মৈনট ঘাট (মিনি কক্সবাজার) ভ্রমন পর্ব-০১
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমাদের অফিস পিকনিক নিয়ে প্রথম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আপনারা অনেকে হয়তো জানেন যে কয়েক দিন যাবৎ আমাদের অফিস থেকে পিকনিকের আয়োজন চলছে। পিকনিকের প্রস্তুুতি পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে পোষ্ট করেছিলাম। আজকে পিকনিকের মূল পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। সকালের নাস্তা আমরা নিজেরা তৈরী করে যাত্রা পথে বাসের মধ্যেই বিতরন করেছিলাম। আর দুপুরের খাবারের জন্য আমরা ইলিশ বাড়ি নামক একটি রেস্টুরেন্টে কনফার্ম করেছিলাম। গত বৃহস্পতিবারে আমরা পিকনিকের কিছু গিফট কিনেছি। কারন প্রতি বছরই আমরা সবাইকে লটারির মাধ্যমে কিছুনা কিছু গিফট দিয়ে থাকি। অনেক জাগায় দেখেছি একশত মানুষ থাকলে মাত্র ১০/২০ জন মানুষকে লটারির মাধ্যম গিফট দেওয়া হয়। কিন্তুু এটা আমাদের নীতির বিরোধী। কেউ পাবে,কেউ পাবে না,তা হবে না,তা হবে না।
একশত মানুষের টাকা দিয়ে মাত্র দশ বা বিশ জনকে খুশি করে, বাকিদের মনে কষ্ট দেওয়ার পক্ষে আমরা নই। তাই আমরা সবাইকে লটারির আওতায় এনে বৃহস্পতিবারে গিফট কিনেছিলাম। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গিফটের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে, রাইস কুকার, ব্লান্ডার মেশিন ও ফ্রাই প্যান। তাছাড়া বাকিদের জন্যও রয়েছে টিফিন বক্স, জগ, গ্লাসের বড় মগ, প্লেইট, রাইস বল সহ আরো অনেক কিছু। মোট বারো প্রকারের জিনিষ পত্র মিলিয়ে ১০৫ টি গিফট কিনেছিলাম।
তো সব কিছু নিয়ে গত কাল শুক্রবারে সকাল সাতটা পয়তাল্লিশ মিনিটে আমাদের গাড়ি ছাড়লো। যদিও আমাদের গাড়ি ছাড়ার ঘোষিত সময় ছিল সকাল সাতটা। কিন্তুু সবাইকে এক সাথে করতে পয়তাল্লিশ মিনিট সময় লেইট হয়ে গেছে। কোথাও যাওয়ার সময় এমই হয়। এক জন আসলে আরেকজন আসে না। দুই এক জন জামেলা করেই করে। যায়হোক আমরা দুইটি বিআরটিসি বাস ভাড়া করেছিলাম। ড্রাইভার সাহেব গুলোও অনেক দক্ষ ছিলো। যার ফলে গাড়ি দ্রুত গতিতে চলতে লাগলো। আমাদের একজন স্টাফ গুলিস্তান থেকে গাড়িতে উঠার কথা ছিল। সে আসতে আসতে আবার ২০ মিনিট লেইট হয়েছে। যায়হোক সবাইকে নিয়ে আমার বাবু বাজার ব্রিজের উপর দিয়ে চলতে লাগলাম। যদিও ধোলাই পার দিয়ে যাওয়া যেতো তবে যাত্রবাড়ির নিচে শুক্রবারে প্রচুর জ্যাম পড়ে। যার ফলে ঐদিক দিয়ে গেলাম।
শহর গ্রাম, নদী-নালা পাড়ি দিয়ে গাড়ি চলতে লাগলো। রাস্তাটা একটু চিকন তবে রাস্তা খুব ভালো ছিল। কোথাও কোন ভাঙ্গা ছিল না। সবাই খুব আনন্দ করতে করতে ভ্রমন করতে লাগলো। আরেকটি বিষয় হলো আমাদের দুই গাড়িতে সিট ছিল ৯০টি কিন্তুু আমরা লাষ্ট পর্যায়ে মানুষ হয়ে গেছিলাম ১০৫ জন। যার ফলে কিছু মানুষ সিট শেয়ার করে যেতে হয়েছে। আমরা লটরি দেওয়ার জন্য মাইক নিয়ে ছিলাম,মাইকে গান বাজিয়ে বাজিয়ে গেছি। এলাকাও অনেক সুন্দর। রাস্তার দুই পাশে কোথাও গাছ ছিল,আবার কোথাও জমি ছিল। সব মিলিয়ে পরিবেশটা দারুন ছিল।
গাড়ি চলতে চলতে আশি শতাংশ রাস্তা অতিক্রম করে ফেলছে, তখন সবাই একটি স্টোপিজ চাইলো। তারপর গাড়ি ১০ মিনিটের জন্য একটু দাড়ালো। সবাই নিজেদের জরুরী কাজ শেষ করে আবার গাড়িতে উঠলো। তারপর গাড়ি তার নিজ গতিতে চলতে লাগলো। প্রায় এগারোটার সময় আমাদের গাড়ি মৈনট ঘাটে গিয়ে পৌছলো। সেখানে আমরা একটি ট্রলার ভাড়া করলাম চরে যাওয়ার জন্য। সেখানে আমরা ইলিশ বাড়ি রেস্টুরেন্ট থেকে দুপুরের খাবার ট্রলারে করে নিয়ে নিলাম। সাথে সব গিফটও ট্রলারে নিলাম। ট্রলারটি মোটামুটি অনেক বড় ছিল। একশত পঞ্চাশজন মানুষ পারাপার হতে পারবে। আমরা গেলাম মাত্র ১০৫ জন। সাথে গাড়ির ড্রাইভারও ছিল। সেখানে গিয়ে আমরা সময়টা কিভাবে কাটালাম সেটা পরের পর্বে শেয়ার করবো, ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | মৈনট ঘাট (মিনি কক্সবাজার) ভ্রমন পর্ব-০১।। |
