সাতটি রেন্ডম ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি এ্যালবাম।।

হ্যালো বন্ধুরা,
আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আমি প্রতিদিন একটি করে ব্লগ শেয়ার করার চেষ্টা করি। আমার আজকের ব্লগের বিষয় হলো ফটোগ্রাফি। সাতটি রেন্ডম ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকের ব্লগটি সাজিয়েছি। ফুল হলো ভালবাসার প্রতিক। আশা করি আপনারাও ফুলকে ভালবাসেন।

কিছুদিন আগে আমি এক জাগায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। একদিন বিকাল বেলা সবার সাথে রাস্তায় হাটতে বের হয়েছিলাম। আমার সাথে আমার ওয়াইফ সহ আমার বড় আপু ও ভাগিনা-ভাগনি ছিল। আমি রাস্তা দিয়ে হাটার সময় যেখানেই ফুল বা সুন্দর কিছু দেখি সেটাই ফটোগ্রাফি করি। তখন আমার ভাগিনা আর ভাগনি বলে মামা আপনি এত ছবি তুলে কি করবেন। আমি বলেছিলাম এগুলো দিয়ে আমার বাংলা ব্লগে পোষ্ট করবো। তারা বললো সেটা আবার কি। তখন আমি তাদেরকে স্টিমিট সম্পর্কে বুঝিয়ে বলেছিলাম। আর আমার বাংলা ব্লগ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনাও দিয়েছিলাম। তারা তখন বলে ছিলো আমরাও স্টিমিটে কাজ করবো। আমি তখন তাদেরকে বলেছিলাম সামনে তোমাদের পরিক্ষা আছে। পরিক্ষা শেষ করো তখন আমিই তোমাদেরকে স্টিমিটে কাজ করার ব্যবস্থা করে দিবো।

তখন তারাও খুব উৎসাহ নিয়ে যেখানে ফুল দেখেছে সেখানেই ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছে। স্টিমিটে কাজ করার জন্য তারা ফটোগ্রাফি জমা করছে। তাদের আগ্রহ দেখে আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। তাদের পরিক্ষা শেষ হলে আমার বাংলা ব্লগে কাজ করার সুযোগ করে দিবো। আশা করি তাদের মাধ্যমে নতুন কিছু দেখতে পারবো। এভাবেই ধীরে ধীরে এক পা দু পা করে কোটি কোটি মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়বে আমার বাংলা ব্লগের খবর। চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখা যাক।

এটি হলো ক্যাকটাস ফুল। এই ফুলটির বৈশিষ্ট অন্য কোন ফুলের সাথে মিলে না। ক্যাকটাস ফুল নিজস্ব বৈশিষ্ট নিয়ে পৃথিবীতে ফুটে আছে। ক্যাকটাস ফুলের প্রধান বৈশিষ্ট হলো কাঁটা। কাঁটা থাকলেও ফুলটি দেখতে খুবই ভাল লাগে। অনেকে শক করে বাসা বাড়ির ভিতরে এই কাটা যুক্ত ক্যাকটাস কে জায়গা দেয়। এই ফুলের গাছটি মাঝে মাঝে অদ্ভুত আকার ধারন করে।

মাইক ফুলের মত দেখতে এই ফুলটির নাম আমার অজানা। হলদের মধ্যে পিংক কালারের রংটা দারুন ভাবে ফুটে উঠেছে। এগুলো কোন বানিজ্যিক ভাবে চাষ হয় না। বিভিন্ন বাগানে বা রাস্তার পাশে বেশি দেখা যায়। ফুল গুলোতে তেমন কোন ঘ্রানও পেলাম না। এই গুলো যেমন তারাতারি ফুটে আবার তারাতারি জড়ে যায়।

এই ফুলটি অবশ্য সবাই চিনবেন এটি হলো ডালিম ফুল। পাহাড়ের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় এই ফুলের ফটোগ্রাফিটা করেছিলাম। তখনো ডালিম ঠিক ভাবে বড় হয়নি। শুধু ফুল থেকে বের হয়ে ডালিম গুলো বড় হতে শুরু করেছে। যদি গাছে ডালম থাকতো তাহলে ডালিমের ফটোও নিতাম। ডালিম খুবই ভিটামি যুক্ত একটি ফল।

সবার প্রিয় ও অতি পরিচিত একটি ফুল। যার নাম কৃষ্ণচূড়া। এই ফুলটি সব সময় গাছের চূড়ায় থাকে তাই হয়তো নাম দিয়েছে কৃষ্ণচূড়া। এক এলাকায় একটি গাছ থাকলেই যথেষ্ট। সারা এলাকা সেই ফুলের ঘ্রানে মাতোয়ারা হয়ে থাকে। এগুলো বেশি অংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এরিয়াতে দেখা যায়। গাছ গুলা মাথা উচু করে দাড়িয়ে চারপাশ আলোকিত করে রাখে।

এটি আরেকটি বন্য ফুল। শুধু যে বাগানে সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে তা না। মাঝে মাঝে রাস্তার পাশেও সুন্দর ফুল দেখা যায়। তবে নামটি জানি না। এত ফুল দেখা যায় কয়টার নাম মুখস্ত রাখা যায়। আমার নলেজ আবার এত শক্তিশালী না। যে এক দুই বার শুনলেই মনে থাকবে। কয়েক শতবার পড়েও পড়া মুখস্থ থাকে না। এত গাদার গাদা হয়েছি। মাঝে মাঝে নিজেই নিজেকে গালি দেয়,হা হা হা।

রাস্তার পাশের আরেকটি সুন্দর ফুল হলো কলমি ফুল। আমাদের দিকে কলমি ফুল বলা হয় আপনাদের দিকে কি বলা হয় সেটা জানি না। এই গাছ গুলো অনেক লম্বা লম্বা হয়। একটি গাছে অনেক গুলো ফুল আসে। সাদার মধ্যে পিংক কালারটা দেখতে খুবই ভাল লাগে। গ্রামের রাস্তায় এগুলো প্রচুর দেখা যায়। বিশের করে বর্ষার মৌসুম আসার আগে বেশি দেখা যায়।

বন্ধুরা আজকে এপর্যন্তই,আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। আশা করি আমার আজকের আয়োজনটা আপনাদের কাছে ভাল লাগবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো সংগ্রহ করেছি। সত্যি কথা বলতে ফটোগ্রাফি করতে ভালই লাগে। পিংক কালার আর সাদা কালারের ফুল গুলো বেশি সুন্দর লাগে। আপনাদের কাছেও ফুলের ফটোগ্রাফি আশা করি।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।