এই মৃত্যুর দায় কার..।।
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আবার আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। বর্তমান সময়ের কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজকে একটি জেনারেল ব্লগ শেয়ার করবো। আশা করি মনযোগ সহকারে ব্লগটি পড়লে বিষয় গুলো বুঝতে পারবেন।
পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট মহাগ্রন্ত পবিত্র আল-কোরআন মাজীদের মধ্যে সৃষ্টিকর্তা ঘোষনা করেছেন যে,প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। এর দ্বারা বুঝা যায় সমস্ত প্রাণী মরনশীল,সবাইকে মরতে হবে। অথার্ৎ যাদের জন্ম হয়েছে সবাইকে একদিন মরতে হবে। জন্মগ্রহনের সিরিয়াল আছে কিন্তুু মৃত্যুবরন করার কোন সিরিয়াল নেই। আমরা বাস্তবেও তার প্রমান দেখতেছি। বাবা-মায়ের আগে ছেলে মেয়ে মারা যায়,দাদা দাদী,নানা-নানীর আগে নাতী-নাতনী মারা যায়। শিক্ষকের আগে ছাত্র মারা যায়,ছাত্রের আগে শিক্ষক মারা যায়। কে কখন কোথায় মারা যাবে,জন্মগ্রাহন করবে তার কোন নির্ধারিত স্থান বা সময় নেই। জলে-স্থলে,আকাশে পাতালে মানুষ মারা যাচ্ছে আবার জন্মগ্রহনও করছে। সেই মৃত্যু আবার বিভিন্ন ভাবে হচ্ছে। তবে কিছু কিছু মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না,কিছু কিছু মৃত্যু মেনে নিতে খুবই কষ্ট হয়।
যেমন- রোগ-ব্যাধিতে মানুষ মারা যাচ্ছে,এটা মেনে নেওয়া যায়, কারণ মানবজীবনে রোগ ব্যাধি থাকবেই,এটা স্বাভাবিক। যুদ্ধে মানুষ মারা যায়,মেনে নেওয়া যায়। কারণ দুই পক্ষই যুদ্ধরত অবস্থায় আছে। জায়গা-জমি ধন সম্পদ,গাড়ি-বাড়ি নিয়ে জগড়া করে মানুষ মারা যাচ্ছে, মেনে নেওয়া যায়। কারণ দুই পক্ষই হিংসার মধ্যে ডুবে আছে। তারা বিষয় গুলো না বুঝে,মিমাংসা না করে শুধু শুধু জগড়া করছে। বিভিন্ন বন্যা,মহামারী, দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যায়। সেটাও মেনে নেওয়া যায়। কারণ দুর্ঘটনা বলে আসে না। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে ট্রেনের লাইন কেটে ফেলা, ট্রেনে ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষের উপর অগ্নি নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা, এই মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। এগুলো মানুষের কাজ না। যারা এই কাজ গুলো করে তারা মানুষের পর্যায়ে পড়ে না।
আপনারা সবাই জানেন যে গত এক সাপ্তাহের মধ্যে আমাদের দেশে দুইটি ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছে। আর এই দুর্ঘটনা গুলো কেউ না কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছে। গত ১৩ ডিসেম্বর বোধবার ভোর চারটার দিকে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর ট্রেন স্টেশন থেকে কিছু দূরে এসে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেক্স ট্রেনটি ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে, এর ফললে ১০ জন মানুষ আহত হওয়ার সাথে একজন মানুষ মারা যায়। যে ব্যাক্তি মারা যায় তিন একজন মুরগি ব্যবসায়ী ছিলেন। মুরগি বিক্রয় করতে ঢাকা যাচ্ছিলেন, সে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো। এই মৃত্যুর দায় কার..?
