রাওয়ালপিন্ডিতে লিখিন হয় নতুন ইতিহাস। পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের টেষ্ট সিরিজ জয়।।
বাংলা ভাষায় প্রকাশ করো তোমার মনের অনুভূতি-
গতকাল বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য একটি খুশির দিন ছিল। ২০১৮ সালের পর গতকাল বাংলার টাইগার বাহিনী টেষ্ট সিরিজ জয় করেছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে বাংলাদেশের টেষ্ট সিরিজ জয়ের সীমাবদ্ধ ছিল। তাদের সাথেই দুইটি করে টেষ্ট সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। গতকাল তাদের সাথে পাকিস্তান যোগ হলো। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে যেন নতুন করে ইতিহাস রচিত হলো। টেষ্ট সিরিজের জয়ের মালা গলায় পড়লো নাজমুল হাসান শান্তর দল।
গত ৩০শে আগস্ট রোজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার সময় খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। ঐদিন বাংলাদেশ টিম টস জিতলেও স্বাগতিকদের ব্যাটিং করার আমন্ত্রন জানায়। তবে ৩০শে আগস্ট বৃষ্টির কারনে একটি বলও মাঠে গড়ায় নি। সারাদিনই বৃষ্টি ছিল। যার ফলে প্রথম দিন কোন খেলা ছাড়াই শেষ হয়েগেছে। দ্বিতীয়দিন যথা সময়ে মাঠে নামে দুই দল। স্বাগতিকদের পক্ষে ব্যাটিং শুরু করে আবদুল্লাহ শফিক ও সাইম আইয়ুব। আবদুল্লাহ শফিক তাসকিন আহমেদের প্রথম অভারের পাঁচটি বল মোকাবেলা করতে পারলেও শেষ বলটা আর মোকাবেলা করতে পারে নাই। শেষ বলে বোল্ড আউট হয়ে যায় আবদুল্লাহ শফিক। যার ফলে প্রথমেই হোঁচট খায় পাকিস্তান। তবে অপর পাশের সাইম আইয়ুবের সংঙ্গী হয় ক্যাপটেন মাকসুদ। দুই জন ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়। তাদের জুটিতে স্কোর বোর্ডে ১০৭ রান যোগ হয়। তবে শেষ পর্যন্ত দুইজনই মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার হয়। মাকুসুদ lbwতে গেলেও সাইম আইয়ুব মিরাজের বল খেলতে গিয়ে কট খেয়ে উইকেট কিপার লিটনের হাতে ধরা পড়ে। আইয়ূব ৫৮ ও মাকুসদ ৫৭ রান করে মাঠ ছাড়ে। তারপর বাবর আজম আর শাকিল হাল ধরার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষন থাকতে পারে নাই, বাবর সাকিবের শিকার হয় আর শাকিলকে ফেরত পাঠায় তাসকিন। তারপরে দক্ষ খেলোয়ার রিজুয়ান দলের হাল ধরে। রিজুয়ানের সাথে জুটি ধরে সালমান। তবে বাংলাদেশের বোলিং তুপে তারাও বেশিক্ষন থাকতে পারে নাই। রানের সংখ্যা তিন শতের ঘর অতিক্রম করতে পারে নাই। সালমানের ফিফটিতে ২৭৪ রানে শেষ হয়ে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে মাঠে নেমেই পাকিস্তানের বোলিং ঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশের টাইগার বাহিনী। মাত্র ২১ রানে প্রথম সারির ছয়জন ব্যাট্সমেন আউট হয়ে যায়। সবার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। অপেনিং জুটি খুব তারাতারি ভেঙ্গে যায়। সাদমান ইসলাম টেনে টুনে দুই সংখ্যার ঘর পৌছতে পারলেও বাকি পাঁচ জনের কেউ দুই সংখ্যার দেখা পায়নি। তবে দলের বিপদের মুহূর্তে শক্ত হাতে হাল ধরেছে লিটন কুমার দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজ। লিটন দাস খুবই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়। সে খুবই ধৈর্য সহকারে পাকিস্তান বোলারদের মোকাবেলা করে। খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছে বাংলাদেশেকে। সে ২২৮ বলে ১৩৮ রান করে। ১৩টি চার ও চারটি ছয় মেরে ইনিংস সাজিয়েছে লিটন। আর মেরাজ ১২৪ বলে ৭৮ রান করে। সে ১২টি চার ও একটি ছয় মারে। সব মিলিয়ে দশ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান সংগ্রহ করে টিম বাংলাদেশ।
১০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যার্থ হয় অপেনার শফিক। সে দশ বলে তিন রান করে বিদায় নেয়। তবে আইয়ূবও মাকসুদ কিছু রান পায়। আইয়ূব ২০ ও মাকসুদ করে ২৮ রান। শাহজাদ বাবর ও প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা শাকিল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যার্থ হয়। বাবর ও সালামনের উপর নির্ভর করে কিছু রান পায় পাকিস্তান। তবে তারাও বেশিক্ষন দলের হাল ধরে রাখতে পারে নাই। ফিফটির কাছেও গিয়ে ফিরে আসতে হয় দুজনকেই। রিজুয়ান ৪৩ ও সালমান ৪৭ রান করে বিদায় নেয়। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রান করে গুছিয়ে যায় মাকসুদের দল পাকিস্তান।
লিডের ১২ ও দ্বিতীয় ইনিংসের ১৭২ রান মিলিয়ে ১৮৫ রানের সহজ লক্ষ পায় টাইগার বাহিনী। চতুর্থ দিন অপেনার সাদমানও জাকির হোসেন ধৈর্য সহকারেই মোকাবেলা করে পাকিস্তানকে। জাকির হাসান ৪০ রান করলেও সাদমান ২৪ রানেই থেমে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যাপটেন শান্ত কিছু রান করে। শান্ত ৩৮ ও মমিনুল করে ৩৪ রান। শেষে খেলার ফিনিশিং দেয় সাকিব ও মুশফিকুর রহিম। তারা ধীরে ধীরে খেলাটি এগিয়ে নিয়ে যায়। সাকিব ২২ ও মুশফিক ২১ রান করে অপরাজিত ছিল। সেই সাথে তারা দুই জন দলকে জয়ের বন্ধরে পৌছে দিয়ে বিজয় বেসে মাঠ ছাড়ে। রাওয়ালপিন্ডিতে লিখিত হয় এক নতুন ইতিহাস। সিরিজ জয়ে ব্যাটিং এর পাশাপাশি বোলারদের অবদান বেশি ছিল লক্ষনীয়। মেহেদি মিরাজ বল হাতে যেমন সফলতা পেয়েছে ঠিক তেমনি প্রথম ইনিংসে দারুন ব্যাট হাতেও সফলতার পরিচয় দিয়েছে। সেই জন্য সব কিছু বিবেচনা করে তাকে ম্যান অফদা সিরিজ নির্বাচিত করা হয়। আর লিটন হয় ম্যান অফদা ম্যাচ।
বাংলাদেশের টেষ্ট সিরিজ জয়ে ক্রিকেট ভক্ত সবাই বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দর জানায়। আমরা চাই বাংলাদেশের এই জয়ের ধারা অব্যাহত থাকুক। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.