সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি এ্যালবাম।।

হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই..? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই দেখি আকাশের চারপাশ অন্ধকার। পরিবেশিটা দেখে অনেক খুশি হয়েছি। অনেক দিন যাবৎ বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে বৃষ্টির মাধ্যমে জমিন তৃপ্তি পেল। গরমের তাপটা কিছুটা কমে গেছে। আজকে আমি কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। ছবি গুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছিলাম। চলুন শুরু করি।

আজকের ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে রয়েছে আমার প্রিয় খাবারের একটি ফটোগ্রাফি। কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি,আমের ফটোগ্রাফি। আরো আছে সবার মনের চাওয়ার বৃষ্টির ফটোগ্রাফি। ধীর্ঘদিন যাবৎ প্রচন্ড গরমে ভোগতেছি। বৃষ্টির আশায় থাকতে থাকতে অবশেষে বৃষ্টির দেখা পেলাম। যে সময় বৃষ্টি পড়ছিলো ঐ সময় অবশ্য আমি অফিসে ছিলাম। অফিসের জানালা দিয়ে বৃষ্টির ফটোগাফিটা নিয়েছি। ছোট একটা বিডিও করেছিলাম। বৃষ্টি দেখে বৃষ্টিতে ভেজার জন্য খুব মন চাইছিলো। তবে অফিসে থাকার জন্য সেই শখটা পুরন হচ্ছে না।

বর্তমানে ঘরের বাহিরে,মার্কেটে সব জাগায় আমের ছাড়ছড়ি। সেই আমের ফটো না থাকলে কেমন হয়। তাই একটি আমের ফটোও রেখেছি। এখন যে জিনিষটা যেখানে ভাল লাগে ফটোগ্রাফি করে মোবাইলে জমা রেখে দেয়। এই বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভাল লাগে। সব গুলো ফটোই অনেক সুন্দর। আশা করি আপনাদের নিকট খুব ভাল লাগবে।

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০১

location
Device-Redmi Note-8
Date-07.05.2023 Time-11.30 AM

দেখেন তো এনাদের চেনের কি না...। এনাদের দৌড়ানি খাইনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। এনাদের আমি খুব ভয় পায়। ছোট সময় একবার স্কুলে যাওয়ার সময় এমন দৌড়ানি খেয়েছিলাম যে পুকুরে গিয়ে পড়েছিলাম। বিশাল বড় গলাটা সাপের মত করে আসে। এনাদের নামটা আবার খুব সুন্দর রাজহাঁস আর রাজহংসী। এনারা হাসঁ হলেও জল থেকে স্থলেই বেশি থাকে।

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০২

location
Device-Redmi Note-8
Date-08.05.2023 Time-11.30 AM

এই ফুলের ফটোগ্রাফিটা নিয়েছিলাম সিলেট পাহাড়ি অঞ্চল থেকে। ফুলটা দেখে অনেকেই চিনতে পারছেন আবার অনেকই চিনতে পারছেন না। এইফুলটি হলো ঢেঁড়শ ফুল। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে ফুলটি। এমন রাস্তার পাশের ফুল গুলো আমাকে অন্তর থেকে খুব টানে।

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০৩

location
Device-Redmi Note-8
Date-08.05.2023 Time-11.30 AM

কিছুদিন আগে সিলেট ঘুরতে গিয়ে আপুর পুরাতন বাড়ির গাছ থেকে আম পেড়েছিলাম। গাছ থেকে সরাসরি আম পেড়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। আম রাখার ব্যাগ আর নিচের অবস্থা দেখেই বুঝতে পারছেন,একেবারে জঙ্গলের ভিতরে থেকে আমা গুলো পেড়েছিলাম। এই আম দিয়ে ভর্তা করে খেয়েছি আবার আমের আচার বানিয়েও খেয়েছি। আম গুলো খুবই সুস্বাদু।

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০৪

location
Device-Redmi Note-8
Date-08.05.2023 Time-11.30 PM

এগুলো হলো বন্যজাম ফুল। আমার জানামতে বাংলাদেশে তিন প্রকারের জাম দেখেছি। একটি হলো সাধারন জাম যেটা সাধারনত বাজারে বিক্রয় করা হয়,এগুলোর মধ্যে কয়েকটা ভাগ আছে তবে সব গুলো দেখতে একরকম। আর একটি হেলা ভুতি জাম। এগুলো খুব ছোট ছোট জাম। এগুলো বাজারে বিক্রয় করা হয় না। আরেকটি হরো বন্য জাম। উপরের ফুল গুলো সেই বন্য জামের ফুল।

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০৫

location
Device-Redmi Note-8
Date-08.05.2023 Time-9.30 PM

আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার হলো মাছের মাথা। যেকোন মাচের মাছের মাথা আমার খুব প্রিয়। আমাদের ঘরে যে কোন মাছই রান্না করা হয় না কেন মা সবসময় মাছের মাথাটা আমাকেই দিয়ে থাকেন। এগুলো হলো কার্ফু মাছের মাথা। এই মাছের মাথা গুলো আমি খুব সুন্দর ভাবেই খেতে পারি। সব মিলিয়ে ৫% মাছের কাটা ফেলে দেয় আর বাকি ৯৫% মাছের কাটা পেটে চালান করে দেয়।

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০৬

location
Device-Redmi Note-8
Date-21.02.2023 Time-5.30 PM

এই ফটোগ্রাফিটা আমি আহসান মন্জিল জাদুঘরের মূল ভবন থেকে ধারুন করেছিলাম। এই ফটোগ্রাফিটার দিকে তাকালে আমার কাছে তামিল ‍মুভি বাহুবলী-০২ মুভির লাষ্টের দৃশ্যটা ফুটে উঠে। নারিকেল গাছের উপরে উঠে ঘুরে ঘুরে মূল ভবনে যাওয়ার দৃশ্য ফুটে উঠছে।

ফটোগ্রাফি নাম্বার-০৭

location
Device-Redmi Note-8
Date-12.06.2023 Time-11.30 AM

এই ফটোগ্রাফিটা আজকে সকাল বেলা অফিসে এসে নিয়েছিলাম। বৃষ্টি দেখতে কার না ভালো লাগে..। বৃষ্টিতে হাত ভিজিয়ে খেলা করতে সবার মন চাই। আজকে প্রায় পনের থেকে বিশ মিনিট এভাবে বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টি পড়া দেখে ভাল লাগলেও মনে মনে বাসায় যাওয়ার টেনশনও ছিল। কারন যে বৃষ্টি হচ্ছে রাস্তাঘাট সব তলিয়ে যাচ্ছে।

বন্ধুরা আজকে এপর্যন্তই,আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। আশা করি আমার আজকের আয়োজনটা আপনাদের কাছে ভাল লাগবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফটোগুলো সংগ্রহ করেছি। মূল কথা হলো ইচ্ছা থাকলে যেকোন সময় যে কোন জায়গা থেকে ফটো সংগ্রহ করা যায়। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আপনাদের কাছ থেকেও নতুন নতুন ফটোগ্রাফি আশা করি।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।