ভিন্ন ধরনের কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি।।
বাংলা ভাষায় শেয়ার করো তোমার মনের অনুভূতি-
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো সবার কাছেই ভালো লাগবে।
আপনারা সবাই জানেন যে বাংলাদেশ হলো ছয় ঋতুর দেশ। এই ছয় ঋতুতে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল শাকসবজি বিভিন্ন ধরনের ফসল ও মাছ পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা শহরে বাস করে আপনারা দেখবেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ফল মূল শাকসবজি বাজারে আসে। বিশেষ করে একটি ফল শেষ হওয়ার পরে সাথে সাথে আরেকটি নতুন ফল বাজারে চলে আসে। আপনারা লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন এখন বাংলাদেশে আমের সিজন প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে আম জাম এবং কাঁঠাল প্রায় একসাথেই বাজারে আসে। জাম শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই, এখন আম ও কাঁঠাল শেষ হওয়ার পথে। এখন বাজারে আবার নতুন একটি ফল লটকন দেখা যাচ্ছে। সেই সাথে এক ধরনের গাব ফল ও বাজারে এসেছে। বর্তমানের বিভিন্ন ফল ফুলসহ বেশ কিছু ফটোগ্রাফি এখন আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
গত সপ্তাহে মসজিদ থেকে জুম্মার নামাজ পড়ে বাসায় আসার পথে এক বাড়ির নিচে এই ফুলটি দেখে ক্যাপচার করে ছিলাম। এই ফুলটির নাম হলো ক্যালিয়ান্ড্রা ফুল। এই ফুল গাছটি বাংলাদেশে এসেছে কয়েক বছর হবে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় ও বিভিন্ন উদ্যানে এ ফুল গাছটি দেখা যায়। আপনারা কেউ যদি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে থাকেন, তাহলে সেখানে দেখতে পারবেন বিশাল এলাকা জুড়ে এই ফুল গাছ দেখা যায়। এই ফুলটি দেখতে বাংলাদেশের কড়ুই ফুলের মত হলেও এ ফুল গাছগুলি এত বড় হয় না। মাঝারি ধরনের গাছের মধ্যে এই ফুল গুলো ধরে থাকে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি ঘাসফড়িং। এগুলো সাধারণত গ্রাম বাংলার ধান ক্ষেতে অথবা বিভিন্ন ফসলি জমিতে বেশি দেখা যায়। কিন্তু আচমকা একদিন আমি এই কীটপতঙ্গটি আমাদের অফিসের সিঁড়িতে দেখতে পাই। কিভাবে এই ঘাস ফড়িংটি আমাদের অফিসের সিঁড়িতে আসলো সেটা আমার অজানা। আমাদের অফিসের আশেপাশে তেমন কোন গাছপালা নেই, নেই কোন খালি জমি, বা বাগান। তারপরও কিভাবে আসলো সেটা আমি জানি না। ঘাসফড়িং টি দেখে আমার কাছে খুবই অসহায় মনে হল, চার দেয়ালের মধ্যে ঘাসফড়িং টি এপাশ থেকে ওপাশ যাচ্ছিল। আমি আমার ডে্স্কে যাওয়ার সময় ঘাসফড়িংটিকে দেখে ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম।
এখানে দুইটি সাগো পাম গাছের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। এই গাছগুলো বিদেশি গাছ। এই সাগু পাম গাছ এর জন্য থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া খুবই বিখ্যাত। বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে এই সাগো পাম গাছ চাষ করা হয় না। তবে মাঝে মাঝে কেউ কেউ বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এই গাছগুলো লাগিয়ে থাকে। আমি ঐদিন নামাজ পড়ে আসার পথে ওই ফুল গাছটির সাথে এই সাগু পাম গাছ গুলোর ও ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এই গাছগুলো বাড়ির আঙ্গিনায় লাগালে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। আসলে একটি গাছ পরিবেশকে অনেক সুন্দর করে দেয়, এই গাছটি তার প্রমান।
সেই বাড়ির আঙ্গিনাতে এই নয়ন তারা ফুলটি ও দেখেছিলাম। এই ফুলটি যদিও আমাদের সবার কাছে একটি কমন ফুল। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে এই ফুল গাছটি দেখা যায়। এমন কোন বাগান, এমন কোন উদ্যান পাওয়া যাবে না এই ফুল গাছটি ছাড়া। এই ফুল গাছটি বাজারেও খুবই অল্প দামে পাওয়া যায়। তাই সবাই ইচ্ছা মত এই ফুল গাছটি লাগায়। আর সে জন্য এই গাছটিও ফুল দিতে কৃপনতা করে না।
