কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি।।
বাংলা ভাষায় শেয়ার করো তোমার গল্প-কবিতা, ভ্রমন,রেসিপি,আর্টেকেল ফটোগ্রাফি ও সব ধরনের ক্রিয়েটিভ লেখা-
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফী শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে।
ফটোগ্রাফি করা খুব ভালো এবং দামি একটি কাজ। পৃথিবীতে অনেক দামি দামি ফটোগ্রাফার রয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গা ঘুরে, বিভিন্ন দেশ ঘুরে, বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করে থাকে। যারা ঘুরে ঘুরে ফটোগ্রাফি করে তাদের দুই ধরনের লাভ হয়। একটি হলো এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অর্থ ইনকাম হয়, আর দ্বিতীয় হল অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখতে পারে। অনেক সুন্দর সুন্দর প্রকৃতির সাক্ষী হতে পারে। আমরা সাধারণত দেশের বাহিরে কোথাও যায় না। আমরা আমাদের আশেপাশের বিভিন্ন জিনিসের ফটোগ্রাফি করে থাকি। আমাদের কমিউনিটিতে অনেক মেম্বার রয়েছে যারা ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ের ফটোগ্রাফি করে থাকে। তাদের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে অনেক ভালো লাগে।
আবার অনেকে যথা সম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছে সুন্দর সুন্দর দৃশ্য ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। যারা সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আমাদের সামনে তুলে ধরে তাদেরকে সান্তনা মূলক কমপক্ষে একটা কমেন্টস করা দরকার। তাহলে তারা ফটোগ্রাফি করতে উৎসাহ পাবে। আমাদের একটি কমেন্ট তাদের কাজের গতিতে অনেকটা বাড়িয়ে দিবে। আমাদের কমিউনিটির সম্মানিত একজন এডমিন প্রতি সপ্তাহে একটি ফটোগ্রাফির প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি উনার উল্লেখিত বিষয়ের উপর ফটোগ্রাফি সাবমিট করার জন্য। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে উনার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে। এজন্য আমি ভাইয়াকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই। চলুন তাহলে আজকে আমার ঝুড়িতে কি ফটোগ্রাফি রয়েছে সেগুলো দেখা যাক।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন বিশাল বড় তরমুজের গোডাউন। ঈদের আগে ঢাকা যাত্রাবাড়ী থেকে আমি এই ফটোগ্রাফি টা নিয়েছিলাম। সবাই তরমুজ বয়কট করার ফলে গুদামের মধ্যে কারি কারি তরমুজ পরে পরে নষ্ট হচ্ছে। তরমুজ খাওয়ার মত কোন ক্রেতা নেই। দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মানুষ রমজানের মধ্যে তরমুজ বয়কটের মাধ্যমে সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে।
আজকে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করতে গিয়ে এই ফটোগ্রাফিটা নিয়েছিলাম। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এখানে এক পিঁয়াজ বিক্রেতা ভ্যান গাড়ি দিয়ে পিয়াজ বিক্রিয় করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ রয়েছে। তারপরেও সরকার বাহির থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে। আমাদের দেশের উত্তরবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। আশা করা যায় যদি পেঁয়াজ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কবলে না পড়ে তাহলে এই বছর পেঁয়াজের দাম ততটা বাড়বে না। বর্তমানে পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। এক ব্যক্তিকে দেখলাম একসাথে ৫ কেজি পেঁয়াজ নিয়ে যাচ্ছে।
মসজিদের সামনে আরেক জায়গায় দেখলাম শসা বিক্রয় করা হচ্ছে। শসা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি। শসা খেলে শরীরের চর্বি কাটে। আমার সব থেকে প্রিয় সবজির মধ্যে একটি হলো এই শসা। এখানে দেখলাম ৩০ টাকা কেজি করে শসা বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে ঈদের ছুটিতে সবাই বাড়িতে অবস্থান করতেছে। তাছাড়া ঈদ উপলক্ষে সবার বাড়িতেই ভালো-মন্দ খাওয়া দাওয়ার আয়োজন চলছে। যার জন্য এই শসা মানুষ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এগুলো দেশি শসা, খেতে খুবই ভালো লাগে।
এখানে আরেকটি ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন আখ থেকে রস বের করে বিক্রয় করছে। এটা খাওয়া আমাদের জন্য কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সেটা আমি বলবো না। যাদের মন চাচ্ছে তারা খাচ্ছে। তবে আমি জীবনে মাত্র একবার এই আখের রস খেয়েছিলাম। এখানে তারা আখের রস যতটুকু দেয় তার থেকে বেশি থাকে বরফের পানি। তাছাড়া এখানে হাত দ্বারা স্পর্শ করে মেশিনের সাহায্যে রসটি বাহির করছে। তাই আমি এটা বেশি খাই না।
এখানে একজনকে আইস গোলা বিক্রয় করতে দেখতে পাচ্ছেন। এখানে বেশ কিছু আইস একটি ওয়ান টাইম গ্লাসের মধ্যে নিয়ে কয়েক প্রকারের কেমিক্যাল যুক্ত রং ও সাথে কিছু টক জাতীয় খাবারের সোডা দিয়ে আইস গোলা তৈরি করে বিক্রয় করছে। এটাও খাওয়া না খাওয়ার বিষয়ে আমি কোন মতামত প্রকাশ করবো না। যাদের ভালো লাগবে তারাই খাবে।
উপরের ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন এক ব্যক্তি আইসক্রিম বিক্রি করছে। এই আইসক্রিমগুলো অনেক পরিচিত। দেশ গ্রামে এই আইসক্রিম গুলো অনেক জনপ্রিয়। এই আইসক্রিম গুলোর খোশাগুলো খাওয়ার উপযোগী একপ্রকার ম্যাটারিয়াল দ্বারা তৈরি করা হয়। আমি ছোট সময় আইসক্রিমগুলো প্রচুর খেয়েছি। তবে এখন আর তেমন খাওয়া হয় না। কারণ এগুলো যারা তৈরি করে তাদের পরিবেশ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ হয়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোন কিছু খেলে আমার আবার প্রবলেম হয়। তাছাড়া আমি যখন তখন যে কোন জিনিস খাইনা।
