সকালের নাস্তায় হরেক রকমের খাবার।
বাংলা ভাষা ছড়িয়ে দাও সবার মাঝে-
যারা চাকরি করে তারা ছুটি পেলে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে ঘুমানো। তারা খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে প্রচুর ঘুমায়। আমিও তাদের মধ্যে একজন। ঈদুল আযহা উপলক্ষে অফিস থেকে ৯ দিন ছুটি পেয়েছি। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি ঘুমটা যেন ঠিকভাবে হয় সেদিকে খেয়াল রাখতেছি। রাত বারোটার দিকে ঘুমালে সকাল দশটার আগে কোনভাবেই ঘুম থেকে উঠতেছি না। আমাদের বাড়িতে কয়েকদিন থেকে নানু বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে গতকাল আমার শ্বশুর বাড়িতে এসেছি। এখানে এসেও ঘুমের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
আজকে সকাল দশটার সময় সবার ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙলো। তারপর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা টেবিলে এসে দেখি হরেক রকমের খাবার দেওয়া হয়েছে। আমি সকালে সাধারণত এত খাবার খাই না। সকালবেলা আমি দুই তিনটি রুটি আর সাথে অল্প কিছু ডিম ভুনা হলেই আমার যথেষ্ট। তারপরেও যেহেতু শ্বশুরবাড়িতে এসেছি তারা অনেক ধরনের নাস্তা তৈরি করেছে। আমি সাধারণত তৈলাক্ত জিনিস এড়িয়ে চলি। তাদের বাড়িতে আসলে তারা নিজের হাতে অনেক ধরনের তৈলাক্ত জিনিস তৈরি করে। এ বিষয়ে আমি আগেই তাদেরকে বারণ করে দিয়েছিলাম। তারপরও তারা তৈল ছাড়া যথা সম্ভব যা কিছু তৈরি করা যায় তৈরি করেছে। প্রত্যেকবারই তারা অতিরিক্ত নাস্তা তৈরি করে। তুমি শত বলার পরেও তারা শুনতে রাজি না।
এখানে আপনারা কিছু পিঠা দেখতে পাচ্ছেন। আমাদের দিকে এই পিঠাগুলোকে নারকিলি পিঠা বলা হয়। ময়দা দিয়ে রুটি বানিয়ে তার মধ্যে নারকেল ও চিনির কিছু মিশ্রণ দিয়ে তারপর কিছুটা ডিজাইন করে আবার আগুনের মধ্যে গরম করে এই পিঠাগুলো তৈরি করা হয়। এ পিঠাগুলো খেতে ভীষণ স্বাদ লাগে। আশা করি আপনাদের ও এধরনের পিঠা খাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এটি বাংলাদেশের খুবই পরিচিত একটি পিঠা।
তারপরে ছিল আমাদের সবার পরিচিত সেমাই ও রুটি। শ্বশুরবাড়িতে জামাই আসলে এই রেসিপিটা থাকবেই থাকবে। এটা সবার কমন একটি রেসিপি। আমি যতবার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসি কোনদিন এই রেসিপিটা মিস হয়নি। হয়তো এই রেসিপিটা আমাদের সবার ঐতিহ্য। এমনিতেও আমি সেমাই মোটামুটি ভালই পছন্দ করি। যেহেতু এই রেসিপিটা তৈলাক্ত না, তাই অল্প হলেও খাওয়ার চেষ্টা করি।
তারপর দেখতে পাচ্ছেন পরোটা এবং ডিম ভাজি। এ দুটোই কিছুটা তৈলাক্ত। তেল ছাড়া এ দুইটা রেসিপি হয় না। আমি এখান থেকে একটি পরোটা আর একটি ডিম খেয়েছিলাম। তৈলাক্ত জিনিস খেতে যেমন মজা তেমনি তেমন ক্ষতি। তাই লোভ সামলে অল্প একটু খেলাম।
তারপর রয়েছে কয়েক প্রকারের ফল। এখানে আমি কাঁঠাল ও কলার ফটোগ্রাফি করেছি। সবগুলো ফটোগ্রাফি করা সম্ভব হয়নি। কারণ সাথে মানুষ থাকার কারণে ফটোগ্রাফি করতে কিছুটা লজ্জা লাগে। এছাড়াও আরো ছিল আম, রসমালাই, ডিম টোস্ট সহ গরু ও মুরগির মাংস। সবগুলো তো একসাথে খাওয়া সম্ভব নয়। আমি সবসময় সবকিছু থেকে অল্প অল্প করে খাওয়ার চেষ্টা করি।
মোটামুটি ভাবে অনেক ধরনের খাবার দিয়ে সকালের নাস্তা করলাম। ঘুম থেকে উঠতে উঠতেই দশটা এগারোটা বেজে যায়। তারপর কিছুক্ষণ পরেই যোহরের আজান হয়ে যাবে। সেজন্য ইচ্ছা করেও তেমন বেশি খাই নি। আমার এ ধরনের খাবার নিয়ে প্রায় সময় তারা মন্তব্য করে থাকে। আমি নাকি বেশি খেতে পারি না। তাদেরকে তো আর বোঝাতে পারি না আমি খেতে পারলেও ইচ্ছে করে খাই না। যাই হোক যতটুকু রিযিকে ছিল ততটুকুই খেতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ। কেউ ইচ্ছা করে বেশি খেতে পারে না, আবার কেউ অনিচ্ছাকৃত অনেক কিছু খেতে পারে। সৃষ্টিকর্তা যার রিযিকে যেখানে যতটুকু রেখেছে তাকে ঠিক ততটুকুই খেতে হবে। রিজিকের উপরে কারো কোন হাত নেই।
তো বন্ধুরা আজকে আর বাড়াচ্ছি না, এখান থেকেই আমি আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | সকালের নাস্তায় হরেক রকমের খাবার।। |
