ট্রেনের মধ্য থেকে বিভিন্ন জিনিস কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
আমাদের বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি জনসচেতনামূলক ব্লগ শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি পড়লে আপনারা অনেক কিছু বুঝতে পারবেন এবং জানতে পারবেন।
আমরা সবাই কম বেশি বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করি। বাস, ট্রেন, লঞ্চ সহ বিভিন্ন যানবাহন আমাদের দেশে চলমান রয়েছে। এসব যানবাহনে আসা-যাওয়ার সময় আমরা বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন জিনিস পত্র ক্রয় বিক্রয় করতে দেখতে পাই। বিশেষ করে লঞ্চ এবং ট্রেনের মধ্যে এই জিনিসগুলো বেশি বিক্রয় করা হয়। আমি লঞ্চে খুব কমই ভ্রমণ করেছি। বাস এবং ট্রেনের মাধ্যমে বেশি ভ্রমণ করেছি। গত শুক্রবারে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসার সময় ট্রেনের মধ্যে একটি খাবার জিনিস বিক্রি করতে দেখলাম। আমি সবসময়ই ট্রেনে আসা যাওয়ার সময় এসব জিনিস বিক্রি করতে দেখতে পায়। তবে আমি এতদিন বিষয়টা নিয়ে কোন ব্লগ তৈরি করি নাই। আজকে ভাবলাম বিষয়টা সবার সাথে শেয়ার করা দরকার।
ট্রেন যখন কমলাপুর বিমানবন্দর টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পার হয়ে নরসিংদী স্টেশনে আসলো তখন অনেকগুলো খুচরো ব্যবসায়ী ট্রেনে উঠলো। কেউ বিক্রি করছে কলা, কেউ আমড়া, বাদাম, কমলা, ঝাল মুড়ি চানাচুর, কেউ বিক্রি করছে মিনি লিচি বা ফ্রুট লিচি। আমার আজকের ব্লগ হলো চকলেট এবং মিনি লিচি বা ফ্রুট লিচি নিয়ে।
কয়েক বছর আগে আমি একবার আমার ফ্রেন্ডের বিয়েতে ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম। ময়মনসিংহ থেকে আসার পথে আমি ট্রেন থেকে আমার ছোট বোনের জন্য এক প্যাকেট মিনি লিচি এবং এক প্যাকেট চকলেট কিনে এনেছিলাম। বাসায় এনে এগুলো ছোট বোনকে দেওয়ার পরে সে দু একটা করে খেয়ে ছিল। বিষয়টি আমি লক্ষ্য করলাম দুই একটি করে মিনি লিচি এবং চকলেট খেয়ে আর খাচ্ছিল না। তখন আমি নিজেই টেস্ট করার জন্য দুই প্যাকেট থেকে দুইটি লিচি এবং চকলেট খেয়েছিলাম। এগুলোর স্বাদ টেস্ট করে আমি একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। মানুষ এত বাজে জিনিস কিভাবে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে।
আমি তখন বুঝতে পেরেছিলাম এগুলো একেবারে বাজে জিনিস। যেগুলো মানুষের খাওয়ার উপযুক্ত নয়। বিভিন্ন খারাপ ডেট ওভার কেমিক্যাল এর সাথে বিভিন্ন উপকরণ মিশিয়ে এই জিনিসগুলো বিক্রি করা হয়। যেগুলো খাওয়া মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর। একটা প্রবাদ আছে, জিনিস যেটা ভালো দাম তার একটু বেশি। আর ভালো জিনিস ট্রেনে বাসে বা লঞ্চে বিক্রয় করে না। ভালো জিনিসের এড দিতে হয় না। ভালো জিনিসের এত মার্কেটিং করা লাগে না। এক প্যাকেট এ ১৮ টি লিচি থাকে। এক প্যাকেটের দাম হলো বিশ টাকা। আমি যখন চকলেট কিনেছিলাম তখনো ১৮ পিস চকলেটের দাম নিয়েছিল ২০ টাকা।
এখন চিন্তা করেন 18 টি লিচির দাম কিভাবে ২০ টাকা হয়। যেখানে দোকানে বা মার্কেটে একটি লিচির দাম ৩ থেকে ৫ টাকা। তারপর তারা যে চকলেট গুলো বিক্রয় করে এগুলো দোকানে একটি চকলেটের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা। আর তারা বিক্রয় করে এক টাকার থেকে আরও কম। তারা নাকি কোম্পানির প্রচারের জন্য এত সস্তা বিক্রয় করে। আসলে এই জিনিসগুলো মানুষের খাবারের উপযুক্ত নয়। তারা সস্তা কেমিক্যাল দিয়ে এগুলি তৈরি করে থাকে। মানে এক কথায় বলা যায় মা তৈরি করে ছেলে বিক্রয় করে এমন।
এসব আজেবাজে জিনিস ক্রয় করা থেকে সবাই বিরত থাকবেন। দু-এক টাকা বেশি হলেও ভালো জিনিস খাওয়ার চেষ্টা করবেন। বাংলাদেশের কিছু স্বার্থন্বেষী মানুষ নিজেদের লাভের জন্য এরকম বিভিন্ন জিনিস বিক্রয় করে থাকে। এগুলোর কোনো নির্ধারিত কোম্পানি নেই, কোন নির্ধারিত কোন স্থান নেই। সরকারি কোন লাইসেন্স নেই। এই পণ্যগুলো এই নামে আপনি দোকানে বা মার্কেটে পাবেন না। কারণ এগুলোকে ভোক্তা অধিদপ্তরের লোক দেখলে জরিমানা করবে। সেজন্য তারা বাস, ট্রেন, লঞ্চের মত জায়গার মানুষের কাছে এগুলো বিক্রি করে। কারণ আপনি পন্য খারাপ হলে তাদেরকে আর খুঁজে পাবেন না। যদিও কোথাও পেয়ে তাদেরকে কিছু বলেন, তারা বলবে এত কম দামের পণ্য এর চেয়ে ভালো হবে না।
