ডিজিটাল আর্ট।। চিংড়ি মাছের চিত্র অঙ্কন ।।
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করে নেবো। আজকে আপনাদের সাথে একটি চিংড়ি মাছের চিত্র অঙ্কন শেয়ার করবো। চিত্রটি করেছিলাম বেশ কয়েক দিন আগে। শেয়ার করবো কি না ভেবে ভেবে আর শেয়ার করা হয়নি। অনেক চিন্তা ভাবনা করে আজকে শেয়ার করতে বসলাম।
আমার ইদানিং যেটা যেটা দেখি সেটাই অঙ্কন করতে মন চাই। বেশ কিছুদিন আগে বৃষ্টিতে ছাতা নিয়ে একটি মেয়ের হেটে যাওয়া দেখে সেই চিত্রও অঙ্কন করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজকেও তেমন ঘটনাই ঘটেছে। কিছু দিন আগে বাজারে গিয়েছিলাম মাছ কিনতে। বাজারে বড় বড় চিংড়ি মাছ দেখে পছন্দ হয়ে যায়। চিংড়ি মাছ আবার আমার অনেক প্রিয়। মোটামুটি সবার প্রিয় মাছের তালিকাতেই চিংড়ি সোনা চাঁন থাকে। সেই জন্য ব্যবসায়ীরাও প্রচুর দাম চাই। যতই মোলামুলি করা হয় না কেন তারা সোনা চাঁন চিংড়ি মাছের দাম ছাড়ে না। দাম শুনে মনে হয় চিংড়ি মাছ নয় যেন হীরার টুকরা। যায়হোক অনেক দর কষাকষি করে অবশেষে সাড়ে চাড়শো টাকা দিয়ে হাফ কেজি বড় চিংড়ি মাছ এনেছিলাম। খুব মজা করেই মাছ গুলো খেয়েছি। বাজারে সেই যে বড় বড় চিংড়ি মাছ দেখলাম এখন চিংড়ি মাছ অঙ্কন করার ইচ্ছা জাগলো। কি আর করবো অবশেষে রাতের বেলা গ্রাফিক্সের মাধ্যমে চিংড়ি মাছ অঙ্কন করে ফেললাম। আজকে সেই চিংড়ি মাছের চিত্রটিই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
প্রয়াজনীয় উপকরন

- ল্যাপটপ
- এডোবি ইলাস্ট্রেটর সি সি ফটওয়্যার
এবার ধাপে ধাপে অঙ্কনের প্রক্রিয়া দেখানো হলো
প্রথম ধাপ-
প্রথমে নিজের সুবিধা মত সাইজ নিয়ে একটি আর্টবোর্ড নিলাম। তারপর টোলবার থেকে পেন টোল দিয়ে চিংড়ি মাছের হাত গুলো অঙ্কন করে নিলাম। হাত বলছি এই কারনে যে মাঝে মাঝে এই হাত দিয়ে কাঁকড়ার মত আঘাত করে। চিংড়ি মাছের এই হাত গুলো আবার তেলে ভেজে খেতে দারুন লাগে। অঙ্কনের মধ্যে আবার খাওয়ার কথা ঢুকিয়ে দিলোম। বাঙ্গালীরা শুধু খাওয়ার পাগল।
দ্বিতীয় ধাপ-
অল্প একটু অঙ্কন করে ব্লাক কালার করে দিলাম। কালার আগেও দেওয়া যায় আবার পরেও দেওয়া যায়। যে অঙ্কন করে তার ইচ্ছা মত যে কোন কালার দেওয়া যেতে পারে। কারন কালার যে কোন সময় পরিবর্তন করা যায়।
তৃতীয় ধাপ-
তারপর চিংড়ি মাছের চোখ আর শরীরের কিছু অংশ অঙ্কন করলাম। আমি ঠিক ভাবে বুঝার জন্য শরীরের অংশটা দুই ভাগে অঙ্কন করলাম।
চতুর্থ ধাপ-
শরীরের যে অংশটা অঙ্কন করেছি সেটার মধ্যেও ব্লাক কালার করে দিলাম।
পঞ্চম ধাপ-
চিংড়ি মাছ সাধারনত সোজা থাকে না। জীবিত হোক বা মৃত সে গুলো তারাতারি বাঁকা হয়ে যায়। সেজন্য আমি শরীরের অংশটা বাঁকা করেই অঙ্কন করেছি।
ষষ্ট ধাপ-
তারপর ঠিক আগের মত করে ব্লাক কালার করে দিলাম। চিংড়ি মাছ অঙ্কনটা একটু ভিন্ন ধরনের হয়েছে।
সপ্তম ধাপ-
