টাকা গুলো কোথায় যায়।।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি এমন একটি ব্লগ শেয়ার করবো যেটার মধ্যে সকলের তরে একটি প্রশ্ন থেকে যাবে। সবাই নিজেদের মত করে কমেন্ট বক্সে উত্তর দিয়ে যাবেন। চলুন তাহলে আলোচনাটা শুরু করছি।
আমি গত পরশু দিন আমার ভাগিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত গুলিস্তান মাকের্টে গিয়েছিলাম কিছু পন্য কেনার জন্য। তবে শুক্রবারে মার্কেট বন্ধ ছিল। যার ফলে আমরা খালি হাতে ফেরত এসেছিলাম। সেই বিষয়ে গতকাল বিস্তারিত একটি ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি ঐ দিনের পরবর্তি স্টেপ গুলো শেয়ার করবো। কি কি করেছিলাম ধারিবাহিক ভাবে সে গুলো আপনাদের মাঝে বর্ণনা করে যাবো।
যেহেতো আমার ভাগিনা এইবার প্রথম ঢাকাতে এসেছে,আবার যে কাজের জন্য এসেছে মার্কেট বন্ধ থাকার কারনে সেটাও হচ্ছে না তাই তাকে নিয়ে কিছু জাগায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমরা যখন সুন্দরবর্ন মার্কেট,আর হর্ল মাকের্ট বন্ধ পেলাম তাই আমরা সেই মার্কেটের পশ্চিম পাশ দিয়ে বাইতুল মোকাররাম মসজিদের দিকে হাটতে লাগলাম। হঠাৎ আমাদের সামনে বহুল আলোচিত ও বিখ্যাত গোলাপ শাহের মাজার পড়লো। আমার ভাগিনা বললো মামা এটা কি...? সেটা কি আমি তাকে দেখানোর জন্য কাছে নিয়ে গেলাম। আমি বললাম এটা হলো গোলাপ শাহের মাজার। রাস্তার মাঝখানে মাজার দেখে সে কিছুটা আশ্চর্য হলো। আমি বললাম মামা আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই । তুমি সত্যিই দেখতেছো মাজারটি দুই রাস্তার মাঝখানে অবস্থিত। মাজারের দুই পাশ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি আসা যাওয়া করে।
তারিখ : ২১শে জুলাই ২০২৩
সময় : সকাল ১০ টা ৪৭ মিনিট
স্থান :গোলাপ শাহের মাজার,গুলিস্তান,ঢাকা।
তারপর আমি তাকে নিয়ে মাজারের কাছে গেলাম। তবে মাজারের ভিতরের অংশের দিকে তাকিয়ে ভাগিনা যেটা দেখলো সেটার জন্য সে প্রস্তুুত ছিল না। হাজার হাজার টাকা মাজারের ভিতরে পড়ে আছে। যে গুলোর মধ্যে রয়েছে এক হাজার টাকা নোট,পাচঁশো টাকার নোট,দুইশোট টাকার নোট,একশো টাকার নোট। এভাবে নিচের দিকে যত টাকার নোট বাংলাদেশ সরকার বের করেছে,সব গুলো নোটই সেখানে রয়েছে। একটা দুইটা করে নয় অনেক গুলো। মাজারের মূল অংশটা রাস্তা থেকে কিছুটা নিচে অবস্থিত। দেখলে বুঝা যায় একাটা গর্তের মত। তবে সেখানে দুইটি কবর রয়েছে। কবরের চার পাশে হাজার হাজার টাকা পড়ে আছে। নিচের সেখানের কিছু ছবি শেয়ার করতেছি।
তারিখ : ২১শে জুলাই ২০২৩
সময় : সকাল ১০ টা ৪৮ মিনিট
স্থান :গোলাপ শাহের মাজার,গুলিস্তান,ঢাকা।
আপনারা উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন কবরের চার পাশে কত হাজার হাজার টাকা পড়ে আছে। আর মেইন রাস্তা থেকে কবর গুলো কতটা নিচে রয়েছে। নির্ধারিত লোক ছাড়া টাকার গুলো কেউ যেন নিতে না পারে সে জন্য মাজারের চারপাশে গ্লাস করা। আবার চতুর্পাশে গ্লাসের পরে স্টিলের পাইপ দিয়ে আটকানো আছে। এই দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে টাকা পয়সার কোন মূল্যে নেই। সাধারন মানুষ এই টাকা গুলো দিয়ে যাচ্ছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন উপরের দিকে গ্লাস গুলো ছিদ্র করা। এই ছিদ্র দিয়ে মানুষ টাকা দিয়ে থাকে। যায়হোক কে এবং কেন এখানে টাকা পায়সা দিয়ে যায় সে বিষয়ে আমি কিছু বলবো না। বিষয়টি যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আল্লাহ তাদেরকে সঠিক জ্ঞান দান করুন।
