সিলেট ভ্রমন দ্বিতীয় পর্ব। যাওয়ার পথে প্রাকৃতিক সুন্দর্য দর্শন।
আস্সালামু আলাইকুম / নমস্কার / আদাব
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভাল আছি। খুব সুন্দর একটি সময় উপভোগ করতেছি। সিলেট সত্যিই সুন্দর একটি জায়গা। যে দিকে তাকায় প্রকৃতির সুন্দর্য দেখে মন ভরে উঠে। চার দিকের গাছ পালা,রাস্তা ঘাট,পাহাড় সব কিছুই দেখার মত। এসব সুন্দর্য যে কোন মানুষের মন ভাল করে দিতে বাধ্য। চলুন যাওয়ার পথে সংগ্রহ করা কিছু প্রকৃতিক ফটো শেয়ার করি।
সকাল ছয়টা বাইশ মিনিটে আমাদের পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেটের উদ্যেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসার পথে তেমন কোন সুন্দর কিছু দেখতে পেলাম না। আর এই রাস্তাটা আমার পূর্ব পরিচিত। আপনারা হয়তো ভৈরব সেতুর নাম শুনেছেন। ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত আসার সময় এই সেতুটি দেখা যায়। সেতুটি মেঘনা নদীর উপরে অবস্থিত। নদীতে এখন পানি অনেক কম। আর পানিও অনেক গুলাটে। এই নদীর উপরেই সর্ব প্রথম ডাবল রেল সেতু নির্মান করা হয়েছে। আমি ট্রেনে বসে কয়েকটি ফটো নিয়েছিলাম। ট্রেনে বসে ফটো তেমন সুন্দর আসে না। তারপরও মোটামুটি ক্লিয়ার এসেছে।
Device Redmi Note-8
আমি অনলাইন থেকে সর্বমোট ছয়টি টিকেট সংগ্রহ করেছিলাম। দুইটি দিয়ে আমরা এসেছি আর চারটি টিকেট দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসেছিল আমার বড় ভাইয়া আর ভাবি এবং আমার ছোট শালা আর শালিকা। তারা সবাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উঠেছিল। তারা ট্রেনে উঠার সময় বাসা থেকে অনেক প্রকার খাবার নিয়ে এসেছিল। আমরা তো ট্রেন থেকে কিনে চিপস,আচার,চানাচুর এটা সেটা অনেক কিছু খেয়েছি। তাদের খাবারটা ছিল স্পেশাল। দেশি মুরগির মাংস ভুনা আর রুটি। ট্রেন যখন আজমপুর মকন্দপুর স্টেশন পার হয়ে হবিগঞ্জ জেলায় প্রবেশ করলো তখন খাওয়া শুরু করলাম। খাওয়ার সময় একটি ফটো নিয়েছিলাম।
Device Redmi Note-8
শহর গ্রাম নদী পার হয়ে ট্রেন চলতে লাগলো। চলতে চলতে ট্রেন যখন মৌলভীবাজার জেলায় প্রবেশ করলো তখন তখন থেকে মূল প্রাকৃতিক সুন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম। প্রথমেই দেখলাম পেয়ারা বাগান,আনারস বাগান,লেবু বাগান,রাভার বাগান,চা বাগান। পাহাড়ের উচুঁতে নিচুতে সারি সারি কত শত গাছের বাগান দেখতে লাগলাম। এই প্রাকৃতিক সুন্দর্য দেখছি আর মনে মনে চিন্তা করছি বাংলাদেশেই কত সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে। আর আমরা কোথায় পড়ে আছি। শহরের ইটপাথরের চাপায় পরে আমরা কুয়ার ব্যাঙ হয়ে গেছি। মন চাইছিলো ট্রেনটা থামিয়ে কিছুক্ষন চেয়ে চেয়ে দেখি। শহরে সারাদিন রাত কম্পিউটার স্কিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখ গুলো কালো হয়ে গেছে। কিন্তুু ট্রেন তো আমার কথায় থামবে না। তাই ট্রেন চলন্ত অবস্থায় সিটে বসে কিছু ফটো নিলাম।
Device Redmi Note-8
