাদের দিকে এগুলোকে পাকন পিঠা বলা হয়। আটা বা ময়দা দিয়ে গরম পানি দিয়ে গোলিয়ে প্রথমে বড় আকারে একটি পিঠা বানানো হয়। তারপর ছুরি দিয়ে কেটে কেটে টুকরা করা হয়। টুকরা গুলোর উপরে সুই বা এমন জাতীয় কিছু দিয়ে নকশা করা হয়। তারপর তেলে ভেজে গুরের সিরায় ভিজিয়ে খাওয়া হয়।
এটা তো সবাই চিনেন। আটার রুটি। সকাল বেলা আমি ভাতের পরিবর্তে এই রুটি পেলে আমার আর কিছু লাগে না। রুটির সাথে ডিম ভাজি,সবজি ভাজি বা ডাল ভুনা হলে বেশ জমে উঠে। আমি আবার বেশি রুটি খেতে পারি না। সর্বউচ্চ পাঁচ থেকে ছয়টা রুটি খেতে পারি। অনেক মানুষ তো বিশ পচিঁশটা রুটি খেতে পারে। তাদের জন্যই আটার দাম বাড়ে,হা হা হা।
রুটির সাথে সেমাই থাকলেও মন্দ হয় না। আমি আবার রুটির সাথে সেমাই তেমন খেতে পারি না। সেমাই মিষ্টি থাকে। তাই তেমন বেশি খেতে পারি না। সাধারনত ঈদ ছাড়া সেমাই তেমন খাওয়া হয় না। মাঝে মাঝে মন চাইলে খাওয়া হয়। সেমাই থেকে কিসিমিস গুলো বেশি পছন্দ করি।
ছাগলের মাংস। এটা কিন্তুু খাসিঁর মাংস না। কোরবানির ঈদের সময় এক দুলাভাই বলেছিলো সে ছাগল কোরবানি দিবে। কিন্তুু কেনার পরে আর কোরবানি দেওয়া হয়নি। পরে ঈদের দুই মাস পরে সেই ছাগল জবাই করা হয়েছিলো। আমি গিয়ে আবার সেই ছাগলের মাংসের ভাগ পেলাম।
এটা নকশি পিঠার একটি প্রকার। প্লাস্টিকের পিঠার নকশা দিয়ে এই পিঠা গুলো বানানো হয়। এই পিঠা গুলোর সাথে আবার ডিম,মাশকলই,ডাল এগুলোও দেওয়া হয়। যার ফলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। এই পিঠা আবার আমার সাথে করেও দিয়েছিলো।
ব্রেড ফ্রাই। এই ব্রেড গুলো সাধারনত সবাই যে কোন সময় খেয়ে থাকে। কয়েকটি ডিম একটি পাত্রে ভেঙ্গে তারপর এই ব্রেড গুলো দিয়ে ভিজিয়ে আবার তেলের মধ্যে ভাজা হয়। ব্রেড ফ্রাই খেতে আমার কাছে দারুন লাগে। তবে তেলের ভয়ে বেশি খায় না। হাতে ধরলেই তেলে চপ চপ করে।
রসগোল্লা বা মিষ্টি। আমি আত্নীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় এই মিষ্টি গুলো নিয়ে গেছিলাম। সব কিছুর দাম বাড়তি। মিষ্টির দামও বেড়ে গেছে। আগে রসগোল্লা বা মিষ্টিতে যেমন মজা পাওয়া যেতো এখন আর তেমন মজা পাওয়া যায় না। দাম দিয়ে কিনেও আগের স্বাদ খুজে পাওয়া যায় না। সব কিছুই নকল হয়ে গেছে।
বন্ধুরা আমি কিন্তুু বেশি খেতে পারি না। সব গুলো আইটেম থেকে অল্প অল্প করে খেয়েছি। সকালের নাস্তায় এত কিছু খাওয়া যায় না। এগুলো ছাড়াও আরো ছিল ডিম ভাজি,সিদ্ধ করা ডিম,আর দুধ। আমার রিজিকে যে এত খাবার ছিল সেটা আমি কল্পনাও করি নাই। ঐযে উপরেই বলে আসলাম কার রিজিকে কখন কোথায় কি খাবার আছে সেটা কেউ জানে না। তাদের বাড়িতে যখন যায় তখই এমন ভাবে আপ্যায়ন করে। শুধু যে ভালো ভালো খাবার খাওয়ায় তা কিন্তুু না তাদের কথা বার্তা আচার আচরন সবই অনেক ভালো। আবার অন্য দিকে খুবই ধার্মিক ফেমিলি।
যায়হোক ব্লগটি আর বাড়াতে চায় না। এখান থেকেই বিদায় নিতে চাই। আবার আপনাদের সাথে দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষন পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সবার নিকট দোয়া প্রার্থী। অনেক বড় একটি সমস্যায় পড়ে আছি। আল্লাহ যেন সেই সমস্যাটা দুর করে দেন। আল্লাহ হাফেজ।।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ-
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-১০ |
শিরোনাম | কিছু ফুড ফটোগ্রাফি। |
স্থান | ব্রাহ্মণবাড়িয়া |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
তারিখ | ০৪.০৭.২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
ফুড ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে তো না খেয়ে থাকা যায় না। বিভিন্ন ধরনের খাবার যেগুলো যে দেখবে তারই খেতে মন চাইবে। প্রত্যেকটা ফুল ফটোগ্রাফি দারুন ছিল ভালো লেগেছে।
জী ভাইয়া খাবার গুলো দারুন টেস্টি ছিল। ধন্যবাদ।
