ঈদ উপলক্ষে মেহেদী পড়ার অনুভূতি।।
আসসালামু আলাইকুম,
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। প্রতিদিনের মত আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের পোষ্টের বিষয় হলো “ঈদুল ফিতর উপলক্ষে হাতে মেহেদী পড়ার অনুভূতি প্রকাশ”। চলুন নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করছি।
বন্ধুরা আপনার সবাই অবগত আছেন যে গত শনিবার ২২শে এপ্রিল- ২০২৩ বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশয়িার সব দেশেই পবিত্র ইদুল ফিতর পালিত হয়েছে। পবিত্র ইদুল ফিতর উপলক্ষে সব দেশের মানুষই নানা আয়োজনে মেতে উঠে। ঈদ উপলক্ষে নতুন জামা কাপড় কিনা,বিভিন্ন স্বাদের সুস্বাদু খাবার খাওয়া,আত্নীয় স্বজনের বাসায় বেড়াতে যাওয়া। আরো একটি ইন্টারেস্টিং বিষয় আছে। আর সেটা হলো মেহেদী পড়া। এই কাজটা সাধারনত মেয়েরা বা বাচ্ছারা বেশি করে থাকে। এছাড়া ছেলেরাও পড়ে। তবে মেয়েদের তুলনায় অনেক কম। ঈদ উপলক্ষে মার্কেটিং এর লিষ্টে সবার শেষে মেহেদীর নামটা থাকে।
সব মার্কেটিং শেষ করে সবাই মেহেদী কিনে নিয়ে আসে। যদি কোন সময় মেহেদী কিনতে ভুলে যায় তাহলে বাসার আশে পাশের দোকান মার্কেট থেকে মেহেদী কিনা যায়। বর্তমানে মার্কেটে অনেক প্রকারের মেহেদী পাওয়া যায়। কয়েকটি মেহেদীর নাম হলো, নেহা, মমতাজ, লীজান, রাঙাপরী, স্মার্ট , শাহজাদী, আলমাস, কাভেরি,কাশ্মীরি,প্রেম দুলহান, গোল্ড ও অ্যাকটিভ গোল্ড মেহেদী বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। কিছু কিছু মেহেদীর পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাই মেহেদী পড়ার ক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যে কোন মেহেদী প্রথম পড়ার সাথে সাথে যদি জ্বালা পোড়া করে তাহলে ঐ মেহেদীটা আর না পড়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। অন্যথায় হাত ফুলে যেতে পারে। প্রতি ঈদের সময় স্যোশাল মিডিয়াতে দেখা যায় মেহেদী পড়ার কারনে হাত ফুলে যায়। এটা হয়তো মেহেদীতে অতিরিক্ত কেমিক্যাল বা এলার্জি জনিত কারনে হতে পারে। যায়হোক একটু সতর্ক থাকলেই আর কোন সমস্যা নাই।
আমি এই ঈদে তেমন কোন মার্কেট করি নাই। শুধু বউকে কিছু মার্কেট করে দিয়েছি। সব কিছু কেনা কাটা করার পড়ে পছন্দের মেহেদী খুজতে লাগলাম। কয়েকটি দোকানে না পেয়ে,পরে কিনে দিবো একথা বলে বাসায় চলে আসি। দেখতে ঈদ চলে আসলা কিন্তুু মেহেদী আর কেনা হয়নি। শুক্রবারে যখন শুনলাম চাদঁ দেখা গেছে তখন ইফতার শেষ করে দৌড়ে মার্কেটে গেলাম। মার্কেটে গিয়ে বউয়ের পছন্দের নেহা ব্যান্ডের দুইটি মেহেদী নিলাম। গত দুই তিন বছর ধরে নেহা ব্যান্ডের মেহেদী গুলো ভালই চলছে। ব্যবহার করে ভালই কালার পাওয়া যাচ্ছে। এই মেহেদী গুলো হাতে পড়ে কারো কোন ক্ষতি হয়েছে,এমন খবর আমি এখনও পায় নি। আপনারা কেউ জানলে কমেন্ট করে জানাবেন।
মেহেদী আনার পরে বউ তো অনেক খুশি। মেহেদী হাতে পেয়ে প্রথম আমার হাতে পড়িয়ে দেওয়া শুরু করলো। আমি প্রতি ঈদেই আমার ছোট আপন,খালাতো,মামাতো,চাচাতো বোনদেরকে একটি করে মেহেদী কিনে দেয়। তারা মেহেদী পেয়ে অনেক খুশি হয়। এই ঈদে বাড়িতে যাওয়া হয়নি,আর তারা আমার কাছে থেকে মেহেদীও পায় নি। খুব মিস করেছি তাদেরকে। কিন্তুু কিছু করার নেই। বাস্তবতার কাছে আমি জিন্মি।
