বিভিন্ন ধরনের কিছু স্ট্রিট ফুডের ফটোগ্রাফি।।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। আজকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের কিছু স্ট্রিট ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি সব গুলো ফটোগ্রাফি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমি প্রায় সময় রাস্তাঘাটে আসা যাওয়ার পথে ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় খাবার দেখতে পায়। সব থেকে লোভনীয় খাবার তো ফুচকা,চপটি,বেলপুরি। তবে আমি আজকে সে গুলো কথা বলতে চাচ্ছি না। আমি কিছু ভিন্ন ধরনের স্ট্রিট ফুডের বিষয়ে আলোচনা করছি। পৃথিবীতে তো খাবারের কোন অভাব নেই। আর প্রতিদিন নিত্যনতুন খাবার বের হচ্ছে। ফুড ব্যবসায়ীরা মার্কেট ধরে রাখার জন্য,মানুষের মন আর্কষন করার জন্য একই খাবার বিভিন্ন ভাবে তৈরী করে পরিবেশন করছে। এগুলো তাদের ব্যবসার পলিসি। মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য অনেক পন্থা অবলম্বন করে থাকে। যায়হোক চলুন কথা না বাড়িয়ে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেওয়া যাক।
আমরা এতদিন যাবৎ রাস্তার পাশে বিভিন্ন দোকান থেকে ভুনা করা ছোলা বোট,গুগনি এগুলো কিনে খেতাম। তারা ছোলা ভুনার সাথে কিছু সালাদ দিয়ে পরিবেশন করতো। খেতে খুবই স্বাদ লাগতো। এখন তারা ব্যবসার পলিসি চেন্জ করেছে। এখন গুগনির সাথে গরুর ভুড়ি যোগ করেছে। ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন গুগনির সাথে গরুর ভুড়ি দেখা যাচ্ছে। নিচে চুলা জ্বালানো আছে গরম গরম গুগনি পরিবেশন করছে।
উপরের গুগনি না খেলেও এই চানাচুর খেতে ভুল করি নাই। দেখতে পাচ্ছেন চানাচুরের সাথে উপরে বাদামের বিচি গুলো জ্বল জ্বল করছে। তারা লোভ লাগানোর জন্যই বাদামের বিচি গুলো উপরে ভাঁসিয়ে রেখেছে। আমরা সাধারনত প্যাকেটের চানাচুর কিনে খায়। খোলা বাজারের চানাচুর কিনলে লাভ হয়ে বেশি। তবে সেটা স্বাস্থসম্মত কিনা সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। অনেক সময় চানাচুর খেলে পেটে প্রচুর পরিমানে গ্যাস হয়। তাই চানাচুর অল্প পরিমানে খেলেই ভালো।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন কিছু চিংড়ি মাছের ফ্রাই। এটাও মানুষ প্রচুর পরিমানে খেয়ে থাকে। আস্তো চিংড়ি মাছকে লিকুইড বেসনের মধ্যে ডুবিয়ে তেলের মধ্যে ভাজলেই চিংড়ি ফ্রাই হয়ে যায়। তবে সেই তৈল কত দিনের পুরনো সেটা আমার জানা নেই। ছোট গুলো ২০ টাকা আর বড় গুরো ত্রিশ টাকা করে বিক্রয় করা হয়। এই চিংড়ি ফ্রাই জীবনে মাত্র একবার খেয়েছিলাম।
এখানো কিছু বার্গার দেখতে পাচ্ছেন। এখনো পুরোপুরি বার্গার তৈরী করা হয়নি। বার্গার বানাতে যে রুটি গুলো ব্যবহার করা হয় সে গুলো একটি বক্সে সংরক্ষন করা হয়েছে। এগুলোর ভিতরে চিকেন সহ আনুসাঙ্গকি জিনিষ পত্র দিয়ে বার্গার তৈরী করা হবে। আমি বক্সের ডাকনা খুলেই ফটোগ্রাফি করে ফেলেছি।
এগুলো এক ধরনের শুকনো মিষ্টি। এগুলো তৈরী করতে কি কি উপকরন ব্যবহার করা হয়েছে সে বিষয়ে আমার তেমন ধারনা নেই। তবে উপর দিয়ে চিনি যুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর দাম তেমন বেশি না। সাধারন মানুষের হাতের নাগালেই রয়েছে। অরিজিনাল মিষ্টির পরিবর্তে এগুলো দিয়ে কোন রকম সমাজ রক্ষার মত।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন কিছু টোস্ট বিস্কিট। এগুলো একটু মিষ্টি জাতীয় বিস্কিট। এগুলোর উপর দিয়ে চিনির আবরন দেওয়া হয়েছে। যার ফলে খেতে মিষ্টি লাগে। সব কিছুর দাম যেমন বেড়েছে ঠিক তেমনি এগুলোর দামও বেড়েছে। আগে ১৫০ টাকা কেজি ছিল কিন্তুু এখন ২০০ টাকার উপরে। বাজারে কোন কিছু কিনতে গেলে,জিনিষ পত্রের দাম শুনলে চোখ দিয়ে পানি আসে। যায়হোক অন্যদিকে আর কথা নিচ্ছি না।
