শহীদ মতিউর রহমান পার্কে কিছু সময়।।

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন..?
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকে একটি পার্ক নিয়ে আলোচনা করবো। আমি এই প্রথম পার্কটিতে গিয়েছিলাম। আশা করছি নতুন কিছু অভিজ্ঞতা দিতে পারবো।

গত সোমবারে আমার এক ভাগিনাকে নিয়ে রাজধানী ঢাকার নাম করা এক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। সকাল আটটার আগে সিরিয়াল দিতে হয়। আর ডাক্তারের দেখা পাওয়া যায় রাত সাড়ে সাতটার পরে। যদিও আমরা পেয়েছিলাম ১০.৪৫ মিনিটে। আমরা সকাল বেলা আটটার আগে শান্তিনগর হস্পিটালে তিনির নিজ চেম্বারে গিয়ে সিরিয়াল দিয়ে গুলিস্তানে চলে এসেছিলাম। কারন ১২/১৩ ঘন্টা সময় ঐখানে বসে থাকার কোন অর্থ নেই। গুলিস্তানে আমাদের কিছু প্রয়োজনীয় কাজ ছিল, সে গুলো শেষ করতে করতে বিকাল হয়ে গেছে। আমরা যখন সব কাজ শেষ করে মার্কেট থেকে বাহির হয়েছি তখন সাড়ে পাচঁটা বাজে।

আমাদের ডাক্তারের সিরিয়াল যেহেতো সাড়ে সাতটার সময় তাহলে আমাদের হাতে প্রায় দুই ঘন্টা সময় থাকে। আর শান্তিনগর যেতে সর্বউচ্চ দশ থেকে পনের মিনিট লাগে। যার ফলে আমরা গুলিস্তান পাতাল মার্কেটের পাশে অবস্থিত শহীদ মতিউর রহমান পার্কে প্রবেশ করেছিলাম। ঐদিন সকাল থেকে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে সেটা আর থামে নি। কিছুক্ষন পর পর বৃষ্টি কম বেশি হয়েছে। আমরা পার্কে প্রবেশ করে দেখি বৃষ্টির কারনে পার্কে তেমন কোন মানুষ নেয়। হাতে গুনা কয়েকজন মানুষ দেখা যায়। পার্কের ভিতরে বিশাল বড় একটি পুকুর রয়েছে। আর সেই পুকুরের মধ্যে দাড়ানোর জন্য রড সিমেন্ট দিয়ে একটি জায়গা নির্মান করা হয়েছে। সেই জায়গাটিতে দাড়িয়ে কিছুক্ষন প্রাকৃতিক দৃশ্য অনুভূব করলাম। সেখানে দাড়িয়ে অনেক গুলো ফটোগ্রাফিও করলাম।

পুকুরের মধ্যে অনেক ডিজাইনের ছোট নৌকা রয়েছে। কিছু কিছু মানুষ রয়েছে বৃষ্টি উপেক্ষ করেই পার্কে এসেছে। একটু বিনোদনের জন্য ছোট ছোট নৌকা ভাড়া করে পুকুরের মধ্যে ঘুরছে। এখানেই তারা নদী ভ্রমনের স্বাদ গ্রহন করছে। এইখানে দশ মিনিটের জন্য জন প্রতি ৫০ টাকা করে নিচ্ছে। যেহেতো বৃষ্টি এই রাইড গুলোতে চড়লে বৃষ্টির পানি শরীর লাগবে না। তাই এটাই ব্যাটার।

এগুলো হলো বাচ্ছাদের জন্য। উপরে চার পাশে বাউন্ডারী দিয়ে নিচে ভাল মানের তির্পল বিছিয়ে তাতে পানিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তার মধ্যে দুইটি স্পিড বোর্ড আর দুইট প্লাস্টিকের খেলনা দেওয়া হয়েছে। গুলোতে বাচ্ছা চড়ে নিজেরা আনন্দ উপভোগ করে। দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মত আর কি। নিজেকে সান্তনা দেওয়া।

পার্কের ভিতরে সব গুলো রাইডার বন্ধ হয়ে আছে। বৃষ্টির কারনে কেউ পার্কে আসতেছে না। সাধারনত বিকাল হলে এই জাগায় লোকে লোকারন্য থাকে। কিন্তু এখন রাইডে উঠার জন্য একজন মানুষও নেই। ফুচকার দোকানের চেয়ার গুলো ও খালি পড়ে আছে। যদি বৃষ্টি না থাকতো তাহলে সিরিয়াল ধরে ফুচকা খেতে হতো।

সম্পুর্ণ পাকের রাস্তা,চেয়ার সব কিছু খালি পড়ে আছে। মনে হচ্ছে আজকে পার্ক অফ। কিন্তুু পার্কের কোন অফডে নাই। সারা বছর জন সাধারনের জন্য পার্কটি উন্মুক্ত। আমরা যখন পার্কে প্রবেশ করেছি তখন পার্কের পশ্চিম কর্ণারে সরকার দলীয় একটি আলোচনা সভা হচ্ছিলো। সেখানে বর্তমান সরকারের মেয়রও উপস্থিত ছিল। তারা তাদের মত করে বলছে দেশের এই করেছে,সেই করেছে, উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভেসে যাচ্ছে। এমন অনেক কথা বলেছে। তাদের এসব কথা শুনার টাইম আমাদের হাতে ছিল না।

যায়হোক বৃষ্টির জন্য আমাদেরও পার্কে তেমন ভাল লাগছিলো না। কারন তেমন কোন মানুষ নেই কেমন যেন সব কিছু শূণ্য শূণ্য লাগছিলো। আজকে আর বাড়াবো না। এখান থেকেই বিদায় নিতে হবে। আগামীকাল আবার আপনাদের সাথে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।