সাউথ আফ্রিকার সাথে বীরের মত লড়াই করে হেরেছে বাংলাদেশ।।
বাংলা ভাষার এক মাত্র কমিউনিটি-
আজকে বিশ্ব খেলা দিবস জেনেও আজকে আমার খেলা নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার কোন ইচ্ছা ছিল না। তারপরেও বাধ্য হয়ে খেলা নিয়ে পোস্ট লিখতে বসলাম। গত কাল খেলাটা দেখে আমি সারারাত ঘুমাতে পারি নাই। কি হওয়ার কথা ছিল, আর কি হয়ে গেলো এ কথা মনে করে ছটফট করেছি। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ কিভাবে ঘুমিয়েছে সেটাই চিন্তা করতেছি। মূলত গত কালকের খেলাটা আমাদের ভাগ্যে ছিল না। ভাগ্যে যদি কোন খেলা না থাকে তাহলে শত চেষ্টা করেও খেলা জেতা সম্ভব না। যদি খেলাটা আমাদের ভাগ্যে থাকতো তাহলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এভাবে আউট হতো না। হৃদয়ের আউট টাও আমি মেনে নিতে পারি নাই। গত কাল আম্পায়ারের ও কিছু ভূল ছিল।
গতকাল বাংলাদেশের খেলা দেখার ইচ্ছা করে সাড়ে ছয়টার সময় অফিস থেকে বাসায় চলে যায়। ল্যাপটপে হাজার চেষ্টা করেও লাইভ খেলা দেখতে পারলাম না। অবশেষে খাটে শুয়ে মোবাইলে Star Sports অ্যাপ ডাউনলোড করে খেলাটি দেখেছি। চোখে প্রচন্ড ঘুম ছিল,মাথা ব্যাথাও করছিলো। তারপরও কষ্ট করে খেলাটি দেখার চেষ্টা করেছি। গত কাল বাংলাদেশি টাইম সাড়ে আটটার সময় নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হয়। সাউথ আফ্রিকা প্রথমে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ টস হেরে বোলিং করার প্রস্তুুতি নেয়। সাউথ আফ্রিকার পক্ষে অপেনিং করে রেজা হেন্ড্রিক্স ও ডি কক। আমার প্রথম টার্গেট ছিল ডি কক কে আউট করা। কিন্তুু ভাগ্যক্রমে প্রথমেই তানজিম হাসান সাকিবের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে রেজা হেন্ড্রিক্স। সে প্রথম বল খেলেই শূণ্য রানে আউট হয়। ডি কক কিছুক্ষণ টিকে ছিল। সে ১১ বোলে ১৮ রান করে। ক্যাপটেন মার্করাম ও ট্রিস্টান স্টাবস ও রান করতে পারে নাই। তখন ২৩ রানে চার ইউকেট ছিল। এমন সময় গ্যালারির এক পাশ নিশ্চুপ হয়ে গেলো।
মাঝ পথে ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার খেলার হাল ধরে। দুই জন ধীরে ধীরে রানের চাকা সচল করে। অল্প অল্প করে তাদের রান বাড়তে থাকে। ক্লাসেন এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সে ৪৪ বলে ৪৬ রান করে। সে দুইটি চার ও তিনটি ছয় মেরে তার ইনিংস সাজায়। অপর পাশে থাকা ডেভিড মিলার ৩৮ বলে ২৯ রান করে। তারপর আর কেউ দুই সংখ্যার ঘর অতিক্রম করতে পারে নাই। সব মিলিয়ে সাউথ আফ্রিকা ২০ ওভার শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ টার্গেট পায় ১১৪ রানের। তখন বাংলাদেশি দর্শকরা খেলাটি জেতার স্বপ্ন দেখে। আমিও খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ খেলাটি উপভোগ করার চেষ্টা করলাম।
দ্বিতীয় পর্বে ১১৪ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে টিম বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের পক্ষে অপেনিং করে নাজমুল হাসান শান্ত ও তানজিদ হাসান। শুরুটা বাংলাদেশেরও তেমন ভালো হয়নি। তানজিদ ৯ রান করে রাবাদার বলে ডি ককের হাতে ক্যাচ ধরা পড়ে আউট হয়ে যায়। তারপর লিটন দাশ ও শান্ত কিছুক্ষন ক্রিজে থাকার চেষ্টা করে। তবে বাউন্স বলে হিট করতে গিয়ে শান্তকে রেখে লিটন আউট হয়ে যায়। সাকিব আল হাসান এসেও লিটনের পথে হাটে। সেও বাউন্স বল খেলতে গিয়ে মাঠ ছাড়ে। নাজমুল অনেক গুলো বল খেলেছে,সে ২৩টি বল খেলে মাত্র ১৪ রান করে। মাত্র ৫০ রানে চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশও দিশেহারা হয়ে পড়ে।
