সন্ধার পরে হালিমের সাথে নান।।
বাংলা ভাষাভাষীদের মিলন মেলা-
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে লাইফ স্টাইল নিয়ে কিছু কথা বলবো।
আমাদের জীবনটা যেমন বৈচিত্রময়। ঠিক তেমনি আমাদের লাইফ স্টাইলও বৈচিত্রময়। বিশেষ করে মানবজাতীর খাওয়া দাওয়ার বিষয়টা আমার কাছে আশ্চর্য লাগে। মানুষ তাদের জীবন নির্বাহ করার জন্য কত ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে। আসলে এগুলো হলো মানুষের চিন্তাধারার ফল। চিন্তা গবেষণা করলেই নতুন কিছু আবিষ্কার হয়। আসলে মানুষ যেখানে গিয়ে ঠেকে সেখানেই নতুন কিছু আবিষ্কার হয়। যায়হোক গত শুক্রবারে অফিস বন্ধ থাকায় বাসাতেই সারাদিন ছিলাম। বিকালে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে মাগরিবের আজান শুনে ঘুম ভাঙ্গলো। ফ্রেশ হয়ে ল্যাপটপ অপেন করে বসলাম কাজ করবো। কিন্তুু কেমন যেন ভালো লাগতেছে না, কাজের প্রতি মন বসছে না। হাত পা চলছে না। তাই ভাবলাম বাহির থেকে একটু ঘুরে আসি। হোমমিনিষ্টারকে জিঙ্গেস করলাম বাহিরে যাবে কি না.. আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই এ পায়ে দাড়ানো। দুই মিনিটের মধ্যেই রেডি। যদি আবার আমার মত পরিবর্তন হয়ে যায়, তাই রেডি হতে সময় নষ্ট করে নি। দুরে কোথাও যায়নি। কারন অনেক কাজ পেন্ডিং ছিল। আবার ফার্মিসিতেও যেতে হবে। সে জন্য স্টেডিয়ামের মধ্যেই কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করলাম।
সন্ধার পরে আমাদের মত আরো অনেক মানুষকে দেখলাম হাটাহাটি করছে। আসলে সবাই বাসাবাড়িতে বন্দি অবস্থায় থাকে। গ্রাম হলে পাড়াপ্রতিবেশির বাড়িতে যাওয়া আসা করে। এখানে তো কারো বাড়িতে কেউ যায় না। তাই বিকালের দিকে একটু বের না হলে শরীর চলে না। বেশ কিছুক্ষন হাটাহটি করে খিদা লেগে গেলো। তাই কিছু একটা খাওয়া দাওয়া করার চিন্তা করলাম।
স্টেডিয়ামের মেইন গেইটের পাশেই একটি রেস্টুরেন্ট দেখতে পেলাম। রেস্টুরেন্টের পরিবেশ দেখে ভালোই মনে হলো। রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে হোমমিষ্টিারকে জিঙ্গেস করলাম কি খাবে। প্রথমে ভেবেছিলো ফুচকা, চটপটি কিছু একটা খাবে। পরক্ষনেই মত পরিবর্তন করে বললো এগুলো সে বাসায় বানিয়ে খেতে পারে। বাসায় যেটা বানাতে পারে না। এখানে সেটাই খাবে। রেস্টুরেন্টে কি কি আছে জিঙ্গেস করলাম, তারা জানালো দুই তিন রকমের ফুচকা, চটপটি, হালিম+নান, পিজ্জা, বার্গার, চাপ আর কোল্ডড্রিংক্স। ফুচকা চটপটি বাদ, কারন এগুলো সে বাসায় নিজে নিজে বানিয়ে খেতে পারে। আর এখানের পিজ্জাটা তেমন পছন্দ হলো না। কারন এটা একবার খেয়ে শিক্ষা হয়ে গেছে। বার্গার আর চাপও খাওয়া যাবে না, কারন এগুলোতে পল্টি মুরগির মাংস থাকে। যে গুলো হোমমিনিষ্টার কখনোই খেতে পারে না। অবশেষে একটি অপশনই বাকি রইলো। হালিম সাথে নান।
অবশেষে হালিম আর নানই অর্ডার করলাম। আর সন্ধার পরে ঝাল কিছু খেলেই ভালো লাগে। খাবার আসতে তেমন দেরি হয়নি। রেস্টুরেন্টেও এসি ছিল, বাহিরের আবহাওয়া থেকে অনেক ঠান্ডা। অপেক্ষা করতে তেমন খারাপ লাগে নি।পাঁচ মিনিটের মধ্যেই খাবার রেডি। খাবার আসার পরে আমাদের বাবুর খুশি কে দেখে। যেন সে একাই সব খেয়ে ফেলবে। তবে দুংখের বিষয় হলো তার খাবারের মত রেস্টুরেন্টে কিছু ছিল না। নান থেকেই অল্প একটু তার মুখে দিয়েছিলাম। কিন্তুু তার দুষ্টামি কে দেখে। অনেক কষ্ট করেই তাকে সামলাতে হয়েছে। একজনকে বললাম তারাতারি খেতে, আর আমি বাবুকে সামলে নিলাম। পরে আমি খেলাম।
যায়হোক খাবার মোটামুটি ভালোই ছিল। এখানে নান রুটির দাম পাঁচ টাকা বাড়িয়ে পয়ত্রিশ টাকা করেছে। আর হালিমের দামও কিছুটা বাড়িয়েছে। জিনিষপত্রের দামের কথা কিছু বলার নাই। এই বিষয়ে অনেক ব্লগ লিখেছি। এখন সরকার পরিবর্তন হয়েছে। দেখা যাক নতুন সরকার বাজার নিয়ন্ত্রন করতে পারি কি না। সাধারন মানুষের তো চাহিদা কম। তারা শান্তি মত দুই বেলা ডাল ভাত খেতে পারলেই খুশি। তাদের বাড়ি গাড়ি ব্যাংক ব্যালেন্স করার ইচ্ছা নেই। আমরা চায় দৈনন্দিনের জিনিষ পত্র গুলো যেন সাধারন মানুষের নাগালে থাকে। আর কিছু আমরা চাই না। এতটুকু হলেই আমার খুশি।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | সন্ধার পরে হালিমের সাথে নান।। |
স্থান | শিবুমার্কেট, নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৬/০৭/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