বন্ধুরা,আজকে আর বাড়াবো না। এখান থেকেই বিদায় নিবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলোতে আপনাদের সাপোর্ট পাবো। আবার আগামীকাল আপনাদের সাথে দেখা হবে। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | বিভিন্ন ধরনের কিছু স্ট্রিট ফুডের ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৬ /০২ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
স্ট্রিট ফুড আমাদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত না হলেও এগুলো দেখতে খুবই লোভনীয় এবং খেতেও ভালই লাগে। ঠিকই বলেছেন ব্যবসায়ীরা খুব সুন্দর ভাবে এই খাবারগুলোকে আকর্ষণীয় করে তোলে। আপনার তোলা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে এবং খাবার গুলো বেশ লোভনীয় ছিল। গুগনির সাথে গরুর ভুড়ি যোগ করা হয় এটা জানা ছিল না। খেতে নিশ্চয়ই বেশ ভাল লাগে। চোখের সামনে পড়লে একদিন ট্রাই করে দেখব।
স্বাস্থের জন্য কোনটা ভালো কোনটা খারাপ, এটা অনেকেই কেউ চিন্তা করে না। ধন্যবাদ।
আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। তবে গুগনির সাথে গরুর ভুড়ি দিয়ে কখনো বিক্রি করা দেখিনি যদি কখনো দেখি সামনে তাহলে খেয়ে টেস্ট করব। সত্যি চিংড়ির ফ্রাই গুলো বর্তমান সবাই অনেক খায়। প্রতিটি খাবারের পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু এখন গুগনির সাথে গরুর ভুড়ি দেয়। খেতে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফি করতে এবং দেখতে আমার কাছে দুটোই খুবই ভালো লাগে। তবে সব থেকে বেশি ভালো লাগে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে। যেটা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। তবে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে চিংড়ি মাছের ফ্রাই। এটি আমি গতকাল কেউ খেয়েছি। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে দিয়ে সেটা মনে পড়ে গেল।
চিংড়ি ফ্রাই গুলো দেখেলে নিজেকে কন্ট্রোল করা কঠিন। ধন্যবাদ।
বাসা থেকে যখনই আমরা বাহিরে যাই এ ধরনের বিভিন্ন স্ট্রিট ফুড খাওয়া হয়ে থাকে। আপনি খুবই লোভনীয় স্ট্রিট ফুডের ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে চিংড়ি মাছের ফ্রাই ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। কারণ চিংড়ি মাছ ফ্রাই আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। আপনার পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া মাঝে মাঝে স্ট্রিট ফুড খাই,আবার ফটোগ্রাফিও করি। ধন্যবাদ।
স্ট্রিট ফুড মানে লোভনীয় ব্যাপার। আপনি দারুন দারুন কিছু ছবি তুলে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করে লোভ লাগিয়ে দিলেন। প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে।
জী ভাইয়া স্ট্রিট ফুড গুলো সবসময় লোভনীয় হয়ে থাকে। ধন্যবাদ।
খুবই মজার মজার স্ট্রিট ফুডের ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। স্ট্রিট ফুড দেখলেই জিভে জল চলে আসে। বাইরে বেরোলেই এ ধরনের খাবারগুলো একটা হলেও খেয়ে আসা হয় খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে।ধন্যবাদ মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু স্ট্রিট ফুড গুলো একটু লোভনীয়ই থাকে। ধন্যবাদ।