ফটোগ্রাফি আর প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ানো।।

হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি নিজ নিজ অবস্থানে সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। যে গুলো আমি প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়িয়ে সংগ্রহ করেছিলাম। চলুন তাহলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখা যাক।

প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। এটা যে শুধু আমার একা ভালো লাগে তা নায়, বরং সবাই চায় প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে। কারন প্রকৃতির মাঝে গেলে আমাদের মনে অন্যরক এক প্রশান্তি আসে। প্রকৃতিকে ছেড়ে আসতে মন চাই না। আমারা তো যান্ত্রিক মেশিন হয়ে গেছি। অফিস টু বাসা,বাসা টু অফিস। অনলাইন,মোবাইল,টিভি, অর্থ এগুলো ছাড়া আরো যে অনেক কিছু আছে সেটা আমরা ভুলেই গেছি। এর ফলে আমরা হীনমন্যতায় ভুগতে থাকি। যদি আমরা প্রকৃতির মাঝে সময় কাটায় তাহলে আমাদের মনটা রিফ্রেশ থাকে।

আমরা তো এমন মানব জাতি যারা অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে নিজের শরীরকে নষ্ট করি,আবার সেই শরীর ভালো করতে সেই উপার্জিত অর্থ ব্যয় করি। তার চেয়ে বরং দুই দিক দিয়ে সামঞ্জস্যতা রেখে চলতে পারলে আমাদের নিজেদেরই ভালো। পৃথিবীতে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। আমি নিজেও সবসময় মধ্যাম পন্থা অবলম্বন করার চেষ্টা করি। আশা করি বিষয় গুলো বুঝতে পেরেছেন।

উপরে যে দুটো ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন, এগুলো এক প্রকারের সবজির ফুল। আমাদের গ্রামের ভাষায় সবজিটিকে ধুনধুল বলা হয়। আমাদের গ্রামের বাড়িতে এই সবজিটার চাষ হয়। সবজিটি খেতে কিছুটা মিষ্টি মিষ্টি লাগে। নদী বা খাল বিলের ছোট মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে ভীষন ভালো লাগে। রাস্তার পাশে বেড়া থেকে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো সংগ্রহ করেছি। ফুল গুলো সূর্যের মত হাঁসি দিয়ে রয়েছে।

আর এখানে যে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো হলো চাল কুমড়ো বা জালী কুমড়োর ফুলের ফটোগ্রাফি। এই সবজি গাছটা যদি হাইব্রিড জাতীয় হয়, তাহলে গাছের প্রতি ডগায় ফুল আসে। তবে সব ফুলে কুমড়ো আসে না। এই সবজিটা যে কোন মাছ দিয়ে খাওয়া যায়। আবার অনেক সময় পাকিয়ে মুরুব্বা নামক রেসিপিও তৈরী করা যেতে পারে। এটিও রাস্তার পাশ থেকে সংগ্রহ করেছি। চাষ যোগ্য জমির পাশে জাল দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে,সেই জালকে আক্রে ধরেই গাছটি বেড়ে উঠেছে। কোন কিছুই নিজে নিজে বাঁচতে পারে না। কোন না কোন মাধ্যম লাগে।

এখানে দেখতে পাচ্ছেন বেগুন ফুলের ফটোগ্রাফি। রাস্তার পাশে জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে। সেই সবজি জমির পাশ দিয়ে বেগুন গাছ রোপন করা হয়েছিল। বেগুন গাছ বড় হয়ে এখন সেটাতে ফুল এসেছে,হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই বেগুন আসবে। বাংলাদেশে কয়েক প্রকারের বেগুন দেখা যায়। এখানে আমি যে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছি এগুলো কালো লম্বা বেগুন ফুল। বাজারে এই বেগুনের ভালো চাহিদা রয়েছে। স্থান কাল বুঝে প্রতি কেজি বেগুন ৬০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রয় করা হয়। তবে দুঃখের বিষয় হলো অনেক মানুষ এলার্জির জন্য এই বেগুন খেতে চায় না।

এখানে যে ফুলটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা হলো লাউ ফুল। লাউ আমাদের খুবই পরিচিত একটি সবজি। পৃথিবীতে এমন মানুষ কমই আছে, যারা লাউ বা কদু খায় না। আমার নিজের খুবই পছন্দের একটি সবজি হলো এই লাউ। এই লাউকে অনেক ভাবে খাওয়া যায়। গোল,লম্বা,সাদা, নীল বিভিন্ন সাইজের কালারের লাউ বা কদু বাংলাদেশে দেখা যায়। লাউ পাতা দিয়ে ভর্তা বড়া বা শাক ভাজিও খাওয়া যায়। বাংলাদেশের মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। আপনি যে জিনিষ লাগাবেন সেটাই জন্মলাভ করে। আমরা বাংলাদেশিরা আমাদের দেশের মাটির জন্য অহংকার করতে পারি।

বন্ধুরা আজকে আর বাড়াবো না। এখান থেকেই বিদায় নিবো। ঘুরতে ঘুরতে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আজকে কিছু শেয়ার করলাম। ভবিষ্যতে আর কিছু শেয়ার করবো। প্রকৃতি নিয়ে লিখতে ভালোই লাগে। যায়হোক আবার আগামীকাল আপনাদের সাথে দেখা হবে। সেই আশা নিয়ে বিদায় নিলাম।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।