“উচিৎ কথা” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️

চরিত্রেঃ

• নিলয় আলমগীর।
• জান্নাতুল সুমাইয়া হিমে।

কাহিনী সারসংক্ষেপ

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

নাটকের প্রথমে দেখা যায় নিলয় আলমগীর তথা বশির সব সময় চুপচাপ থাকায় তাকে বোকা ভেবে তার বউ তার সাথে যা তা ব্যবহার করে। এমনকি এলাকার কমিশনার তার একটি জমি জোর করে দখল করে রেখেছে। সেই জমির জন্য বার বার কমিশনারের কাছে গেলেও সেই জমি তাকে ফেরত দেয় না। তারপর বাসায় আসলে বউ যখন তার সাথে উচুঁ গলায় কথা বলে তখন বশির তার বউ বিয়ের আগে কার সাথে প্রেম করছে,কার সাথে কি করছে সব কিছু বউকে বলে দিলো। তখন তার বউ তাকে বললো তোমার কাছে কে এসব কথা বলেছে। বশির বললো আমি মানুষের চেহেরা দেখলে তার অতীত সব কিছু বলতে পারি। ছোট সময় থেকে বশিরের একটি গুণ ছিলে যে সে চেহেরা দেখে মানুষের অতীত বলতে পারে। তবে সে এতদিন মুখ বন্ধু রেখেছিল। এখন মানুষের আচরন দেখে মুখ খুলেছে।

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

তারপর দেখা যায় বশির কমিশনারকে দেখল রাস্তা পরিবর্তন করে অন্য রাস্তা দিয়ে চলে যায়। কিন্তু কমিশনার বশিরকে ডেকে কাছে এনে বলে তুমার নাকি অন্তর দৃষ্টি খুলে গেছে। তুমি সিকদার সাহেবের সব গোপন কথা ফাঁস করে দিয়েছো। আমার চেহেরা দেখে বলতো আমি অতীতে কি কি করেছি। তখন বশির বলে আপনি যে সিকদার সাহেব কে দেড় লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে আর বাকি সবাইকে মেরে তাড়িয়ে দিয়ে একাই তিনটা টেন্ডার জমা দিয়েছেন তার একটাও পাবেন না। কারন তিনটার মধ্যেই এক রকম স্বাক্ষর। তারপর বাসায় এসে দেখে বউ তার থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে থাকে। তারপর বশির তার বউকে বলে তুমি লুকিয়ে থাকলে কি আমি কিছু বলতে পারবো না। তুমি যে আমার পকেট থেকে পাঁচ হাজার টাকা চুরি করে সর্বমোট ৫২৭০০ টাকা বরকতকে দিছো বাঁশ খায় সমিতিতে বাটপার সাত্তারের কাছে জমা দিতে। সেখানে বরকত ২৭০০ টাকা রেখে পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা দিছে। সেটাও আমি জানি। আমাকে বিশ্বাস না করে বাটপার সাত্তারকে বিশ্বাস করছো।

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

তারপর দেখা যায় বশিরের শাশুড়ি বড় একজন কবিরাজ নিয়ে আসে বশিরকে দেখানোর জন্য। তারা সবাই মনে করে বশিরকে জীনে ধরছে। কিন্তুু বশির মেরে কবিরাজকে তারিয়ে দেয়। আর শাশুড়িকে বলে আপনি যদি বেশি বাড়াবাড়ি করেন আমার শশুর বিদেশ যাওযার পর কি কি করছেন সব কিছু বলে দিবো। তখন শাশুড়ি অজ্ঞান হয়ে যায়। আর জ্ঞান ফেরার পরে বউ,শাশুড়ি,শালা,বরকত সবাই মিলে বশিরকে উচিৎ বাবা দাবি করলো। এলাকার সবাইকে জানিয়ে দিলো সবাই উচিৎ বাবার কাছে পরামর্শের জন্য আসবেন। এরকম ভাবে তারা একটি ব্যবসা শুরু করলো।

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

এমন ভাবে বশিরের কাছে অনেক মানুষ আসতে লাগলো। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসে। বশিরের বউ পানি পড়াও বিক্রয় শুরু করে। হাফ লিটার পঞ্চাশ টাকা এক লিটার একশত টাকা। কিন্তু বশির এসব ভন্ডামী প্রশ্রয় দিতো না। এমন ভাবে এক সময় বশিরের বাড়িতে পুলিশ এসে হাজির। তখন বশির পুলিশকে বললো আপনি অনেক সৎ পুলিশ অফিসার। আপনি একটি আসামি ধরে সমস্যার মধ্যে আছেন,কারন সে সত্য কথা শিকার করছে না। তখন বশির বলে তাকে ছেড়ে দেন তার অভাবে স্বভাব নষ্ট হয়েছে। তারপর পুলিশ বশিরের বাড়ি থেকে চলে যায়।

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

এক সময় এলাকার একজন খারাপ ব্যক্তি বশিরকে টাকা দিয়ে তার বিষয়ে ভাল মন্তব্য করার জন্য বলে। কিন্তুু বশির সত্য কথা বলে যে এ লোকটা খারাপ তাকে ভোট দিবেন না। দুনিয়ার এমন কোন খারাপ কাজ নেই যেটা সে করে নাই। এমন সময় রানিং কমিশনার এসে বশিরের জমির দলীলটা ফেরত দিয়ে দেয়। তখনও বশির সত্য কথা বলতে বিন্দু মাত্র চিন্তা করে নাই। রাতের বেলা এই দুই জন মিলে গোপনে যুক্তি করে যে বশির বেচে থাকলে আমাদের সব গোপন কথা ফাঁস হয়ে যাবে। তাকে মেরে ফেলা দরকার। তখন রাতের বেলা বশিরকে কিছু সন্ত্রাসী হামলা করে। পরের দিন বশির এই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। আর এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।

নাটকটি মোটামুটি সুন্দর হয়েছে। নাটকটিতে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে যে উচিৎ কথা বললে কেউ দেখতে পারে না। আবার অন্য দিকে কারো গোপন কথা কেউ জেনে গেলে সবসময় তার নিকট মাথা নত করে থাকতে হয়। এছাড়াও নাটকটিতে আরো কিছু বিষয় শিক্ষনীয় আছে। আপনারা ইচ্ছা করলে নাটকটি দেখতে পারেন।