আপনি কত বছর বয়সে প্রথম ইংরেজিতে কথা বলেছেন।।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি ব্লগটি মনযোগ সহকারে পড়বেন। ভালো ভাবে পড়লেই কেমন্ট করতে সহজ হবে।
আমি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোষ্ট দেখে অনেক হেঁসেছিলাম। লেখাটি হলো এক মহিলা তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোষ্ট করেছে যে,আমার মেয়ের তিন বছর হয়ে গেছে। বাসায় টিচার দিয়ে প্রাইভেট পড়ানোর পরেও সে এখনো ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না। আমার মেয়েতো অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে। এখন আমার কি করা উচিত।
উনার পোষ্টের নিচে আরেকজন কমেন্ট করেছে কি বলেন আপু...আমার বোনের দু্ই বছরের মেয়ে তো ইংরেজিতে ভাষন দিতে পারে। বিজয় দিবসে ইংরেজিতে ভাষন দিয়ে পুরষ্কার পেয়েছে। সে তার মায়ের পেট থেকেই ইংরেজি শিখে জন্মগ্রহন করেছে। সে হিসাবে আপনার মেয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের যত ইংরেজি বই আছে সব গুলো তার খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়েদিন।😂
চিন্তা করেন মাত্র তিন বছরের মেয়ে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না বলে তার মা ফেসবুকে পোষ্ট করে সবার কাছে পরামর্শ চাইছে। আর যে কমেন্ট করেছে সেও তার উচিৎ জবাব দিয়ে কমেন্ট করেছে। তিন বছরের মেয়ে যে বাংলাতে কথা বলতে পারে সেটাই তো অনেক বেশি। গুনীজনদের কাছে শুনেছি কমপক্ষে চার বছর পর্যন্ত বাচ্ছাদের উপর পড়াশোনার চাপ না দেওয়াই ভালো। চার বছর পড়ে ধীরে ধীরে মা-বাবার মাধ্যমে হাতেখড়ি হবে। কিন্ডার গার্টেন বা স্কুলে যাওয়া আসার করবে। এখন বাচ্ছাদের দুই তিন বছর পার হলেই কিন্ডার গার্টেন নামক জেলখানায় ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়। আর সেখানে বিভিন্ন ধরনের বই দিয়ে বাচ্ছার মাথায় একটি বোঝা তুলে দেওয়া হয়। হাজারো নিয়ম কানুন দিয়ে বন্দি করে দেওয়া হয়।
সে এগুলো পড়তে পারোক আর না পারোক রীতিমত প্রেসার ক্রিয়েট করা হয়। কিন্ডার গার্টেনে তো তেমন কিছু পড়ায় না বাসায় টিচার রেখে পড়াতে হয়। সে কত টুকু সভ্যতা শিখলো,কতটুকু সদাচরন শিখলো,কতটুকু মায়ের ভালোবাসা পেলে,কতটুকু বাবার ভালোবাসা পেলে সেদিকে কোন খেয়াল নেই। অন্যের ছেলে-মেয়ে কত নাম্বার পেলো আর তার ছেলে মেয়ে কত নাম্বার পেলো,জিপিএ ফাইভ কার ছেলে মেয়ে পেয়েছে, সে দিকে নজর বেশি। মানে তিন থেকে চার বছরের মধ্যেই তাকে প্রতিযোগিতায় নেমে যেতে হয়। আর স্কুল, কিন্ডার গার্টেন গুলো তো শিক্ষার নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে। কত রকমের যে ফি দিতে হয়। যার ছেলে মেয়ে স্কুল, কিন্ডার গার্টেনে পড়ে এক মাত্র তারাই জানে। স্টুডেন্টদেরকে কয়দিন ক্লাস করিয়েছে,কি শিখিয়েছে সে দিখে খেয়াল নেই। ব্যবসার ধান্দায় থাকে। খাতা,কলম,বই,জুতা,ড্রেস,টুপি সব কিছু তাদের থেকে কিনে নিবেন। আর শিক্ষাটা প্রাইভেট পড়িয়ে নিতে হয়। আজব এক দেশে বাস করি আমরা।
ব্লগটি পড়ে আপনাদের মনে কি ধারনা আসে সেটা কমেন্ট করে জানাবেন। আপনি কত বছর বয়সে স্কুলে গেছেন আর কত বছর বয়সে ইংরেজিতে কথা বলেছেন,সেটা আমরা জানতে চাই। আশা করি মজার উত্তর পাবো।
আরেকটি বিষয় এখানে উল্লেখ করছি। কিছু দিন আগে আমাদের দেশে শিক্ষামন্ত্রী নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম ষোষনা করেছেন। সেই শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বই ছাপা হয়েছে। সেই নতুন শিক্ষাক্রমে অনেক প্রবলেম আছে সেটা নিয়ে আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করছে,বিডিও করছে,টিকটক করছে। বইয়ের ভিতরে নাকি হাঁসের ডাক, ব্যাঙের লাফ, প্রজাপতির উড়াল কিভাবে দিতে হয় এসব শিখানো হবে। সে গুলো কিভাবে করবে সেটা আবার টিচারদেরকে ট্রেনিং করে শিখানো হচ্ছে। ষষ্ট শ্রেনীর বইয়ের মধ্যে কিছু নতুন বিষয় এড করা হয়েছে। যে গুলো আরো কয়েক বছর পরে দিলেও পারতো। তাছাড়া এখন যেহেতো এড করেছে ছবি গুলো না দিলেও পারতো। তাছাড়া এত ঘন ঘন জাতীয় শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করলে ছাত্রছাত্রীদের উপর মারাত্বক প্রভাব পড়ে।
শিক্ষামন্ত্রী ও কর্মকর্তারা শিকার করেছে নতুন বইয়ের মধ্যে কিছু ভুল ত্রুটি আছে,সে গুলো সংশোধন করা হবে। আমার কথা হলো প্রত্যেকটা বিষয়ের উপর একটি করে বই ছাপিয়ে তো ভুল ত্রুটি আছে কিনা সেগুলো দেখা দরকার ছিল। সব কিছু সংশোধন করেই বই গুলো ছাপানোর উচিৎ ছিল। যদি আবার নতুন করে বই ছাপাতে হয়,পুরাতন বই গুলো যদি বাদ যায় তাহলে দেশের কত গুলো টাকা নষ্ট হবে। আর এত ঘন ঘন শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করলে পুরাতন বই গুলোও বাদ যায়। ২০১০ সালের পর থেকে কত বার শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা হয়েছে। শিক্ষা একটি দেশের মূল বিষয়। এই বিষয়টা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। ধন্যবাদ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.