ঢাকা শহরের বিভিন্ন অলিগলি-পর্ব-০৩
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি ঢাকা শহরের বিভিন্ন অলিগলি-পর্ব-০৩ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। সেই সাথে অনেক বিষয় সম্পর্কে ধারনাও পাবেন।
ছোট এই ঢাকা শহরে অনেক কিছু রয়েছে যা আমার এখনো দেখা হয়নি। আর সারা দেশ তো বাদই দিলাম। বিদেশের কথা তো বলে লাভ নেই। কারন আমার বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা নেই, মানে এভিলিটি নেই। তবে ভ্রমন করার সুযোগ পেলে যেতে পারি। ভূমন্ডলের চার ভাগের তিন ভাগ না কি জল এক ভাগ স্থল। এই এক ভাগের একেশো কোটির এক ভাগও এখনো দেখা হয়নি। অথচ জীবনের প্রায় ত্রিশ বছর চলে যাচ্ছে। যে সময়টা আসার বাংলাদেশের বিভিন্ন আনাচে কাঁনাচে ভ্রমন করার কথা ছিল, সেই সময়টা আমার করোনা নষ্ট করে দিয়েছে। প্লান করেছিলাম বিশ এবং একুশ সালটা দেশের বিভিন্ন জাগায় ভ্রমন করবো। করোনার জন্য কিছুই হলো না। যায়হোক সৃষ্টিকর্তা যেটা করেন, সেটা অবশ্যই বান্দার ভালোর জন্যই করেন। এখন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়া করছি। অনেকের চেনা জায়গা আবার অনেকের অচেনা জায়গা।
এই ফটোগ্রাফিটা নিয়েছিলাম ফার্মগেট চত্বর পার হয়ে সংসদ ভবনে যাওয়ার একটু আগে থেকে। এখানে চত্বরটা মাঝখানে অনেক প্রকারের ফুল গাছ দিয়ে সাজানো দেখা যায়। তাছাড়া আরো অন্যান্য গাছও রয়েছে। সব গুলো চত্বরে এমন গাছগাছালি থাকলে পরিবেশটা অনেক সুন্দর লাগতো। আর এটা ভিআইপি এলাকা তো তাই চত্বরের মধ্যে ভিক্ষুকও নেই। অন্যান্য জায়গায় চত্বর হলে ফিরে তাকাতে মন চাইতো না। তবে এই পরিবেশটা অনেক সুন্দর।
এই ফটোগ্রাফিটা নিয়েছি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে। এই জায়গাটায় সবসময় মানুষের ভিড় আর যানযজট লেগে থাকে। তবে ঐদিন দুপুর বেলা হওয়ার কারনে তেমন যানজট ছিল না। সরকারি অন্যান্য হাসাপাতাল থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা তুলনামূলক ভালো। আমি অবশ্য কখনো যায়নি। তবে বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনা হাসপাতাল খুবই কম আর চিকিৎসা সেবা খুবই নিম্ন। যদি সরকারি লোক গুলো দেশে চিকিৎসা নিতো তাহলে সেবার মান ভালো থাকতো। কিন্তুু যারা সেবার মান ভালো করবে তারা তো চলে যায় সিংঙ্গাপুর মাউন্ড এলিজাবেথ হাসপতালে,লন্ডনে,আমেরিকাতে। যাক বেশি কিছু আর বলবো না।
এটা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা। অনেকে আবার বলবেন আইনসভা ভবন। কারন এখান থেকেই সব ধরনের আইন কানুন পাশ হয়। বিশাল বড় এলাকা নিয়ে জাতীয় সংসদ ভবন বা আইনসভা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৬১ সালে ভবনটির কাজ শুরু হয়ে ১৯৮২ সালের ২৮শে জানুয়ারি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত ভবনটির মূল স্থপতি ছিলেন লুইস কান।
ঢাকার শেরে বাংলা নগরের একটি এলাকায় মানুষ রাস্তা পারাপার হচ্ছে। বাহিরের দেশে এই নিয়মটা খুব সুন্দর ভাবে পালন করা হয়। গাড়ি চালকরা পথচারী পারাপারে সহযোগিতা করে থাকে। বাংলাদেশের তেমনটা দেখা যায় না। পথচারীরাও নিয়ম কানুন মানে না আবার গাড়ি চালক তো আরো আগে মানে না। যেদিক দিয়ে ফাঁকফুকর পায় সেদিক দিয়ে গাড়ি ছুটিয়ে নিয়ে যায়। কার আগে কে যাবে সেটা নিয়ে রীতিমত প্রতিযোগিতা করে। যায়হোক সবার উচিত ট্রাফিক আইন গুলো মেনে চলা। তাহলে রাস্তাঘাটে সড়ক দূর্ঘটনা থেকে মানুষ বাঁচতে পারবে।
ঢাকা শহরের আরেক ব্যস্ত মোড় মিরপুর-১ নাম্বার। ছোট এক ঢাকা শহরে কত হাজার হাজার গলি আর কত শত মোড় আছে সেটা আমি নিজেও জানি না। হয়তো সিটিকর্পোশনও জানে না। আমাদের নগর পরিকল্পনা কারী বা রক্ষনাবেক্ষন কারীরা তাদের দায়িত্ব পালনে কিছুটা অবহেলা করে। কারন আমরা প্রায় সময় এখানে সেখানে অনিয়ম দূর্নীতি দেখতে পায়। বিশেষ করে পরিষ্কার পরিছন্নতা খুবই কম। এর জন্য শুধু সিটিকর্পোশনের লোককে দুষ দিলে হবে না। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বন্ধুরা আজকে আর বাড়াচ্ছি না। এখান থেকেই বিদায় নিতেছি। সৃষ্টিকর্তা বাঁচিয়ে রাখলে আগামীকাল আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে দেখা হবে। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | ঢাকা শহরের বিভিন্ন অলিগলি-পর্ব-০৩।। |
স্থান | ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৯ /০২ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া ঢাকা শহরের ব্যস্ত কিছু পয়েন্টের ছবি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি জায়গায় আমার চেনা। আর চেনা জায়গার ছবি দেখতে ভালই লাগে। আপনার প্রতিটি ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে। তবে জেব্রাক্রসিং দিয়ে মানুষ পারাপারের ছবিটি খুব ভালো লেগেছে। এই ছবিটি একটি সচেতনতামূলক ছবি। সবাই উচিত জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করে রাস্তা পার হওয়া। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জী রাস্তা পারাপারে সবার উচিৎ জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করা। তাহলে সবার জন্যই ভালো হবে। ধন্যবাদ।