আপনি রাতের বেলা হঠাৎ করে আত্মীয় বাড়িতে গেলেন। আর ঘুম থেকে উঠে নাস্তা দেখে আপনি অবাক হয়ে গেলেন। এতগুলো সকাল বেলার নাস্তা দেখে যে কারো মাথা ঘুরবে। তবে আপনি ফুড গুলোর খুব চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যি বলতে আপনার ফুড গুলো দেখে আমারও খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। সবগুলো ফুড কাটিং এর ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
বেশ চমৎকার কিছু ফুড় ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এত চমৎকার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে খাওয়ার লোভ কন্ট্রোল করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। আসলে প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। মিষ্টি গুলো দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। বিকেল বেলার ব্রেড ফ্রাই নাস্তা হিসেবে খুবই অসাধারণ। ছাগলের মাংস খাওয়ার অনুভূতি সত্যি খুব অন্যরকম। কিসমিস বাদাম দিয়ে সেমাই তৈরি করলে খেতে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু লাগে।এত চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া অপনি প্রত্যেকটি খাবার বেচেঁ বেচেঁ কমেন্ট করেছেন। পড়ে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি আত্মীয়ের বাড়িতে সকালবেলা এত নাস্তা খেয়েছেন দেখে তো মনে হচ্ছে রীতিমতো জামাই আদর করেছে। সত্যি চমৎকার ছিল প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি। এতগুলো খাবার সকাল সকাল খাওয়া মুশকিল ।বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি দারুন ছিল। পিঠাগুলো দেখতে বেশ চমৎকার লাগছিল ।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু সত্যিকারের জামাই ছিলাম,হে হে হে। ধন্যবাদ।
খাবাত এর ছবি দেখে এই রাতে তো খিদা বেরে গেলো ভাই।অনেক লোভনীয় লাগছে ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া পেট ভরা থাকলেও খাবার দেখলে খিদা লাগে। ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন আপনি আল্লাহ তায়ালা কখন কার ভাগ্যে কি লিখে রেখেছেন এবং কার রিজিক কোথায় রেখেছেন তা একমাত্র আল্লাহ ভাল জানেন। আপনার সকালের নাস্তা গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। সবগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি লোভনীয় ছিল। লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী আপু কার রিজিকে কি আছে আল্লাহই জানে। ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মানুষের জন্মের আগ থেকেই তার রিজিক লেখা থাকে। যার যতটুকু রিজিক আছে সে সেই রিজিক টুকু পাবেই। ভাই আপনি আজকে খুব দারুণ কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে যে দুইটা পিঠার ফটোগ্রাফি করেছেন পিঠাগুলোকে চমৎকার লাগছে দেখতে খেতে মনে হয় ভীষণ সুস্বাদু। তবে আপনি যে রসগোল্লার ফটোগ্রাফি করেছেন এই রসগোল্লা আমি এক জায়গায় বসে বিশটা খেতে পারব এতে কোন সন্দেহ নেই।
ভাইয়া আমি সর্বউচ্চ তিনটা খেতে পারবো। আর আপনি বিশটা। মাশাআল্লাহ।
আপনার খাবার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। রাত্রেবেলা আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গেলেন। আর সকালবেলা দাঁত ব্রাশ করে এসে দেখে আপনি হতবাক। অনেক ধরনের আইটেম তারা নাস্তা দিয়েছে আপনাকে। তবে ভাইয়া প্রত্যেক মানুষের রিজিক আল্লার হাতে। কখন কে কি খাবে সব ফয়সালা করে আল্লাহ। তবে এখন ঠিক বলেছেন সবকিছুর দাম অনেক ঊর্ধ্বে।তবে আপনার ফটোগ্রাফির নাস্তা গুলো দেখে সত্যি আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। এবং অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
জী আপু নাস্তা দেখে আমি রীতিমত মাথায় হাত দিয়ে বসে গেছি। ধন্যবাদ।
খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি খাবার অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লেগেছে৷ বিশেষ করে আপনি যে ছাগলের মাংসের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন সেটি আমার অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ হয়েছে৷ কারণ আমি ছাগলের মাংস খেতে অনেক বেশি পরিমাণে ভালোবাসি৷
ভাইয়া আমি এক সময় ছাগলের মাংস খেতাম না। পরে খাওয়া শুরু করেছি। ধন্যবাদ।