অবশেষে তৌহিদ হৃদয় ও মাহমুদুল্লাহ দলের হাল ধরার চেষ্টা করে। তারা ধীরে ধীরে রানের চাকা সচল করে। হৃদয় মোটামুটি ভালোই খেলতেছিল। হঠাৎ করে একটি এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে হৃদয়। সাথে সাথে হৃদয় রিভিউ নিয়ে ফাদঁ থেকে রক্ষা পায়। সেখানে আম্পায়ারের ভুল ছিল। তবে বিপদ তার পিছন ছাড়ে নাই। পরের ওভারে আবার এলবিডব্লিউর আবেদন করলে আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে। তখন হৃদয় রিভিউ নেয়। তবে তখন হৃদয় লিগ্যাল ভাবে আউট না হয়েও আইসিসির নিয়মের কাছে হেরে যায়। ফলে ৩৪ বলে ৩৭ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় হৃদয়কে। তখন ১০৭ রানে ৬ উইকেট ছিল বাংলাদেশের। সব আশা ভরসা ছিল মাহমুদুল্লাহর উপর। হৃদয়ের পরে জাকের আলী নামলেও সে তেমন কিছু করতে পারে নাই। লাষ্ট ওভারে বাংলাদেশের ১১ রান লাগে। দুই জন খেলে ২ বলে ৬ রানের দরকার পড়ে। পঞ্চম নাম্বার বলে মাহমুদুল্লাহ ছয়ের হিট করেছিল। তবে ভাগ্যক্রমে বাউন্ডারীর সীমানা থেকে ক্যাচ হয়ে যায়। সাথে সাথে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। লাষ্ট বলে এক রান নিলে চার রানে জয় পায় সাউথ আফ্রিকা। দুই দলের বোলারদের পার্ফমেন্স অনেক ভালো ছিল। তানজিদ হাসান সাকিব চার ওভার বোল করে ১৮ রান দিয়ে তিন উইকেট পায়। অপর পাশে কেশব মহারাজ ও চার অভারে ২৭ রান দিয়ে তিন উইকেট পায়। হেনরিক ক্লাসেন একক ভাবে সব থেকে বেশি রান করার ফলে তাকেই ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়।
গত কাল বাংলাদেশ হারলেও তারা বীরের মত লড়াই করে হেরেছে। অনেক খেলা বাংলাদেশ লাষ্ট অভার পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে হেরেছে। এরকম নজির অনেক রয়েছে। শান্ত ও জাকের আলী অনেক গুলো বোল নষ্ট করেছে। তারা যদি কিছু রান করতো, তাহলে খেলাটি জিততে পারতো। যায়হোক বাংলাদেশের ভাগ্যে ছিল না।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কালকের ম্যাচ টা দেখেছিলাম। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সত্যিই অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিততে পারলো না। মাত্র চার রানের জন্য হেরে গেলো। ম্যাচ টা দুর্দান্ত ছিল। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রিভিউ দিয়েছেন। দেখে ভালো লাগলো।
জী আপু মাহমুদুল্লাহ সর্বউচ্চা চেষ্টা করেছে। ধন্যবাদ।
আর লড়াই ভাই। মাহমুদউল্লাহর ঐ ছয়টা হয়ে গেলে বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতে যেত। একেবারে শেষে এসে ম্যাচটা হারল। তবে এই ম্যাচে সাকিব সহ বেশ কিছু ক্রিকেটার একেবারে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো খেলেছে। এইজন্যই এই অবস্থা। না হলে ম্যাচ পুরোপুরি আমাদের হাতে ছিল কিন্তু।।
সাকিব,লিটন,শান্ত তারা একেবারে বাজে খেলেছে। তাদের জন্য খেলাটা লাষ্ট ওভার পর্যন্ত গেছে। ধন্যবাদ।
https://x.com/ArianKh29670721/status/1800829764233728306?t=igZHmnam1yQCcot6rfQdaQ&s=19