আমার মেহেদী পড়ার যে খুব বেশি শখ তা কিন্তু না। ঈদের সময় সবাই পড়ে। তাদের সাথে শখে শখে আমিও পড়ি। এই মেহেদী গুলো আবার খুব তারাতারি রং ধরে যায়। পাচঁ থেকে সাত মিনিটের মধ্যেই শুকিয়ে যায়। গাছের মেহেদী হলে শুকাতে একটু সময় লাগে। তাছাড়া গাছের প্রাকৃতিক মেহেদীর কালারটা ধীর্ঘদিন স্থায়ী হয়। এগুলো বেশি দিন স্থায়ী হয় না। এক সাপ্তাহ পড়েই উঠে যায়। শর্টকাট আনন্দের জন্য এগুলো পড়া হয়।
এক হাতে মেহেদী দিতেই প্রায় এক ঘন্টা সময়ের উপরে লাগছে। আমি কোন নির্ধারিত ডিজািইন দেয়নি। বউয়ের পছন্দ মতই একটি ডিজাইন করে দিয়েছে। আবার দেখলাম মাঝখানে দুইটি লাভ দিয়েছে। দুইটি লাভে দুই জনের নামের প্রথম অক্ষর অঙ্কন করেছে। সব মিলিয়ে মেহেদী পড়তে ভালই লেগেছে।
বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। কেমন হলো আমার আজকের অনুভূতি মূলক পোষ্টি অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভাল লাগবে। যদি কোথাও কোন প্রকার ভুল হয়,ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
বিষয় | ঈদ উপলক্ষে মেহেদী পড়ার অনুভূতি। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
ঈদ মোবারক ভাইয়া। আপনি আজ খুব সুন্দর একটি মেহেদী ডিজাইন শেয়ার করেছেন, যা ঈদে হাতে পরেছেন।তবে আমি ছেলেদের এভাবে ডিজাইন করে মেহেদী দিতে দেখিনি। 🫣খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভাল লাগলো।
জী আপু ডিজাইনটি আমার কাছেও অনেক ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনি ছেলে হয়েও হাতে এত সুন্দর মেহেদী ডিজাইন এঁকেছেন। আর আজকে ঈদের তৃতীয় দিন আমি এখন পর্যন্ত মেহেদী দিতে পারলাম না। অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া ডিজাইনটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। ঈদ উপলক্ষে আপনি অনেক সুন্দর একটি মেহেদি ডিজাইন আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু শায়ন বাবু যখন ঘুমিয়ে থাকবে তখন মেহেদী পড়ে নিবেন,হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।
ভাবি তো বেশ ভালোই মেহেদী ডিজাইন করতে পারে ৷ আপনার হাতে অনেক সুন্দর একটি ডিজাইন করে দিয়েছে ৷ অনেক সুন্দর হয়েছে ৷ ঈদে সবাই মেহেদি পড়ে , আপনিও পড়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ তবে বাস্তবতা কাছে আমার প্রায় হেরে যাই , এই ঈদে বাড়ি যেতে পারেনি জেনে একটু খারাপ লাগলো ৷ যাই হোক , ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর অনুভুতি শেয়ার করার জন্য ৷
জী ভাইয়া এই ঈদে বাড়ি যেতে না পেরে অনেক খারাপ লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঈদ মানে আনন্দ। হাতে মেহেদি লাগাতে পারলে আনন্দ বেশ বেড়ে যায়। আপনি হাতে মেহেদি ডিজাইন অনেক চমৎকারভাবে করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে হাতে মেহেদি লাগানোর অনুভূতি সত্যি বেশ অন্যরকম। এত সুন্দর মেহেদী ডিজাইন আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন। ঈদের সময় হাতে মেহেদী পড়তে অনেক ভাল লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঈদ উপলক্ষে হাতে মেহেদি পড়তে ভালো লাগে। যদিও আমি খুব একটা মেহেদি পড়ি না। তবে আপনি হাতে মেহেদি পড়েছেন দেখে সত্যিই ভাল লেগেছে ভাইয়া। লিস্টের প্রথমে হোক আর শেষে হোক ঈদের মার্কেটের লিস্টে মেহেদী থাকবেই। অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
