জমে উঠেছে শীতের পোষাকের হাট বাজার।।

হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি লাইফ স্টাইল ব্লগ শেয়ার করবো। বাংলাদেশে ভালোই শীত পড়েছে। আজকের ব্লগটি সেই শীতের পোষাকের মার্কেট নিয়ে। আশা করি ব্লগটি আপনাদের নিকট অনেক ভালো লাগবে।

বাংলাদেশের ছয় ঋতুর একটি হলো শীতকাল। আর শীত কালে শীতের পোষাকের ঘুম বেচাকেনা হয়। গত সাপ্তাহের আগের সাপ্তাহে কোন প্লান প্রোগ্রাম ছাড়াই মাকের্টে গেছিলাম কিছু শীতের কাপড় কিনতে। তখন মার্কেটে শীতের কাপড়ের তেমন কোন চাহিদা ছিল না। অনেক গুলো মার্কেট আমি ঘুরেছি। সব থেকে বেশি ক্রেতা দেখতে পেলাম ফুটপাতের মার্কেটে। এই মার্কেট গুলো হলো মধ্যবিত্ত আর নিম্ন বিত্ত মানুষের জন্য। যারা কিছুটা সাশ্রয়ী মূল্যে শীতের পোষাক কিনতে চাই। মূল মার্কেটে সেইম পোষাকই কিনতে গেলে অল্প কিছু টাকা বেশি দিতে হয়। আর এখানে অল্প কিছু টাকা কমে পাওয়া যায়। তবে যে আকাশ পাতাল ব্যবধান, তেমন নয়। লক্ষনীয় বিষয় হলো কোন জাগায় ক্রেতার কমতি ছিল না। আমি সন্ধার পরে মার্কেটে গিয়েছিলাম।

কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আসার পরে শীতের কাপড়ের দামটা কিছুটা বেড়ে গেছে। তখন হালকা বাতাসের সাথে ভালোই শীত ছিল। বর্তমানে শীত কিছুটা কমে এসেছে। কিন্তুু শীতের পোষাকের দাম কমেনি। সবার ধারনা সামনে জানুয়ারী মাসে তাপমাত্রা কমে শীতের পরিমান বাড়তে পারে। তখন পোষাকের দাম বাড়বে। মার্কেটে সব থেকে বেশি যে পোষাকটি বিক্রয় হয় সেটা হলো বাচ্ছাদের পোষাক। বড়দের থেকে বাচ্ছাদের শীত লাগে বেশি। তাছাড়া তারা শীতে অসুস্থ হয়ে যায়। সে জন্য বাজারে তাদের পোষাকের চাহিদাও বেশি। সব বাবা মায়েরাই চায় তাদের বাচ্ছা যেন শীতে কষ্ট না করে। তাই তাদের নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী বাচ্ছাদের শীতের পোষাক কিনে দেয়।

যেখানেই যাচ্ছি সবার আগে নজরে পড়ে বাচ্ছাদের কাপড়। আর বাচ্ছাদের কাপড় গুলোও অনেক সুন্দর সুন্দর। আমাদের দেশে সব থেকে বেশি শীত পরে উত্তরবঙ্গে। সেখানে অধিকাংশ সময় হিমালয়ের বাতাস প্রবাহিত হয়। যার ফলে শীতের পরিমান একটু বেশি থাকে। বাংলাদেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়েরর তেঁতুলিয়া উপজেলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘাও দেখা যায়। প্রতিছর উত্তরের জেলা গুলোর তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীতে নেমে যায়। যার ফলে কুয়াশার সাথে শীত বাড়তে থাকে।

এখানে দুইটি ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন মানুষ শীতের পোষাক কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। সবাই নিজেদের পছন্দমত নিজেদের পোষাক বেঁছে নিচ্ছে। এখানে সব পেশার মানুষকে দেখতি পাচ্ছি শীতের পোষাক কিনতেছে। রাস্তার পাশের দোকান গুলোতে ক্রেতা বেশি দেখা যায়। অফিস বাসায় আসার যাওয়ার পথে মানুষ পোষাক কিনতেছে। মার্কেটের ভিতরে গেলে অনেক সময়ের দরকার। সবার কাছে তো এত সময় নেয়।

উপরের ফটোগ্রাফিতেও সেইম অবস্থা দেখতে পাচ্ছি। যেখানে কাপড়ের দাম তুলনামূলক একটু কম সেখানেই মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। আর একটি বিষয় হলো সব জাগায় বাচ্ছাদের কাপড়ের প্রাধান্যতা বেশি দেখা যাচ্ছে। আমি ঐদিন তেমন কোন পোষাক কিনি নাই। অন্যান্য জিনিষ কিনে হাত ভারি হয়ে গেছিলো। যার ফলে অন্য একদিন যাওয়ার চিন্তা করে চলে এসেছিলাম। পোষাক যেটা দেখি সেটাই পছন্দ হয়ে যায়।

সন্ধার পরে যেহেতো হালকা বাতাস থাকে তাই টুপির চাহিদা ছিল বেশি। ছোট বড় সব ধরনের মানুষের টুপিই পাওয়া যায়। আগের তুলনায় এখন শীতের টুপির ভিন্নতা দেখা যায়। টুপির সাথে পাল্লা দিয়ে বিক্রয় হচ্ছে হাত ও পায়ের মোজা। ডিসেম্বর ও জানুয়ারী এই দুই মাস সাধারনত বাংলাদেশে শীত থাকে বেশি। এই দুই মাসই শীতের পোষাক বেশি বিক্রয় হয়ে থাকে। যাদের এখনও শীতের পোষাক কেনা হয়নি,তারাতারি কিনে ফেলুন,হি হি হি।

বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের আয়োজন। আশা করি ব্লগটি আপনাদের নিকট অনেক ভালো লাগবে। আজ কালকের মধ্যে আবার মাকের্টে যাবো। তখন নতুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।