গল্প: নিশি- অন্তিম পর্ব ।।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আপনাদের সাথে পর্ব আকারে একটি ভালোবাসার গল্প শেয়ার করে আসতেছি। অলরেডি দুইটি পর্ব শেয়ার করে ফেলেছি। আজকে সেটার অন্তিম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
নিশি অনেক্ষন যাবৎ এক দৃষ্টিতে সাগরের দিকে তারিয়ে রইল। নিশি সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে কল্পনার সাগরে হারিয়ে গেছে। বিচে আসা হাজারো মানুষের কোলাহলে নিশির কল্পনা ভঙ্গ হয়। সাগরের বিশাল বিশাল ঢেউ তীরে এসে আছড়ে পড়ছে। নিশি সাগরের তীর ধরে হাটতে লাগলো। কত মানুষ তাদের আপন জনদের হাত ধরে হাটছে,সেলফি তুলছে। এই দৃশ্য গুলো নিশির হৃদয়ে তীরের মত আঘাত করছে। এক সময় রাহুলকে নিয়ে নিশি এই বিচে হেঁটেছে। আজকে রাহুল নিশির কোন খবরও নেয় না। দেখতে দেখতে একসময় সূর্য সাগরের নিচে হারিয়ে যেতে লাগলো। সবাই সূর্যাস্ত দেখতে ভিড় করেছে।
সন্ধার পরে নিশি একটি ডাব নিয়ে বিচে বসে সমুদ্রের গর্জন শুনছে,এমন সময় কোথায় থেকে যেন নিশির বাংলোর সেই ছেলেটা এসে হাজির। হাই হ্যালো বলে তারা কথা শুরু করলো। ছেলেটি আরেকটি ডাব নিয়ে নিশির সাথে আলাপচারিতায় যুক্ত হলো। ছেলেটির নাম নীলয়, সে তার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলে। নিশি অধিকাংশ সময় হ্যাঁ বা না দিয়ে প্রশ্নর উত্তর দিয়েছে,সে তেমন বেশি কথা বলেনি। নিশি লক্ষ করেছে ছেলেটি তার দিকে তাকিয়ে হেঁসে হেঁসে কথা বলে,বার বার তার চোখের দিকে তাকায়। তার চোখে অনেক কথা ঘুরপাক খাচ্ছে। ছেলেও ভালো নম্র ভদ্র। কিছুক্ষন পরে নীলয় নিশি থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। নিশি আরো কিছুক্ষন বিচে থেকে হোটেলে ডিনার করে বাংলোতে ফিরে যায়।
নিশি বাংলোতে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বারোটার পরে বিছানায় শুয়ে পড়ে। এপাশ থেকে ওপাশ যায় চোখে ঘুম আশে না। বিছানা থেকে উঠে বেলকুনিতে চেয়ারে গিয়ে বসে। হঠাৎ দেখে নীলয় তার বেলকুনিতে হাতে কফি নিয়ে বসে বসে কি যেন আকাঁ আকিঁ করছে। কিছুক্ষন পরে নীলয়ের নজর পড়লো নিশির দিকে। নীলয় নিশিকে হাই বলে কফির অফার দিলো। নিশি ধন্যবাদ দিয়ে রুমের ভিতরে চলে গেলো। নিশি রাতে আর রুম থেকে বের হয়নি। সকাল বেলা নীলয় নিশিকে বলে,সে যদি ফ্রি থাকে তাহলে তার সাথে দিনের বেলা যেতে পারে। নিশি চিন্তা করে একা বাংলোতে তার বৈরিং লাগবে। তার থেকে বাহিরে ঘোরাফেরা করলে ভালোই লাগবে। নিশি সারাদিন নীলয় সাথে তার ডকুমেন্ট রেডি করতে তাকে সাহায্য করে। দুই জন এক সাথে লাঞ্চ করেছে রেস্ট নিয়ে বিকালে বিচে চলে যায়। সেখানে দুই জন এপাশ থেকে ওপাশ হেঁটে হেঁটে অনেক কথা বলে। তারা এমন ভাবে কথা বলছে যে,তাদের কাছে মনে হচ্ছে তারা হেঁটে ১২০ কিলিমিটার সৈকত শেষ করে ফেলছে অথচ তাদের কথা শেষ হচ্ছে না। রাত দুইটার দিকে তারা বাংলোতে ফিরে।
