একদিন ভর্তা দিয়ে লাঞ্চ।।
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে কয়েক প্রকারের সুস্বাদু ভর্তা নিয়ে ব্লগ শেয়ার করবো। আশা করি লোভনীয় ভর্তার ব্লগটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আমার শ্বশুর বাড়িতে নিসার আকিকার অনুষ্ঠান ছিল শুক্রবারে। সাধারনত নবদম্পতিদের প্রথম সন্তান মেয়েদের বাবার বাড়িতেই হয়ে থাকে। আমাদের ক্ষেত্রেও ঠিক সেটাই হয়েছে। প্রথম সন্তানের সময় তাদের কিছুটা ভয় কাজ করে। যার ফলে তারা তাদের মায়ের কাছে থাকলে কিছুটা ভরসা পায়। শুক্রবারে আসরের নামাজের পর পরই সব মেহমানদের খাওয়া দাওয়া শেষ হয়ে গেছে। কাছের যে মেহমান গুলো এসেছে,তারা সবাই সন্ধার আগেই বিদায় নিয়ে চলে গেছে। দুরের যারা ছিল তাদের মধ্যে কয়েকজন থেকে গেছে। পরের দিন সকাল বেলা নাস্তা করে সবাই চলে গেছে। আমি সকাল ১১ টার সময় ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়িতে আমি ছাড়া আর কোন মেহমান বাকি নেই। সবাই চলে গেছে।
সকালে নাস্তা করার পরে আমাদের বড় ভাইয়ের বউ তথা আমাদের ভাবি আমাকে জিঙ্গেস করলেন,লাঞ্চে কি খাবো। আমি দশ পনের সেকেন্ট চিন্তা ভাবনা করে বললাম, ভর্তা জাতীয় কিছু হলে ভালো হতো। কারন সেখানে যাওয়ার পর থেকে সকালে বিকালে রাতে শুধু মাংসই খাচ্ছি। আমিষের পরিবর্তে কিছু নিরামিষ দরকার। তারপর ভাবি আর তার ছোট ননদ তথা আমার শালিকা মিলে বেশ কয়েক প্রকারের ভর্তা করেছিল। আমি আবার সে গুলো ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম। আমি তাদের রেসিপিতে নাম্বার দিলে দশ থেকে দশ দিবো।
এখন টমেটোর সিজন চলছে। সেই জন্য প্রথমেই সামনে পেলাম কাঁচা টমেটোর ভর্তা। এটাতে উপকরণ হিসাবে,কাচাঁ লঙ্কা,শুকনো লঙ্কা,কাচাঁ টমেটো,পেঁয়াজ কুচি,সরিষার তৈল ব্যবহার করা হয়েছে। ভর্তাটা একটু ঝাল হলেও খেতে দারুন লেগেছে। ভর্তার মধ্যে যে ঝোলটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা অটোমেটিক টমেটো থেকে বের হয়েছে।
বেগুন বাংলাদেশে বারো মাসই পাওয়া যায়। আর বেগুনের ভর্তা খায়নি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। প্রত্যেকটা রেস্টুরেন্ট প্রতিদিন বেগুন ভর্তা সরবাহ করা হয়। ঐদিন আমার সামনেও বেগুন ভর্তা এসেছে। সব ধরনের ভর্তা সহ বেগুন ভর্তা আমার খুবই প্রিয়। এই ভর্তাতে ধনিয়া পাতা ব্যবহার করার কারনে দারুন একটি ঘ্রান এসেছে। যদিও আমি প্রায় সময় হোটেল বেগুন ভর্তা খেয়ে থাকি।
এটা আমাদের সবার প্রিয় আলু ভর্তা। আপনি জীবনে যদি ব্যাচেলর জীবন অতিবাহিত না করেন,তাহলে আপনার জীবন বৃথা। ব্যাচেলর জীবনের চির সঙ্গি হলো আলু ভর্তা। আলু ভর্তার সাথে পাতলা ডাউল পেলে আমার আর কিছু লাগে না। এখানে ভর্তাটা তৈরী করে আলাদা ভাবে তেল পেয়াজ দিয়ে ভাজা হয়েছে। যার ফলে একটু বেশিই স্বাদ লেগেছে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন লাল শাকের ভর্তা। অনেকে হয়তো লাল শাকের ভাজিও বলতে পারেন। তবে যেটাই বলেন সব থেকে বেশি স্বাদ হয়েছে এই রেসিপিটি। খাওয়ার সময় ভদ্রতার খাতিরে কিছু খাবার অবশিষ্ট রাখতে হয়। কিন্তুু এই লাল শাকটা খাওয়ার সময় আমি ভদ্রতা ভুলে গেছিলাম,হা হা হা। সম্পূর্ণ লাল শাকটি খেয়ে ফেলেছি।
আর এই রেসিপিটা সব থেকে বেশি স্বাদ হয়েছে। এটাকে ভর্তা ছাড়াও টমেটোর চাসনি বলা যায়। আস্তো টমেটোকে রুটি বানানোর তাওয়াতে ভাজা ভাজা করে,তারপর টমেটো থেকে চামড়া গুলো ফেলে দিয়ে শুকনো লঙ্কা ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে মেখে রেসিপিটা তৈরী করা হয়। সাথে ধনিয়া পাতা দিলে খেতে খুবই স্বাদ লাগে।
এগুলো ছাড়াও মাছ ভর্তা, মাছ ভুনা ও মাংস ছিল। তবে সে গুলো ফটোগ্রাফি করা হয়নি। বিশ্বাস করেন ঐদিন ভর্তা গুলো আমার এত ভালো লেগেছে,যে বলে বুঝানো যাবে না। আমি অল্প অল্প করে সব গুলো আইটেম থেকেই খেয়েছি। প্রত্যেকটা ভর্তা তুলনা মূলক কিছুটা ঝাল ছিল। আমার নিজের কাছে ঝাল লেগেছে,তবে অন্যদের কাছে কেমন লেগেছে জানি না। তবে সবাই প্রশংসা করেছে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | একদিন ভর্তা দিয়ে লাঞ্চ।। |
স্থান | ভাদুঘর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৩/০২/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
