চাঁদা বা চান্দা মাছের চচ্চরি রেসিপি।।
আসসালামু আলাইকুম,
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। প্রতিদিনের মত আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের পোষ্টের বিষয় হলো চমৎকার স্বাদের চাঁদা বা চান্দা মাছের চচ্চরি রেসিপি। চলুন নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করছি।
বন্ধুরা আমাদের বাজারে কয়েক প্রকারের চান্দা মাছ দেখা যায়। যেমন নামাচান্দা,ফলিচান্দা। যে চান্দা গুলো লম্বা হয় সেগুলো হলো নামা চান্দা আর যে চান্দা গুলো দেখতে কিছুটা গোল আকৃতির হয় সে গুলো ফলিচান্দা। মাছ গুলোকে যে নামেই ডাকা হয় না কেন খেতে কিন্তু অনেক স্বাদ। চান্দা মাছ সাধারনত সব পানিতেই জন্ম নেয় খাল, বিল, পুকুর, নদী, সমুদ্র সব জাগায় এই চান্দা মাছ গুলো দেখা যায়। আমি গত মাসে বাড়িতে গিয়েছিলাম। আসার সময় আম্মু আমাদের পুকুরের কিছু চান্দা মাছ সাথে দিয়েছিল। আমি রমজানের শেষ দিকে রেসিপিটা করে ছিলাম। তবে শেয়ার করা হয়নি। তাই আজকে শেয়ার করলাম।
এই মাছ গুলো যে কোন সবজি দিয়েও রান্না করা যায়। বেগুন দিয়ে রান্না করলে হাত সহ পেটে চলে যেতে বাধ্য ! হা হা হা। যে কোন মাছ, অনেক প্রকারে রান্না করা যায় বা খাওয়া যায়। তবে অনেক মাছের প্রথম রান্না মানেই চচ্চরি বা ভাজি। মাছ ভাজি খেতে কার না ভাল লাগে। মাছের প্রকৃত স্বাদ পেতে চচ্চরি বা ভাজির উপরে কোন কথা নেই। আজকের রেসিপিটি খুব সহজে করে ফেলেছি। চলুন নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরন-

- চান্দা মাছ
- পেঁয়াজ কুচি
- রসুন বাটা
- কাচাঁ মরিচ
- লবন
- হলুদের গুড়া
- জিরা গুড়া
- মরিচের গুড়া
- সয়াবিন তেল
- পানি
ধাপে ধাপে চান্দা মাছের চচ্চরি রেসিপি তৈরীর বিবরণ দেখানো হলো:-

প্রথমে একটি প্লেটে চান্দা মাছ গুলো নিয়ে, সে গুলোর সাথে পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা ,কাচাঁ মরিচ, লবন হলুদের গুড়া ,জিরা গুড়া ,মরিচের গুড়া সব মসলা এক সাথে মিক্স করে নিলাম।
তারপর একটি কড়াইতে পরিমান মত তেল দিয়ে দিলাম। তেল কিছুটা গরম হলে মসলা দিয়ে মিক্স করে রাখা মাছ গুলো কড়াইতে দিয়ে দিলাম।
তারপর সব গুলো মাছ কিছুক্ষন নেড়ে চেড়ে হালকা একটু পানি দিয়ে দিলাম। পানি দিলে মাছ গুলো সিদ্ধ হতে সহজ হবে। পানি ছাড়া আবার কোন কিছু সিদ্ধ হয় না।
চার থেকে পাচঁ মিনিট পরেই মাছ গুলো সিদ্ধ হয়ে পানিটা শুকিয়ে গেল। এখন নামিয়ে নিলেও খাওয়া যেত। কিন্তুু আমি শুকনা শুকনা ভাজি করার চিন্তা করলাম। তাই আরো কিছুক্ষন রেখে দিলাম।
অল্প কিছুক্ষন পরেই পানিটা একেবারে শুকিয়ে গেছে। মাছ গুলো ধারুন ভাবে ভাজা ভাজা হয়েছে। খেতে ধারুন স্বাদ লাগবে। মাছ গুলো এই অবস্থায় রেখে রান্না শেষ করে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
পরিবেশন
বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। কেমন হলো আমার আজকের চাঁদা বা চান্দা মাছের চচ্চরি রেসিপিটি অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভাল লাগবে। যদি কোথাও কোন প্রকার ভুল হয়,ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
| ডিভাইস | মোবাইল |
|---|---|
| মডেল | রেডমি নোট-৮ |
| রেসিপির নাম | চমৎকার স্বাদের চাঁদা বা চান্দা মাছের চচ্চরি রেসিপি |
| স্থান | নিজের বাসা |
| কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
| ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP


























