কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি।।
বাংলা ভাষার মিলন মেলা-
Time-11.20 AM
Location-
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সবার কাছেই ভালো লাগাবে।
আমার ছোট এই জীবনে সব কিছুতেই অভিজ্ঞতা কম। অনেক কিছু দেখার বাকি আছে। বৈচিত্রময় এই পৃথিবীতে হরেক রকম মানুষ আর হরেক রকম জীবন পদ্ধতি। শহরের মানুষের জীবন পদ্ধতি একরকম, গ্রামের মানুষের জীবন পদ্ধতি এক রকম আবার পাহাড়ি এলাকার মানুষের জীবন পদ্ধতি এক রকম। মানুষ এক রকম কিন্তুু মানুষের চিন্তা ধারা আলাদা। একেক এলাকার মানুষ একেক রকম চিন্তা ভাবনা করে। কারো সাথে কারো চিন্তা ধারা মিলে না। আমাদের কাছে একটি বিষয় লজ্জা লাগলেও অন্য মানুষের কাছে সেটা আনন্দের। তাই কোন বিষয়ে কমেন্ট বা মন্তব্য করার আগে অবশ্যই সব দিক দিয়ে চিন্তা করতে হবে।
আজকে আমি যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করবো, সে গুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছি। এগুলো আমার স্টোক ফোল্ডারে জমা ছিল। সেই জন্য ভাবলাম আজকে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করা যাক। এখানে রয়েছে অজপাড়া গ্রামের ছবি আবার রয়েছে শহরের জীবিকার ছবি। একেকটা ফটোগ্রাফি একেক রকম পাবেন। একেকটা ফটোগ্রাফিতে একটি বিষয়ে ধারনা পাবেন।
Time-4.20pm
Location-
আপনারা সবাই জানেন যে আমাদের দেশে ৫ই আগষ্ট সরকার পরিবর্তন হয়েছে। তরুন সমাজ নিয়ে নতুন সরকার গঠন করা হয়েছে। সরকার পরিবর্তন হওয়ার আগে কিছু ঝামেলার কারনে আমাদের অফিসের ক্যামিকেলের কিছু কন্টিনার চট্রগ্রাম বন্দরে আটকে গিয়েছিল। কিছুদিন আগে সব কন্টিনার এক সাথে খালাস হয়েছে। যার ফলে এগুলো
এক সাথে আসার পরে আনলোড করতে বাহিরের কিছু লোক ভাড়া করেছিলো। কন্টিনার আনলোড করার পরে তাদের টাকা দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিল আমাকে। আমি টাকা গুলো আমার ডেস্কে গনণা করার আগে একটি ফটোগ্রফি নিয়েছিলাম। এখানে সব মিলিয়ে সাড়ে সাত লাখ টাকার মত ছিল।
Time-7.30pm
Location-
এই জিনিষ গুলো কি বলন তো...। জানি অনেকেই বলতে পারবেন না। এই ফটোগ্রাফিটা নিয়েছি রাস্তার পাশে ফুটপাত থেকে। একদিন অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার সময় দেখলাম রাস্তার পাশে ডেকে ডেকে সার্ফ এক্সেল ওয়াশিং পাউডার বিক্রয় করতেছে। আমি হঠাৎ করে দেখে চমকে উঠলাম। প্যাকেট ছাড়া খোলা সার্ফ এক্সেল বিক্রয় করে, সার্ফ এক্সেলের এমন দুর্দিন কবে আসলো। দেখি একটি প্লাস্টিকের গামলাতে সার্ফ এক্সেলের মত কিছু ওয়াশিং পাউডার বিক্রয় করেতেছে। তবে আসলে এগুলো কি পাউডার সেটা আমি জানি না। এগুলো দিয়ে কাপড় পরিষ্কার হবে কি না সেটাও জানি না।
Time-8.30am
Location-
এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি মহিষ বসে আছে। আসলে এই ফটোগ্রাফিটা নিয়েছিলাম কোরবানির ঈদের দিন। আমাদের পাশের বাড়ির এক আংকেল কোরবানির জন্য এই মহিষটি এক লক্ষ নব্বই হাজার টাজা দিয়ে কিনে এনেছিলেন। মহিষটি শুয়ে থাকার কারনে ছোট দেখা যায়। তবে মহিষটি মোটামুটি ভালোই বড়। আমি প্রত্যেক কোরবানির ঈদের দিন গরু, ছাগল, মহিষ জবাই করে থাকি। কিন্তুু আমাকে দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না, আমি জবাই করতে পারি।
Time-2.30pm
Location-
নদীর পাড় দিয়ে হাটার সময় এই ফটোগ্রাফিটা নিয়েছিলাম। এই ছেলে গুলো একটি পয়সা দিয়ে আর কিছু মারবেল দিয়ে খেলতেছিলো। তাদের খেলার স্টাইলটা হলো একজন একটি পয়সা শুন্যে ছুড়ে মেরে আবার হাতে নেয়। আর অপর পাশে দুই জন শাপলা ও ম্যানের নামে মারবেল বাজি ধরে। পয়সাতে যেটা উঠে সেই পরিমান মারবেল পয়সা পরিচালানা কারীকে পরিশোধ করতে হয়। আর পয়সার বিপরীত পাশে যে বাজি ধরে তার মারবেল পয়সা পরিচালনা কারী নিয়ে যায়। মজার একটি খেলা। আমি বেশ কিছুক্ষন দাড়িয়ে তাদের খেলা দেখেছি।