বন্ধুরা এর মধ্যে দিয়ে আমার আজকের ব্লগটি সমাপ্ত হয়ে গেলো। আজকের ব্লগটি আর বাড়াতে চাচ্ছি না। এখান থেকেই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নেবো। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আগামীকাল আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজের হবো, ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি ।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১২ /০৪ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে মানুষ নিজ থেকে বেছে নেয় বিভিন্ন পেশা। অনেকের অনেক কিছু শখ থাকে। পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা ফটোগ্রাফি ধারণ করার জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করে সুন্দর ডিভাইস কিনে থাকে আবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উপস্থিত হয় দারুন সব চিত্র ধারণ করার জন্য। এমন ফটো লাভারদের দেখেছি কেউ জলে কেউ স্তরে ঘণ্টার পর ঘন্টা অবস্থান করে সুন্দর ফটো ধারণ করতে। তবে যাই হোক আপনার বিভিন্ন পর্যায়ের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো বিশেষ করে বেশি ভালো লেগেছে আখের রস মাড়াই এর চিত্রটা। পাশাপাশি আরো কেনাকাটার মুহূর্ত ফটো ধারণ করেছেন, খুবই ভালো লাগলো ভাই।
জী ভাইয়া একটি ভালো ফটোগ্রাফি করার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়। ধন্যবাদ।
আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো আসলেই অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া। আমার সব থেকে ঢাকা যাত্রাবাড়ী থেকে তোলা তরমুজের ফটোগ্রাফি আমার বেশি ভালো লেগেছে।
আপু এই তরমুজ পরে বিক্রয় করার মানুষ খুঁজে পায়নি। সবাই বয়কট করেছে। ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার শেয়ার করা এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আর আপনার ফটোগ্রাফির বর্ননা পড়ে বেশকিছু জানতে পারলাম।সত্যি কথা বলতে বাইরের এ ধরনের খাবার আমি কখনও খেয়েছি বলে আমার মনে পরেনা।গোলা আইসক্রিম, আখের রস,আইসক্রিম এগুলো ভালো কোন খাবার নয়।আমি কখন ও এই খাবার গুলো খাই না।তবে ছেলেকে অনিচ্ছাকৃত ভাবেও কিনে দিতে হয়।স্কুলের সামনে বসে থাকে এ ধরনের আইসক্রিম।যা খুব ক্ষতিকর।আপনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু এই খাবার গুলো খেতে বিবেক বাধা দেয়। ভুলেও আমি খায় না। ধন্যবাদ।
ভাই আপনি তো আজকে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখছি। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি কোন না কোন পেশার কথা বলে দিচ্ছে। তবে আপনার শেয়ার করা তরমুজ গুলোর ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। তরমুজ গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু আজকে বিভিন্ন পেশার মানুষকে ফটোগ্রাফিতে তুলে ধরেছি। ধন্যবাদ।
ওরে বাবা এত বড় তরমুজের গোডাউন। রমজান মাস শেষ হয়ে গিয়েছে আর এখন চাইলেও তারা আর লাভ করতে পারবে না। গরমের দিনে আইসক্রিমের ফটোগ্রাফি দেখে যেন লোভ লেগে যাচ্ছে ভাইয়া।
জী ভাইয়া এত তরমুজ লাষ্টে কেউ নেয় না। পরে তরমুজ পচে গেছে। ধন্যবাদ।
আপনার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর লাগছে।
আখের রস দেখে আমার তো খেতে ইচ্ছে করছে।
আখের রস আমার অনেক ভালো লাগে।
ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপু ধারুন কমেন্ট করেছেন। আশা করি সবসময় পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ।
সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পর্ব শেয়ার করেছেন যেখানে মানুষের জনজীবনের আলাদা আলাদা কর্মস্থলের চিত্র তুলে ধরেছেন। সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী ভাইয়া আজকের ছবিতে,ভিন্ন কিছু জিনিষ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ।
খুবই দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার এই ফটোগ্রাফিক পোস্ট দেখে আমি মুগ্ধ। এলোমেলো এরকম ফটোগ্রাফি দেখতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে, তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে বর্তমান সময়ের সকলেই অনেক বেশি ভালোবাসে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে চমৎকার একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট তুলে ধরার জন্য।
জী ভাইয়া আজকের ফটোগ্রাফিতে বর্তমান পেক্ষপটকে তুলে ধরেছি। ধন্যবাদ।
আপনি যদি এলোমেলো ভাবে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখতেও খুব ভালো লাগতেছে। কোন কিছুর সিজন আসলে ওটার দাম যেন আকাশ ছোঁয়া হয়ে যায় অনেক দামে বিক্রি করে জিনিসগুলো। তরমুজের দাম ঠিক ঐরকমই। অনেক তরমুজ কেনার পরে তো দেখা যায় তরমুজের ভেতরটা ভালো হয় না। তরমুজকে পাকানো হয়েছে ফরমালিন দিয়ে। যা খেতে একটুও ভালো লাগে না। যার কারণে গোডাউনে পড়ে থেকেই এগুলো নষ্ট হচ্ছে। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর ছিল।
আপু অধিক লাভের আশায়,তরমুজ পোক্ত হওয়ার আগে তুলে নিয়ে আসে। যার ফলে এমনটা হয়। ধন্যবাদ।