যে কোনো মাছের চচ্চড়ি আমার খুব ভালো লাগে খেতে। আজ আপনি খুব সুন্দর করে চান্দা মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন। চচ্চড়ি তৈরি করার প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে বুঝে যাচ্ছে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ।
জী ভাইয়া রেসিপিটা খেতে ধারুন হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
নদীর ছোট মাছ বরাবরই আমার অনেক ফেভারিট বিশেষ করে যদি আলু এবং বেশি করে পেঁয়াজ দিয়ে চুর চুরি করা হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই।
চাঁদা মাছের রেসিপি দেখে খুব লোভ হচ্ছে এমন রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে দেখে জল চলে আসলো।।
জী ভাইয়া নদী খাল বিলের যেকোন মাছই অনেক স্বাদ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
চান্দা মাছ আমার খুবই পছন্দের। চান্দা মাছ দিয়ে এভাবে চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করলে তা খুবই সুস্বাদু হয় এবং খেতেও ভীষণ ভালো লাগে। যেকোনো মাছ দিয়ে এভাবে চচ্চড়ি রেসিপি রান্না করলে সবাই পছন্দ করে খেতে। আপনার রেসিপির কালার কম্বিনেশন ও খুবই ভালো ছিল যা দেখে বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে এটি। সম্পূর্ণটা তৈরি করেছেন খুবই সুন্দর ভাবে ধাপগুলো ও ভালো ছিল।
জী ভাইয়া চান্দা মাছ সাধারনত এভাবে চচ্চরি করেই বেশি খাওয়া হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
চাঁদা বা চান্দা মাছের চচ্চরি রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া যথার্থ মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
চান্দা মাছে প্রচুর কাটা তাই রান্না করে খেলে কাটা বেশি হয়। এভাবে ভেজে খেলে মুচমুচে করে অনেক মজার হয়।এমন মাছ ভাজা করে গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক মজার হয়। অনেক ভাল লেগেছে আপনার রেসিপি।
জী আপু ঠিক বলেছেন এভাবে মুচমুচে করে খেতে ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপু।
চাঁদা বা চান্দা মাছের চচ্চরি রেসিপিটি বেশ মজাদার হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। রেসিপিটির কালার বেশ চমৎকার এসেছে। বেশ চমৎকার উপস্থাপনার মাধ্যমে আপনার রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
জী আপু চান্দা মাছের চচ্চরি রেসিপিটি ধারুন স্বাদ হয়েছিলো। ধন্যবাদ আপু।
চান্দা মাছের চচ্চড়ি রেসিপি অনেক দিন পর দেখলাম। এই রেসিপিটা অনেক দিন আগে খেয়েছিলাম। চান্দা মাছে কাটা বেশি হলেও খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। আমার কাছে ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে বেশ ভালোই লাগে। রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া ছোট মাছে অনেক ভিটামিন আছে আবার খেতেও স্বাদ লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বেগুন দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। চান্দা মাছের চচ্চরি রেসিপি দারুন হয়েছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে ভালো হয়েছে। মজার একটি রেসিপি শিখতে পারলাম ভাইয়া। এই রেসিপি অনেক ভালো লেগেছে।
জী আপু বেগুন তরকারিটা সত্যিই অনেক স্বাদ। ছোট বড় যে কোন মাছ দিয়েই খাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপু।
চাঁদা মাছের চচ্চড়ি রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব ভালো হয়েছিল।রান্নার প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপনি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে কমেন্ট করেছেন। ধন্যবাদ আপু।