Time-4.30pm
Location-
আমাদের গ্রাম থেকে এই ফটোগ্রাফিটা নিয়েছি। এখানে ছবিটা দেখে অনেকেই অবাক হবেন। এটা কি হলো। ঘরে প্রবেশ করার সিড়ি আছে, বসার জায়গা আছে, অথচ দরজা নেই। যে সময় ঘরটি নির্মাণ করে তখন হয়তো দরজার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তুু কোন কারনবশত হয়তো দরজাটা বন্ধ করার প্রয়োজন হয়েছে। যার ফলে দরজার খুলে একটি নতুন টিন দিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্য টিন গুলো থেকে দরজা বরাবর টিনটি নতুন দেখা যায়।
Time-7.30pm
Location-
এই ফটোগ্রাফিটাও নিয়েছি রাস্তার পাশে ফুটপাত থেকে। এগুলো এক ধরনের শোপিচ। এগুলো দিয়ে মানুষ ঘর সাজাই। আমি এগুলো কিনি নাই, জাষ্ট ফটোগ্রাফি করে চলে এসেছি। বিভিন্ন ধরনের পাথর ও রঙিন ফোমের কাগজ দিয়ে এই শোপিচ গুলো বানিয়েছে। দেখতে কিন্তুু খুবই সুন্দর লাগছে। মাঝে মাঝে রাস্তার পাশে কত কিছু দেখা যায়, বলে বুঝানো যাবে না।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের দেশে ঝামেলা চলছিল। তবে অফিসের টাকা দেওয়ার দায়িত্ব আপনার হাতে তুলে দিয়েছিল জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আপনি বেশ সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া জামেলার কারনে অনেক গুলো গাড়ি আটকে গেছিলো। ধন্যবাদ।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খুব সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ফটোগ্রাফি গুলোর সাথে সেই ফটোগ্রাফের বিস্তারিত আলোচনা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর মতামত শেয়ার করেছেন।
ভাইয়া বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তার পাশাপাশি বর্ণনাগুলো অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। যা পড়ে আমি হাসছিলাম। রাস্তার পাশে খোল ওয়াশিং পাউডার বিক্রি করে সেইটা দেখে অবাক হয়েছি। মোট কথা আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আর তার বর্ণনাগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
এখন কত কিছু খোলা বিক্রয় করে বলে বুঝানো যাবে না। ধন্যবাদ।
ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনি দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। টিনের বাড়িটা দেখে প্রথমে আসলেই একটু অবাক হলাম। পরে দেখলাম নতুন টিন লাগানো হয়েছে। এরকম খোলা ওয়াশিং পাউডার বিক্রি করতে আগে কখনও দেখিনি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু আমিও টিনের ঘরটি দেখে অবাক হয়েছিলাম। পরে বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ।
বেশ কিছু আলাদা আলাদা ফটোগ্রাফি দিয়ে ফটোগ্রাফি ব্লগটি সাজিয়েছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি বেশ ভাল ছিল। সত্যিই আমিও প্রথমে দরজার সিড়িটা দেখে বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।পরে অবশ্য বুঝতে পারলাম যে দরজাটা কোনো কারণবশত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু চেষ্টা করেছি, সব গুলো ভিন্ন ধরনের ছবি শেয়ার করতে। ধন্যবাদ।
এটা ঠিক যে গ্রামের মানুষ এবং শহরের মানুষ ও পাহাড়ের মানুষ সবাই একরকম না।এবং চিন্তা ভাবনাও সবার আলাদা আলাদা। যাইহোক আপনার তোলা রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফির সাথে বেশ সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করছেন।ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া বিভিন্ন জায়গার মানুষের চিন্তা ধারা আলাদা। ধন্যবাদ।