ঢাকা শহরের রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে চার জন মানুষের মৃতু। দায় নিবে পলিথিন।।

হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি আবার আজকে চলে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকে আমাদের রাজধানী শহর ঢাকাকে নিয়ে কিছু কথা বলবো। মুখ আর কত বন্ধ করে রাখা যায়। কথা না বললে বিষয়টা মানুষের নজরে আসবে না। তাই কাউকে না কাউকে কথা বলতে হবে। আশা করি আপনারা মনযোগ সহকারে পড়বেন।

আমি বই পুস্তক পড়ে যতটুকু জেনেছি পৃতিবীতে ২৩০ টি রাষ্ট্র বা দেশ রয়েছে। তার মধ্যে স্বাধীন দেশের সংখ্যা ১৯৫টি। আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ স্বাধীন দেশের মধ্যে একটি। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৩২ বছর পর। তথাকথিত নেতাদের বক্তব্য অনুযায়ী পৃথিবীর ৩৫ তম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশের রাজধানীতে দুই ঘণ্টা বৃষ্টি হলে রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যায় এবং সেই পানিতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে থাকার কারণে ৯ জন মানুষ বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়, ৪ জন মানুষ মারা যায়। প্রতিদিন ২০ জন মানুষ মশার কামড়ে মারা যায়। এর থেকে লজ্জার বিষয় আর কি আছে।

এই ঘটনা নিয়ে যখন আমাদের কাকা বাবুদের নিকট প্রশ্ন করা হয় তখন তারা বলে সাধারণ মানুষ রাস্তায় পলিথিন ফেলার কারনে রাস্তায় পানি জমে থাকে। রাস্তায় পানি জমার সাথে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ার কারন আমি খুঁজে পায় না। আমাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাকা বাবুরা যুক্তি দিয়ে বলে রাস্তায় প্লাস্টিকের ব্যাগ, চিপসের প্যাকেট, চুইংগামের প্যাকেট ফেলার কারনে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর আর কোন দেশের মানুষ চিপস আর চুইংগাম খায় না। শুধু ঢাকা শহরের মানুষরাই এসব খায়। পলিথিন,প্লাষ্টিক, ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্যই তো শত শত মানুষ রাখা হয়েছে। তাদেরকে শহরের মানুষ টেক্স দিয়ে বেতন দেয়। তাহলে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে না কেন..। শুনেছি বাংলাদেশে পলিথিন না কি নিষিদ্ধ। আইন আছে জানি কিন্তুু কোনদিন তার প্রয়োগ দেখি নাই। মানুষ পলিথিনের পরিবর্তে কি ব্যবহার করবে সেটা কেউ বলতে পারে না। আমরা যেই দেশের নামে মানুষকে গালি দেয়। সেই উগান্ডাতে মানুষ পলিথিনের পরিবর্তে এক ধরনের ব্যাগ ব্যবহার করে। যেটা পঁচনশীল। বাংলাদেশে সেই ব্যাগের ব্যবহার শুরু করা হোক। এসব নিয়ে কেউ ভাবে না। কাকাবাবুরা আছে কাকে ঢাকা শহরে ঢুকতে দেবে না,সেই চিন্তা নিয়ে। মানুষের এসব দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্থা শুনলে বিস্মিত হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

নিবার্চন আসলে কাকাবাবুদের দেশের প্রতি ভালোবাসা বেড়ে যায়। নির্বাচন চলে গেলে দেশের প্রতি ভালোবাসা কমে সেই ভালোবাসা কানাডা আর আমেরিকায় চলে যায়। তারা সবসময় দুর্নীতিতে কিভাবে চ্যাম্পিয়ান হওয়া যায় সেই চিন্তা করে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষ কিভাবে তাদের শহরের পয়নিষ্কাশন ,বৃষ্টির পানি অপসারন করে,কিভাবে পলিথিন ধ্বংস করে,কিভাবে ময়লা,ড্রেন পরিষ্কার করে সে গুলো শিখতে পারে না। কিভাবে চুরি করা যায়,কিভাবে দুর্নীতি করা যায়, সেগুলো আবার ভালো পারে। মাটি কাটা শিখতে,খিচুড়ি রান্না শিখতে, সাঁতার শিখতে বিদেশ যেতে পারে। শহরের কে কিভাবে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা যায় সে গুলো শিখতে বিদেশ যেতে পারে না।

যদি বড় ধরনের কোন দুযোর্গ হতো তাহলে একটা কথা ছিলো। বৃষ্টি হলেই রাজধানী শহর ঢাকা হয়ে যায় পানির শহর ঢাকা। শুধু যে পানি তা কিন্তুু না কোথাও কোথাও নদী সমুদ্র হয়ে যায়। শহরের চার পাশে বিশাল বড় বড় ড্রেন রয়েছে,চার পাশে খাল, নদী রয়েছে। শুধু দায়িত্ব নিয়ে সে গুলো পরিষ্কার রাখা দরকার। এই কাজটাও তারা ঠিক ভাবে করতে পারে না। যদি তারা দায়িত্ব পালন না করতে পারে তাহলে তারা দায়িত্ব নেয় কেন। সরকারি দল বিরুধী দল সবাই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বড় বড় বুলি দিয়ে বেড়ায়। দরকারি কাজ করার মত কেউ নেই।

এই শহরের মানুষ দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ট্যাক্স দেয়। এখানেই সর্বোচ্চ আয় সরকারের। এখানেই সরকারের বাস। সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে বসবাস এখানকার মানুষের। অথচ এই শহর বৃষ্টিতে ডুবে, পচা আবর্জনার দুর্গন্ধ ভাসে বাতাসে, পায়ে পায়ে যানজট, দুর্ভোগ, ভয় শঙ্কা নিরাপত্তাহীনতা। এই শহরের মানুষের প্রতি কাকাবাবুদের কোন দায়দায়িত্ব নেই। এই অবস্থা আর কত দিন চলবে কেউ জানে না।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।