আমাদের মন-মানুষিকতার পরিবর্তন দরকার।।
মাতৃভাষার একমাত্র কমিউনিটি-
সবার মুখে প্রায় সময় একটি কথা শুনা যায়। আর সেটা হলো পৃথিবীটা পাল্টে গেছে,সময় পাল্টে গেছে। আচ্ছা আপনারাই বলেন তো, এখন পর্যন্ত পৃথিবী কি নিজের জায়গা থেকে এক ইন্চি এদিক সেদিক হয়েছে..? চন্দ্র উঠা কি বন্ধ আছে,সূর্য কি আলো দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আকাশে আগেও তারা দেখা যেতো,এখনও তারা দেখা যায়। আগেও রোদ উঠতো,বৃষ্টি হতো এখনও তাই হয়। আগেও হাওয়া বাতাস বয়তো এখনও সেই ভাবেই বয়তেছে। নদীর জাগায় নদী আছে। বঙ্গপসাগরেও পানি আছে। আগেও মানুষ জন্মগ্রহন করতো,মৃত্যুবরন করতো এখনও সেই নিয়মেই চলছে। আমাদের দাদারা একসময় ছিল, এখন তারা নেই। তারপর এখন আমাাদের বাবারা আছে,আমরাও আছি, একদিন আমরাও থাকবো না। আগেও ২৪ ঘন্টায় একদিন হতো,এখনও তাই হয়। পৃথিবী কিন্তু তার নিয়ম পরিবর্তন করে নাই। পৃথিবী আগের মতই আছে। পৃথিবী পাল্টে যায়নি।
পৃথিবী না পাল্টালেও পাল্টে গেছি আমরা। পাল্টে গেছে আমাদের কাজ কর্ম,মন-মানুষিকতা,আমাদের সমাজ,আমাদের চালচলন,কথা-বার্থা। আমরা আমাদের কাজ কর্মের মধ্যেমে পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলতেছি। পৃথিবীতে বেঁচে থাকা হাজার হাজার মাখলুকাতকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। আমাদের কাজ কর্মের কারনে পৃথিবী ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। অথচ আমরা আমাদের নিজের কর্মের কথা বলি না। দুষ দেয় পৃথিবী পাল্টে যাচ্ছে। সময় পাল্টে যাচ্ছে। আমরা তো একদিন চলে যাবো কিন্তুু আমাদের কর্ম গুলো,আমাদের কথা-বার্থা,ব্যবহার গুলো থেকে যাবে। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সমান জ্ঞান দেয়নি। সবাইকে সমান ভাবে সৃষ্টি করে নাই। তাই পৃথিবীরকে দুষ না দিয়ে নিজেকে সংশোধন করি।
গত কাল আমাদের অফিসের মধ্যে দুই জনের দুইটি কথা নিয়ে মোটামুটি ভালো একটি জামেলা হয়। একজন একটু চিকন,হ্যাংলা পাতলা। দুষ্টামি করে আমরা সবাই তাকে চিকনা বলে ডাকি। গত কাল আসরের সময় সেই চিকনা লোককে এক কলিগ বলতেছে ড্রাগ-ফ্রাগ, গাঞ্চা-মাঞ্জা খাওয়া ছেড়ে দাও। তাহলে মোটা হয়ে যাবা। এই কথা বলার সাথে সাথে সেই চিকনা লোকটি বলে উঠেলো তুমি তো ঘুষ খোরের পোলা,তোমার বাবার অনেক বড় বুড়ি,সে তো ঘুস টুস খায়। তাকে ঘুস টুস খাওয়া ছেড়ে দিতে বলো। সেও চিকন হয়ে যাবে। এই দুইটি কথা নিয়ে বিরাট বড় ঝামেলা হয়ে যায়। তারপর আজকে সকালে বিচার আচার হয়,এখন দুইজনই অফিসের বাহিরে আছে। পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কেউ অফিসে আসতে পারবে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক মুরুব্বি চাচা বললো,আমরা কি তোদের মত ছিলাম না,আমরা কি এমন কিছু করছি। আমরা তো মিলে মিশে ছিলাম। আসলে দুনিয়াটা পাল্টে গেছে।
আচ্ছা বলেন তো এখানে দুনিয়া পাল্টানোর কি হলো। একজন মানুষ চিকনা হতেই পারে। তাই বলে সে ড্রাগ নেয়,সে গাঞ্জা খায়, সেটা তো আমরা বলতে পারি না। আর কেউ মোটা হলেই যে সে ঘুষ খায়,সে সুদ খায় এসব বলতে পারি না। মানুষ মোটা চিকন হতেই পারে। সবই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। কত মানুষ শক্তিবর্ধক অনেক কিছু খেয়েও মোটা হতে পারছে না। আবার কেউ দুই বেলা রুটি এক বেলা না খেয়েও চিকন হতে পারছে না। যত সমস্যা আমাদের নিজের মন-মানুষিকতায়। কেউ খাটো হলে আমরা তাকে তিরষ্কার করি,কেউ লম্বা হলে তাকেও আমরা তিরষ্কার করি। কেউ চুল লম্বা করে রাখলে,কেউ মাথা ন্যাড়া করলে আমাদের এলার্জি শুরু হয়ে যায়। কেউ মোটা হলে আমাদের সমস্যা হয়ে যায়। কেউ কালো হলে তাকে ঘৃনা করি, উগান্ডা, নাইজিরিয়া বলে সংবোধন করি। এগুলো কিন্তু ঠিক না।