তারপর গত ১৯ ডিসেম্বর ভোর ৫টা ৫ মিনিটে তেজগাঁওয়ে চলন্ত অবস্থায় সেই মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। যার ফলে বেশ কিছু মানুষ আহত হওয়ার সাথে চার জন মানুষ আগুনে পড়ে নিহত হয়। সব থেকে কষ্টের ব্যাপার হলো একই পরিবারের ৯ জন সদস্য এই ট্রেনের জ নাম্বার বগিতে চড়ে ঢাকা আসতেছিল। তাদের মধ্যে পাঁচজন সদস্য বিমান বন্দর ট্রেন স্টেশনে নেমে যায়। আর বাকি চারজন কমলাপুর স্টেশনে নামার কথা ছিল। কিন্তুু ট্রেনটি তেজগাঁওয়ে যাওয়ার পরে জ বগিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। যার ফলে ঐ একই পরিবারের চারজনের মধ্যে দুইজন দৌড়ে ট্রেন থেকে নামতে পেরেছিল। আর দুইজন ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যায়। আর সেই দুইজন হলো এক মা ও তার চার বছরের এক বাচ্ছা ছেলে। মা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে ট্রেনের ভিতরে ঘুমিয়ে ছিল। আর সেই ঘুমই তাদের শেষ ঘুমে পরিনত হলো। এই মৃত্যুর দায় কার..?
এখন কে বা কারা সেই ট্রেনে আগুন দিয়েছিল,সেটা কেউ জানে না। কোন প্রমান ছাড়া কাউকে দুষারোপ করা যাচ্ছে না। দেশের রাজনৈতিক অবস্থাকে কেন্দ্রে করেই এই ঘটনা গুলো ঘটছে। যারা নাম মাত্র নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় যাবে,তাদের কিছু হয় নি,যারা নির্বাচন বর্জন করেছে তাদেরও কিছু হয়নি। মাঝখান থেকে প্রাণ হারাচ্ছে সাধারন মানুষ। জানিনা আর কত প্রাণ গেলে তখন আমাদের দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দুর্ঘটনা কখন কিভাবে আসবে সেটা কেউ বলতে পারে না। তবে এই এক সপ্তাহের মধ্যে যে দুইটা ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছে তার মধ্যে তেজগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সবচেয়ে বেশি দুঃখ দিয়েছে কেননা একজন শিশু এবং সেই শিশুর মা আগুনে পুড়েছে।
জী ভাইয়া তেজগাঁওয়ে চারজন মানুষ পুড়ে মরেছে। তার মধ্যে একটি চার বছরের বাচ্ছাও রয়েছে। ধন্যবাদ।
আজ দেশে ট্রেন দুর্ঘটনার নামে নিশংস হত্যা শুরু হয়েছে। আর এ হত্যা কান্ড সত্যি আমাদের জাতিকে কলঙ্কিত করে তুলেছে। আজ মুসলিম জাতি হিসেবে আমাদের গৌরবের মাথা উঁচু করে চলাটা যেন নিচুর দিকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই সমস্ত নিশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। হয়তো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক কবিত্তী লোকেরা এ সমস্ত কাজ করছে কিন্তু অসহায় মানুষগুলোর কি অপরাধ ছিল যাদেরকে এভাবে আগুনে পুড়ে হত্যা করা হচ্ছে এক্সিডেন্ট করে মারা হচ্ছে কে দেবে তার জবাব।
জী ভাইয়া এসব ঘটনার মধ্যে রাজনৈতিক ব্যাপার জড়িত আছে। যেটা আমাদেরকে অবাক করে দেয়। ধন্যবাদ।
আমাদের দেশে দিন দিন সড়ক দুর্ঘটনা।তবে শেষ যেই দুটি ট্রেন দুর্ঘটনা হলো তা শুনে খুবই খারাপ লেগেছে। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক।
জী আপু পরপর দুইটি ট্রেন দুর্ঘটনা আমাদেরকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া নির্বাচন নামে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। বর্তমান সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক লোক মারা যাচ্ছে।সত্যি এই ঘটনার জন্য অনেক খারাপ লাগলো। আসলে যারা এমন কাজ করে তারা মানুষ রুপে অমানুষ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু খেলাতো মাত্র শুরু। কয়জন মানুষ মারা যায় আল্লাহই জানে। ধন্যবাদ।