আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের তৃতীয় পর্ব।।
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। সেই সাথে এটাও কামনা করি যে, সবাই খুব সুন্দর ভাবেই রমজান মাসের হুকুম আহকাম গুলো পালন করতেছেন। রোজাকে সহী শুদ্ধ রাখতে হলে রোজা অবস্থায় সকল প্রকার পাপাচর,অনাচার থেকে মুক্ত থাকতে হবে। কারো নামে গিবত,পরনিন্দা করা যাবে না। জগড়া-ফাসাদ করা যাবে না। আর রোজাদারকে সবসময় সম্মান করতে হবে। যথা সম্ভব সবাইকে সাথে নিয়ে ইফতার করতে হবে। নিজের আনন্দের সাথে অন্যকেও শামিল করতে হবে। যায়হোক চলুন এবার মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
আমি আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমন করেছিলাম গত মাসের ২১ তারিখে। বিভিন্ন ব্যস্ততার কারনে আমি মাত্র দুইটি পর্ব আপাদের সাথে শেয়ার করেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে তৃতীয় পর্ব শেয়ার করবো। এই পর্বে আপনারা দেখতে পারবেন তৎকালীন নবাবদের ব্যবহৃত জিনিষ পত্র। যে গুলো হয়তো আপনারা কখনও দেখেন নাই। আমিও সেখানে না গেলে দেখার সুযোগ পেতাম না।
পূর্ব যুগে রাজা বাদশা বা নবাবরা অনেক নামী-দামি জিনিষ পত্র ব্যবহার করতো। তাদের ব্যবহৃত জিনিষ গুলো আমি টিভিতে বা মুভিতে দেখেছিলাম। ঐদিন আমি স্বচক্ষে দেখলাম। জিনিষ গুলো অনেক পুরাতন হওয়ার কারনে কিছুটা নষ্ট হয়ে গেলেও সুন্দর্য কমে নাই। বর্তমানে আমরা যে জিনিষ গুলো বাজার থেকে কিনে নিয়ে ব্যবহার করি সে গুলো অল্প দিনেই নষ্ট হয়ে যায়। নকল করতে করতে জিনিষ পত্রের অবস্থা বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। অথচ তাদের ব্যবহৃত জিনিষ গুলো এত বছর পরেও অক্ষত অবস্থায় আছে।
তারা সাধারনত তামা বা কাসার বা পিতলের জিনিষ বেশি ব্যবহার করতো। এখন এত দামি দামি জিনিষ মানুষ ব্যবহার করে না। যদিও এগুলো কেউ শখ করে কিনে তবে সে গুলো আলমারিতে সাজিয়ে রাখে। তাদের ব্যবহৃত জিনিষ গুলো দেখে আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। আশা করি আপনারা দেখলে আপনাদের কাছেও অনেক ভাল লাগবে। সিকিউরিটির চোখ ফাকিঁ দিয়ে আপনাদের জন্য ফটো গুলো ধারুন করেছি।
Date-21-02-2023 Time-4.30 pm
Location-Dhaka,Bangladesh
এটি হলো নওয়াব আবদুল গনির ডাইনিং টেবিল। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ডাইনিং টেবিলে অনেক ধরনের জিনিষ পত্র দিয়ে সাজানো আছে। এখানে এক সাথে ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ জন মানুষ এক সাথে খাবার গ্রহন করতে পারবে। এখানে অনেক দেশি বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ খাবার গ্রহন করার ইতিহাস রয়েছে। যার প্রমান সেখানে গেলেই দেখতে পাবনে।
Date-21-02-2023 Time-4.30 pm
Location-Dhaka,Bangladesh
এগুলো হলো বিভিন্ন দেশ থেকে আনা লাইট। কি ধাতু দিয়ে তারা এগুলো বানিয়েছে সেটা আমি জানি না তবে এখন পর্যন্ত এগুলো অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। আমার মত প্রজন্মের পর প্রজন্ম এগুলো দেখবে।
Date-21-02-2023 Time-4.30 pm
Location-Dhaka,Bangladesh
আমরা সবাই জানি যে প্রত্যেক রাজ দরবারে বিভিন্ন জ্ঞানী গুণী,ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, পন্ডিত,কবি থাকতো। তেমন ভাবে নবাবদেরও পারসোরাল ডাক্তার ছিল। সেই ডাক্তারের প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্র গুলোও এখানে অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষন করা হয়েছে। এখানে কিছু গভেষনার জিনিষ পত্রও রয়েছে। এগুলো খুবই দুর্লব জিনিষ। জাদুঘর ছাড়া এগুলো কল্পনাতেও দেখা যাবে না।
Date-21-02-2023 Time-4.30 pm
Location-Dhaka,Bangladesh
এখানে রয়েছে অনেক দামি কিছু তামার জিনিষ পত্র। এগুলো এখন মাকের্টে কোথাও খুজে পাওয়া যাবে না। এগুলো নবাবদের পানির পাত্র, পান পাত্র, প্রদীপ পাত্র, মদ সুরার পাত্র। জিনিষ গুলো দেখলে মাথা ঘুরে যায়। ঐ সময় এত সুন্দর ডিজাইন তারা কিভাবে করলো। এগুলো নতুন অবস্থায় না জানি কত সুন্দর ছিল।
Date-21-02-2023 Time-4.30 pm
Location-Dhaka,Bangladesh