আমাদের মন-মানুষিকতার পরিবর্তন করা দরকার। যে ব্যাক্তি যে ভাবেই আছে,যে ভাবে চললে তার সুবিধা হয় তাকে সেভাবেই থাকতে দিতে হবে। কারো স্বাধীনতায় হস্থক্ষেপ করা ঠিক না। কালো, লম্বা,বেটে-খাটো এগুলো তো একজন মানুষ নিজে সৃষ্টিকর্তা থেকে চেয়ে নিয়ে আসে নাই। আর চাইলেই এগুলো পরিবর্তন করা যায় না। আমাদের মন-মানুষিকতা এতটাই খারাপ হয়ে গেছে,আমরা এতটাই নিচে নেমে গেছি যে,আমরা অন্যের বউকে নিয়েও কমেন্ট করতে ভুল করি না। আমরা অন্যের পেশাকে নিয়েও মন্তব্য করি। কাউকে সম্মান করতে জানি না। আর এই জন্য আমরা নিজেরাও সম্মান পায় না।
আমাদের মনে রাখতে হবে,“যেমন কর্ম তেমন ফল”। আমি যদি কাউকে তিরষ্কার করি,কারো বিরুদ্ধে গীবত করি,কেউ না কেউ আমাকেও তিরষ্কার করে,আমার নামে গীবত করে। আমরা যদি কাউকে সম্মান করি, একসময় আমিও সম্মান পাবো। আমরা একদিন থাকবো না। আমাদের কর্ম থাকবে,আমাদের ব্যবহার থাকবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
যে জিনিসের সৃষ্টি হয়েছে সেই জিনিসের ধ্বংস আছে। একদিন অনেক কিছুই ছিল বর্তমান সময়ে অনেক কিছু হারিয়ে গেছে। আর এভাবে একদিন পৃথিবীটা ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে এত কিছুর মাঝে আমাদের মানসিকতা পরিবর্তনের দরকার রয়েছে। আর মানসিকতার পরিবর্তনের সাথে সাথে সবকিছু পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। কিছু সময় মানুষ যেমনই হোক তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা উচিত নয়। একটা ভালো কথা অনেক সময় মানুষের সহ্য হয় না। তাই যে কোন কাজ বা কথা বলার একটা সঠিক সময় থাকে।
জী ভাইয়া ঠাট্টা মশকারির একটা সময় থাকে। তাছাড়া কারো শরীর নিয়ে কাউকে ঠাট্টা মশকারি করা ঠিক না। ধন্যবাদ।
ঠিক ভাই,পৃথিবীর পাল্টায়নি বরঞ্চ আমরাই পাল্টে গেছি,পাল্টে গেছে আমাদের মন মানসিকতা। আগের মানুষের মন মানসিকতা ছিল এক রকম আর এখন হয়ে গেছে অন্যরকম। তবে পৃথিবীতে যেহেতু অনেক কিছুই আমাদের হাতে থাকে না তাই সেগুলো নিয়ে কটুক্তি করা কখনো উচিত নয়। কারণ অনেকে চাইলেও মোটা হতে পারে না আবার অনেকে চাইলেও চিকন হতে পারে না। তাই বলে শুধু শুধু তাকে নিয়ে মজা করা উচিত না । যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া কেউ তো ইচ্ছা করে চিকনা আর মোটা হতে পারে না। তাই এগুলো নিয়ে তিরষ্কার করা ঠিক না। ধন্যবাদ।
আমরা যদি আমাদের জীবন থেকে ২০ বছর পেছনের দিকে তাকাই। তাহলে ওই জীবনটা কতটা সুন্দর ছিল। সেটা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারে আর বর্তমান সময়ের সমাজ মানুষ ব্যবস্থাপনা সবকিছুই অন্যরকম। বর্তমান সময়ের মানুষ যে পরিমাণে সুদ ঘুষ খাচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তোবা দেশের অবস্থা বা পরিস্থিতি আরো অনেক বেশি খারাপ হতে পারে। এটা আমরা এখন থেকেই বুঝতে পারি।