আসলে ভাইয়া অনেক সময় দুপুরের লাঞ্চ করার জন্য যেকোনো ভর্তা কিন্তু অনেক বেস্ট। তবে ডাউল পাত্তা এবং টমেটো ভর্তা এগুলো খেতে আমিও খুব ভালোবাসি। তবে দুপুরের ভর্তা দিয়ে খাবার খাওয়ার বেশ একটি সময় আমাদের মাঝে সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। এবং খুব সুন্দরভাবে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি প্রায় সময় টমেটো ভর্তা খেয়ে থাকি ভাইয়া। দারুন লাগে খেতে। ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া এক জায়গায় বেড়াতে গেলে শুধু মাংস খাওয়ায় বেশি হয়। আর মাংস বারবার খেতে ভালো লাগে না। তখন এমন ভর্তা হলে আর কিছুই লাগে না। তাহলে শশুর বাড়িতে ভর্তা দিয়ে জামাই আদর পেয়েছেন। ভর্তা গুলো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে,আমিই বলি ভর্তা করে দিতে। তাই ঐদিন ভর্তা ভাত খেলাম। ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া সবসময় মাছ মাংস খেতে একদমই ভালো লাগে না। মাঝে মধ্যে এই রকম কয়েক প্রকার ভর্তা হলে বেশ জমিয়ে খাওয়া যায়। সত্যি বলতে ভর্তা খেতে আমি ও ভীষণ পছন্দ করি। আপনার ভর্তার রেসিপি গুলো দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া এগুলো কোন ভর্তা রেসিপি ছিল না। জাষ্ট ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর সুন্দর ভর্তার রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন ভাইয়া। ভর্তা গুলো দেখে তো আমার এক্ষুনি খেতে ইচ্ছে করছে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। আসলে সবারই আমি খেতে খেতে নিরামিষের প্রতি একটু বেশি লোভ জাগ্রত হয়। তবে আপনার আজকের লাল শাক ভর্তা রেসিপি টা আমার কাছে একদম নতুন।
জী আপু মাঝে মাঝে নিরামিষ খেলে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ।
আসলে একেবারে কয়েকদিন মাছ মাংস খেলে মাছ মাংস খেতে ভালো লাগে না। মাঝে মধ্যে ভর্তা খাওয়া দরকার। ভর্তা আমার বেশ পছন্দের। আপনার ভর্তার রেসিপি গুলো দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে গরম গরম ভাতের সাথে ভর্তা দিয়ে দিয়ে বেশ মজা করে খেয়েছেন। তবে বিশেষ করে টমেটো ভর্তা এবং বেগুন ভর্তা আমারও বেশ পছন্দের। লাঞ্চে ভর্তা খাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী আপু মাঝে মাঝে বিভিন্ন ভর্তা দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
কোথায় বেড়াতে গেলে এই এক সমস্যা। সকাল, বিকাল,রাত মাছ মাংস খেতে হয়।সেই সময় কেউ যদি এমন ভর্তা বানিয়ে খেতে দেয় কি যে ভালো লাগে। ভর্তা দিয়ে তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়। তবে প্রতিটি ভর্তা বেশ লোভনীয় লাগছে।আর এটা ঠিক টমেটো ভর্তাটি বেশ লোভনীয়। এই ভর্তাগুলো সাদা ভাতের সাথে জাস্ট জমে যাবে। ভর্তা দিয়ে লাঞ্চ করার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধনযবাদ।
জী আপু প্রতিটি ভর্তা খেতে দারুন টেষ্ট ছিল। ধন্যবাদ।
নিসার আকিকার অনুষ্ঠান ছিল জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। তবে মাঝে মাঝে ভর্তা ভাত খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। অন্য খাবারের চেয়ে ভর্তার টেস্ট অনেক বেশি। আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু দোয়া করবেন যেন সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠে। ধন্যবাদ।
ভর্তা আমার খুব প্রিয়। ভর্তা খাওয়ার অনুভূতি সত্যি বেশ দারুণ। আপনার ভর্তার রেসিপি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। অনেক লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে মাছ মাংস প্রতিনিয়ত খেতে ভালো লাগে না। ভর্তা দেখেই খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলে ভাইয়া এটা কোন রেসিপি ছিল না। খাবারের ফটোগ্রাফি ছিল। ধন্যবাদ।
তবে এটি ঠিক মাংস এবং মজার খাবার গুলো খেতে খেতে হঠাৎ করে ভর্তা খেলে অন্যরকম মজা লাগে। দেখতেছি খুব মজার মজার ভর্তা করেছে আপনার ভাবি এবং শালিকা। তবে ভর্তা খেতে সবাই কম বেশি অনেক পছন্দ করে। আর এরকম ভর্তা হলে একদম পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়। সত্যি বলতে আপনার ভর্তা রেসিপি দেখে আমার নিজেরও খেতে মন চাইতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভর্তার রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু ঐ দিনের ভর্তা গুলো খেতে দারুন ছিল। ধন্যবাদ।