তারিখ : ২১শে জুলাই ২০২৩
সময় : সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিট
স্থান :গোলাপ শাহের মাজার,গুলিস্তান,ঢাকা।
আমি আর আমার ভাগিনা মাজারের সামনে দাড়িয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে লাগলাম। কারা কারা টাকা দিচ্ছে সেই দৃশ্যটা দেখার চেষ্টা করলাম। মাঝে মাঝে যানবাহন দিয়ে মানুষ যাওয়ার সময় টাকা ফেলে যাচ্ছে। মাজারের সামনে কয়েকজন বৃদ্ধ পুরুষ আর বৃদ্ধ মহিলাকে দেখলাম বসে আছে। কেউ খাবার খাচ্ছে আবার কেউ সুয়ে আছে,কেউ ঘুমিয়ে আছে। বাস থেকে কেউ টাকা ফেললে তাদের মধ্যে কেউ দৌড়ে গিয়ে টাকাটা নিয়ে আসে। সেই টাকা কেউ মাজারের ভিতরে রাখে আবার কেউ পকেটে রাখে। তবে যাদেরকে দেখলাম হয়তো তাদের কোন বাড়িঘর নেই,গোসল করে না কয়েক বছর ধরে। আবার কেউ কেউ বাসি খাবার খাচ্ছে। ময়লা আবর্জনা যক্ত কাপড় পড়ে আছে।
যাদের টাকার দরকার তাদের কাছে টাকা নেই,যাদের খাবার কেনার জন্য টাকার দরকার তাদের কাছে টাকা নেই,যাদের খাওয়া বা গোসলের পানির জন্য টাকার দরকার তাদের কাছে টাকা নেই,যাদের কাপড় কিনার জন্য টাকার দরকার তাদের কাছে টাকা নেই। অথচ মাজারের ভিতরে কত হাজার হাজার টাকা পড়ে আছে। সেখানে দুইটি কবর দেখলাম। কবরের পাশেতো টাকার কোন দরকার নেই। সেখানে মানুষ টাকা দেয় কেন...। সেটা আমার অজানা। আমার অবুঝ মন শুধু জানতে চাই, সেই মাজারের কোটি কোটি টাকা কোথায় যায়। কে সেই টাকা গুলো অত্নসাৎ করছে। যদি কারো উত্তর জানা থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি শুধু আমার নিজের অনূভুতি প্রকাশ করলাম। এছাড়া আর কিছুই নয়। সবাইকে ধন্যবাদ। সবাইকে আল্লাহ তায়ালা দ্বীনের সঠিক জ্ঞান দান করুন। আমীন।।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার সাথে আমিও সহমত প্রকাশ করলাম ভাই এই মাজারে টাকা দেওয়ার পক্ষপাতী আমি একদমই না। একজন মৃত মানুষের কি আদেও কোন ক্ষমতা থাকে?? সেখানে টাকা দিয়ে কি লাভ?? আমার মনে হয় সেই টাকা দিয়ে পথ শিশুদের দুমুঠো ভাত মুখে তুলে দিতে পারলে সেটাই সবচেয়ে বড় জ্ঞানের কাজ হয়।
জী ভাইয়া আপনার সাথে সহমত পোষন করছি। তবে গোলাপ শাহের মাজারের টাকা গুলো কোথায় যায় সেটা কিন্তুু একটা চিন্তার বিষয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি ভাইয়া আমাদের সমাজ যার টাকা দরকার তাকে দেয় না কিন্তু যার দরকার নেই তাকে দেয়।যাইহোক আমার মনে হচ্ছে কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে এখানে টাকা দিলে অনেক উপকার হবে। তবে এই টাকা গুলো কে নেয়, এটা জানার অনেক ইচ্ছা। ধন্যবাদ আপনাকে।
জী আপু মাজারের পাশেই কত মানুষ না খেয়ে রাত কাটাচ্ছে তাদেরকে টাকা দেয় না। অথচ মাজারে ঠিকই টাকা দিচ্ছে। ধন্যবাদ আপু।