তবে একটা জিনিস আমরা বিশ্বাস করি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য যা করেন ভালোর জন্যই করে থাকেন, হয়তো বা এর চাইতে ভাল কিছু আমাদের জন্য অপেক্ষা করতে পারে। তবে আমাদেরকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের মন-মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
আমরা যদি একজন একটু সতর্ক হই, তাহলে কিন্তু কাজ হবে না। সমাজের প্রত্যেকটা মানুষকে সতর্কতার সাথে একটু একটু করে এগিয়ে যেতে হবে।তাহলেই হয়তোবা সমাজ সমাজের মানুষের মন মানসিকতা, দেশের মানুষের মন-মানসিকতা পরিবর্তন করে, দেশকে অনেক বেশি উন্নত করতে পারবো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।
জী আপু আমাদের একজকে পরিবর্তন হলে সমাজ পরিবর্তন হবে না। প্রত্যেকের মন-মানুষিকতার পরিবর্তন করতে হবে। আর আমাদের দেশে এখন তো সুদ ঘুষকে মানুষ নিজেদের অধিকার মনে করে, লজ্জাও করে না। ভবিষ্যতে যে কি হয় আল্লাহই জানে। ধন্যবাদ।
এটা একদম ঠিক বলেছেন আমাদের কাজকর্মের জন্যই পৃথিবী আজ ধ্বংসের পথে। আমরা মানুষরা অন্য মানুষের চেহারা, গঠন, পেশা সবকিছু নিয়েই মন্তব্য করি। এই জিনিসগুলো আসলে নিচু মন মানসিকতার পরিচয় দেয়। আমাদের উচিত সবাইকে সবার দিক থেকে সম্মান করা এবং নিজের প্রতি নিজে সন্তুষ্ট থাকা। অন্যকে নিয়ে মন্তব্য করা আসলেই উচিত না। বিশেষ করে বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে মন্তব্য করা আসলেই উচিত নয়। কারণ সবকিছুই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি। এসব বিষয়ে আমাদের হস্তক্ষেপ না করাই ভালো।
জী আপু কারো শারীরিক গঠন কেউ ইচ্ছা করে পরিবর্তন করতে পারে না। তাই এগুলো নিয়ে তিরষ্কার করা,খুবই খারাপ বিষয়। ধন্যবাদ।
সত্যি ই বলেছেন ভাইয়া আমাদের মন মানুসিকতার ব্যাপক পরিবর্তন দরকার।পৃথিবী ঠিকই আছে।বরং আমরা ই নিজেরা ঠিক নেই।আমরা চাইলে ই কিন্তু নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে পারি।ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার বিষয়টি নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী আপু আমরা একটু সচেতন হলেই কিন্তুু সমাজ পরিবর্তন হতে পারে। অথচ আমরা পরিবর্তন করি না। ধন্যবাদ।
আপনার এই কথার সাথে আমিও পুরোপুরি একমত ভাই, আমরা আমাদের কার্যকলাপের কারণেই পৃথিবী এবং পৃথিবীর মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছি। যাইহোক, আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে কটুক্তি করে কথা বলা পছন্দ করি না। কে চিকন, কে মোটা এটা নিয়ে আসলে কথা বলা উচিত নয়। আমাদের মন মানসিকতা পরিবর্তন করা আসলেই দরকার।
জী ভাইয়া কারো শারীরিক গঠন নিয়ে কথা বলা ঠিক না। ধন্যবাদ।
আপনি বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে আপনার কথাগুলো প্রকাশ করেছেন ভাই। আপনার অফিসের দুই কলিগের এমন অবস্থা শুনে খারাপই লাগলো। আসলে আমরা আমাদের কথার মাধ্যমে আঘাত দিয়ে থাকি অনেকের মনেই। আমরা যেটাকে ফান মনে করি, সবসময় যে সেটা ফান বলেই উড়িয়ে দেয়া যাবে এমনটা কিন্তু নয়। একই কথা শুনতে কারোরই সবসময় ভালো লাগে না, বিশেষ করে চিকন, মোটা, কালো বা এধরণের বিষয় গুলো নিয়ে অনেকের থেকেই অনেক কথা শোনে একজন মানুষ। আমাদের আসলেই নিজ নিজ চিন্তাভাবনা এবং মানসিকতা পরিবর্তন করা দরকার।
জী আপু সবসময় দুষ্টামিও ভালো লাগে না। ধন্যবাদ।