আলোচিত সাবমেরিন টাইটানের চিত্র অঙ্কন।।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই...?
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন,সুস্থ আছেন। সবার সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন ও ব্যাতিক্রমধর্মী একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজকে একটি আর্ট শেয়ার করবো। খুবই আলোচিত একটি ছোট্ট সাবমেরিন আর্ট করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে অবশ্যই ভাল লাগবে।
আপনার সবাই জানেন কিছুদিন পূর্বে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আটলান্টিক মহাসাগরে তের হাজার ফুট পানির নিচে বিশ্বের আলোচিত জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পাচঁজন মানুষ নিহত হয়। বিশ্বব্যাপী তাদেরকে নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোনা হয়েছে। তারা কিভাবে মারা গেছে তার সঠিক তথ্য এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে OceanGate কোম্পানিটি আলোচনায় আসে। OceanGate কোম্পানির মালিক সহ তাদের তৈরী ছোট্ট সাবমেরিন টাইটানকে নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুব দিয়েছিল। সময় ছিল নব্বই ঘন্টা কিন্তুু বিশ পচিঁশ দিনেও তাদের কোন খোজঁ মিলেনি।
এই বিষয়ে আমি বিস্তারিত একটি পোষ্ট শেয়ার করেছিলাম। তবে সবাই অনেক কৌতুহল নিয়ে টাইটান যন্ত্রটি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করে। এই যন্ত্রটি কেমন,কিভাবে সমুদ্রে ডুব দিয়েছে এসব বিষয় নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। আমি যখন এই সাবমেরিনটি দেখেছি তখন আমার মনের মাঝেও সেটা অঙ্কন করার চিন্তা আসে। যার ফলে আমি এই সাবমেরিনটির চিত্রটি অঙ্কন করেছিলাম ঈদের আগে। কিন্তুু এখনো শেয়ার করা হয়নি। সে জন্য আজকে আপনাদের মাঝে টাইটান সাবমেরিনটি কিভাবে বানানো হয়েছে সেটা অঙ্কন করে দেখাবো। চলুন শুরু করি।
প্রয়োজনীয় উপকরন
- ল্যাপটপ
- এডোবি ইলাস্ট্রেটর সি সি ফটওয়্যার
প্রথম ধাপ-
প্রথমে আমি একটি নতুন সাদা আর্টবোর্ড নিয়ে নিলাম। তারপর সেখানে পেন টোল দিয়ে দুইটি রেখা টানলাম। এই দুইটি রেখা হলো ছোট্র সাবমেরিনটির মূল মাপ। এটি ২২ ফিট লম্বা আর ৯ ফিট উঁচু ছিল।
দ্বিতীয় ধাপ-
তারপর আমি Rectangle Tool দিয়ে সাবমেরিনটির মাঝখানের অংশটা অঙ্কন করার চেষ্টা করলাম। এই মাঝখানের অংশের মধ্যেই পাচঁজন মানুষ বসেছিল। বাকি অংশে ইন্জিনের অংশবিশেষ ছিল।
তৃতীয় ধাপ-
এবার টোলবার থেকে Elipse Tool দিয়ে ল্যান্ড করার অংশ বিশেষ আর দুই পাশের অক্সিজেনের পাইপ গুলো অঙ্কন করলাম। এই পাইপ গুলো হলো মূল জিনিষ।
চতুর্থ ধাপ-
এখন আমি সাবমেরিনটির পিছনের অংশ আর অক্সিজেন গ্রহন করার যন্ত্র গুলো অঙ্কন করলাম। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এখন সাবমেরিনটির মূল চিত্র ফুটে উঠেছে।
পঞ্চম ধাপ-
এবার আমি মুখের অংশটা অঙ্কন করে আর্টবোর্ডের ব্যাকগ্রাউন্ড কালারটা চেন্জ করে দিলাম। এখন বুঝতে আরেকটু বেশি সুবিধা হবে। কারন এখন সব গুলো কালার চেন্জ করা হবে।