জী আপু ঈদের লিষ্টে মেহেদী থাকবেই। মেহেদী ছাড়া ঈদ পূর্ণ হয় না। ধন্যবাদ আপু।
ঈদ উপলক্ষে আপনি বেশ সুন্দর মেহেদীর ডিজাইন পরেছেন হাতে দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি ঠিক বলছেন ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে ঘোরাঘুরি আসলে ঈদে ঘুরাঘুরি না করলে মজা বুঝা যায় না। ঈদের দিনের অনেক সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জী আপু ঈদের দিন মেহেদী পড়াও একটি আনন্দের অংশ। ধন্যবাদ আপু।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
ভাবি তো দেখছি আপনার হাতের মধ্যে খুবই সুন্দর মেহেদির ডিজাইন অংকন করে দিয়েছে। আবার দেখছি দুটি লাভ এঁকে দিয়ে সেগুলোর ভেতরে আপনাদের দুজনের নামের অক্ষরও দিয়েছে। আসলে এখন তো নেহা মেহেদী একটু বেশি চলতেছে। এখন মেহেদির প্রতিও সর্তকতা থাকা দরকার কারণ মেহেদীতে অনেক রকমের কেমিক্যাল ব্যবহার করার কারণে হাত ফুলে যায় এবং হাতের মধ্যে ইনফেকশন হয়ে যায়। সব মিলিয়ে অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে আপনার এই মেহেদী লাগার অনুভূতির পোস্ট।
জী আপু বর্তমানে সব কিছুতে ভেজাল। তাই মেহেদির প্রতিও সর্তকতা থাকা দরকার। ধন্যবাদ আপু।
এই ঈদে বাড়িতে যেতে না পারায় আপনার কাজিন্দেরকে মেহেদী কিনে দিতে পারেননি প্রতিবারের মতো।এটা কিন্তু ঠিকই বলেছেন শপিং শেষ করে মেহেদী কিনতে ভুলে গেলে আশেপাশের দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসি আমরা।ভাবী মেহেদী পেয়ে অনেক খুশি।আর মেহেদী ছাড়া তো ঈদ সম্পূর্ন হয় না।আপনার হাতের মেহেদী ডিজাইনটি ভালো লেগেছে।ভাবী বেশ ভালো মেহেদী দিতে পারেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু কাজিনদের মেহেদী কিনে দিতে না পেরে,খুব খারাপ লাগছে। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন মেয়েদের তুলনা ছেলেরা মেহেদী কম লাগায়। তবে অনেক মেহেদী আছে যেগুলো হাতে লাগালে ক্ষতি হয়। ঈদের সময় সবাই মেহেদি লাগাতে অনেক পছন্দ করে বিশেষ করে মেয়েরা এবং ছোট বাচ্চারা। প্রতি ঈদে আপনি আপনার চাচাতো বোন মামাতো বোন দেরকে মেহেদী কিনে দিতেন। আসলে সময়ের কারণে এইবার তাদেরকে মেহেদী কিনে নিতে পারেন নাই। তবে শুনে ভালো লাগলো লাভ চিহ্ন মধ্যে আপনাদের প্রথম অক্ষর খুব সুন্দর করে মেহেদী দিয়ে আর্ট করেছেন। সত্যি বলতে আপনার মেহেদি লাগানো ডিজাইনটি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগলো। এবং অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে মেহেদি লাগার আর্ট এবং অনুভূতি শেয়ার করেছেন।
জী আপু মেহেদী ডিজাইনটি আমার কাছেও অনেক ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।