বিয়ে করতেও ভাগ্য লাগে।।🤪🤪🤪
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আপনারা সবাই জানেন যে আমি মাঝে মাঝে দু একটি ফানি পোষ্ট করি। গত কয়েকদিন আগেও আমার এক মামাকে নিয়ে একটি মজার পোষ্ট শেয়ার করেছিলাম। টাইটেল দিয়েছিলাম “বোকা মামা চালাক চোর’’। আজকেও এমন একটি মজার পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের পোষ্টের টাইটেল দিলাম “বিয়ে করতেও ভাগ্য লাগে”। আজকের পোষ্টটি মনযোগ দিয়ে পড়লে অনেক মজা পাবেন। চলুন শুরু করি।
আর্জু ভাইকে চিনেন..? অহ চিনবেন কিভাবে। আমি তো এখনো ঘটনাটি শেয়ার করি নাই। আর্জু ভাই হলো আমার এক দুর সম্পর্কের চাচাতো ভাই বা বন্ধু। আমাদের গ্রামেই তার বাড়ি। আর্জু ভাই আমার থেকে তিন বছরের সিনিয়র হলেও লেংটা কাল থেকে আমি তার সাথে চলে ফেরা করি। আমি যখন ক্লাস ওয়ানে পড়ি সে তখন ক্লাস থ্রীতে পড়ে। তো বুঝতেই পারছেন একই স্কুলে পড়ার সুবাদে তার সাথেই স্কুলে আসা যাওয়া করতাম। এখন মূল ঘটনায় আসি।
আর্জু ভাই যখন দাদশ শ্রেণীতে পড়তো তখন আমাদের গ্রামেই একটি মেয়ের সাথে রিলেশন করতো। মেয়েটির নাম ছিল শিরিন। সে পড়তো আমাদের গ্রামের হাইস্কুলে দশম শ্রেণীতে। শিরিনের বাবা বিদেশ থাকতো। যার কারনে যে কোন দরকারে আর্জু ভাই তাকে সাহায্য করতো। শিরিনের আর কোন বোন ছিল না শুধু তার ছোট একটি ভাই ছিল। রিলেশনের কথা আমি আর তার কয়েকজন ফ্রেন্ড ছাড়া আর কেউ জানতো না। দশম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে শিরিনের বাবা বিদেশ থেকে চলে আসে। আর কোন প্লান প্রোগ্রাম ছাড়াই একটি বিদেশ ফেরত ছেলের সাথে শিরিনের বিয়ে ঠিক করে ফেলে। এখবর শুনে আর্জু ভাই তো রীতিমত অজ্ঞান হয়ে গেল। এখন শিরিনের বিয়ে কিভাবে ভাঙ্গবে সেই চিন্তায় আর্জু ভাইয়ের মাথা গরম হয়ে গেল। অনেক শলা পরামর্শ করেও অবশেষে শিরিনের বিয়ে আটকাতে পারলো না।
শিরিনকে বিয়ে করতে না পারার অভিমান নিয়ে আর্জু ভাই পড়া শোনা ছেড়ে দিয়ে বিদেশ চলে যায়। তার ধারনা যেহেতো টাকা পয়সার জন্য সে শিরিনকে বিয়ে করতে পারে নাই, তাই সে বিদেশ চলে গেল বেশি বেশি টাকা ইনকাম করার জন্য। বিদেশে তিন বছর থেকে মোটামুটি ভালই টাকা ইনকাম করেছে। বিদেশে থাকা অবস্থায় ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার একটি মেয়ের সাথে অনলাইনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। অডিও বিডিও কলে কথা বলে তারা নিজেদেরকে পছন্দ করে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। হঠাৎ করে মেয়েটি একদিন ফোন দিয়ে জানায় যে তার বাবা অন্য একটি ছেলের সাথে তার জন্য বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে। এখন তাদের পালিয়ে বিয়ে করা ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই। তাই আর্জু ভাই এক মাসের ছুটি নিয়ে দেশে আসে, সরাইলের মেয়েটিকে বিয়ের করার জন্য। আর্জু ভাই বিদেশ থাকা অবস্থায় মেয়েটি আর্জু ভাইয়ের কাছে এক লাখ টাকা চায়, কিছু গয়নাগাটি সহ কিছু মার্কেট করার জন্য। যেন আসার সাথে সাথে বিয়ে করে ফেলতে পারে। আর্জু ভাই বিয়ের খুশিতে টাকা পাঠিয়ে দেয়। বাংলাদেশে এসে খুজ খবর নিয়ে দেখে আর্জু ভাই মেয়েটিকে যে টাকা দিয়েছিল গয়নাগাটি আর মার্কেট করার জন্য,সেই টাকা নিয়ে মেয়েটি নিজেই বিদেশ চলে গেছে,হা হা হা।😂😂😂