ষষ্ট ধাপ-
এখন মাঝখানের অংশের কালার চেন্জ করে সব গুলো পাইপের কালার চেন্জ করে দিলাম। পিছনের অংশটা হোয়াইট কালার দিলাম আর মাঝখানে অফ হোয়াইট কালার দিলাম। পার্থক্যটা দেখলেই বুঝা যাচ্ছে।
সপ্তম ধাপ-
এখন ভিতরে যে পাচঁজন মানুষ ছিল তাদের সিটে তাদেরকে বসিয়ে দিলাম। সাবমেরিনটি ২২ ফুট লম্বা হলেও মানুষ সবার জায়গা খুবই সংকির্ণ। কোনরকম পাচঁজন বসা যায়। নড়চড়া করা যায় না।
অষ্টম ধাপ-
ভিতরের কাজ শেষ। এখন ocean gate কোম্পানির নাম আর লোগো তৈরী করেছি। তাদের কোম্পানির নামের সাথে লোগোটি খুব সুন্দর মানিয়েছে। আমার কাছে খুবই পছন্দ হয়েছে।
নবম ধাপ-
মানুষের চিত্র গুলোর অপাসিটি একটু কমিয়ে দিলাম। যাতে করে এমন একটি ভাব বুঝা যায় যে তারা গ্লাসের ভিতরে আছে। সেখানে থেকে বসে বসে বাহিরের সব দৃশ্য দেখা যায়। এখানেই অঙ্কনের কাজ শেষ।
উপস্থাপনা।
বন্ধুরা কেমন হলো আমার আজকের আর্ট। অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। পরিশেষে বলতে হয় যার যেখানে মৃত্যু আছে তাকে সেখানে যেতেই হবে। যেখানেই যাওয়া হোক না কেন মৃত্যুর হাত থেকে কেউ রেহাই পাবে না। এত শক্ত মজবুত সাবমেরিনও ধ্বংস হয়ে গেছে। সবই সৃষ্টিকর্তার খেলা। সুস্থসবল পাচঁজন মানুষ টাইটানিক দেখার জন্য ডুব দিয়ে চিরতরে ডুবে গেল।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ওয়াও ভাই আপনি দেখছি আজ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি চিত্র অঙ্কন করেছেন। এই ধরনের চিত্র অংকন করতে হলে অনেক সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন।আপনি অনেক ধৈর্য সহকারে ধাপে ধাপে তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল ভাই।
জী ভাইয়া অনেক সময় নিয়ে চিত্রটি অঙ্কন করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
টাইটানের ডিজিটাল আর্টটি দারুন হয়েছে। এ ধরনের আর্ট করার খুব ইচ্ছে আমার।আপনি আর্টের ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
জী আপু অনেক চেষ্টার ফলে কাজটি করতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপু।
অসাধারণ একটি চিত্র আপনি অঙ্কন করলেন সাথে সুন্দর বর্ণনা সহকারে অনেক ভালো লেগেছে পড়তে। হ্যাঁ আমরা ছোট কাল থেকে টাইটানিকের গল্প পড়ে আসছি কিন্তু বাস্তবে কখনো কি দেখা সম্ভব? তবে আপনি বেশ সুন্দর চিত্রের মাধ্যমে সাবমেরিন টাইটানিক আমাদের সাথে তুলে ধরলেন অসাধারণ বর্ণনা দিলেন ধন্যবাদ।
জী আপু ছোট কাল থেকে আমারও টাইটানিক দেখার শখ ছিল। আজকে যেটা অঙ্কন করেছি সেটা হলো সাবমেরিন টাইটান। ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনি তো সেই আলোচিত সাবমেরিন এর খুব সুন্দর একটি ডিজিটাল চিত্রাংকন করেছেন ।মনে হচ্ছে সে সত্যিকারের সাবমেরিন ।আর্ট টি খুব সুন্দর হয়েছে মনে হচ্ছে প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
জী আপু এটি সেই আলোচিত সাবমেরিন টাইটান। ধন্যবাদ আপু।