স্থান | মৈনট ঘাট,দোহার,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৬ /০২/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মৈন ঘাটে যাওয়ার বেশ ইচ্ছে আমার। কখনও ঐদিকটায় আমার যাওয়া হয় নাই। তবে আমিও কিন্তু আপনার সাথে একমত যে একজন কে খুশি করে অন্যদের কে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। বেশ ভালো করেছেন সবাইকে উপহার দিয়ে। আপনাদের পিকনিক নিশ্চয় বেশ ভালো হয়েছে। তাই তো আগামী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু এক সময় গিয়ে দেখে আসবেন। দারুন জায়গা। ধন্যবাদ।
মৈনট ঘাট মিনি কক্সবাজার নিয়ে আপনার ভ্রমন পোস্টটি দারুন লাগলো আমার কাছে। তবে মনে হচ্ছে সামনের পর্বটা আরো অসাধারণ হবে।
আমিও আপনার সাথে একমত, গিফট আসলে সবার পাওয়া উচিত। যাইহোক সবাই এগিয়ে যেতে যেতে মৈনট ঘাটে পৌঁছে গেলেন। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য।
জী ভাইয়া পরের পর্বে মূল চিত্র দেখতে পারবেন। ধন্যবাদ।
অফিসের পিকনিক নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ভালো লেগেছে পোস্টটি। আরো ভালো লেগেছে পিকনিকে অংশগ্রহণকারী সবাই যাতে লটারিতে গিফট পায় তার ব্যবস্থা দেখে।ঢাকার পাশেই মিনিকক্সবাজার খ্যাত পদ্মা পাড়ের মৈনট ঘাট নাকি অনেক সুন্দর। কখনো যাওয়া হয়নি। আপনার আগামি পোস্টে মৈনট ঘাটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিস্তারিত পাবো বলে আশা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জী আপু সবার জন্যই গিফটের ব্যবস্থা করেছি। সবাই অনেক খুশি হয়েছে। ধন্যবাদ।
খুবই ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে মিনিবক্সবাজারে এই ভ্রমনের পর্ব দেখে৷ খুব সুন্দরভাবে আপনি সবগুলো ফটোগ্রাফি এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন এবং সকলে মিলে এই স্থানে খুব ভালোভাবে পৌঁছাতে পেরেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো৷ একইসাথে আপনি এখানে খুব সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করছেন৷ পরবর্তী পর্বে দেখার আশায় রইল। অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া জায়গাটা অনেক ভালো লেগেছে। তাই ফটোগ্রাফি করেছি। ধন্যবাদ।
পিকনিকের মজা আসলে জার্নিতে ভাই। তবে এরকম কিছু মানুষ থাকে যারা নির্দিষ্ট সময়ের বেশ খানিকটা পরেই আসবে, এটা নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। তবে সবথেকে যে ব্যাপারটা আমার ভালো লাগলো, সেটা হল লটারি। আপনারা গোটা কয়েক মানুষকে লটারির পুরস্কার এর আওতায় না এনে, সবার জন্যই পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছিলেন এটা বেশ ভালো ব্যাপার । আপনাদের যাতায়াতের জন্য সিট সংখ্যা কম হয়ে গেছিল, এতে কিন্তু জার্নি অনেকটাই আনকম্ফোর্টেবল হয়ে যায়। তবে মোটামুটি পোস্ট পড়ে যতটা বুঝতে পারলাম, যতটা সময় আপনারা কাটিয়েছিলেন যথেষ্ট সুন্দর ভাবে, মজা করেই কাটিয়েছিলেন ।
জী ভাইয়া আমরা সব সময় সবার জন্য লটারির ব্যবস্থা করে থাকি। সবাই খুশি হয়। ধন্যবাদ।