এই পর্যায়ে পেন টোল দিয়ে চিড়ি মাছের লেজটা অঙ্কন করলাম। চিংড়ি মাছের লেজ মনে হয় তিন অংশেই থাকে।
অষ্টম ধাপ-
তারপর লেজের মধ্যেও ব্লাক কালার করে চিংড়ি মাছের অঙ্কন শেষ করে দিলাম।
নবম ধাপ-
ব্লাক কালার দিয়ে অঙ্কন করার পর চিন্তা করলাম অন্য একটি কালার দিয়ে দেখা যাক। তারপর প্রথম অংশটার মধ্যে রেড কালার দিলাম।
দশম ধাপ-
প্রথম অংশে রেড কালার দিয়ে ভালই দেখা যাচ্ছে। তাই সম্পূর্ণ চিংড়ি মাছের মধ্যে রেড কালার দিয়ে দিলাম।
দশম ধাপ-
এবার দেখালাম চিংড়ি মাছের পা নেই। পা ছাড়া আবার চিংড়ি মাছ হয় না কি। কয়েকটি পা অঙ্কন করে রেড কালার করে দিলাম।
একাদশ ধাপ-
পা গুলো অংঙ্কন করার পরে দেখতে ভালই দেখাচ্ছে। তাই সামনের দিকে আরো কিছু পা অঙ্কন করে রেড কালার করে দিলাম।
দ্বাদশ ধাপ-
রেড কালার থেকে অরেন্জ কালারটা বেশি সুন্দর লাগছে। তাই শরীরের দুই অংশে দুই কালার করে দিলাম। আমার শখের চিংড়ি মাছ অঙ্কনের কাজ শেষ।
উপস্থাপনা।

বন্ধুরা এটা হলো আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের কাছে ভাল লাগবে। আবার নতুন কিছু নিয়ে আগামীকাল হাজির হবো। ততদিন পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। সেই কামনা করে বিদায় নিলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
চিংড়ি মাছ আমারও অনেক পছন্দ । আমার পছন্দের চিংড়ি মাছটি আপনি ডিজিটাল আর্ট করে ফেললেন ।আমিতো প্রথমে দেখে মনে করেছি আপনি কাগজ দিয়ে তৈরি করেছেন পরে দেখলাম যে আপনি ডিজিটাল আর্ট করেছেন । কালারটা কিন্তু অনেক সুন্দর এসেছে ভাইয়া ।
আপু আমি পেন্সিল দিয়ে আর্ট করেতে পারি না। তবে গ্রাফিক্স হলে সব পারি। ধন্যবাদ আপু।
চিংড়ি মাছের ডিজিটাল আর্ট খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। ডিজিটাল আর্ট করার প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে খুব চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। চিংড়ি মাছ দেখে বাস্তবের মত মনে হচ্ছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জী ভাইয়া লাষ্টের কালারটা অনেক যাচাই বাছাই করে চয়েজ করেছিলাম। যার ফলে সত্যিকারের চিংড়ির মত লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
চিংড়ি মাছের অনেক চমৎকার ডিজিটাল ড্রইং করেছেন যদিও আমি ডিজিটাল ড্রইং খুব একটা বেশি বুঝি না তবে আপনার আউটপুটটি দেখে ভালই লাগছিল ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু উৎসাহ মূলক কমেন্ট করেছেন।
আপনি চিংড়ি মাছের খুব সুন্দর ডিজিটাল আর্ট করেছেন। আপনার এত সুন্দর আর্ট দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। চিংড়ি মাছের কালার কম্বিনেশন অসাধারণ হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর আর্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু অনেক চিন্তা ভাবনা করে চিংড়ি মাছের আর্ট করেই ফেললাম। ধন্যবাদ আপু।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে চিংড়ি মাছের দারুণ একটি চিত্র প্রস্তুত করেছেন দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে।
