বৃষ্টির দিনে পটেটো স্ন্যাকসের আনন্দ।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। মাঝে মাঝে থেমে যাচ্ছে আবার শুরু হচ্ছে। বৃষ্টি আমার সবসময় ভালো লাগে, কিন্তু আজকাল বৃষ্টির আনন্দটা পুরোপুরি উপভোগ করা যায় না। কারণ আমাদের এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। শুধু আমাদের এলাকাতেই নয়, সারা বাংলাদেশের রাস্তাঘাটের অবস্থা এমন যে বৃষ্টি হলে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। শহরের রাস্তায় জমে থাকা কাদা পানি, সাথে ড্রেনের নোংরা পানি মিশে একেবারে হাঁটার অযোগ্য হয়ে পড়ে। এখানে সেখানে ফেলে রাখা আবর্জনা ভেসে রাস্তা যেন ময়লার স্তূপে পরিণত হয়।
আজ সারাদিন অফিসে কাজের ব্যস্ততা ছিল, তার ওপর এই থেমে থেমে বৃষ্টি মনটাকে আরও ক্লান্ত করে তুলছিল। অফিসের জানালার বাইরে ঝরঝর করে বৃষ্টি পড়ছিল, আর আমি ভাবছিলাম, এই বৃষ্টির শব্দের সাথে যদি এক কাপ গরম চা আর কিছু ঝাল স্ন্যাকস পেতাম, তাহলে কত ভালো হতো! কিন্তু কাজের চাপে সেই ইচ্ছে পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
অফিস থেকে ফেরার সময় দেখি বৃষ্টি এবার থেমে নেই, বরং লাগাতার চলছে। চারদিক কাদায় ভরা, পিচ্ছিল রাস্তা, পায়ের জুতোতে কাদা লেগে যাচ্ছে। তবুও কোনোভাবে বাসার দিকে রওনা দিলাম। বৃষ্টির দিনে অফিস থেকে বাড়ি ফেরাটা সত্যিই এক ধরনের যুদ্ধ। প্রতিটি পদক্ষেপে মনে হচ্ছিল, এই বৃষ্টি যদি গ্রামের খোলা মাঠে পড়ত, কেমন শান্তি পেতাম! কিন্তু শহরের বৃষ্টি এখন যেন এক যন্ত্রণার নাম।
যাই হোক, অবশেষে রাত সাড়ে আটটার দিকে কাকভেজা হয়ে বাসায় পৌঁছালাম। ক্লান্ত শরীর, ভিজে জামাকাপড়, আর খালি পেট, সব মিলিয়ে মেজাজটা কিছুটা খারাপ ছিল। কিন্তু দরজা খোলার পরেই এক অদ্ভুত ঘ্রানে মনটা ফুরফুরে হয়ে গেল। গরম গরম ভাজা পটেটো স্ন্যাকসের সুবাস যেন সব ক্লান্তি দূর করে দিল। ওয়াইফকে অফিসে থেকেই বলেছিলাম কিছু ঝাল জাতীয় আইটেম তৈরি করতে। বৃষ্টির দিনে ঝাল কিছু খাওয়ার আনন্দই আলাদা। সে কথা মনে রেখেই সে আমার পছন্দের পটেটো স্ন্যাকস বানিয়ে রেখেছিল।
টেবিলে সাজানো প্লেট দেখে মনটা আরও ভালো হয়ে গেল। সাদা প্লেটে সাজানো সোনালি-বাদামি রঙের স্ন্যাকসগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমনি মজাদার। পাশে টমেটো সস, আর সঙ্গে কিছু কাঁচা শসা, পেঁয়াজ সব মিলিয়ে ছিল একেবারে পারফেক্ট কম্বিনেশন। প্রথম কামড়েই মনে হলো, এই বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যার জন্য এর চেয়ে ভালো কোন কিছু হতে পারে না। গরম গরম স্ন্যাকস মুখে পুরে যখন টক-মিষ্টি টমেটো সসের স্বাদ পেলাম, তখন সত্যিই মনে হচ্ছিল, সব কষ্ট সার্থক।
বৃষ্টির শব্দের সাথে ঘরের ভেতর এই খাওয়াদাওয়ার মুহূর্তগুলো জীবনের ছোট ছোট সুখ। অনেক সময় বাইরে গিয়ে দামি রেস্তোরাঁয় খেয়ে যে আনন্দ পাওয়া যায় না, ঘরে বানানো এক প্লেট খাবারে সেই আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। আজকের দিনটাও তেমনই ছিল। অফিসের ক্লান্তি, রাস্তার ঝক্কি-ঝামেলা, কাদা পানি সবকিছু ভুলিয়ে দিল এই পটেটো স্ন্যাকসের স্বাদ।
বৃষ্টি হয়তো বাইরে সমস্যার সৃষ্টি করে, কিন্তু ঘরের ভেতর এই বৃষ্টিই আমাদের জন্য এনে দেয় কিছু আনন্দময় মুহূর্ত। পরিবারের সঙ্গে একসাথে বসে গরম গরম স্ন্যাকস খাওয়ার যে আনন্দ, তা কোনো কিছুর সাথে তুলনীয় নয়। আজকের এই সন্ধ্যা আমাকে আবার মনে করিয়ে দিল, সুখ মানে অনেক বড় কিছু নয়, বরং ছোট ছোট মুহূর্তের সমাহার।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
| ডিভাইস | মোবাইল |
|---|---|
| মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
| ফটোগ্রাফার | @joniprins |
| স্থান | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server



















পটেটো স্ন্যাকসের কথা যদি বলতেই হয় তাহলে বৃষ্টির দিনে এটা খাওয়ার মজাই আলাদা৷ আজকে যেভাবে আপনি এতো চমৎকার একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে বেশ ভালোই লাগছে৷ যেভাবে আপনি এখানে এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছে৷ ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
বৃষ্টির দিনে নাস্তা খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর যদি মজার মজার খাবার হয় তাহলে একেবারে কথাই নাই। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।