পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন-তৃতীয় পর্ব ( নীল পানির কাপ্তাই লেক পাড়ি দেওয়া )
বাংলা ভাষাভাষীর মিলন মেলা-
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি আবার আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আমার পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন-তৃতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজকে আপনারা কাপ্তাই লেক পাড়ি দিয়ে সকালের নাস্তা করতে যাওয়ার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পারবেন।
আমি গত পর্বে আপনাদের মাঝে বলেছিলাম যে,আমরা ধীর্ঘ সাড়ে ঘন্টা জার্নি করে বিভিন্ন আঁকা বাঁকা রাস্তা পাড়ি দিয়ে অবশেষে কাপ্তাই লেকের পাড়ে এসে গাড়ি থেকে নামলাম। আমরা যে ফেসবুক গ্রুপের সাথে ভ্রমনে গিয়েছিলাম তারা আগে থেকেই যাওয়া আসার বাস,লেকে ভ্রমন করার নৌকা ও খাওয়া দাওয়া করার রেস্টুরেন্টের সাথে যোগাযোগ করে সব কিছু ঠিকঠাক করে রেখেছে। ঢাকাতে জ্যামের কারনে আমাদের বাস ছাড়তে দুই ঘন্টা দেরি হয়েছে। যার ফলে আমরা সকাল সাতটার জাগায় সকাল নয়টার সময় কাপ্তাই লেকের পাড়ে এসে পৌছলাম। সবাই অনেক ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত। তারাতরি নাস্তা না করলে চোখ ঝাপসা হয়ে আসবে।
গাড়ি থেকে নেমে শহীদ মিনার ভিউ পয়েন্ট দেখে আমাদের মন জুড়িয়ে গেলো। যদিও এডমিনের উপরে কিছুটা রাগ ছিল,তবে লেকের দৃশ্য দেখে সেই রাগ নিমিশে পানি হয়ে গেছে। আমি গাড়ি থেকে নেমেই চার পাশের কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়েছি। রাস্তার উপরে দাড়িয়ে কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েছি,সে গুলো উপরে দেখতে পাচ্ছেন। অনেক গুলো নৌকা ঘাটে বাঁধা আছে। মানুষ এই নৌকা দিয়ে কাপ্তাই লেক ভ্রমন করে থাকে। আগে যোগাযোগ করে গেলে নৌকা ভাড়া অনেক কম লাগে। আর গিয়ে ভাড়া করলে গলা কেটে দেয়। তাই যাওয়ার আগেই নৌকা ভাড়া করে নিলে ভালো হয়।
রাস্তা থেকে লেকের পানি পর্যন্ত অনেক গুলো সিড়ি দিয়ে বিশাল বড় একটি ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। বর্ষার সময় পানি অনেক উপরে চলে আসে। এখন যেহেতো চৈত্র মাস চলছে তাই খাল-বিল নদী-নালা লেক সব কিছুর পানি শুকিয়ে নিচে চলে যায়। এই কাপ্তাই লেকের পানিও অনেকটা শুকিয়ে গেছে। আমরা অনেক গুলো সিড়ি ভেঙ্গে নিচে চলে আসলাম। আমাদের সাথে বাসে করে সর্বমোট সাত চল্লিশ জন মানুষ এসেছে। সবাই ধীরে ধীরে আমাদের নির্ধারিত নৌকাতে প্রবেশ করছে। ছেলেরা যে যার মত করে ফটোগ্রাফি করছে। এই গুলো স্মৃতি হিসাবে থাকবে।
নৌকা রাঙ্গামাটি মেইন শহর ছেড়ে লেক পাড়ি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সবার যে যার মত করে উপরে নিচে বসে আছে। আমি কিছুক্ষন নিচে বসে তারপর নৌকার ছাদে চলে গেলাম। নৌকার ছাদ থেকে ভিউটা অনেক ভালো লাগে। যারা মেয়ে বা মহিলা গিয়েছে তারা নিচে বসে আছে। তারা আবার নৌকাতে উঠতে কিছুটা ভয় পায়। তাই তারা তাদের হাসবেন্ডের সাথে ভিতরে বসে সুন্দর্য উপভোগ করছে।
কাপ্তাই লেকের পানি অনেকটা নীল। সেই নীল পানি দেখতে দেখতে আমরা এগিয়ে যেতে লাগলাম। যাওয়ার পথে লেকের মধ্যে ছোট বড় অনেক গুলো দ্বীপ বা টিলা দেখতে পেলাম। আমার মনে হয় এটাকে লেক না বলে নদী বলা উচিত। এত বড় লেক আমি এই প্রথম দেখলাম। এই লেক পুরো রাঙামাটি জেলা ছড়িয়ে রয়েছে। একটি ভালো দিক হলো লেকটা খুবই পরিষ্কার। মাঝে মাঝে মনে হয় বিদেশের কোন লেকে ভ্রমন করছি।
পুরো লেক পাড়ি দিতে আমাদের প্রায় চল্লিশ মিনিটের মত সময় লেগেছে। অবশেষে বিশাল বড় লেক পাড়ি দিয়ে আমরা লেকের মাঝখানে অবস্থিত সেই রেস্টুরেন্টর নিকটে এসে লামলাম। আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন দ্বীপের চারপাশে প্রচুর গাছপালা বন জঙ্গল দেখা যায়। মাঝে মাঝে দুই একটি গাছ থেকে বানরের ডাক শুনা যায়। আমাদের মত আরো অনেক মানুষ কাপ্তাই লেকে ঘুরতে এসে এই খানে সকালের নাস্তা আর লাঞ্চ করে থাকে।