এ হলো সেই বহুল আলোচিত ফল লটকন। এই ফলটি কিন্তু এক দশক আগে বাংলাদেশে এত পরিচিত ছিল না। গত কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকাতে এই ফলটি চাষ হচ্ছে। তবে সব থেকে বেশি চাষ হয় নরসিংদী জেলাতে। নরসিংদীর লটকন গুলো দেখতে কিছুটা বড় এবং খেতেও মিষ্টি লাগে। আমর বাসে বা ট্রেনে যেভাবেই বাড়ি যায়। নরসিংদীর উপর দিয়ে যেতে হয়। তাই আমরা নরসিংদীর টনকনের ব্যপার ভালোই জানি। লটকন বর্তমানে ১২০ টাকা কেজি ধরে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | ভিন্ন ধরনের কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৬/০৭/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
বেশ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাই। যেখানে এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ মিলেছে। তবে সমস্ত ফটো গুলোর মধ্য থেকে লটকনের ফটোটা আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লাগলো। বর্ষার সময় লটকন ফল উঠে বাজারে। আমি খুবই পছন্দ করে থাকি এ ফলটা।
লটকন হলো একটি লোভনীয় ফল ভাই। দেখলেই কিনতে মন চাই। ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আজকে আপনি খুব সুন্দর এলোমেলো ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।পাম গাছের ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। এবং ক্যালিয়ান্ড্রা ফুল এর ফটোগ্রাফিও ভালো লাগলো। সত্যি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
এই পাম গাছ গুলো বাড়ির সুন্দর্য বৃদ্ধিকরে। এগুলো এখন মানুষ লাগচ্ছে।
অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। জুম্মার নামাজ পড়ে আসার সময় লাল রঙের ফুলের ফটোগ্রাফি টা দারুন করেছেন। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বর্ণনা অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু এইটা একটি বিদেশি ফুল। তাই দেখতে দারুন লাগে। ধন্যবাদ।
আপনি একদম ঠিক বলছেন আমরা ছয় ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের ফলের সাথে পরিচিত। এক সিজনের ফল শেষ হওয়ার আগে অন্য সিজনের ফল চলে আসে। তাছাড়াও এখন দেখা যায় যে বারো মাস কিছু ফল আমাদের বাজারে দেখা যায় বেশ ভালো লাগে। তবে বর্তমান সময়ে কৃষি ক্ষেত্রে এত উন্নত হওয়ার কারণে এখন ফল খাওয়ার তেমন অসুবিধা হয় না। যদিও বাজার দাম বেশি কিন্তু বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলমূল সাপ্লাই করা হয়। আপনি অনেকগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন বেশ ভালো লাগলো।
আমি বিভিন্ন সিজনে ফল গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়। ধন্যবাদ।
দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে দারুন ভাবে বর্ননা দিয়ে উপস্থাপন করেছেন । শুভ কামনা রইলো।
চেষ্টা করেছি ভাই, যথা সম্ভব ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর করতে। ধন্যবাদ।
আপনার এলোমেলো এই ফটোগ্রাফিয়ে দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। বিশেষ করে লটকন এবং প্রথম এর ফলের ফটোগ্রাফি টা। এই ধরনের গাব ফল খেতে অনেক ভালো লাগে আমাদের এলাকাতে এই গাছ একটা রয়েছে।
এই গাব ফল গুলো দেখে অনেক ভালো লাগে। বর্তমানে এই ফল গুলো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
খুবই সুন্দর সুন্দর এলোমেলো ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাইয়া। অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
ক্যালিয়ান্ড্রা ফুল গুলো অনেক জায়গায় দেখেছি তবে নাম জানা ছিল না। ফুলগুলো আসলেই খুব সুন্দর লাগে দেখতে। আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ভীষণ সুন্দর হয়েছে। লটকন এর দাম সবসময় একটু বেশি থাকে। তবে এই ফলটা ভীষণ ভালো লাগে খেতে। দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু ক্যালিয়ান্ড্রা ফুলটা বাংলাদেশে এসেছে বেশি দিন হয়নি। তাই অনেকেই নাম জানে না। ধন্যবাদ।
সবকটি ফটোগ্রাফি বড় সুন্দর তুলেছেন। প্রথমের লাল ফুলটি ভীষণ সুন্দর। এছাড়াও ফড়িঙের ছবিটিও সুন্দর। এটিকে এদেশে গঙ্গাফড়িং বলে। আপনি যে সুন্দর ছবি তোলেন, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে
আমাদের দিকে ঘাস ফড়িং আপনাদের দিকে গঙ্গাফড়িং অনেক সুন্দর নাম।