পরেরদিন দুপুর বারোটার দিকে নীলয় ঘুম থেকে উঠে। নিশি তখন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে একটি বই নিয়ে পড়ছে। হঠাৎ নিশির দরজায় নীলয় আওয়াজ করে। নিশি আজকে আর দরজা খুলতে দেরি করেনি। খুব তারাতারি দরজা খুলে দেয়। নীলয় নিশিকে বলে বিকাল পাঁচটার সময় সে যেন সৈকতে থাকে। এ কথা বলে নীলয় বাংলো থেকে বের হয়ে যায়। নিশি কিছু বলার সুযোগ পায়নি,সে শুধু তাকিয়ে রইল। নিশির আজকে কেন জানি খুবই ভালো লাগতেছে। সে অতীতের কথা আর মনে রাখতে চাই না। সে নতুন ভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে। বিকাল চারটার সময় নিশি একটি শাড়ি পরে,হালকা সাজুগোজু করে বিচের দিকে যায়। ঠিক পাঁচটার সময় নীলয় একটি ফুলের তোড়া আর একটি গিফট নিয়ে নিশির সামনে হাজির। নিশির হাতে ফুলের তোড়া আর গিফট দিয়ে নীলয় বলে,কক্সবাজারে আজকেই তার শেষ দিন,আজকে রাতের ট্রেনেই সে ঢাকা চলে যাবে। তার জীবনের সব থেকে স্বরনীয় দিন হলো তিন দিন। এই তিনদিনের কথা সে কোনদিন ভুলবে না। এইকথা বলেই নীলয় দ্রুত বিচ ত্যাগ করে। নিশি সেই সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকে। নিশির ভিতরে হাজারো প্রশ্ন কিন্তুু উত্তর খুঁজে পায় না।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
নিশি গল্পটার অন্তিম পর্ব পড়ে ভালো লেগেছে। এই গল্পের আগের পর্ব গুলো আমার পড়া হয়েছে। তাই শেষ পর্ব টাও ভালো লেগেছে। নিলয় যেভাবে বলেছিল সৈকতে থাকতে, আমি তো ভেবেছিলাম হয়তো নিলয় নিশি কে তার জীবনসঙ্গী হওয়ার কথা বলবে। কিন্তু দেখলাম নিলয় সেখানে নিশিকে বিদায় জানাতে গিয়েছিল। তখন নিশি ও আর কিছু বলতে পারেনি। আর তার সামনে অনেক প্রশ্ন এসেছিল যদিও সেগুলোর উত্তর পায়নি। যাই হোক এরই মধ্যে দিয়ে গল্পটা শেষ হয়ে গেলো তাহলে।
জী আপু নিশি অবশেষে একাই রয়ে গেল। ধন্যবাদ।
নিলয় এর সাথে কিছু সময় কাটানোর পর নিশি নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু তার সেই স্বপ্নটাও ভেঙ্গে গিয়েছে। নিলয় নিশিকে সৈকতে থাকতে বলেছিল, তবে দেখলাম নিলয় নিশির কাছ থেকে চির বিদায় নেওয়ার জন্য এসেছে। সে তাড়াতাড়ি করে সেখান থেকে চলে গিয়েছিল এই কথা গুলো বলে। নিশি গল্পটা দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল। অন্তিম পর্ব টা এত সুন্দর করে লিখে সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জী ভাইয়া নিশি মনে মনে নীলয়কে পছন্দ করতে শুরু করেছিল। ধন্যবাদ।