মাজারের টাকা পয়সা গুলো নিয়েও বিশাল ব্যবসা চলে। তাছাড়া মাজারের বাইরে যে সকল লোকজন বসে থাকে এরাও এটিকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। এভাবে নোংরা অবস্থায় থাকলেই তো লোকজন টাকা দেয়। ভালোমতো থাকলে তো আর টাকা দেবে না। সেজন্য তারা এভাবেই থাকতে পছন্দ করে। এইসব সিন্ডিকেটের কোন খবর কেউ রাখে না।
জী আপু এটাই ঠিক। সব জাগায় সিন্ডিকেট চলছে। ধন্যবাদ আপু।
ভাই আমি আপনার ভাগিনার কথা বলতে চাচ্ছি না। তবে এটা বুঝতে পারছি আপনার ভাগিনাকে নিয়ে যথেষ্ট ঘুরাঘুরি করেছেন। আপনি যে মাজারে কথা বলছেন, আসলে যিনি মারা গেছেন তার কি কোন টাকার দরকার আছে? উত্তরে বলবো না, তার কোন টাকা দরকার নাই। তাহলে এসব টাকা গুলো কোথায় যায়। একদল ভন্ড লোক আছে যারা মানুষের সরলতাকে কাজে লাগিয়ে এসব টাকা গুলো নিজেরা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর বাঙালি জাতি হলো আবেগের জাতি। তার আবেগের বসবর্তী হয়ে তারা এভাবে টাকা ফেলে যাচ্ছে। তারা এতোটুকু বোঝে না এই মরা মানুষ সে আমাদের কি দিবে। দেওয়ার মালিক তো আল্লাহ যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ ও সব মানুষদেরকে হেদায়েত দিন যারা এই পথে রয়েছে। আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া মানুষ এত বোকা হয় কিভাবে সেটা আমার বুঝে আসে না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমিও ভাবি এতো টাকা যায় কই? চলেন একটু গোয়েন্দা গিরে করে দেখি। যদি কিছু পাই তাহলে ৮০% আমার আর ২০% আপনার । কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো আপনি যখন গোলাপ শাহ্ মাজারের এত কাছেই গেলেন তাহলে আমার জন্য কেন কিছু টাকা নিয়ে আসলেন না। নাকি শুধু নিজের জন্যই এনেছেন। বেশ সুন্দর ছিল আজকের লেখাগুলো।
আপু যদি পারতাম তাহলে সব গুলো টাকাই নিয়ে আসতাম,হা হা হা। ধন্যবাদ আপু।
মাজারে অনেক মানুষ যায় তাদের মনের কথা বলার জন্য যেন তাদের মনের আশা পূরণ হয়। তবে ওখানে অনেকে টাকা দেয় এই টাকাগুলো কোথায় যায় তা অজানা কথা। আপনার ভাগিনাকে নিয়ে গোলাপ শাহের মাজারের দিকে গেলেন। আসলে এই কৌতুহল জানার আমার ও ইচ্ছা। এই টাকাগুলো কেউ আত্মসাৎ করতেছে নাকি কোন ভালো কাজে ব্যবহার করতেছে আমার জানা নেই। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া না জেনে কিছু বলতে পারছি না। অজানাই রয়েগেল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমরা কিছু মাস আগে চট্টগ্রামে একটি মাজারে গেলাম। ওখানে বিভিন্ন ধরনের লোক দেখতে পেলাম যারা মানুষের কাছ থেকে টাকা চায়। আপনার ভাগিনা সহ আপনারা মাজারের দিকে গেলেন। অনেকেই অনেক কিছু নিয়ত করে মাজারে টাকা দেয়। এই টাকাগুলো মাজারে যে লোক গুলো আছে তারা কি কাজে ব্যবহার করে তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারবে না। আপনি নিজেই দেখেছেন ওখানে লোকগুলো কিছু নিয়ে নিছে। তবে এই লোক গুলো চিনা অনেক কস্টকর।
জী আপু সেখানে অনেক বড় চক্র রয়েছে। সে বিষয়ে বিস্তারিত না জেনে কিছু বলতে পারছি না। ধন্যবাদ আপু।