আর্জু ভাই কাউকে কিছু না বলে এক মাস বাংলাদেশে থেকে আবার বিদেশ চলে গেছে। কয়েক বছর বিদেশে থেকে আবার আসার প্লান করতেছিল আর তখনই করোনা হানা দেয়। অনেক সমস্যা সমাধান করে অবশেষে বিয়ে করার জন্য তিন মাসের ছুটি নিয়ে ২০২২ সালের সেপ্টম্বর মাসে বাংলাদেশে আসে। এখন মেয়ে দেখতে গিয়ে আরো মজার ঘটনা ঘটে।
এক জাগায় মেয়ে দেখার জন্য সবাইকে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে গেছে। বরের বাড়ির মানুষ দেখে সেই মেয়ে জানালা দিয়ে পালিয়ে গেছে,হা হা হা।🤣🤣🤣 আর্জু ভাই দেখতে কিন্তুু খারাপ না, উচ্চতা,শরীরের গঠন সবই ম্যাডিয়াম। এত কালো নয় আবার এত সুন্দরও নয় । শেমলা সুন্দর মানে আর্জু ভাইকে অপছন্দ করার মত কিছু নেই। টাকা পয়সাও আছে মাশাআল্লাহ। পরে খুজ খবর নিয়ে জানা যায় মেয়েটা বিদেশি ছেলে পছন্দ করে না। তাই জানালা দিয়ে পালিয়ে গেছে।
আরেক জাগায় মেয়ে দেখে পছন্দ হয়েছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করেছে। বিয়ের তারিখও হয়ে গেছে। মেয়ের বাড়ি হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর কুমিল্লা জেলার মাঝা মাঝি ইন্ডিয়ার সীমান্ত এলাকার একটি গ্রাম। ঐ এলাকায় নাকি নিয়ম আছে গায়েঁ হলুদের দিন বউয়ের বাড়ি থেকে ফলমূল আর কাপড় নিয়ে বরের বাড়িতে বরকে বরণ করতে আসে। তো গায়েঁ হলুদের দিন পনের থেকে বিশ জন লোক গিফট সামগ্রী নিয়ে বরের বাড়িতে আসে। তবে তারা সন্ধার সময় বাড়িতে গিয়ে শুনে তাদের মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে পালিয়ে গেছে, হা হা হা।😄😄😄
এছাড়াও আরো অনেক গুলো মেয়ে দেখেছে তাদের পছন্দ হয়নি। এমন করতে করতে তার ছুটির তিনমাস শেষ হয়ে গেছে। গত জানুয়ারি মাসের সাতাইশ তারিখ বিয়ে করতে না পারার কষ্ট নিয়ে আবার বিদেশ চলে গেছে। যাওয়ার আগে ঢাকা এসে আমাকে ম্যাসেজ দিয়ে ছিল। আমি তাকে বলে ছিলাম ভাই বিয়ে করার জন্যও ভাগ্য লাগে।সুঠাম দেহের অধিকারী, ভাল শারীরিক গঠন আর টাকা পয়সা থাকলেই বিয়ে করা যায় না। ইন্ডিয়ার সালমান খানের তো কোন কিছুর অভাব নাই। তারপরও সে বিয়ে করতে পারে না, এখন পর্যন্ত তার কপালে বউ জুটলো না,হা হা হা।🤪🤪🤪
পোষ্ট পড়ে সবাই সিরিয়াল ধরে ধীরে ধীরে হাঁসুন। হাঁসার জন্য সরকারকে টেক্স দিতে হবে না।।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সত্যিই আপনার আর্জু ভাইয়ের জন্য খুবই খারাপ লাগলো। লোকটি একে একে কতবার ধোঁকা খেল। একবার প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেল। এইজন্য বিদেশ চলে গেল রাগ করে। সেখানে একটা মেয়ের সাথে পরিচিত হওয়াতে আবারও আসলো বিয়ে করতে। মেয়েটাও ধোকা দিল। মেয়ে দেখতে গেলেও সেই মেয়েটাও পালিয়ে যায়। গায়ে হলুদের দিনেও মেয়েটি পালিয়ে যায়। এসব কিছু করতে করতে একদম আবারও বিদেশে যাওয়ার সময় হয়ে গেল। সত্যিই লোকটির ভাগ্যটাই খারাপ। ওই যে আপনি বললেন বিয়ে করার জন্য ভাগ্য লাগে।