কালারটা দারুন ফুটেছে।
চিত্র প্রস্তুত এর ধাপ গুলো খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন ।শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া। কমেন্ট পড়ে কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে।
আপনার মত চিংড়ি মাছ আমারও খুবই পছন্দের। আপনি বাজারে গিয়ে তো ভালো হয়েছে চিংড়ি মাছ দেখে চিংড়ি মাছ আর্ট করার কথা মাথায় চলে এসেছে। যাইহোক আজকের চিংড়ি মাছের ডিজিটাল আর্টটি কিন্তু খুবই চমৎকার হয়েছে। একেবারে সত্যিকারের চিংড়ি মাছের মত লাগছে। ধাপগুলো সুন্দর দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু বাজারে গিয়ে বড় বড় চিংড়ি দেখে মাথায় আসলো চিংড়ি মাছ আর্ট করার। ধন্যবাদ আপু।
বর্তমান সময়ে শুধু চিংড়ি মাছ কেন সবকিছুর দাম অনেক বেশি। তবে সাগরে যেহেতু কিছু দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিলতাই সব মাছের দাম অনেক বেশি ছিল। বিশেষ করে আপনি ঠিক বলছেন চিংড়ি মাছের দাম অনেক বেশি ছিল। তবে আপনি সুন্দর একটি ডিজিটাল আর্ট করলেন চিংড়ি মাছের অনেক সুন্দর হয়েছে। মন চাইছে যে ডিজিটাল আর্ট থেকে চিংড়ি মাছ দুটো নিয়ে ভেজে খেয়ে ফেলি হি হি হি।
জী আপু এখন সাগরে মাছ ধরার অনুমিত দিয়েছে। দেখা যাক কি হয়। ধন্যবাদ আপু।
ওয়াও অসাধারণ আপনি খুব চমৎকারভাবে ডিজিটাল আর্টের মাধ্যমে চিংড়ি মাছ অংকন করেছেন। তবে চিংড়ি মাছ আমারও অনেক প্রিয়। সত্যি বলতে আপনার ডিজিটাল আর্টের চিংড়ি মাছ দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তবে আমি এখনো ডিজিটাল আর্ট করি নাই। ডিজিটাল আর্ট গুলো দেখলে আমি শুধু হা করে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে চিংড়ি মাছের ডিজিটাল আর্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
জী আপু যার কাছে যে জিনিষটা প্রিয় তার কাছে সেটা দেখলেই ভাল লাগে। ধন্যবাদ আপু।
আপনি খুব নিখুঁতভাবে ডিজিটাল আর্টের মাধ্যমে চিংড়ি মাছের চিত্র অঙ্কন করেছেন। ডিজিটাল আর্টগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে আপনার চিংড়ি মাছের কালারটা একটু ভিন্নরকম হয়েছে। তবে চিংড়ি মাছ আমার অনেক প্রিয় একটি মাছ। বাজারে অতিরিক্ত দামের কারণে মাছগুলো এখন খাওয়া হয় না। বিদেশ থাকা কালীন সাপ্তাহে প্রায় সময় চিংড়ি মাছ খেতাম। সত্যি বলতে আপনার ডিজিটাল আর্ট দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক সুন্দর করে ডিজিটাল আর্টের মাধ্যমে চিংড়ি মাছের চিত্র অঙ্কন করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া চিংড়ি মাছটা একটু ভিন্ন ভাবে আর্ট করার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।