হালিমের সাথে নান খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে আমাদের এখানে যেই রেস্টুরেন্টে ভালো হালিম এবং নান পাওয়া যেত সেই রেস্টুরেন্ট কিছুদিন আগে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মনটা সেজন্য খারাপ লাগছে ভাইয়া। খাবার গুলো অনেক টেস্টি ছিল বুঝতে পারছি।
আপনাদের দিকে ভালো রেস্টুরেন্টা ভেঙ্গে ফেলেছে,শুনে খারাপ লাগলো। আশা করি তিনি আবার অন্য কোথাও ঘুরে দাড়াবেন। ধন্যবাদ।
সন্ধার পরে হালিমের সাথে নান খেতে ভালো লাগে ভাই। আমি বাহির খাবার তেমন একটা খাই না। তবে বাসায় মাঝে মধ্যে নিয়ে যেতে হয়। আপনার খাওয়ার অনুভূতি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার নান পাঁচ টাকা বাড়িয়ে পয়ত্রিশ হয়েছে কিন্তু আামাদের এখানে ২৫ টাকা করে। সব কিছুর দাম এখন বেড়ে গেছে।
আপনাদের দিক থেকে আমাদের দিকে দশটা বেশি। চিন্তা করা যায়।
হালিমের সাথে নান রুটি তেমন একটা খাওয়া হয় না আমার। তবে হালিম আমার ভীষণ পছন্দ। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে খাবারটা খুবই সুস্বাদু ছিল খেতে। খাবার খেতে গিয়ে দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু হালিম আমার কাছেও ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
আসলে আপনি ঠিক বলছেন বাসায় সারাদিন থাকলে কেমন জানি করে শরীর। আর বিকেলবেলা হাঁটাহাঁটি করলে বেশ ভালোই লাগে। হোমমিনিস্টার কে নিয়ে তো বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া করলেন। এ ধরনের খাবার বিকেল বেলায় বেশ ভালো লাগে। বিকেলে সুন্দর সময় অতিবাহিত করলেন ভালো লাগলো পড়ে।
সারাদিন বাসায় থাকলে বন্দি বন্দি লাগে। তাই সন্ধার পরে বের হয়। ধন্যবাদ।
হালিম আমার অনেক প্রিয় আর সাথে যদি নান রুটি হয় তাহলে তো একদম জমে যায়। মাঝে মাঝে আপনার ভাইয়া সহকারে বাইরে গেলে খাওয়া হয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
জী আপু রুটির সাথে হালিমটা ভালোই লাগে। ধন্যবাদ।
হালিম আর নান খেতে আমার যা ভালো লাগে, কেমনে বোঝাই -? হালিম আমার খুব প্রিয় একটি খাবার। আর সঙ্গে নান থাকলে তো জমে যায়। ফুচকা চটপটি না খেয়ে, অর্থাৎ মত পরিবর্তন করে ভালই করেছেন। কারণ আমরা চাইলেও বাসায় রেস্টুরেন্টের মতন নান তৈরি করতে পারি না। আর যেটা বাসায় তৈরি করতে পারি না, সেটা খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হয়েছে।
জী আপু ফুচকা চটপটি তো ঘরে বানাতে পারে। নান তো বানাতে পারে না। তাই এটাই খাওয়া হলো। ধন্যবাদ।
হালিম আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার বাহিরে গেলেই গরম গরমে হালিম খাওয়া হয়। কিন্তু নান রুটি দিয়ে কখনও খাওয়া হয়নি। হালিম আর নান রুটি দিয়ে আপনার খাবারের সুন্দর অনুভূতি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালো লাগে। এবার হালিম নান রুটি দিয়ে খাব।
জী হালিম ঠান্ডা হলে আবার খেয়ে মজা নেই। গরম গরম হালিম খেতে জাষ্ট ওয়াও। ধন্যবাদ।
সাধারণত শুনে থাকি মেয়েরা নাকি রেডি হতে দেরি করে। কিন্তু আপনার ওয়াইফকে নিয়ে বাহিরে যাওয়ার কথা বলার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি রেডি হয়ে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। যাইহোক আপনাদের হালিমের সাথে নান খাওয়ার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো,ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সবসময় দেরি করে। বাট ঐদিন খুব তারাতারি রেডি হয়ে গেছে। ধন্যবাদ।
হোম মিনিস্টার কে সাথে নিয়ে হালিম এবং নানের সাথে অনেক সুন্দর একটি সময় পার করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। তবে ওয়াইফকে হোম মিনিস্টার বলে ডাকার জন্য আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। যাইহোক হালিম কিন্তু আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার আমি যখন বিকেলে বাইরে যাই তখনি হালিম খাওয়ার চেষ্টা করি। শুধু নানরুটি না প্রায় সব জিনিসের দাম ঊর্ধ্ব গতিতে এখন। সবশেষে পরিবারকে নিয়ে বিকেলে একটি সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
জী ভাইয়া মাঝে মাঝে ফেমিলিকে নিয়ে বাহিরে যাওয়া হয়। ধন্যবাদ।