স্থান | ভাদুঘর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ,চট্টগ্রাম , বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৩/০৬ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এবার ৯ দিন করেই ঈদের ছুটি দিয়েছে প্রায় অফিসেই।যেটা খুবই ভালো লাগার একটি বিষয়।আপনি সময় গুলো ঘুমিয়ে কাটাচ্ছেন মানে বেশ রিল্যাক্স এ আছেন।তারপর অনেকগুলো খাবার আইটেম সকালে উঠেই টেবিলে দেখতে পারছেন।যেটা তো আরো ভালো একটি বিষয়। শশুর বাড়ি মধুর হাড়ি ।সব মিলিয়ে দারুন সময় কাটালেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু অফিস ছুটির এই সময়টাতে ঘুমিয়ে খাওয়া দাওয়া করে অতিক্রম হচ্ছে। ধন্যবাদ।
শ্বশুরবাড়ি তো যেতে চান না,তাই আমি আপনাকে বলে বলে শ্বশুরবাড়িতে পাঠালাম এখন আপনি শ্বশুর বাড়ি বসে মজার মজার পিঠা খাচ্ছেন এটা কি ঠিক হচ্ছে। যতগুলো খাবার খাচ্ছেন এসব খাবারে আমার হক রয়েছে। আপনি ভুলে গেলেও আমি কিন্তু ভুলি নাই।
জি ভাই আপনার জন্য সাথে করে নিয়ে আসবো ইনশাআল্লাহ।।ধন্যবাদ।।
রুটি বেলে তার মধ্যে নারকেল দিয়ে এই পিঠাগুলো তৈরি করে ।এই পিঠাগুলো খেতে ভীষণ মজা লাগে। সকালের নাস্তায় এই ধরনের খাবারগুলো খেতে ভীষণ মজা লাগে। পাকা কাঁঠাল দিয়ে রুটি খেতে কিন্তু ভীষণ মজা লাগে। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
জী আপু এখানে প্রত্যেকটা খাবারই খুবই সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ।
এবার ঈদের ছুটি অনেক বেশি ছিল। ৯ দিন ছুটি পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এবার সবাই অনেক আনন্দ করেছে। ঈদের সময় খাওয়া দাওয়া করার আনন্দ অনেক বেশি। লোভনীয় সব খাবারের ছবিগুলো দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
জী আপু এবছর ঈদে মোটামুটি ভালোই ছুটি দিয়েছে।
শ্বশুরবাড়ির জামাই আদর বলে কথা। এত বলার পরেও কোন বারণ মানলো না তারা সব সময় আপনাকে বেশি খাওয়াতে চেষ্টা করেন হি হি হি। অনেকদিন পরে যাচ্ছেন সেজন্য আপনাকে একটু বেশি খাওয়াতে চাই আর কি। প্রতিটি খাবার আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সব সময় তেল ছাড়া খাবেন তা কি করে হয়! শরীরের জন্য কিছু তেলের প্রয়োজন হয়। ভালো লাগলো সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
জী আপু তাদের তৈলাক্ত খাবার ছাড়া সকালের নাস্তা হয়না। তাই আমাকেও বাধ্য হয়ে খেতে হয়।
হায়রে জামাই আদর! মাঝে মাঝে ভাবী যে মেয়ে না হয়ে ছেলে হলেই মনে হয় ভালো হতো। তাহলে শ্বশুড়বাড়ীতে যেয়ে মজার মজার খাবার খেতে পারতাম। যাই হোক ছুটিতে তাহলে ঘুম আর খাওয়া ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। আমাকে তো একটু সাথে নিলে এমন মজার খাবার আমিও খেতে পারতাম।
জী আপু এই ছুটিতে ঘুম খাওয়া দাওয়া হচ্ছে। ধন্যবাদ।
এজন্যই তো বলে শ্বশুর বাড়ি মধুর হাড়ি তবে তা ছেলেদের জন্য প্রযোজ্য। অনেক লোভনীয় ও সুস্বাদু খাবার বানিয়েছে ভাইয়া।মানা করলে শুনবে কেন শুনি সারাবছর ডায়েট করবেন শ্বশুর বাড়িতে এসে জমিয়ে খাবেন না তা কি করে হয়। একদম আপনি দেখছি আমার মতো মানুষ থাকলে ফটোগ্রাফি করতে লজ্জা করে।আমিও এরকম কেউ থাকলে লজ্জা পাই ফটো তুলতে।ওজন তো বেড়ে গেছে আপনার বুঝতে পারছি হাহা।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জি আপু সাথের মানুষ কি ভাববে,তাই সবগুলোর ফটোগ্রাফি করতে পারিনা। ধন্যবাদ।
শ্বশুড়বাড়ী হলো জামাইদের পেট ভরে খাওয়ার জায়গা। যেহেতু বেচারারা মেয়ে বিয়ে দিয়েছে তাই মেয়ের কথা চিন্তা করেই কিন্তু মেয়ের জামাই কে আদর যত্ন করে। তাই তো আপনাকে এত এত খাবার করে দেয় খাওয়ার জন্য। পাছে আবার তাদের মেয়ের আবার কিছু হয়। যাই হোক এত খাবার একা একা খেলেন তো। এখন আপনার পেট ব্যাথা না করলেই হয়।
শ্বশুর বাড়িতে গেলে আর যাই হোক ভালো মন্দ বেশ খাওয়া হয়। সকালের নাচতে যতগুলো আইটেম দেখতে পারছি এতগুলা আইটেম খাওয়ার পর দুপুরে আর খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। ৯ দিনের জন্য ছুটি পেয়েই নানু বাড়ি দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের শেয়ার করার জন্য।