এখানে রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের খুবই পুরাতন কিছু খাওয়ার প্লেইট ও বাসন কোসন ও বাটি। প্রত্যেকটার ডিজাইন এবং কারো কার্য এত নিখুঁত যে দেখলে সাথে করে নিয়ে আসতে মন চাই। সব গুলো জিনিষই আলমারির ভিতর তালা দেওয়া আছে। হাত দিয়ে স্পর্শ করার সুযোগ নেই।
বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। আহসান মঞ্জিলের ভিতরে যা কিছু দেখলাম আজকে সেগুলোর অল্প কিছু শেয়ার করলাম। কেমন হলো আজকের পোষ্ট অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা নতুন কিছু বিষয়ের আপডেট নিয়ে।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
জাদুঘরের নাম | আহসান মঞ্জিল জাদুঘর |
স্থান | আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা । |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ২১-০২-২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমন পর্বের এবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে এত বড় ডাইনিং টেবিল অনেক ভালো লাগলো। আসলে পুরনো দিনের সব কিছুই একটু ভিন্ন ধরনের। আর পুরনো জিনিস গুলো দেখেত তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করছিল। ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক কিছুই জানতে পারলাম এবং অনেক কিছু দেখতে পেলাম।
জী আপু ডাইনিং টেবিলটি দেখে আমিও অবাক হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
তৎকালীন রাজা-বাদশারা কত সৌখিন এবং কত দামী দামী জিনিসপত্র ব্যবহার করত, সেগুলো এইসব জায়গায় না গেলে আসলে বোঝা যায় না। আপনার প্রত্যেকটা টপিক্স মোটামুটি পড়ার চেষ্টা করেছি। তবে পার্টিকুলার কোন টপিকস নিয়ে কথা বলব বুঝতে পারলাম না। আমি নিজেও কিছুদিন আগে কলকাতা মিউজিয়াম দিয়ে ঘুরে আসলাম। এখনো অনেক পর্ব শেয়ার করা বাকি আছে। আপনার পোস্ট পড়ে আসলে ভালো কিছু ইনফরমেশন সংগ্রহ করতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
জী ভাইয়া এসব জাদুঘরে গেলে অনেক অজানা তথ্য জানা যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। রাজা বাদশাহাদের ব্যবহারিত পুরাতন আসবাবপত্র গুলো দেখলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে এরকম জায়গায় না গেলে বোঝাই যায় না রাজা-বাদশাদের ব্যবহারিক জিনিসগুলো কিরকম ছিল। খুবই সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন আপনার ভ্রমণ কাহিনী পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
জী আপু না ঘুরলে না দেখলে বুঝা যায় না আসলে পৃথিবীতে কত কিছু ছিল এবং আছে। ধন্যবাদ আপু।
আহসান মঞ্জিল ভ্রমণ করতে যেয়ে আপনি বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন তার মধ্য থেকে এবং তা আজ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে। আমার খুবই ভালো লেগেছে অনেক বিষয় সম্পর্কে দেখতে পারলাম জানতে পারলাম বুঝতে পারলাম আপনার এই পোষ্টের মধ্যে থেকে। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর কমেন্ট করেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ।
বেশ কিছুদিন আগে আমিও গিয়েছিলাম আহসান মঞ্জিলে। পুরনো দিনের সবকিছু দেখতে পেয়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর করে কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। যদিও আমি যখন গিয়েছিলাম ঠিক ভালোভাবে ফটোগ্রাফি করা হয়নি। ওখানে তো ফটোগ্রাফি করতে গেলে বাধা দেয়। তারপরেও লুকিয়ে লুকিয়ে দু একটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম। কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাই মাঝে মাঝে এসব জাগায় ঘুরলে অনেক তথ্য জানা যায়।
ঢাকা যখন গিয়েছিলাম আহসান মঞ্জিল দেখার অনেক বেশি ইচ্ছা ছিল কিন্তু সময় না হওয়ার কারণে দেখতে পারি নাই। তবে পরবর্তীতে গেলে দেখার কিন্তু প্লান আছে। আপনি ঠিক বলছেন রোজা রাখা বড় কথা নয় তবে রোজা রেখে কিভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় সেই চেষ্টাই করতে হবে। আগেকার জিনিস যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করলেও কোনো ক্ষতি হতো না। কিন্তু এখনকার জিনিস সামান্য টুক্কা পেলেও সাথে সাথে নষ্ট হয়ে যায় জিনিসগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে বেশ ভালো মানের ছিল।
আপু সুযোগ করে একবার ঘুরে আসবেন। অনেক ভাল লাগবে। ধন্যবাদ আপু।