দৃষ্টিনন্দন কিছু ফুলের আলোকচিত্র।।

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি,
আমি @joniprins, আমাদের প্রাণপ্রিয় কমিউনিটির সকল সদস্যদের জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সবাই স্ব স্ব অবস্থানে অনেক ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথ নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি দৃষ্টিনন্দন কিছু ফুলের আলোকচিত্র আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।

আমাদের প্রতিদিনের সকালটা শুরু হোক ফুলের সুগন্ধ দিয়ে। সেই জন্য আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। পকেট থেকে কিছু পয়সা বের করতে হবে। জীবন থেকে কিছু সময় ব্যয় করতে হবে। একটু কষ্ট করে নার্সারি থেকে কিছু সুগন্ধ ছড়ানো ফুল গাছ এনে লাগাতে হবে। বারান্দায় লাগাতে পারেন,আবার বাসার ছাদেও লাগাতে পারেন। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে সেই ফুল গাছে পানি দিতে দিতে ফুলের সুগদ্ধ নিতে পারেন। যেহেতো ফুল গাছ থেকে সুগন্ধ নিবেন, ফুল গাছের কিছুটা পরিচর্যাও করতে হবে। বারান্দায় ফুল গাছ থাকলে পরিবেশটা অনেকটা পাল্টে যায়। ধীরে ধীরে বারান্দায় ফুলের বাগান বাড়ছে। আশা করি সেটা অব্যাহত থাকবে।

কাঠগোলাপ ফুলটা অন্যতম একটি সুন্দর্যবর্ধিত ফুল। আমাদের বাসার ছাদেও কিছু কাঠ গোলাপ ফুল ছিল। তবে গতমাসে গাছের মালিক বাসা ছেড়ে যাওয়ার সময় সাথে করে ফুল গাছ গুলো নিয়ে গেছে। এখন জায়গাটা কেমন যেন খালি হয়ে গেছে। সেখানে আবার কেউ গাছ লাগাবে কি না সেটা জানি না। তবে আমি সেখানে পুইশাক গাছ লাগানোর চিন্তা করতেছি। দেখা যাক কি করা যায়। এই ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমি বৃক্ষ মেলা থেকে সংগ্রহ করেছিলাম।

এই ফুলটির নাম হলো হেলিকোনিয়া ফুল। এই ফুলটি প্রথম দেখা যায় দক্ষিণ আমেরিকাতে। পরে এটি একসময় থাইল্যান্ডেও দেখা যায়। ধীরে ধীরে সেটা বাংলাদেশেও বিস্তার লাভ করে। এই ফুলটিকে দেখতে তুতাপাখির ঠোঁটের মত লাগে। এই জন্য অনেকে এটাকে তুতাফুলও বলে থাকে। আসলে এই ফুল অন্যান্য সাধারন ফুল থেকে কিছুটা আলাদা। তাছাড়া বিশেষ কিছু ছায়গা ছাড়া এটা দেখা যায় না।

এটি একেবারে খাস বাংলা ফুল। মানে এটির ব্যাপারে সবাই ধারনা রাখে। এই ফুলটি ক্যাপচার করেছিলাম অনেক আগে। শেয়ার করা হয়নি। ফুলটির মেয়াদ অবশ্য শেষ হয়ে আসতেছে। এই ফুল গুলো নতুন যখন ফুটে তখন দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ফুলটির নিচে ছোট একটি মিষ্টি কুমড়োও দেখা যাচ্ছে। যখন কুমড়োটি বড় হয়ে যাবে,তখন ফুলটি ধীরে ধীরে শুকিয়ে নিচে পরে যাবে।

এই ফুলটির নাম হলো মধুমালতি ফুল। অনেকে আবার মধুমঞ্জরী লতা বা লাল চামেলী ফুলও বলে থাকে। এই ফটোগ্রাফিটা আমি নিয়েছি নারায়নগঞ্জের রাসেল পার্ক থেকে। এটাকে আমার কাছে লতা ফুলই মনে হচ্ছে। কারন আমি যখন ফটোগ্রাফি করেছি তখন দেখেছি এটি কিছু রডের উপর ছড়িয়ে আছে। এই ফুল গুলো বৈশিষ্ট হলো প্রথমে পাঁপড়ি গুলো সাদা থাকলেও ধীরে ধীরে লাল হয়ে যায়।

এটিও একটি কাঠগোলাপ ফুল। বর্তমানে এই ফুলটা ভালোই বিস্তার লাভ করেছে। দেখতে চমৎকার হওয়ার কারনে এটি সহজ ভাবেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারে। যার ফলে অনেক মানুষই শখ করে এই ফুল গাছটি লাগিয়ে থাকে। এই ফুল গুলোর বৈশিষ্ট হলো সাদা পাঁপড়ির মধ্যে হালকা হলুদবর্ণের হয়।

এই ফুলটির পূর্ব নাম হলো ময়ূর ফুল। যার আধুনিক নাম রাধাচূড়া। ময়ূরের পাঁখার মধ্যে যে ধরনের ডিজাইন করা, এই ফুলটিও সেরকম ডিজাইন। যার ফলে এটাকে মূয়ূর ফুল বলে থাকে। তবে আধুনিক রাধাচূড়া নামের কোন কারন আমার জানা নেই। তবে এটি খুবই সুন্দর্যবর্ধিত একটি ‍ফুল। যেটা বেশি অংশ রাস্তার কিনারে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় দেখা যায়।

প্রিয় বন্ধুরা,আজকে আবার বাড়াবো না। আজকে এখান থেকেই বিদায় নিবো। আবার আগামীকাল নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।