বাঙ্গালী মানুষের ফল কান্ড ।।

হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের ব্লগটি মূলত সতর্কতা মূলক পোষ্ট। যদি মনযোগ সহকারে পড়েন তাহলে হয়তো উপকৃত হবেন।

Link

আমাদের দেশের বাজারে অনেক প্রকারের ফল পাওয়া যায়। মৌসুমি ফল পাওয়া যায় আবার এক মৌসুমের ফল অন্য মৌসুমেও পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় মৌসুমের সময় যে ফলটা এত টাটকা পাওয়া যায় না মৌসুম ছাড়া সেই ফলটা আরো বেশি টাটকা পাওয়া যায়। এটা কিভাবে সম্ভব সে বিষয়ে আমার তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই। আপনাদের কোন অভিজ্ঞতা থাকলে সেটা কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমি কো ফল বিশ্লেষক নয়।

আমি এখন যে ফলটা নিয়ে কথা বলবো সেটা হলো বারোমাসি ফল আপেল। কম বেশি সবাই অপেল পছন্দ করে। সবাই আপেল খেয়ে থাকে। আমাদের দেশের আপেল সাধারনত পঁচে না। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের ভাগ্য এত ভালো যে ১৫ থেকে ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের আপেল নষ্ট হয় না। সেই আপেল নষ্ট না হওয়ার পেছনে ছোট একটি কারন আছে। সেটাই উল্লেখ করছি।

কিছুদিন আগে কমলাপুর থেকে আসার সময় সাইনবোর্ড এলাকা থেকে এক কিলো আপেল কিনেছিলাম। আপেল গুলো খুবই টাটকা। খুব সুন্দর হওয়ার কারনে দেখে দেখে এক কিলো আপেল নিলাম। বাসায় এনে ফ্রিজের নরমাল বক্সে রেখে দিলাম। রাতের বেলা খাওয়ার সময় আপেল গুলো কেমন যেন একটু আটালো মনে হলো। ভাবলাম হয়তো ফ্রিজ থেকে কোন কিছু আপেলের সাথে মিক্স হয়ে এমন হয়েছে। তখন কিচেন রুমে দিয়ে টেপের পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম। খুব ভালো ভাবে কচলিয়ে ধৌত করার পরেও আটালো ভাবটা যাচ্ছে না। তারপর হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ধৌত করলাম। কোন কাজ হলো না। আটালো ভাব যাচ্ছে না। আপেল আনার সময় তো এমন ছিল না।

তারপর থালা বাসন মাজার জালি দিয়ে ঘষা দিলাম। তখন দেখলাম কেমন যেন সাদা সাদা ময়লা উঠতেছে। তখন একটু সন্দেহ হলো। তারপর ভাবলাম হয়তো নতুন জাতের আপেল বের হয়েছে,তাই এমন। কারন পৃথিবীতে কত কিছু অবিষ্কার হচ্ছে কয়টার বিষয়ে আর আমাদের ধারনা আছে। মোবাইল তো নেই, নষ্ট ল্যাপটপ দিয়েই অনলাইনে সার্চ দিলাম। অনেক গুলো আপেলের বিডিও এসেছে। তবে কয়েকটি বিডিও দেখে অবাক হয়ে গেলাম। ল্যাপটপের ডিসপ্লে প্রবলেমের কারনে ঠিক ভাবে দেখা যায় না। তবে আওয়াজ শুনা যায়। বিডিও গুলো দেখে যতটুকু ধারনা পেলাম কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা আপেল যেন তারাতারি না পঁচে সেজন্য আপেলের উপরে মোমের একটি পাতলা প্রলেপ দিয়ে দেয়। প্রলেপটা এমন ভাবে দেওয়া হয়, যাদের এই বিষয়ে ধারনা নেই তারা কিছুতেই সেটা বুঝতে পারবে না। ছুরি অথবা ব্লেড দিয়ে যখন চাসা হয় তখন মোমের পাতলা প্রলেপটা উঠে আসে। বাঙ্গালীর কান্ড দেখেন। নিজের দেশের মানুষের এসব কথা বলতে লজ্জা লাগে। তারপরও না লিখে পারলাম না।

আরেকটি কান্ড আছে। সাধারনত রাস্তাঘাটে আসা যাওয়ার পথে পছন্দ হলে আমরা বিভিন্ন রকম ফলমূল কিনে থাকি। এই ফল কিনতে গিয়ে আমরা প্রতারনার শিকার হয়। আপনি বা আমি যখন ফল কিনি অনেক সময় তারা প্যাকেট চেন্জ করে ফেলে। এমন একটি বিডিও আমি দেখেছি। তা ছাড়া এক কিলো ফল কিনলে দোকানদার কিভাবে যেন দুই একটি ফল খারাপ দিয়ে দেয়।

উপরের যে গুলো বললাম সে গুলো তো পত্যক্ষ ভাবে প্রতারনা। আর ফলের মধ্যে তো ফরমালিন দিয়েই থাকে। সে গুলো আবার শরীরে অনেক ক্ষতি করে। বিভিন্ন দেশে যে কোন পন্যের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সে গুলো ফেলে দেয়। বাংলাদেশে ফল ফেলে দিতে খুব কম দেখা যায়। যে ফল গুলো একেবারে পচেঁ যায় সে গুলো ফেলে। যখন দেখে এগুলো আর প্রতারনা করেও ক্রেতাকে দেওয়া যাবে না।

যায়হোক আমাদের দেশে আরো অনেক ভাবে প্রতারনা করা হয়। গতকালও একটি প্রতরনার গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজকেও একটা শেয়ার করলাম। আশা করি আপনারা এসব প্রতরনা থেকে সতর্ক থাকবেন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।