বৃষ্টিময় ঈদ আনন্দ।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি আজকে আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লক শেয়ার করবো। আজকের ব্লগের মাধ্যমে আমি মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা পালনের অনুভূতি শেয়ার করবো।

ঈদ মানে আনন্দ,ঈদ মানে খুশি। ঈদ মানে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে একে অপরকে আপন করে নেওয়া। ঈদ মানে ধনী গরিব সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঈদগাহে যাওয়া। ঈদের নামাজ পড়া এবং সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন করা। ঈদ আমাদেরকে মহান হতে শেখায়, ঈদ আমাদেরকে অহংকার বর্জন করতে শিখায়, ঈদ আমাদেরকে দয়ালু হতে শেখায়, ঈদ আমাদেরকে ধৈর্যশীল হতে শেখায়।

আপনারা সবাই জানেন যে গত এক সপ্তাহ যাবৎ বাংলাদেশের প্রত্যেকটি এলাকায় প্রতিটি জেলায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সাথে পবিত্র ঈদুল আযহার দিনেও বৃষ্টিপাত হয়েছিল।আমরা সাধারণত সব সময় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকি তবে এবছর বৃষ্টির কারণে আমাদেরকে নিজ নিজ পাড়া মহল্লার মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে।

ঈদগাহে গিয়ে নামাজ পড়তে না পারলে তেমন কোন আনন্দ পাওয়া যায় না।কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যে সিদ্ধান্ত নেয় তার ওপর কারো কোন দ্বিমত থাকতে পারে না।তিনি চেয়েছিলেন আমরা এ বছর যেন মসজিদে নামাজ পড়ি। সে জন্যই তিনি বৃষ্টি দিয়েছেন। যাই হোক আমাদের এলাকার মসজিদে সকাল আটটার সময় ঈদের নামাজ শুরু হয়। আটটার সময় নামাজ শুরু হবে সেই এলান গতকাল রাতেই মসজিদের মাইক দিয়ে বলে দেওয়া হয়েছে। আমি সকাল সাতটার সময় ঘুম থেকে উঠে গোসল করে অল্প একটু সেমাই খেয়ে নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে চলে গেলাম।

ঈদের নামাজ শুরু হওয়ার পূর্বে মসজিদের ইমাম সাহেব হুজুর অনেক আমি দামি কিছু কথা বলেছেন।যদি আমরা সেগুলো মেনে চলতে পারি তাহলে আমাদের জীবন পূর্ণময় হয়ে উঠবে।হুজুর একসময় খুব দামি একটি কথা বলেছিলেন এ কথাটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, সে কথাটি হলো ঈদ মানে শুধু পশু কোরবানি দেওয়া নয়,পশুর সাথে নিজের অহংকারকে কোরবানি দেওয়ার নাম হল পবিত্র ঈদুল আযহা। আমরা ঈদ পালন করি ঠিকই কিন্তু ঈদের শিক্ষা গ্রহণ করি না। হুজুর ঠিক কথাই বলেছেন। হুজুরের নির্দেশ মোতাবেক আমাদের জীবনকে পরিচালিত করা দরকার। তাহলে আমাদের জীবন সুন্দর হয়ে উঠবে।

ঘড়ির কাটায় যখন ঠিক আটটা বাজে তখন ঈদুল আযহার নামাজ শুরু হয়ে গেল। নামাজ শেষ করে খুতবা দেওয়া হল তারপর পৃথিবীর সমস্ত মানুষের জন্য কল্যাণ কামনা করে অনেক লম্বা করে দোয়া করা হলো।

দোয়া শেষ করে সবাই একে অপরকে বুকে টেনে নিলো। মানে কোলাকুলি করলো। তারপর সবাই বের হয়ে মসজিদের সামনের কবরস্থানের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।সেখানে গত হওয়া পূর্বপুরুষদের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হলো। তারপর শুরু হলো পশু কোরবানির করার পালা।

এ বছর ঈদের মধ্যে আমাদের কোরবানি করার জন্য এক লাখ বিশ হাজার টাকা দিয়ে একটি মহিষ কেনা হয়েছে।সবার খুব শখ মহিষ কুরবানী করবে। তাই এ বছর মহিষ কিনা হয়েছে। মহিষ জবাই করার এক থেকে দেড় ঘন্টা পরে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল তারপর উপরে প্লাস্টিকের তিরপল দিয়ে কাজ শেষ করা হয়েছে।

আমার এক বন্ধু এই বছর কোরবানি দেওয়ার জন্য একটি ভেড়া ক্রয় করেছে। তার ভেড়াটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এমন ভেড়া আমাদের দেশে খুব কম দেখা যায়।সবমিলে আজকের দিনটি খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই অতিক্রম হয়েছে।

বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই,আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে,ততদিন পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।