যাইহোক এই ব্লগটি শেয়ার করার একমাত্র লক্ষ্য হলো যেন সবার সচেতন হতে পারেন। যেন কেউ এসব জিনিস ক্রয় করে প্রতারিত না হয়। সবাই সতর্ক থাকবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | ট্রেনের মধ্য থেকে বিভিন্ন জিনিস কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন ।। |
স্থান | নরসিংদী, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৭/০৯/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
এমন অনেক জিনিসপত্র আছে যেগুলো খেলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা অনেক সময় চলার পথে সেই জিনিসগুলোই খেয়ে থাকি। ভাই আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাই আমি একবার কিনে ঠকে ছিলাম, সেজন্য সবার স্বার্থে এই ব্লগটি তৈরি করলাম।
ট্রেনে এই লিচি গুলো বিক্রি করতে আমিও দেখেছিলাম। প্রথমত আমি এগুলো কখনোই পছন্দ করতাম না। দোকান থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনলেও এই লিচি গুলো আমার অপছন্দ। আর ট্রেনে বিক্রি করা এগুলো তো আরো বেশি বাজে। আমি একবার এগুলোর দাম শুনে অবাক হয়েছিলাম। তখন প্যাকেট চেক করতে গিয়ে দেখি সেখানে এগুলো কবে তৈরি করা হয়েছে কিংবা মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ কিছুই দেওয়া হয়নি। যাইহোক সচেতনতামূলক একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এগুলোর মেয়াদ আছে কিনা তারা কেউ জানে না। সাধারণ মানুষ না বুঝেই কিনে নিয়ে যাচ্ছে।।
খুব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করেছেন। কারন আমরা কিন্তু প্রায় ট্রেনে উঠলে এমন ভুল গুলো করে থাকি। আপনার আজকের পোস্ট পড়ে হয়তো আমরা আগামীতে এমন ভুলগুলো হতে বিরত থাকেতে পারবো। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী আপু সবাইকে সতর্ক করার জন্যই আজকে এই বিষয়ে ব্লগটি লিখলাম।
সত্যি কিন্তু ট্রেনে কোন কিছু খাওয়া একদম ঠিক না। এতে করে নিজে যেমন সুস্থ থাকা যায়, তেমনি করে অনেক বিপদের হাত হতেও রক্ষা পাওয়া যায়। আমার মনে হয় আপনার আজকের পোস্ট পড়ে আমরাও অনেক কিছু শিখে নিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ট্রেনে অন্য জিনিসগুলোর ব্যাপারে আমি তেমন কিছু বলতে পারি না, এই জিনিসগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই খারাপ সেটা আমি জানি। ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন। আসলে ভাইয়া মানুষ টাকার জন্য অনেক কিছু করতে পারে।তবে দাম একটু বেশি হলেও ভালো জিনিস খাওয়া অনেক ভালো। আমাদের সবার উচিত এই সব জিনিস থেকে বিরত থাকা। ধন্যবাদ আপনাকে।
জী আপু দাম কমার কারণে অনেক সময় মানুষ সস্তা জিনিস কিনে ঠকে যায়।
ট্রেন অথবা বাসে বা বাস টার্মিনাল বা রেল স্টেশনে দেখা যায় এমন বিভিন্ন খাবার বিক্রয় করে বেড়াচ্ছেন। তবে সেই খাবারগুলো কতটা স্বাস্থ্যকর তা আমাদের জানা নাই। কিন্তু আমরা খেয়াল করে দেখি খুব সস্তা দামে প্যাকেট প্যাকেট ভালোলাগার এই সমস্ত জিনিস কিনলে পরবর্তীতে জানা যায় এই সমস্ত জিনিসগুলো ভেজাল দিয়ে তৈরি করে থাকেন। আর এগুলো বাচ্চাদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই আমাদের অবশ্যই এই সমস্ত জিনিস থেকে সাবধান থাকতে হবে এবং বাচ্চাদের না খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে বেশি।
জী ভাইয়া যেখানে মানুষের জমায়েত বেশি থাকে। সেই সব জায়গা গুলোতে তারা এগুলো বিক্রয় করে। ধন্যবাদ।
বাহ সুন্দর একটি সতর্কতা মূলক পোস্ট আপনি শেয়ার করেছেন।আসলেই ট্রেন বা বাসে এসকল জিনিস গুলো কেনা থেকে আমাদের প্রত্যেককে বিরত থাকা উচিত।কেননা এতে ভেজাল জিনিস রয়েছে যেমনি আবার রয়েছে দুই নম্বর প্রোডাক্ট ।ভালো লেগেছে লেখাটি,ধন্যবাদ।
জী আপু দুনিয়াতে চলতে গেলে অনেক বিষয়ে জানা থাকতে হয়। ধন্যবাদ।
যানবাহনে যেই খাবারগুলো বিক্রি করা হয় সেই খাবারগুলো বেশিরভাগ সময় দেখা যায় খুবই নিম্নমানের কিংবা অনুমোদন ছাড়া। তাই সবার উচিত বিষয়গুলো খেয়াল করা এবং এরপর খাবারগুলো খাওয়া। অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আশা করছি সবাই অনেক সচেতন হয়ে যাবে।