বন্ধুরা রেস্টুরেন্ট সহ আশে পাশের এড়িয়া নিয়ে আরো অনেক তথ্য সহ পরের পর্বে হাজির হবো। আমি প্রত্যেকটা পর্বে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করছি। অনেকের হয়তো সেখানে কখনো যাওয়া হবে না। তবে আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জায়গাটা কেমন সে বিষয়ে একটি ধারনা পাবেন। চতুর্থ পর্ব নিয়ে অতি তারাতরি হাজির হবো,ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন-তৃতীয় পর্ব ( নীল পানির কাপ্তাই লেক পাড়ি দেওয়া )।। |
স্থান | কাপ্তাই লেক, রাঙামাটি, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০১ /০৩ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভ্রমণ করতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। নৌকা থেকে এই পরিবেশটা ভীষণ ভালো লাগতেছে। পানি গুলো বিশেষ করে অনেক সুন্দর লাগছিল। আপনি অনেক সুন্দর একটা ভিউ নিয়েছেন। কাপ্তাই লেক এর কথা শুনেছি, খুব ইচ্ছা রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করা। আপনারা বেশ সুন্দর ভাবে লেক পাড়ি দিলেন। নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন। আপনাদের ভ্রমণ যাত্রা শুভ হোক।
জী ভাইয়া লেকের পানিটা দারুন ছিল। খুবই পরিষ্কার। ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। আপনার এই পোষ্টের মধ্য থেকে কিন্তু অনেক কিছু দেখার সুযোগ হলো ও জানার সুযোগ হল। খুব সুন্দর করে আপনি ফটোগুলো ধারণ করেছেন আর পোস্টের মাঝে বর্ণনার সাথে উপস্থাপন করেছেন এই পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে। নতুন পোস্ট আসার প্রত্যাশায় রইলাম।
জী ভাইয়া অনেক তথ্য দিয়ে ব্লগ গুলো শেয়ার করছি। সামনে চমক রয়েছে। ধন্যবাদ।
কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য বলে বাল দেখিয়ে শেষ করা যাবে না। আসলেই সৌন্দর্যগুলো দুচোখ দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে। কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমিও তিন থেকে চারবার রাঙ্গামাটি গিয়েছি। আর রাঙ্গামাটি গেলে কাপ্তাই লেকে ঘুরাঘুরি না করলে যেন মজাই পায়না। অসাধারণ কিছু দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে খুব ভালো লাগলো।
আপনি তিনচার বার গিয়ে থাকলে,আপনি তো সব কিছুই জানেন। দারুন উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ।
রাঙ্গামাটি জেলা টা অনেক সুন্দর। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে কাপ্তাই লেকে ঘুরাঘুরি করতে বেশি ভালো লাগে পাহাড়ের মাঝ দিয়ে লেক বেয়ে চলেছে তার নিজ গন্তব্যে। আপনার পোস্টে দেখে খুব ভালো লাগলো বেশি ইনজয় করেছেন এবং সাথে দারুন দারুন ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
জী ভাইয়া দুই পাশে পাহাড়,মাঝখান দিয়ে পানি দারুন লাগে। ধন্যবাদ।
আপনার রাঙ্গামাটি কাপ্তাই লেকে কাটানো মুহূর্ত দেখে মনে হচ্ছে অনেক পরিচিত। কারণ আমি কয়েকবার রাঙামাটি ঘুরতে গিয়েছি। অনেকদিন সেখানে থেকে অনেক জায়গায় ঘুরাঘুরি করেছি। এই নীল পানির কাপ্তাই লেক দেখতে সেই সুন্দর। যেটা আপনি উপভোগ করেছেন ভালো লাগলো খুবই সুন্দর মুহূর্ত ছিল । এই পর্বে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন ধন্যবাদ।
আপনি যদি সেখানে গিয়ে থাকেন,তাহলে তো সব কিছু আপনার পরিচিত। লেকে ঘুরতে দারুন লাগে। ধন্যবাদ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণের তৃতীয় পর্বটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। কাপ্তাই লেকের নীল পানির ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। কাপ্তাই লেক পাড়ি দেয়ার মুহূর্তটুকু আপনার জন্য নিশ্চয়ই অত্যন্ত আনন্দের ছিল। যাহোক অনেক সুন্দর একটি ভ্রমণের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া লেক পাড়ি দিতে দারুন লেগেছে। মন চাই বার বার যায়। ধন্যবাদ।
নীল পানির কাপ্তাই লেক পাড়ি দিয়েছেন শুনে খুবই ভালো লাগছে৷ আসলে রাঙ্গামাটির অনেকগুলো জায়গা রয়েছে যা খুব সুন্দর৷ সেই স্থানগুলো ভ্রমন করার মাধ্যমে একটি আলাদা ভালোলাগা কাজ করতে থাকে৷ আজকে আপনি এই লেকে গিয়ে এরকম সুন্দর কিছু মুহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন এবং খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
জী ভাইয়া আমরা বেশ কিছু জায়গা ঘুরেছি। দারুন লাগে,সব কিছু শেয়ার করবো,ইনশাআল্লাহ।