জী আপু আর্জু ভাইয়ের জন্য আমারও অনেক খারাপ লাগছে। বেচারা কত বার চেষ্টা করেও বিয়ে না করেই আবার বিদেশ চলে যেতে হলো। ধন্যবাদ আপু।
হাহাহা ঠিক বলছেন আসলেই বিয়ে-শাদীর ব্যাপারে ভাগ্যই কাজ করে না হয় বেচারা আর্জু ভাই অনেক ধক্কা খেলো😀😀।কিছু পুরুষ মানুষ আছে যাদের থেকে টাকা খেয়ে খেয়ে শুধু বউ পালায় না হয় প্রেমিকা পালিয়ে যায়। আরজু ভাইয়ের অবস্থা ও তা হয়েছে দেখছি😂😂।মজার গল্প শেয়ার করেছেন পড়ে অনেক আনন্দ পেয়েছি।
জী আপু আর্জু ভাইয়ের গল্পটা শুনে আমারও অনেক হাসিঁ পেয়েছে। সরাইলের মেয়েটা বেশি বাটপারি করেছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনার আর্জু ভাইয়ের সাথেই সবগুলো ঘটনা ঘটে গেল। যাকেই বিয়ে করতে গেল তাকেই হারালো। কোন না কোন কারণবশতই তার বিয়েটা ভেঙে গেল। যাইহোক ভাই মজার বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন। আর আপনার আর্জু ভাইয়ের ভাগ্য আসলে ভালোই বলতে হবে, বিয়ের প্যারা নিল না সেজন্য,হাহাহা।
ভাই বেচারা আর্জু ভাই বিয়ের প্যারা নিতে দেশে এসেও প্যারা না নিয়েই চলে গেল,হি হি হি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক হাসলাম আপনার লেখাটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম লেখা আরো শেয়ার করবেন আশা করছি।
আপনার গল্প পড়ে খারাপ লাগলো। আসলে বিয়ে হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার প্রদত্ত একটি বিষয় যা ভাগ্যের ব্যাপার। মন চাইলে যে কেউ বিয়ে করতে পারে না। আপনার আর্জু ভাইতো দেখছি অনেক বার ধোঁকা খেয়েছে তার জন্য খুবই খারাপ লাগছে। তার বিয়ের প্রতি বারে অঘটন ঘটেছে তা সত্যি দুঃখজনক। আসলে বিয়ে হচ্ছে ভাগ্যের ব্যাপার। ভাগ্যে না থাকলে বিয়ে করা সম্ভব নয়। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জী ভাইয়া আর্জু ভাইয়ের কপালটাই খারাপ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আর্জু ভাইয়ের কথা শুনে খারাপ লাগছে। আসলে বিয়ে শাদী ভাগ্যের বিষয়। প্রথমে প্রেমিকা ছ্যাকা দিল। ছ্যাকা খেয়ে বিদেশে চলে গেল। বিদেশ থেকে এসেও কয়েকবার বিয়ে করতে চাইলে বিয়ে করতে পারল না। আসলে ভাগ্যে না থাকলে যা হয়। যাই হোক গল্পটা পড়ে মজা পেয়েছি ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া আর্জু ভাইয়ের ভাগ্যে কবে যে বিয়ে আছে,আল্লাহই জানে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
গল্পটি পড়ে বেশ মজা পেলাম।আর্জু ভাইয়ের জন্য খারাপই লাগলো। এত বারেও সে বিয়ে আর করতে পারলো না।আসলে আল্লাহ না চাইলে হয় না।ভাগ্য যখন খুলবে ঠিক তখনই বিয়ে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া মজার এই গল্পটা শেয়ার করার জন্য।
জী আপু আর্জু ভাইয়ার কপালটাই খারাপ। যাক গল্পটা পড়ে সবাই মজা পেয়েছে। ধন্যবাদ আপু।