প্রথম তিনটি হলো বিভিন্ন জায়গা থেকে তুলা রাভার বাগানের ফটো। আর শেষেরটা হলো লেবু বাগানের ফটো। এদিকে লেবু খুবই সস্তা। বড় বড় লেবু দুই টাকা পিছ যে গুলো ঢাকাতে দশ থেকে পনের টাকা পিছ বিক্রয় করা হয়। আর ছোট লেবু গুলো একটাকা পিছ আবার এর কমেও পাওয়া যায়। মন চাইছিলো কয়েক বস্তা লেবু কিনে নিয়ে ঢাকায় বিক্রয় করি, লেবু ব্যবসায়ী হয়ে যায়, হা হা হা।
Device Redmi Note-8
এগুলো হলো রাস্তার পাশের চা বাগান। বিশাল এলাকা নিয়ে চায়ের বাগান করা হয়েছে। এসব দেখে আমি মনে মনে চিন্তা করি বাংলাদেশ ছোট একটি দেশ। মানুষ থাকার জায়গা নাই। আর এদিক দিয়ে কত জায়গা পরে আছে। যতই দেখি ততই মন হারিয়ে যায়। মন চাই এখানে জায়গা কিনে বাড়ি করে ফেলি। দৃশ্য গুলো দেখি সিলেটের প্রেমে পরে যাচ্ছি।
Device Redmi Note-8
তারপর আবার দেখলাম বিশাল এলাকা জুড়ে ফসলের মাঠ। আবার কত জায়গা খালি পড়ে আছে। এসব দেখতে দেখতেই আমাদের ট্রেন গন্তেব্যে চলে আসলো। আমাদের গন্তব্য ছিল কুলাউড়া স্টেশন। কুলাউড়ার পরেই মেইন সিলেট রেলওয়ে স্টেশন। আমরা ট্রেন থেকে নেমে সব কিছু গুছিয়ে সিএনজিতে উঠে রওয়ানা দিলাম আত্বীয়ের বাড়ির উদ্যেশ্যে।
বন্ধুরা আজকে এপর্যন্তই। ভ্রমন কাহিনী মাত্র শুরু হলো। আরো অনেক কিছু আছে। ধীরে ধীরে সব কিছু শেয়ার করবো। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। বেচেঁ থাকলে আবার দেখা হবে। সবাইকে ধন্যবাদ ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
বিষয় | সিলেট ভ্রমন দ্বিতীয় পর্ব (যাওয়ার পথে প্রাকৃতিক সুন্দর্য দর্শন) |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ০৯-০৫-২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাই ছবি দেখেই তো আমি প্রেমে পরে যাচ্ছি। আর আপনি তো সামনাসামনি দেখেছেন, আপনার কথা তো বাদই দিলাম। হাহাহাহা। লেখা গুলো পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিল আপনার সাথে সাথে আমিও ট্রেনে চড়ে সিলেট যাচ্ছি। চা বাগান, রাবার বাগান সব কিছু এক কথায় অসাধারণ 👌👌
ভাইয়া দৃশ্যগুলো সতিই ধারুন ছিল। খুবই সুন্দর জায়গা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সিলেট নগরী প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য খুবই সুন্দর। আপনি ট্রেনে বসে দারুণ সব প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই এত ভালো লেগেছে না জানি বাস্তবে সেই দৃশ্য দেখতে কতটা সুন্দর। ধন্যবাদ এত সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু বাস্তবে দেখলে সিলেটের প্রেমে পড়ে যাবেন। ধন্যবাদ আপু।
আমি গত কিছুদিন আগে আপনার সিলেট ভবনের প্রথম পর্ব দেখেছি। আজ আপনি আমাদের মাঝে সিলেট ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব উপস্থাপন করছেন। আপনার মাধ্যমে নতুন একটি স্থান সম্পর্কে অবগত হতে পারলাম এবং নতুন জায়গার দারুন কিছু দেখতে পারলাম। খুবই ভালো লেগেছে আপনার এত সুন্দর পোস্ট দেখে।
জী ভাইয়া নতুন জায়গা দেখতে খুবই ভাল লাগে। কিছুদিন পরে তৃতীয় পর্ব শেয়ার করবো। ধন্যবাদ ভাইয়া।